রবিবারের আড্ডা - পর্ব ৯০ | জীবনের গল্প - পর্ব ১০
ব্যানার ক্রেডিট @hafizullah
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের নতুন আয়োজন জীবনের গল্পের শো-তে । মূলত আমরা যেহেতু প্রথম থেকেই বলেছিলাম, রবিবারের আড্ডার কিছুটা ভিন্নতা হবে, ঠিক সেই ভিন্নতার জায়গা থেকেই, এই সংযোজন। মানুষের জীবনে কত গল্পই তো থাকে, কত সুখস্মৃতি থাকে, থাকে পাওয়া না পাওয়ার অভিজ্ঞতা কিংবা হারিয়ে ফেলার তিক্ততা কিংবা থাকে সফলতার হাজারো গল্প, যা হয়তো অনায়াসেই, অন্য কাউকে অনুপ্রাণিত করে ফেলে মুহূর্তেই। এই গল্পগুলো হয়তো অজানাই থেকে যায়, আমরা আসলে কান পেতে থাকি, এই গল্পগুলো শোনার জন্য। এইজন্য বাংলা ব্লগ আয়োজন করেছে, জীবনের গল্প। যেখানে অতিথি তার নিজের জীবনের গল্প অন্যদের সামনে অনায়াসেই বলে ফেলবে এবং অতিথি নিজের থেকেও বেশ হালকা হবে, সেটা হয়তো মনের দিক থেকে।
আজকের অতিথিঃ @ah-agim
ভেরিফাইড সদস্য, আমার বাংলা ব্লগ
ফেলে আসা জীবন থেকে যদি কিছু কথা স্মৃতিচারণ করতেন।
যেহেতু আমাদের দাদার বাবা কিছুদিন আগে মারা গিয়েছে, তার স্মরণে আমি এক মিনিট নীরবতা পালন করার অনুরোধ করবো সবাইকে। অতঃপর নীরবতা পালন শেষ হলে আমি মূল গল্পে চলে যাব। ২০১৪ সালের দিকে যখন আমি মাধ্যমিক দেই, সেই সময় দেশের রাজনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো চলছিল না প্রতিনিয়তই হরতাল থাকতো, যার কারণে আমরা মাধ্যমিক পরীক্ষাগুলো শুক্রবার করে হতো। কোন এক শুক্রবার সকালে একাউন্টিং পরীক্ষার জন্য আমি ক্রমাগত অংক করে যাচ্ছিলাম, তবে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম পরীক্ষার সময়। পরীক্ষা ইতিমধ্যেই তখন শুরু হয়ে গিয়েছিল, আমার মাথাতেই ছিল না যে আজকে পরীক্ষা হবে। তখন আমার এক বন্ধু, পরীক্ষার হল থেকে আমাকে ফোন দিয়েছিল এবং বলেছিল কিরে আজিম তুই এখনো পরীক্ষা দিতে আসিস নি কেন। এই কথাটা আমার এখনো মাঝে মাঝে মনে হয়। যদিও আমি পরীক্ষায় পাশ করেছিলাম, তবে সেই বন্ধুর কথা এখনো ভুলতে পারিনা।
যেহেতু আমার পারিবারিক অর্থনীতির অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না, তাই আমি উচ্চ মাধ্যমিকের পরেই চাকরি খুঁজতে বেরিয়েছিলাম। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ এলাকাতে দীর্ঘদিন আমি চাকরি করেছি। আমি শুধু একটা কথাই আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, আপনার চাকরির শুরুটা যেন হয় মধ্যম পদ থেকে, তাহলে সময়ের পরিবর্তনে দ্রুত পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব হয়। তাছাড়া যারা একদম নিচু পদে চাকরিতে যুক্ত হয় তাদের জন্য প্রমোশন পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে যায়। যেটার ভুক্তভোগী আমি ছিলাম।
জীবনে কিছু শত্রু থাকার দরকার আছে, আমি ছোটবেলায় পানি দেখে ভীষণ ভয় পেতাম, কেননা সাঁতার জানতাম না। তখন আমার এক বন্ধু আমাকে পুকুর পাড় থেকে ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছিল, ভাগ্যিস সেই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছি, তবে আমি শিখেছি কিভাবে সাঁতার কাটতে হয় এবং সেবারই আমার ভয় কেটে যায়। তাই মাঝে মাঝে জীবনে শত্রু থাকলে খুব একটা মন্দ হয় না বরং তাদের মাধ্যমে অনেক কিছু শেখা যায়।
আমি যখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেই, সেই সময় আমার পাশের সিটে একটা সুন্দরী মেয়ে পরীক্ষা দিতে বসেছিল, মনের অজান্তেই তার প্রতি দুর্বল হয়ে যাই। প্রতিনিয়ত তার হাতে গোলাপী রঙের টিস্যু দেখতাম, যাকে নাকি ভালোবাসা যায় তার নাকি সবকিছুই ভালো লাগে। যদিও মেয়েটার পরবর্তীতে বিয়ে হয়ে যায়, তবে সেই সময় থেকে গোলাপী রঙের টিস্যু আমার কাছে সর্বদা থাকেই।
আমার স্টিমিট জার্নির ক্যারিয়ারে রকি ভাই বেশ সহযোগিতা করেছিল, তাছাড়া আমাদের পুরো ফেনী জেলাতে স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আগমন ঘটিয়েছিল নেভলু ভাই। আমি সবার কাছেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অতিথি ও উপস্থিত দর্শকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ।
পুরস্কার বিতরণের সম্পূর্ণ অবদান @rme দাদার
উপস্থিত দর্শক শ্রোতারা বেশ ভালই উপভোগ করেছিল অতিথির জীবনের গল্প। তারা বেশ ভালই প্রশ্ন রেখেছিল এবং উত্তরগুলো খুঁজেও পেয়েছিল, অতিথির গল্পের মাঝে।
সব মিলিয়ে জীবনের গল্প চলছে, একদম দুর্বার গতিতে । পরবর্তীতে আমরা আসছি কিন্তু আপনার দরজায়, আপনি প্রস্তুত তো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
জীবনের গল্প শুনতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আজিম ভাইয়ার জীবনের গল্প শুনে অনেক ভালো লেগেছে। আর এই আড্ডায় আমরা সবাই দারুন সময় কাটিয়েছি ভাইয়া। অনেক ভালো লাগলো এই পোস্ট দেখে।
আমরাও সময়টা বেশ ভালই অতিবাহিত করেছি গতকাল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কালকে ট্রেনে থাকার কারণে নেটওয়ার্কের এত সমস্যা ছিল আড্ডা তে থাকতেই পারিনি, মাঝে দুবার জয়েন করেছিলাম কিন্তু কিছু শুনতে পাচ্ছিলাম না বলে লিভ গেছি। যাই হোক এখানে সবটা পড়লাম, পড়ে ভালো লাগলো। আজিম ভাইয়ের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।
কালকের আড্ডাতে আপনাদের সাথে হৃদয়ের কিছু অনুভূতি প্রকাশ করতে পেরে খুব ভালো লাগলো। আড্ডার পুরো মুহূর্ত বেশ চমৎকার ভাবে কাটিয়েছি। আমাদের অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য শ্রদ্ধেয় দাদাসহ আপনাদের সকলকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই।
আমরাও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আপনার কাছে ভাই, আমাদের সঙ্গে আড্ডায় যুক্ত হওয়ার জন্য।
কালকের আড্ডাটি দারুন উপভোগ করেছিলাম। অতিথির কথাগুলো শুনে অনেক ভালো লাগছিল।বেশ দারুণভাবে রিপোর্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই এবং রিপোর্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জেনে নিতেও পারলাম। ধন্যবাদ ভাই রিপোর্টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/sharifShuvo11/status/1850841598478922040?s=19
গতকালকের রবিবারের আড্ডাটি দারুণভাবে উপভোগ করতে পেরেছি। যেহেতু আমাদের সকলের প্রিয় আজিম ভাইকে স্টেজে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন। উনার কাছ থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর অভিজ্ঞতা জানতে পেরেছি। এমন সুন্দর অভিজ্ঞতা জানতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সময় গুলো বেশ সুন্দর কাটিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লিখিত আকারে আবার বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য।
গতকালকে রবিবারের আড্ডার জীবনের গল্প এপিসোড দারুণ উপভোগ করেছি। আজিম ভাইয়ের জীবন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। তাছাড়া উনি সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় কথা বলেছে। যাইহোক এই রিপোর্টটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য, উনি বেশ নিজের সাজিয়ে গুছিয়ে সাবলীল ভাবে কথা বলেছে।
অনেক সুন্দর করে রবিবারের আড্ডার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজিম ভাইয়া রবিবারের আড্ডার অতিথি হিসেবে ছিল দেখে অনেক ভালো লাগলো। উনার জীবনের অনেক কিছুই জানতে পেরেছি এর মাধ্যমে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আজিম ভাই বেশ ভালোই কষ্ট করে, আজকের এই পর্যন্ত এসেছে। আপনার স্বামীর অবদানের কথা সে সবার শেষে বলেছে।
এবারের আড্ডায় যুক্ত থাকতে পারিনি,তাই আজিম ভাইয়ের গল্প গুলো জানা হয়নি।আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে তার জীবনের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং শেষে সফলতার গল্প গুলো জানা হলো সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিলো।অনেক সুন্দর করে আজিম ভাইয়ের জীবনের গল্প গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।শুভকামনা রইলো।🙏💗
সমস্যা নেই, পরেরবার আমাদের সঙ্গে যুক্ত হইয়েন, এমনটাই কামনা করছি।