লাইফ স্টাইল -- 🥰 " ব্যস্তময় সময়ের মাঝেও আমার ব্লগিং "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
ব্যস্তময় সময়ের মাঝেও আমার ব্লগিংঃ
বন্ধুরা,আজ লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।আজ সারাটা দিন খুব ব্যস্ততায় কেটেছে।বিকেলে ফ্রি হয়েছি।সকালে ছেলের স্কুলে গিয়ে এক্সামের জন্য বসে ছিলাম।তখন পোস্ট লেখার কাজটি কিছুটা করেছি।সেকেন্ড মিড টার্ম এক্সাম।সময় ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট।তাই ভাবলাম বাসায় গিয়ে কাজ নেই।কিছু সময় পর তো আবার আসতে হবে স্কুলে।তাই শুধু শুধু বসে না থেকে লেখাটা কিছু এগিয়ে রাখার চিন্তা করলাম।যে ভাবনা সেই কাজ।ব্যস্ত সময়েও বসে বসে ব্লগিংয়ে মন দিলাম।লিখছি তো লিখছি।লেখার সময়টাতে ভাবনায় এলো ফটোগ্রাফি করার কথা।তাই দেরী না করে ফটোগ্রাফি গুলো করে নিলাম।গার্ডিয়ান রুমে না বসে বাইরে প্রকৃতির মাঝে বসে লিখছিলাম।হঠাৎ অল্প পরিচিত এক ভাবী এসে জানতে চায় আমি কি করছি।মিথ্যা তো আমি বলতে পারিনা।তাই বললাম লিখছি।তখন আবার জানতে চায় কি লিখছি।আমি তখন বললাম ভাবীকে,আমি ব্লগিং করি।প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখি।ফেসবুকে লিখি কিনা তিনি তাও জানতে চাইলেন।আমি বললাম,না ভাবী আমি একটি কমিউনিটিতে লেখালেখি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।এতো সব কথার মাঝে আমি বেশকিছুটা লেখা এগিয়ে রাখলাম।
আজ ব্লগিং করা রক্তের সাথে গভীর ভাবে মিশে গিয়েছে।শত ব্যস্ততা আর কাজের মাঝেও লেখার কোন মিস নেই।হয়তো মনের অনুভূতি ভিন্ন ভিন্ন রুপ ধারন করে।কিন্তু লেখা তার নিজ গতিতেই চলতে থাকে।স্কুল থেকে ছেলেকে নিয়ে ৯ টায় চলে আসি বাসায়।এসে ছেলেকে নাস্তা দিয়ে আব্বুর জন্য নরম করে চিকেন খিচুড়ি রান্না করার কাজে লেগে গেলাম।কারন আজ আব্বু ডায়লাসিস করতে আসবে হাসপাতালে।আমি আব্বুকে দেখতে যাব।আর এর আগে আব্বুকে দীর্ঘ ১৮ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর বড় ভাবী,আম্মু খিচুড়ি আব্বুর জন্য রান্না করে দিয়েছিল।কিন্তু সেগুলো খেতে ভালো লাগেনি আব্বুর।আর তাই আমি যেহেতু যাব তাই আমিই রান্না করে নিয়ে আব্বুকে দেখতে গেলাম।আব্বুর ডায়ালাসিস শেষ হলে ডাক্তার দেখিয়ে আম্মু আর ভাইয়া আব্বুকে নিয়ে চলে গেলো দুপুর ১ টার দিকে।আমি আমার রান্না করা খিচুড়ি ও আরো কিছু খাবার আব্বুর জন্য নিয়ে গেলাম।আর আম্মু ও ভাইয়ার জন্য কিছু নাস্তা নিয়ে গেলাম।কারন ওরা সবাই খুব সকালে এই হাসপাতালে এসেছিল।ওদেরকে খেতে দিলাম।আর আব্বু ও তখন সামান্য একটু খেয়ে নিল।এরপর আব্বু চলে গেলে আমি ও বাসায় চলে এলাম।এভাবেই দিনটি কেটে গেলো নানাবিধ ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে।সেই কিছু অনুভূতি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।আশকরি আপনাদের কাছে আমার অনুভূতি গুলো ভালো লেগেছে।শত ব্যস্ততার মাঝে ভালোবাসার ব্লগিংকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।এ যেনো এক বিনি সুতার টান।
শত কাজের মাঝেও আমি প্রতিনিয়ত নিজেকে ব্লগিংয়ের সাথে সংযুক্ত রাখার চেষ্টা করে চলেছি।ভালোবাসার আরেক নাম আমার এই ব্লগিং।যতদিন বেঁচে আছি এই ব্লগিং এর মাঝেই নিজেকে জড়িয়ে রাখতে চাই।নিজেকে মেলে ধরতে চাই এই ব্লগিংয়ের মাঝে।আশাকরি আপনারাও সঙ্গে থাকবেন।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে যাব।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্কুল,ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু মাঝে মাঝে এতটা ব্যস্ত হয়ে যায় যে ব্লগিং করার সময়টাই খুঁজে পাই না। আপনি আজকে খুবই ব্যস্ত সময় পার করছেন তবে এর মাঝে বিকেলে একটু সময় পেয়েছেন আর তখনই সুন্দর একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন। আপনার ছেলের পরীক্ষা ছিল এর মাঝে একটু সময় পেয়েছিলেন আর তখনই লেখাটা লিখে রেখেছেন। তবে ব্যস্ততার মধ্যে যদি পরিবারের সবাই সুস্থ না থাকে তাহলে আরো বেশি ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আপনার আব্বু অসুস্থ ছিল সেখানে খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন সব মিলিয়ে আপনার ব্যস্ত সময়টা কিছুটা হলে অনুভব করতে পারছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
সারাদিনের কর্মকাণ্ড গুলো কে লিখনির মাধ্যমে তুলে ধরার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
কোন ক্লাসে পড়ে আপনার ছেলে?
সেই স্বল্প পরিচিত ভাবি কে বলেন নাই আমার বাংলা ব্লগ সম্পর্কে?
আপনার আব্বুর ডায়ালাইসিস চলছে কত বছর ধরে?
ভাল থাকুন এবং লিখতে থাকুন।
শুভকামনা রইল।
উদাহরণ দেখিঃ ১। রক্তের সুগার ৫ মি.লি.মোল= ৫ × ১৮= ৯০ মি.লি.গ্রাম। ২। রক্তের সুগার ১৮৫ মি.লি.গ্রাম= ১৮৫ ÷ ১৮=১০.২৭ মি.লি.মোল।
X-promotion