টক ঝাল কাঁচা আম মাখা রেসিপি❤️
হ্যালো
সারারাত বিদুৎ ছিলো না তাই ঘুম হয়নি একটুও।ঘুম না হলে শরীর ভালো থাকে না।বিদুৎ থাকলে ব্লগে কাজ করতে ভালো লাগে আর যদি না থাকে গরমে অস্তি লাগে।
আমি বাবার বাড়িতে এসেছি গত বৃহস্পতিবার মা মনসা পূজা উপলক্ষে।
ঘরে একদমই নেটওয়ার্ক পায় না সেজন্য পুকুর পাড়ে বসে কমেন্ট করছিলাম।
মেয়ে গিয়ে বায়না শুরু করে দিলো গাছ থেকে কাঁচা আম পড়ে দাও মাখা খাবো।আমিও রাজি হয়ে গেলাম কারণ অসময়ে গাছ থেকে আম পেড়ে তা মাখা খাওয়ার তো মজাই আলাদা। আমাদের বাড়িতে মানে বাবার বাড়িতে একটি বারোমাসি আমের গাছ রয়েছে।আম গুলো অনেক সুন্দর হয় দেখতে।সব থেকে ভালো লাগে এই সময়ে একদম তরতাজা কচি কাঁচা আম মাখা খেতে।
আম পাড়ার জন্য আমি একটা বাঁশের কোটা ব্যাবহার করলাম কিন্তুু দুঃখের বিষয় আম হাতের নাগালের বাইরে কোটার।কোটা আপনারা হয়তো অনেকেই চিনবেন না কোটা হলো একটি চিকন বাঁশ যা দিয়ে গাছের মগ ডাল থেকে আম বা সুপারি পাড়া হয়ে থাকে গাছে না উঠেই।
যে যেহেতু আমাদের বাড়ির কোটা দিয়ে আম পাওয়া যাচ্ছে না তা দেখে আমাদের বাড়িতে এক মহিলা পাট কাঠি রোদে দিচ্ছিলো ওনি বল্লেন আমার বাড়িতে আছে লম্বা কোটা। এরপর ওনি ওনার বাড়ি থেকে অনেক লম্বা কোটা এনে দিলেন এবং সেই কোরার মাথায় একটা অস্ত্র বেঁধে আম পাড়ালাম এবং একটা আমের এক সাইড একটু কেটে গেলো আরো দুটো আম পাড়লাম এবং আম মোট তিনটি পারলাম তবে ভাগ্য ভালো আম পারতে গিয়ে আহত হইনি। আম পাড়াও শেষ তখনি কোটার মাথায় যে অস্ত্র টি ছিলো সেটি নিচে পড়লো কোটার মাথা থেকে ভাগ্যিস মাথায় বা শরীরে পড়ে নি শরীরে পড়লে মাথা বা শরীর কেটে যেতো। যাই হোক এরপর আমি আম পেড়ে এনে কেটে মাখা করলাম আর তাই আজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
আমরা জানি কাঁচা আম খাওয়া আমাদের শরীরে জন্য অনেক উপকারী ওপ্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মেলে কাঁচা আম থেকে। এই ভিটামিন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে কাঁচা আমের রস এই গরমের ঋতুতে মুখরোচক এবং তৃষ্ণা মেটাতেও সাহায্য করে।
আমার মেয়ের কাঁচা আম খুব পছন্দের। আমার মেয়ে কখনো পাঁকা আম খায় না সে আমাদের সিজনেও কাঁচা আম মাখা খায়। প্রতিদিন একটি করে কাঁচা আম মাখা খায় সে।আম গুলো এখনো পরিপূর্ণ বয়স হয়নি তা কেটে বুঝলাম।আমের আঠি এখনো অনেক কচি।
তো চলুন দেখা যাক কি করে সহজ পদ্ধতিতে কাঁচা আম মাখলাম
কাঁচা আম |
---|
লবন |
হলুদ |
মরিচের গুড়া |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি আম গাছ থেকে পেড়ে পরিস্কার করে ধুয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন একটি বঠির সাহায্যে আম গুলো ছিলে নিলাম।
তৃতীয় ধাপ
এবার আমি ছিলে নেয়া আম গুলো দু খন্ড করে নিলাম এবং ভিতর থেকে আমের আঠি বের করে নিলাম।
চতুর্থ ধাপ
এখন আম গুলো লম্বা করে একটে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এখন কেটে নেয়া আম গুলোতে লবন, হলুদ ও মরিচের গুড়া দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন লবন, হলুদ ও মরিচের গুড়া দিয়ে আম গুলো মেখে নিয়েছি। মেখে নেয়ার পর আরো বেশি লোভনীয় লাগছে।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার মুখরোচক টক মিষ্টি, নোনতা আম মাখা রেসিপি। অনেক টক ছিলো আম গুলো।মেয়েদের টক পছন্দের তাই টক হওয়াতে মজা করেই খেয়েছি। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
কাঁচা আম মাখা খেতে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। আগে বন্ধুরা সবাই মিলে পড়ন্ত বিকেলে এভাবে কাঁচা আম মাখা তৈরি করে খেতাম। ঐ মুহূর্তগুলো সত্যি বেশ দারুন ছিলো। আপনার টক ঝাল কাঁচা আম মাখা রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আম মাখা বেশ লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কাঁচা আম মাখা দেখে তো জিভে জল চলে এসেছে। এই অসময়ে এত মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটা দেখে। এরকম কাঁচা মাখা আমারও ভীষণ পছন্দ। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় এই কাঁচা আম মাখা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি জিভে জল আসার মতোই কাঁচা আম মাখা রেসিপিটি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 6/7) Get profit votes with @tipU :)
টক ঝাল মাখা আম খেতে কে না পছন্দ করে। আপনার মাখানো আম গুলো দেখে জিভে জল চলে এল আপু।এত সুন্দর ভাবে কাঁচা আম মাখিয়েছেন।দেখে মনে হচ্ছে প্লেট থেকে তুলে এখনই খেয়ে নেই। খুব সুন্দর ভাবে কাঁচা আম গুলো মাখিয়েছেন আপু।আপনার আম মাখা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন টক ঝাল কাঁচা আম মাখা রেসিপি তৈরি করে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে জিভের জল সামলে রাখতে পারছিনা আপু। আসলে এমনিতেই কাঁচা টক আম খেতে আমি বেশ পছন্দ করি। এত সুন্দর ভাবে মাখিয়ে খেলে আশা করি বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ রেসিপি তৈরির স্টেপগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি বাবার বাড়িতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। অবশেষে আপনি আম সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো। খাবারটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার এই পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অসময়ে টক ঝাল কাচা আম মাখার যে রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখেই জিভে জলে ভরে যাচ্ছে।অসম্ভব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন আপু ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জিভে জল আসার মতোই রেসিপিটি।
রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীর মন কোন কিছুই ভালো থাকে না। আমড়া মাখাটা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। চমৎকার তৈরি করেছেন আপু। বিশেষ করে আপনার উপস্থাপনা বেশ সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
আম মাখা দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও তেমনি ভালো ছিলো ভাইয়া।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
কিছুদিন আগে আমরাও গাছ থেকে আম পেড়ে মেখে খেয়েছিলাম। সত্যি এই অসময়ে আম খেতে কি যে ভালো লাগে। আপনার আম মাখা দেখে তো মুখে পানি চলে এসেছে আপু। ধন্যবাদ আম মাখা খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনার গাছ থেকে আম খাওয়ার পোস্ট টি দেখেছিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বারোমাসি ফলের গাছ থাকলে ভালোই হয়, অসময়ে ফল খাওয়া যায়। আপনার এমন আম মাখা দেখে জিভে জল টলমল করছে। আমার তো দেখেই খুব খেতে ইচ্ছে করছে। গরমের দুপুর বেলা এভাবে টক ঝাল মিষ্টি আম মাখা খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আম মাখা রেসিপির বর্ণনা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু জিভে জল আসা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু গরমে টক ঝাল আম মাখা খেতে খুব ভালো লাগে।