যে মানুষ যত বড় হতে চায়, সে তত বড় হতে পারে,,যদি সে,,
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভাল আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে কিছু এলোমেলো গোছানো কথা নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমি যা যা মনে করি এবং মন থেকে বিশ্বাস করি সেই সব কথাগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করছি।আমি কিংবা আপনি নিজেকে যত বেশি রহস্যময় করব বা করবেন ততই বেশি মানুষের কাছে আগ্রহের পাত্র হতে পারব, কিংবা পারবেন। এই কথাটা সবসময় মনে রাখতে হবে যে নিজের বিষয়ে কখনো নিজের কথা অন্য মানুষের সামনে উপস্থাপন করবেন না। বা করবনা। কারন আপনি নিজে কেমন ব্যক্তিত্বে সম্পন্ন মানুষ সেটা নিজের ভাষায় প্রকাশ না করাই ভাল। তাতে করে যা যা হয়, এই ধরুন আপনার আশেপাশে যারা আছে, তারা আপনাকে জানার জন্য অনেক বেশি আগ্ৰহ পোষণ করবে। সাথে করে আপনার সাথে কথা বলতে চাইবে এবং আপনার সম্পর্কে জানার জন্য তার আকর্ষণ আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। আরেকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সব সময় মেনে চললে,, আপনি শারীরিক এবং মানসিকভাবে অনেক বেশি উজ্জীবিত থাকতে পারবেন। আর তা হল সবসময় আপনার মুখে হাসি ধরে রাখবেন। এতে হয় কি আপনার নিজের মাঝে একটা খুবই চমৎকার পজিটিভিটি আসবে। সেই সাথে আপনার আশে পাশে যারা আছেন তারা ও কিন্ত আপনার দিকে তাকালে পজিটিভিটি অনুভব করবে।
তাছারা হাসলে মানুষকে অনেক সুন্দর দেখায়। সুস্থতার জন্য হাসি আমাদের অনেক বেশি এন্টিবায়োটিক এর মত কাজ করে। আপনার আমার ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি কোটি টাকার সম্পদে রূপান্তরিত হতে পারে। বলতে পারেন হাসি-দিয়ে অনেক কিছুই জয় করা যায়। আর তাছাড়া আপনার হাস্যোজ্জ্বল মুখেরপবিত্রতা যেন চারপাশে ছড়িয়ে যায়। আর তাইতো যেকোন মানুষ সৎ বিনয়ী আত্মবিশ্বাসী সাহসী, এবং স্বপ্ন পিয়াসু মানুষেরা তাদের ফোকাস অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারে। ঠিক
“একজন মানুষ যত বড় হতে চায়, সে তত বড় হতে পারে। যদি তার মনোবল দৃঢ় হয়।এবং নিজের প্রতি যথেষ্ট বিশ্বাস রাখে। যদি সে ফোকাসের দিকে অবিচল থাকে, আশা এবং নিবেদন থাক। সেই সাথে তিনি যদি বড় বড় অর্জনের জন্য, ছোট ছোট ত্যাগ মেনে নেয়ার সক্ষমতা থাকে। , ত্যাগী মনোভাবের মানুষের পক্ষে যে কোন ভাল কাজ করা সম্ভব। তাই আমাদের ত্যাগী মনোভাবের হতে হবে। বিচক্ষণ হতে হবে।কৌশলী হতে হবে। স্বচ্ছতার সাথে জবাবদিহিতা থাকতে হবে।নেতৃত্ব প্রদানের শক্তি-সাহস ধৈর্য ধরতে হবে।অর্থাৎ আপনি একজন অনুপ্রেরণাকারী মানুষ হিসেবে নিজেকে পরিচিতি লাভ করতে পারবেন। আর সব গুণাবলীগুলো মিলিয়ে আপনি রূপান্তরিত হবেন ভালো মানুষে।সফল মানুষে। আমিও ঠিক এরকম হাজার ছোট ছোট বড় বড় ত্যাগ করে আজকের আমি হতে পেরেছি। অফুরন্ত ধৈর্যকে পুঁজি করে, মেনে নিয়ে মানিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। আর জীবনের বড় বড় যুদ্ধ নামক খেলাগুলোতে পরিবার কিংবা আশে পাশের মানুষগুলো সবচেয়ে বড় বেশি বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনার বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে, সব বাঁধাকে অতিক্রম করে, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে চাওয়াটা নিখুঁত হলে পাওয়াটা সুনিশ্চিত।আর আপনি অতিক্রম করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ব্যতিক্রম কিছু করতে হবে। ভেবে দেখুনতো কেন মানুষ আপনাকে মনে রাখবে।কেন মানুষ আপনাকে অনুসরণ অনুকরণ করবে।।নিজের কাছে সবসময় চারটি প্রশ্ন করতে হবে। এবং উত্তর গুলো লিখে রাখতে হবে। ও সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
১.আমি কি চাই
২.কেন চাই
৩. কখন চাই
৪. কিভাবে চাই
এই চারটি প্রশ্নের উত্তর লিখে ফেলুন ঝটপট আপনার ডাইরির পাতায়।এবং আপনার মনের পাতায়।এরপর শুরু করতে হবে প্লানিং এন্ড একশন। মনে রাখতে হবে কোন কাজ প্ল্যানিং করা মানে সেই কাজের অর্ধেক সম্পন্ন হওয়া। অবশ্যই ভেবে চিনতে নিজের বুদ্ধিমত্তা কে কাজে লাগিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।মনে রাখতে হবে আমরা সৃষ্টির সেরা জীব মরে যাওয়ার আগে মারা যেতে চাইনা। বীরের মতো বেঁচে থাকতে চাই,, সংগ্রামের সাথে। সফলতার বিজয় মালা গলায় পরিয়ে জাতির সম্মুখে মাথা উঁচু করে দেখব বিশ্বটাকে। এটা আমার স্বপ্ন সেই স্বপ্নকে সামনে রেখে এগিয়ে চলা,,, আজ এ পর্যন্তই এটুকুই ছিল বলা।টা টা,,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
আপু মাঝে মাঝে হাসতে ভুলে যাওয়া লাগে,কি চাই সেটা নিজের জানি না।এটা ঠিক নিজের দুর্বলতা অন্যকারো কাছে প্রকাশ না করাই ভালো।তাতে অনেক সময় হাসির পাএ হতে হয়।নিজের দুঃখগুলো নিজের কাছেই রাখা ভালো।যাই হোক কথাগুলো বেশ ভালো লিখেছেন আপু,আপনার কাছেই আমরা অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকি।ধন্যবাদ আপনাকে
ঠিক বলেছেন আপনি, তবে একাকীত্বটা কিন্তু খুব একটা ভালো বিষয় নায় তারপরও যারা একাকিত্বের মধ্যে নিজের জীবনকে গুছিয়ে নিয়েছে তারা অনেক ভালো পজিশনে আছে।
আপনি ঠিক বলেছেন প্রথমে আমাদেরকে এই চারটি বিষয় জানা খুবই জরুরী। কারণ আমাদের নিজের মনটাই কি চায় যদি আমরা সেটা না বুঝতে পারি তাহলে কখনোই যেটা প্রয়োজন সেটা খুজে পাবো না। তাই নিজের দক্ষ তা নিজের কাছেই বজায় রাখা উচিত। কারণ আমরা যদি কখনো কারো কাছে ছোট হয়ে যায় তাহলে নিজেকেই ছোট মনে হয়। এটা ঠিক যে কোন একজন মানুষ যত বেশি বড় হতে পারে ততই নিজের প্রতি বিশ্বাসটা আরো দৃঢ় হয়। তাই অন্য কাউকে বিশ্বাস না করে নিজের বিশ্বাসটা নিজেই বজায় রাখার জরুরী। নিজস্ব স্বপ্ন আর নিজের ক্লান্ত পরিশ্রম টাই সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
ঠিক বলেছেন আপু তাইতো সব সময় নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং নিজের লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
আমরা যদি মনে করি কোন একটা লক্ষ্যে পৌঁছাব তবে আমাদের চুপচাপ বসে থাকলে হবে না সেই লক্ষ্য ধরে আমাদেরকে সামনের দিকে এগোতে হবে। তবে আমরা সেই লক্ষ্যে ঠিকঠাক মতো পৌঁছাতে পারবো। আপনার আজকের পোস্টটি খুবই ভালো লেগেছে আপু। ধন্যবাদ আপু।
জি আপু, শুধুমাত্র লক্ষ্য নির্ধারণ করলেই হবে না, সেই লক্ষ্যে পিছে ছুটতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার কথার সাথে আমি একমত। আসলেই লক্ষ্য নির্ধারণ করলে সে অনুযায়ী কাজ করা দরকার তবেই লক্ষ্য অর্জন হবে।
বর্তমানে আমরা যে যেই পজিশনেই থাকি না কেন সবারই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা খুবই দরকার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক চমৎকার গুছানো একটা লেখা আপু। আমার জন্য এই আর্টিকেল টা হয়তো খুব দরকারী ছিল। তবে আপু, নিজেকে বোঝানো যতটা সহজ কিন্তু নিজেকে দিয়ে সেই অনুযায়ী কাজ করানো ততটাই কঠিন হয়ে যায়। তবে দিনশেষে এটা সত্যি যে , লেগে থাকলে সাফল্য অবশ্যই আসবে, সেটা আজ হোক অথবা দুই দিন পর হোক। দোয়া করবেন আপু। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
আমিও সেটাই মনে করি, হাল ছেরে দেওয়া মানে জীবন থেকে পরিত্রাণ নেওয়া যা কোনভাবেই আমাদের কারোরই কাম্য নয়।।