ফটোগ্রাফিঃবিভিন্ন ধরনের খাবার ও ফলের ফটোগ্রাফি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন। প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ৩রা চৈত্র বসন্তকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ১৭ই মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। দেখতে দেখতে আজ ১৬ রোজা শেষ । রোজা শেষে আসবে খুশির ঈদ। আবারও রোজার জন্য অপেক্ষা করতে হবে একটি বছর। রোজায় ইফতারিতে বেশ আয়োজন চলে সবার বাসায়। সেই সাথে দেখা যায় বিভিন্ন রেস্টুরন্ট থেকে ফুটপাতের দোকান সবটাতেই ইফতারি তৈরি করা হয়। প্রচলিত ইফতারের পাশাপাশি তৈরি করা হয় অনেক বিদেশি খাবারও। আর বেশ চলে এই খাবারগুলো। গত সপ্তাহে কিছু ইফতারের খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। আজও কিছু খাবারের ফটোগ্রাফির পাশাপাশি কিছু ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। যে সকল ফল আমরা ইফতারিতে খেয়ে থাকি। প্রতিদিনের ইফতারিতে একটি ফল রাখা বেশ স্বাস্থ্যকর।
প্রথম ফটোগ্রাফি
আজকাল ইফতারিতে এই দই বড়া বেশ জনপ্রিয়। মাশকালাইএর ডাল আর দই হল এর প্রধান উপকরণ। আর সাথে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের মশলা ও চাটনী। খেতে টক ঝাল মিষ্টি। আমার বেশ পছন্দ। তবে বাহিরের দই বড়ার চেয়ে বাড়িতে বানানো দই বড়াই আমার বেশি প্রিয়।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
এই প্রথম আমি এই ডিম প্যাটিস বিক্রি হতে দেখলাম। এর আগে দেখছি বলে আমার মনে হয় না। দেখতে বেশ লোভনীয়। খেতে মোটামুটি। তবে সস দিয়ে পরিবেশনের কারনে খারাপ লাগে না। সাথে ডিম দেয়ায় খেতে ভালই লাগে।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
জিলাপী যেনো ইফতারের একটা প্রধান অংশ দখল করে আছে। কত ধরনের যে জিলাপি যে পাওয়া যায় তার কোন হিসাব নেই। জিলাপি ছাড়া যেনো কারও বাসায় ইফতার পূর্ণতা পায় না। ইফতারিতে সবা্রই জিলাপি চাই। গত বছর স্বর্নের ইফতারি বিক্রি হয়েছিল একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। এবং বেশ বিক্রিও হয়েছিল এই স্বর্নের জিলাপী।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
ইফতারিতে ভাজাপোড়ার পাশাপাশি পছন্দের আরেকটি খাবার হলো বিভিন্ন ধরনের ফল। এখন প্রচুর পরিমাণে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। তরমুজে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় শরীরের জন্য বেশ উপকারি। এছাড়া তরমুজে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও আঁশ। তরমুজ হলো ভিটামিন 'বি৬'-এর চমৎকার উৎস, যা মস্তিষ্ক সচল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি খেলে দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত অসুস্থতা কমে। তরমুজের জুস আজকাল বেশ জনপ্রিয়।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
মেলন রাগবি বল দেখতে আকর্ষণীয় খেতেও খুব সুস্বাদু ও মিষ্টি। মেলন রাগবি গোল আকৃতি ও বলের মত দেখতে। হাইব্রিড জাতের ফলে ফলন খুবই দ্রুত আসে । বিদেশী এই ফলটি আজকাল বেশ পাওয়া যাচ্ছে। দেখতে অনেকটা আমাদের দেশের বাঙ্গির মতো।
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
ইফতারের আরেকটি প্রধান খাবার হলো কলা। অনেক ইফতারিতে চিড়া,দই কলা একসাথে খেতে পছন্দ করে। যা বেশ স্বাস্থ্যকর। কলা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ ও শর্করাসমৃদ্ধ। কলা খেলে পেট ভরা ভরা লাগে, খিদেও কমে যায়। এ ছাড়া কলা আমাদের রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে ফেলে এবং ইনসুলিন হরমোনের প্রতি শরীরের সংবেদনশীলতা বাড়ায়।বিভিন্ন জাতের কলা পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশে সাগর কলা বেশ জনপ্রিয়।
সপ্তম ফটোগ্রাফি
একজন বিক্রেতার পিয়াজু বানাচ্ছে। যা ছাড়া ইফতার যেনো সম্পন্ন হয় না। সবার বাসায় কম বেশি পিয়াজু বানানো হয়। বিভিন্ন ধরনের ডাল বেটে এই পিয়াজু বানানো হয়। আর বেশ মুখোরোচকও বটে। তাই সবার পছন্দের তালিকায় পিয়াজু স্থান প্রথমে।যদিও ডুবো তেলে ভাজা হয় বলে স্বাস্থকর নয়। এ ছাড়া একই তেল বার বার ব্যবহার করার জন্য আরও বেশি স্বাস্থ্য ক্ষতির কারন এই পিয়াজু।
আশাকরি আজকের বিভিন্ন ধরনের খাবারের ও ফলের ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ১৭ই মার্চ।২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/selina_akh/status/1901674695403122698
Daily task
আপু আপনি আজকে মজাদার খাবার এর ছবি নিয়ে হাজির হয়েছেন। জিলাপি গুলো দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। সব গুলো ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইফতার মানেই নানান স্বাদের সমারোহ, আর আপনার ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনাগুলো ইফতারি আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। দই বড়া, জিলাপি, পিয়াজু এসব ঐতিহ্যবাহী খাবারের পাশাপাশি নতুন সংযোজন যেমন ডিম প্যাটিসও বেশ আকর্ষণীয় লাগলো। আর ফলের গুরুত্ব তুলে ধরা সত্যিই প্রশংসনীয়, বিশেষ করে তরমুজ ও কলার পুষ্টিগুণের কথা। স্বাস্থ্যকর ও মুখরোচক ইফতারি সম্পর্কে এমন উপস্থাপনা সত্যিই দারুণ হয়েছে ধন্যবাদ আপু।
আমি এবারই প্রথম ডিম প্যাটিস দেখলাম ও খেলাম। আর রমজান মানেই মুখরোচক খাবারের সমারোহ।
বিভিন্ন ধরনের খাবারের অনেকগুলো ফটোগ্রাফি দেখলাম ভীষণ ভালো লাগলো আপু। খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে খাইতে ইচ্ছা করে। দইবড়া আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে এর আগে খেয়েছিলাম। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমারও বেশ পছন্দ দই বড়া। বেশ মজা খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব সুন্দর কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। দই বড়া কখনো ট্রাই করা হয়নি। নাম শুনেছি এবং দেখেছি কিন্তু কখনো খাইনি। যাই হোক শেষের পিয়াজু ভাজার ছবিটা ভীষণ সুন্দর লেগেছে। পেয়াজু ছাড়া তো কখনোই ইফতার জমে না। আর বাইরে থেকে কিনে খাওয়ার চেয়ে বাসায় তৈরি করে খাওয়াই স্বাস্থ্যসম্মত।
একদিন ট্রাই করতে পারেন দই বড়া। বেশ লাগে খেতে। তবে বাহিরের খাবারের চেয়ে ঘে বানা্নো খাবারই স্বাস্থ্যসম্মত।
জি আপু একদিন ট্রাই করে দেখতে হবে। বাসায় বানালে অনেক বেশি ভালো হবে।
আজকে আপনি মজার কিছু খাবারের এবং ফলের ফটোগ্রাফি করেছেন। খাবারের ফটোগ্রাফি এবং ফলের ফটোগ্রাফি দেখলে এমনিতে জিভে জল এসে যায়। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এমনিতে অসাধারণ হয়। এবং আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
এত মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি করেছেন দেখে আমার তো খুব লোভ লেগে গেলো। প্রতিটা খাবার দেখেই বুঝতে পারছি খাবার গুলো অনেক মজাদার। অনেক সুন্দর করে আপনি সবগুলো খাবার আর ফলের ফটোগ্রাফি করলেন। অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
বাহিরের খাবার যতই মজার হোক না কেনো ,তবে স্বাস্থ্য সম্মত নয়। ধন্যবাদ আপু।