ফটোগ্রাফিঃখাবারের ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন। প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ২৭শে ফাল্গুন বসন্তকাল, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১২ই মার্চ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। দেখতে দেখতে রহমতের ১০ দিন পার করে , মাগফিরাত ১০ দিন শুরু হয়েছে রোজার। এর পরই নাজাতের ১০ দিন পার করে আনন্দময় ঈদের দিন চলে আসবে। আবারও রোজার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১টি বছর। আগামী বছরও যেন রোজা পালন করতে পারি আল্লাহ কাছে সেই প্রার্থনা করি।

ph7.jpg

রোজায় ইফতার একটি বড় বিষয়। সারা দিন রোজা রাখার পর রোজাদার ব্যক্তি ইফতারের মাধ্যমে তার রোজা শেষ করেন। এই ইফতারীতে আমরা আমদের সাধ্যমতো বিভিন্ন খাবার তৈরি করি। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বাসায় বানানো খাবার বেশি খাওয়া হতো। কারন তখন এতো রেস্টুরেন্ট ছিল না, যারা ইফতারি বিক্রি করে । মায়ের হাতে বানানো ছোলা, পিয়াজু,আলুর চপ বেগুনী,সব্জি পিয়াজু,শরবত দিয়ে ইফতার করা হতো। মাঝে বিরিয়ানী বা হালিম। এই ছিলো আমাদের শৈশবের ইফতার। কিন্তু এখন বাসায় যেমন বিভিন্ন দেশের খাবার বানানো হয় তেমনই বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গুলো কম্পিটিশন দিয়ে তৈরি করে দেশী বিদেশি বিভিন্ন ধরনের ইফতার। এক কাবাবই বিক্রি হয় ৭-৮ রকমের। সাথে নানাও পাওয়া যায় কত ভিন্ন ভিন্ন নামে ও স্বাদে। সাথে জিলাপিতো রয়েছে বিভিন্ন নামের ও স্বাদের। বাদ যায় না বিভিন্ন নামের ও স্বাদের বিরিয়ানিও। রোজা আসলেই দেখা যায় কত পদের ও স্বাদের যে ইফতারি তৈরি হতে পারে। এগুলো যদিও স্বাস্থ্যকর নয়। কারন বেশিভাবে ইফতারি হলো ডুব তেলে ভাজা। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। তবু আমরা এ সকল ইফতারি কিনে নিচ্ছি চড়া দামে। আর ইফতারির এই ভিন্নতার কারনে নতুন প্রজন্মের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এই সকল ইফতার।

ph6.jpg

এখন বেশিভাগ বাসায় ইফতারি করা হয় বাহিরের তৈরি ইফতারি দিয়ে। বাসায় পারত পক্ষে দু' একটা আইটেম তৈরি করা হয়। তার আর একটি কারন হচ্ছে ব্যস্ততা। এখন নারীরা কর্মজীবি আমাদের মায়েদের মতো গৃহিনী নয়। তাই তারা আর সময় পায় না বাসায় ইফাতারি বানাতে। তাই রেস্টুরেন্ট এর তৈরি ইফতারিই ভরসা। তাই দিন দিন রেস্টুরেন্ট গুলোতে বিভিন্ন স্বাদ ও বিভিন্ন ধরনের ইফতারি বিক্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ আমিও স্বাদের বদলের জন্য গিয়েছিলাম ইফতারী কিনতে সেখান থেকেই কিছু ফটোগ্রাফি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

প্রথমে শেয়ার করছি বিভিন্ন ধরনের কাবাব এর কিছু ফটোগ্রাফি।

ph8.jpg

ph9.jpg

ph10.jpg

দেখে নিন কিছু নানের ফটোগ্রাফি

ph16.jpg

ph17.jpg

ph18.jpg

আশাকরি আজকের বিভিন্ন ধরনের ও স্বাদের কাবাবের ও নানের ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীফটোগ্রাফি
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ১২ই মার্চ।২০২৫ ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

image.png

image.png

image.png

Sort:  
 29 days ago 

আজকে আপনি চমৎকার কয়েকটি খাবারের ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্ৰাফি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, বিশেষ করে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে কাবাব এর ফটোগ্ৰাফিটি। এছাড়াও বাকি ফটোগ্ৰাফি গুলো বেশ দারুন হয়েছে আপু ধন্যবাদ আপনাকে।

 26 days ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

Daily task

dt1.png

dt2.png

 last month (edited)

রমজান মাসে বিভিন্ন খাবারের ধুম পড়ে যায়। বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টের সামনে রমজান মাসে বাহারি বাহারি খাবার দেখতে পাওয়া যায়। আর আপনিও খুব সুন্দর কিছু রমজানের ইফতারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন সর্বদায় এই কামনা করি।

 27 days ago 

কত রকমের খাবার যে বিক্রি করে রেস্টুরেন্টগুলো এই রমজানে তার হিসাব করা কঠিন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

 last month 

ইফতারির পরিবেশ ও সংস্কৃতিতে সত্যিই অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে ঘরে তৈরি মায়ের হাতের ইফতারির যে স্বাদ ছিল, তা অতুলনীয়। এখন নানা রকম বাহারি খাবার পাওয়া গেলেও, সেগুলো স্বাস্থ্যের দিক থেকে কতটা উপকারী, সেটা ভাবার বিষয়। তবে স্বাদের বৈচিত্র্য উপভোগ করাও আনন্দের অংশ! আপনার পোস্টটি পড়ে শৈশবের ইফতারি মুহূর্তগুলো মনে পড়ে গেল। সুন্দর ছবি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 27 days ago 

আজকাল বাসার খাবারের যে বাহিরের খাবারের প্রতি আসক্তি বেশি নতুন প্রজন্মের। ধন্যবাদ আপু।

 29 days ago (edited)

এখন কার সময় রেস্টুরেন্টে দেশ-বিদেশের ভালো ভালো খাবার পাওয়া গেলেও মায়ের হাতে রান্না করা খাবারের কোন তুলনা হয় না। আমাদের বাড়িতেও কিছু পরিবার আছে যাদের বর্তমানে রোজা চলছে। তবে তারা দেখেছি বাড়িতেই রান্না করে। আমরাও মাঝেমধ্যে যাই তাদের সাথে রোজা পালন করতে। তবে বাইরের খাবারের থেকে ঘরের রান্না খাবারের স্বাদ অনেক বেশি ভালো এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে।

 27 days ago 

ঠিক বলেছেন মায়ের হাতের তৈরি খাবারের তুলনাহীন এবং স্বাদে অন্যন্য। তবে বাহিরের খাবারের প্রতি আসক্তি দিন দিন বাড়ছে।

 29 days ago 

বিশেষ করে এই রমজান মাসে রেস্টুরেন্টের খাবারের আইটেম দেখলে লোভ সামলে থাকা যায় না। প্রতিদিন রেস্টুরেন্টে এরকম লোভনীয় খাবার তৈরি করা হয়। আপনার ফটোগ্রাফি তো লোভনীয় খাবারেই জমে উঠেছে। সবগুলো খাবার লোভনীয়। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ভাবে সাজিয়েছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো।

 25 days ago 

রেস্টুরেন্টগুলো যেনো কম্পিটিশনে নতুন নতুন আইটেম বানায়। আর বেশ লোভনীয় ।

 29 days ago 

আপু বেশ লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।ভিন্ন ভিন্ন খাবারের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে । আপনার তোলা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে কারণ প্রতিটি খাবার লোভনীয় ছিল অনেক বেশি।শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 25 days ago 

অনেক ধন্যবাদ আপু।

 29 days ago 

এত মজার মজার বেশ কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে আমার তো খুব ভালো লেগেছে। প্রতিটা খাবার অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। রমজান মাসে এই ধরনের খাবারগুলোর ধুম পড়ে যায় একেবারে। ধন্যবাদ আপনাকে প্রতিটা খাবারের ফটোগ্রাফি সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।

 25 days ago 

রমজান মাস এলেই দেখা যায় খাবার কত রকম হয়। সাবি নতুনত্ব আনার চেস্টা করে।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.24
JST 0.030
BTC 83678.45
ETH 1573.13
USDT 1.00
SBD 0.79