We need to be genuine in front of the almighty!(সৃষ্টিকর্তার কাছে স্বচ্ছ থাকুন!)
শেষ টিউটোরিয়াল ক্লাসের ঠিক আগের ক্লাসে একটি কথা সকলের উপস্থিতিতে আমি বলেছিলাম, যারা সেখানে ছিলেন হয়তো তাদের মনে আছে, আর যারা ক্লাসে ছিলেন না, তাদের উদ্দেশ্যে আরো একবার কথাটা লিখিত রূপে এখানে আজকে জানাই।
তবে, এই ক্ষমতা প্রদানের পিছনে সৃষ্টিকর্তার যে উদ্দেশ্য থাকে সেটা হলো, আমরা কে, কিভাবে সেই ক্ষমতাকে ব্যবহার করছি।
আমি বিশ্বাস করি
দেখবেন আমার বেশিরভাগ লেখায় আমি সৃষ্টিকর্তার উল্লেখ করে থাকি, কেনো জানেন?
- কারণ ক্ষমতার দম্ভে হোক, অথবা আত্ম অহংকারের বশে হোক আমরা মানুষকে প্রতারিত, বঞ্চিত করতে সক্ষম কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে নয়!
শুরুতে যখন এই প্ল্যাটফর্মে যোগদান করেছিলাম, ভেবেছিলাম পৃথিবীর অনেকটাই জুড়ে এখানে ব্লগাররা কাজ করেন! কাজেই, একটা সুযোগ পাবো শেখার! পাশাপশি, আরও একটি বিষয়, সেটা হলো কোন্ দেশের মানুষ কি ধরনের মানসিকতা বহন করেন!
কি অদ্ভুত! যত সময় অতিবাহিত করছি বুঝতে পারছি এই প্ল্যাটফর্মে ৯৯.৯% মানুষ স্বজন পোষন নিয়েই সিদ্ধহস্ত! |
---|
একশ্রেণীর মানুষ যারা বড় বড় মাথাদের কথায় হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলিয়ে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে!
আর এক্ প্রকার আছেন, যাদের কিছু বিশেষ পছন্দের মানুষ আছেন দেশ বিশেষে! তারা ভুল করলেও ঠিক, এবং এদের ক্ষেত্রে ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষগুলো গান্ধীর তিন বাঁদরের মত চোখ, মুখ, এবং কান বন্ধ করে রেখেছেন! তবে, সেটা সত্যি না দেখার জন্য, সত্যি না শোনার জন্য আর সত্য না বলার জন্য!
(ফুলের আয়ু মানুষের মত দীর্ঘ নয়, তবে এই স্বল্প সময়ে নিঃস্বার্থ ভাবে সুগন্ধের পাশাপশি মধু দান করে যে শিক্ষা প্রদান করে, সেটা অনেকেই শিখতে অনাগ্রহী) |
---|
মানে এককথায় বিপরীত স্বভাবের বাঁদর অথবা আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা সৃষ্টি বাঁদর এর তকমা এদের দেওয়া যেতেই পারে।
খারাপ লাগা কাজ করে, কারণ যারা ভালো সেজে ভালো হবার প্রয়াস করে চলেছেন প্রতিনিয়ত;
তারা হয়তো বুঝতে অক্ষম! একজন তাদের এই দ্বিচারিতা উপরে বসে প্রতিনিয়ত শুধু দেখছেন না, নথিভুক্ত করছেন।
ক্ষমতা হাতে পেলে মানুষের মাথা কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়, সাথে হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়,
যেমন কোনো দুঃস্থ ব্যাক্তির যদি বড় অঙ্কের লটারি বাধলে যে পরিস্থিতি হতে পারে।
অত্যাধিক প্রহসন প্রতিনিয়ত আমাকে বিরক্ত এবং বিব্রত করে চলেছে এই প্ল্যাটফর্মে!
আমি যখন দেখি সাময়িক ক্ষমতা নিয়ে মানুষ কি চরম ধরনের স্বজনপোষণ করে চলেছেন।
আমরা অনেকের উদাহরণ দিয়ে থাকি অমুক মানুষ ক্ষমতা হাতে পেয়ে আমাদের বঞ্চিত করেছিল!
কিন্তু, একটু আয়না নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেখলে দেখা যাবে, মিথ্যের আড়ালে হয়তো কখনও না কখনও নিজেও সেই ব্যাক্তি একই কাজ করেছেন কোনো না কোনোদিন।
আমরা যে গাছের চারা রোপণ করবো, ফল তো সেই হিসেবেই পাবো তাই না?
বাঁশ গাছের গোড়া থেকে তো আর আমগাছ হবে এই আশা করা যায় না!
তবে, এখনকার শিক্ষা, বিশেষ করে এই প্ল্যাটফর্মে দেখেছি শেখানোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ কর্পন্যতা করেন, যদি সেখানে নিজের লাভের আশা না থাকে!
উত্তর গুলো তাহলে এইভাবে পাওয়া যায়, আমি জানিনা, আর খুব জোরাজুরি করলে এর বেশি জানা নেই, একদম সময় পাচ্ছি না, ব্যাক্তিগত সমস্যা ইত্যাদি ইত্যাদি!
মিথ্যে মিথ্যে আর মিথ্যে! সর্বত্র শুধু মিথ্যে!
কারণ? আমার থেকে বেশি এগিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না!
- নিজে কাজটা করে দিলে তার উপরে সদাই নির্ভরশীল থাকতে হবে, তাহলেই বাঁদর নাচ নাচানো সম্ভব!
এরকম মানসিকতার মাঝে সুস্থ্য থাকাটা সত্যি ভীষণ দমবন্ধ করা বোধ বয়ে নিয়ে আসে।
এরপর যখন ক্ষমতাবান বা বতী যাইহোক, তাদের একপেশে বিচার দেখি, তাদের দ্বিচারিতা দেখি, তখন আমার একটাই কথা মনে হয়, ধর্ম, জাতি, বর্ণ, দেশ, ভাষা পরিবর্তিত হলেও বেশিরভাগ মানুষ প্রকৃত শিক্ষায় আজও শিক্ষিত হতে পারেন নি!
আমি, আমার! এর বাইরে বেরোতেই পারে নি কেউ! ভাবতেই রাজি নয়, চেনা মুখের বাইরে কিছু, শুনতেই রাজি নয় উন্নতির ভিন্ন পরিভাষা, দেখতেই রাজি নয় পরিচিত আর পছন্দের বাইরেও কিছু প্রয়োজন অবশিষ্ট রয়ে গেছে!
(ছবিগুলো আমার তোলা নয়, ঈশা ওহাটসঅ্যাপ এ পাঠিয়েছিল) |
---|
আজকে প্রয়োজনের তাগিদে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখলাম এই প্ল্যাটফর্মে আমি চার বছর দুমাস অতিক্রম করে ফেলেছি!
পাশাপাশি, একজন স্টিম রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে আমি কাজ করছি মোট তিপ্পান্ন সপ্তাহ!
আর একজন কিউরেটর হিসেবে ঝুলিতে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে এক্ বছর চার মাস এর!
তবুও কোনো রিপোর্ট লিখতে গেলে এখনো হাত কাঁপে, ভয় করে, একাধিকবার দেখি সব ঠিক আছে কিনা?
অথচ, ভুল হলে কেউ জেলে বন্দী করে দেবে না, সেটা কিন্তু আমার ভালো করেই জানা, তবুও এই অনুভূতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি!
আর এই অনুভূতি আমাকে আজও একজন ছাত্রীর মানসিকতা বহন করতে সাহায্য করে, নিজেকে বিশারদ ভাবতেই পারি না;
আর কেউ না জানুক অন্তরালে একজন ঠিক জানেন।
কাউকে ভুল পরামর্শ দেওয়া, বিপথে পরিচালিত করা, অথবা মিথ্যে বলে সেই মানুষদের থেকে পার পাওয়া সম্ভব কিন্তু আড়ালে একজন আছেন যাকে আমরা অন্তর্যামী বলে জানি, তার কাছে কি সেই ফাঁকি অধরা রইলো?
ভেবে দেখবেন একবার, নিঃস্বার্থ ভাবে আশীর্বাদ উপার্জনের প্রয়াস করুন, কারণ আগেও লিখেছি, আবার পুনরাবৃত্তি করছি, অর্থ মুচি এবং মেথর ও উপার্জন করেন, তাই অর্থ নিয়ে বেশি বড়াই করে লাভ নেই।
ছেলেবেলায় আমার বড় পিসিমা একটি শিক্ষা দিয়ে গিয়েছিলেন, আর সেটা হলো, জুতো যতই দামী হোক না কেনো, আমার সেটা পায়েই পরি, আর টুপি যত সস্তাই হোক না কেনো তার জায়গা সবসময় মাথায়!
(এটিও ঈশার পাঠানো মহাদেবের ছবি) |
---|
আশীষ রেখো, সেগুলো ভুলিনা যেনো কভু!
যেটুকু শিখতে পেরেছি আজ আমি;
মূল্যায়ন তুমি করো প্রভু, সেগুলো কতটা দামী।
যেদিন এর প্রকৃত অর্থ আমরা বুঝবো, সেদিন সমাজে ভারসাম্য ফিরবে, আজ বিদায় নিলাম, যদিও লেখা বিশেষ কেউ পড়েন না, যদি কেউ পড়েন তাহলে নিজের নিজের অভিমত জানাতে ভুলবেন না!
প্রকৃতপক্ষে সফলতার যেমন সমাপ্তি হয় না তেমনি কাজকে আরো উন্নত করার ও কোনো দাঁড়ি হয় না। যদি কেউ মনে করে তাঁর ভুল নেই তাহলে তাঁর থেকে কিছু প্রত্যাশা করাটাই সাপের মাথায় থাকা মূল্যবান মণির মতো।
যে কারণেই আপনার লেখা প্রতিবেদন এবং প্রতিটি লেখাতে শব্দের বাচন ভঙ্গিতে খুঁজে পাই নতুনত্ব। ভীড়ের মধ্যে তো মানুষ তাঁকেই খোঁজে যিনি সকলের থেকে আলাদা।
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
ক্ষমতা মানুষকে উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে, আবার সেই ক্ষমতার অপব্যবহার দ্বিচারিতার জন্ম দেয়। তবে আজকের দুনিয়ায় বেশিরভাগ মানুষ ক্ষমতা পেলে তার অপব্যবহার করতেই যেন বেশি পছন্দ করে। আপনার মত দীর্ঘসময় না হলেও অল্প কিছু সময় কিউরেটর হিসেবে কাজ করেছিলাম। ঠিক সেই সময়ে সজনপ্রিতির কিছু ঘটনা দেখার অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে। আমরা সবাই জীবনে চলতে চলতে শিখি। তবে যারা সত্যিকারের শিক্ষায় শিক্ষিত, তারা তাদের ক্ষমতার দম্ভে নয়, বরং সঠিক ব্যবহারে মনোযোগ দেয়। আপনার অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধি থেকে শেখার মতো অনেক কিছুই আছে। ধন্যবাদ আপনার চিন্তাধারা শেয়ার করার জন্য।