পুত্র না কন্যা সেটা বড়ো কথা নয়,সন্তান যদি মানুষের মতো মানুষ হয়।
প্রতিটি পিতা মাতার স্বার্থকতা তখন হয়, যখন তারা তাদের সন্তানের নামে পরিচিত হয়। সন্তান কন্যা হোক বা পুত্র সেটা বড়ো কথা নয়;
সন্তান মানুষের মত মানুষ হয়েছে কিনা সেটাই প্রতিটি মা বাবার লক্ষ্য হওয়া উচিত।
আজকে আপনাদের মাঝে আসা উপরিউক্ত শীর্ষকটি নিয়ে নিজের মতামত ভাগ করে নিতে।
এটি আমার একান্ত নিজস্ব মতামত, অনেকেই সহমত পোষণ নাই করতে পারেন।
আমার মনে হয় পিতা মাতার সন্তানদের সঠিক মানুষ হওয়াটাকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
কারণ সঠিক মানুষ হিসেবে কন্যা হোক বা পুত্র যাকেই গড়ে তোলা হোক;
সেই মাতা পিতার গর্বের কারণ হতে পারে।
ভারতীয় ক্রীড়াবিদ গীতা ফোগাট্ এবং ববিতা ফোগাট্ এর গল্প অনেকেরই জানা।
তাদের পিতা মহাবীর সিং ফোগাট্ চারটি কন্যা সন্তানের পিতা যিনি একসময় জাতীয় স্তরে কুস্তি চ্যাম্পিয়ন ছিলেন।
কাজেই নিজের পুত্র সন্তানকে অন্তঃরাষ্ট্রীয় স্তরে খেলতে দেখবেন এটাই ছিল পিতার স্বপ্ন।
প্রথম কন্যা সন্তান হবার পরে পিতার আশা ছিল পরের বার পুত্র সন্তান হবে!
পর পর চারটি কন্যা সন্তানের পরে, তিনি নিজের স্বপ্নকে প্রায় বিসর্জন দিয়ে দিয়েছিলেন।
তবে, স্কুলে একদিন গীতা, ববিতা একটি ছেলে সহপাঠীকে বেদম মার মারে, এবং সেই ছেলের মা, বাবা যথারীতি নালিশ জানাতে আসেন গীতা এবং ববিতার পিতার কাছে।
এরপর মহাবীর সিং ফোগাট যখন মেয়েদের কাছে জানতে চায় তারা কিভাবে ছেলেটাকে মেরেছে, তখন এক বোন আরেক বোনকে মেরে দেখায়।
তাদের মারের ধরন বুঝিয়ে দিয়েছিল সেইদিন চার কন্যার পিতাকে, যোগ্যতা কখনো লিঙ্গ বিচার করে আসে না।
সেইদিন হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন ফিরে পায় মহাবীর সিং ফোগাট। এরপর এক পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করে তার চার কন্যা গীতা, ববিতা, রিতু, সঙ্গীতা।
হয়তো অনেকেই ছায়াছবি দাঙ্গল দেখেছেন, যেটি কিন্তু একটি পিতার স্বপ্ন পূরণের বাস্তব গল্পের উপরে নির্মিত।
আজকে উদাহরণস্বরূপ একজন পিতা যিনি পুরুষ হয়েও নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন নিজের চার কন্যা সন্তানের মধ্যে দিয়ে;
তার বাস্তব জীবনের গল্প অনুপ্রাণিত করেছে অনেক কন্যা সন্তানের পিতাদের।
এরপর বলবো টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠানে বসে পিতার জন্য লেখা কুড়ি বছর বয়সী এক পুত্রের চিঠির কথা। চিঠিটি ছেলেটি তার পিতার সামনেই পাঠ করছিলেন। চিঠির শেষে পিতার চোখের কোনটা চিক চিক করতে দেখা গিয়েছিল। পিতাদের অনুভূতি লুকোনো অভ্যাস।
শ্রোতা ছিলেন অমিতাভ বচ্চন সহ বহু ভারতবাসী।
এখানে আবার কৃষক পিতার চার পুত্র সন্তান, যাদের মধ্যে চিঠি পড়া পুত্রের নাম কপিল, এবং সে একটি খেলায় অংশগ্রহণ করতে এসেছে; কারণ তার ইনকাম ট্যাক্স অফিসার হবার ইচ্ছে, তবে সে, যে গ্রামে থাকে সেখানে এই বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ নেই।
তাই তার সিদ্ধান্ত, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এই বিষয় নিয়ে পড়ার। ইচ্ছে থাকলেও সামর্থ নেই, কারণ সেই ইনস্টিটিউশনের ফী ৮০,০০০ টাকা।
সেটা সে, এই খেলার মাধ্যমে জিততে এসেছে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবার আশায়।
যাইহোক, খেলতে খেলতে সে, যখন তিন লক্ষ, পঞ্চাশ হাজার টাকায় পৌঁছে যায়;
তখন তার কাছে বাড়তি টাকা সে কি করবে জানতে চাইলে সে জানায়, আজকে আমার অস্তিত্ব আমার পিতার কারণে;
উনি আছেন তাই আমি আছি, কাজেই নিজের ফী এর উর্দ্ধে পুরো টাকাটাই আমার পিতাকে সে দেবার ইচ্ছে প্রকাশ করে।
এরপর আসে সেই চিঠি পড়ার পালা, যেখানে সে লেখে বাবা আমার তোমার প্রতি অনেক নালিশ আছে!
তোমার ক্লান্তি তুমি আমাদের কাছ থেকে সবসময় লুকিয়ে রেখেছ, সবসময় সাধ্যের উর্দ্ধে হাসি মুখে আমাদের ইচ্ছে পূরণ করেছ।
বাবা, আজকের এই টাকা দিয়ে নিজের জন্য নতুন একটা ট্র্যাক্টর কিনো, অন্যের ভাড়ার ট্র্যাক্টর নিয়ে কাজ করো;
তাই বহুদিন একসাথে বসে খাওয়া হয়নি।
তোমার পনেরো বছর পুরোনো বাইকটাকে এবার একটু ঠিক করে নিও।
উপস্থিত সকলেই ভাবুক হয়ে যান ছেলেটির তার পিতার প্রতি অনুভূতি দেখে।
কাজেই, আমাদের এটা মাথায় রেখে সন্তানকে বড়ো করা উচিত, তাকে কিভাবে মানুষের মতো মানুষ করা যায়।
কারণ পুত্র না কন্যা সেটা বড়ো কথা নয়,সন্তান যদি মানুষের মতো মানুষ হয়।
আমাদের সমাজে একটি ধারনা এখনো আছে যে মেয়েদের দিক থেকে ছেলেরা জীবনে সফল হতে পারে বেশি।
কিন্তু সমাজে একজন পুরুষ যেমন জীবনে সফল হতে পারে তেমনি নারীরাও পারে তার জীবনে সফল হতে, মাথা তুলে দাঁড়াতে।
এক সময় মেয়েদের তাদের প্রতি তার বাবা মা এর সন্দিহান ছিলো, তারা ভাবতো তার মেয়েরা হয়তো ভবিষ্যতে তাদের জন্য বোঝা হয়ে উঠবে। আর এ থেকেই নানা বৈষম্যতার স্বীকার হতে হতো মেয়েদের।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী যে পৃথিবীতে শুধু ছেলেরা না মেয়েরাও পারে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে, তারাও পারে বাবা মা এর মুখে হাসি ফোটাতে।
আমার দেখামতে এখন পৃথিবীতে এমন কোনো সেক্টর পাওয়া যাবে না যেখানে মেয়েদের অবদান নেই, মেয়েদের অংশ গ্রহণ নেই। বর্তমান বিশ্বের উন্নততিতে ছেলেদের যেমন অবদান আছে মেয়েদের ও ঠিক তেমনি অবদান আছে আবার কোনো ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অগ্রগতি অনেক বেশিও লক্ষ করা যায়।
মেয়েদের এই অগ্রগতি তাদের জীবনের সফলতায় শুধু সে না তার বাবা মারও সমাজে একটি বিশেষ স্থানে উন্নিত হচ্ছেন।
আবার অন্য দিক দিয়ে দেখতে গেলে নারী অধিকার বা নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে গিয়ে যেন তা পুরুষের উপর খারাপ প্রভাব পরে।
আমাদের সমাজে এখন একটি নারীবাদী দল বের হেয়েছে যারা নারীদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে পুরুষদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য বা হেয় করে দেখছে এরই প্রতিক্রিয়ায় সমাজের বিভিন্ন চাকরি ক্ষেত্রে পুরুষদের কোটা কমিয়ে নারীদের জন্য বাড়িয়ে দিচ্ছে, আর এতে সমাজে পুরুষদের বেকারত্বের হার বেড়ে যাচ্ছে যা মোটেই ভবিষ্যতের জন্য কল্যাণকর নয়।
মনে রাখা ভালো সমাজে নারী ও পুরুষ হচ্ছে একটি গাড়ির চাকার মতো। এর একটি ছোট বা বড় হলে চলবে না।
তাই আমাদের উচিত আমরা যেমন পুরুষ বা ছেলেদের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে সামনের দিকে চলি তেমনি মেয়েদের প্রতি ও পূর্ণ আস্থা রেখে সামনের দিকে চলা। কারণ এখন মেয়েদের অধিক সুযোগ সুবিধার জন্য তারাও এখন আর পিছিয়ে নেই।
TEAM 1
Congratulations! This comment has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts, and good comments anywhere with any tags.thank you so much.
আসলে বর্তমান সমাজ কেমন কিভাবে নেয়,,, আমার জানা নেই। তবে আমাদের গ্রাম অঞ্চলের মেয়েদেরকে তেমন একটা প্রাধান্য দেয়া হয় না পড়াশোনা করতে গেলে বলা হয়। আর পড়াশোনা করে কি হবে। সেই তো পাএ নিয়ে ঘরে বসে রান্না করতে হবে।
আমি যখন ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছিলাম,,,, তখন আমার বিয়ে হয়েছিল। এরপরে পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার পরে। আমার মা চেয়েছিল আমি যেন আরেকটু পড়ালেখা করি। কিন্তু আমার শাশুড়ি আমার মাকে ধমক দিয়ে বলেছিল। আপনার মেয়েকে দিয়ে কি চাকরি করাবেন। তখন আমার মা আর একটি কথাও বলেনি।
আপনার পোস্টে চার কন্যার গল্প এবং ছেলের গল্প পড়ার পরে,,, আসলে নিজেকে অনেকটা অসহায় মনে হচ্ছে। আমরা নিজেরা কখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারিনি। বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারিনি। শুধুমাত্র সমাজের মানুষের কথা ভেবে।
একদমই ঠিক বলেছেন,,, আপনি কন্যা সন্তান হোক বা পুত্র সন্তান বাবা-মায়ের সবচাইতে,,, এই জিনিসটার প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। কোন সন্তানটা তাদের মানুষের মত মানুষ হচ্ছে,,, এবং তাদের মুখ উজ্জ্বল করছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,,, এত সুন্দর একটা শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।
সত্যিই তাই। সন্তান তো সন্তানই। তার আবার ছেলে মেয়ে কি। নারীর মাতৃত্বের স্বাদ উপলব্ধি করার জন্য একটি সন্তান ই যথেষ্ট। আর সেই সন্তান মানুষের মতো মানুষ হলে আর কিছু ই লাগে না। আপনি ছোট্ট একটি লাইন লিখেছেন 'অনেক দিন একসাথে বসে খাওয়া হয় নি।' আসলে ই তো অনেক দিন বাবা মায়ের সাথে একসাথে খাওয়া হয় নি। হৃদয় টা স্পর্শ করে গেল। সন্তানের জন্য পিতার যে ভূমিকা আপনি তুলে ধরেছেন তা বাস্তবিক।
পৃথিবীর সব পিতামাতা যারা বেঁচে আছেন বা গত হয়েছেন তাদের সবার জন্যই প্রার্থনা করি। ভালো থাকবেন সবসময়।
পৃথিবীতে নারী পুরুষের সমান অধিকার থাকা উচিত। পুরুষ যে কাজ করতে পারে একজন নারীও সেটা করতে পারবে। যদি কেউ মনে করে নারী, পুরুষের মতো কাজ করতে পারে না। তবে এটা তার ভুল ধারণা। আজকাল নারী বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তার যোগ্যতার প্রমাণ দেখিয়েছে। আমি যখন পোস্টে মহাবীর সিং ফোগাটের গল্পটা পড়ছিলাম তখন দাঙ্গল সিনেমার কথা মনে পরে গিয়েছিল। তারপর বুঝতে পারলাম দাঙ্গল ছবিটা এখান থেকেই তৈরি করা। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ছেলে অথবা মেয়ে এটা বড় কথা নয় মানুষের মত মানুষ হতে হবে এটাই বড় কথা।
নিজের মতামত,
পরিবারের যখন একটি ছেলে সন্তান হয় তখন বাপ মায়ের ইচ্ছা থাকে যে এই ছেলেকে অনেক পড়াশোনা করিয়ে ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার বানাবো সমাজের লোক আমাকে ডাক্তারের বাবা বলে ডাকবে আমার সম্মান বৃদ্ধি পাবে। ছেলে উপার্জন করে আমাকে খাওয়াবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর যখন ওই একই পরিবারে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে বাবা মায়ের চিন্তাধারা থাকে যে এই মেয়েকে যদি পড়াশোনা করিয়ে মানুষের মত মানুষ করে তৈরি করি তারপর ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনার বানায় তাতে আমার কোনো লাভ নাই মেয়ের ইনকামের টাকা তো আমি ভোগ করতে পারবো না। মেয়ে যখন বিয়ে দেব এটা তো তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই ভোগ করবে। আসলে আমাদের চিন্তাধারা এখানে আটকে গিয়েছে। এইজন্য মেয়েদের পড়াশোনার প্রতি এত অবহেলা করে বাপ মায়েরা।
তবে এখন ডিজিটাল যুগে অনেকটাই বদলে যাচ্ছে কিছু কিছু এলাকায় মেয়েরা এখন পড়াশোনা করছে এবং বড় বড় ডিপার্টমেন্টে কর্মরত রয়েছে।
প্রতিটি অভিভাবক যদি কন্যা বা পুত্র ভেদাভেদ না করে তাদের সমান ভাবে দেখেন ও সমান সুযোগ দেন তবে তারা উভয়েই জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। এই বিষয়টি আপনি দুটি উপমার সহিত খুব সরল ও প্রানবন্ত করে উপস্থাপন করেছেন।
খুব সুন্দর লাগলো কথা গুলো , একজন বাবা আর মায়ের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্প হচ্ছে তার সন্তানদের ভালো মানুষ হিসেবে গরে তোলা বড় মানুষ হতে দেখা, সেটা ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, কোন মানুষ যাতে আঙ্গুল তুলে কথা বলতে না পারে , এমন ভাবে বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া দরকার, ছেলে বলে বেশি যত্ন হবে টা একদম ই ঠিক না, আর এখনকার সমাজে মেয়ে রা ও অনেক এগিয়ে আছে , আগের দিনের গ্রাম গঞ্জে দেখা যেত , ছেলে আর মেয়ে আলাদা, মেয়েদের কত কিছু করতে বারন করত, ঘর থেকে বের হয়াও নিষেধ ছিল, কিন্তু এখনকার যুগে মেয়ে রা অনেক এগিয়ে আছে , সকল কর্মস্থানে, ব্যাংক , শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত সব জাইগায় দেখা যায় মেয়েদের সংখ্যা বেশি, আজকাল এর যুগে ছেলে মেয়ে বলে কথা নয়, ভালো মানুষ হিসেবে গরে তোলা টা ই হল বাবা মা এর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
কদিন আগে আমার এক দেবরের মেয়ে হয়েছে।মুখে কিছু না বললেও দেখলাম মন বেশ খারাপ। এর আগেও দুটো মেয়ে ছিলো।আমার জা' মানে দেবরের বউ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত। তারপরও এই বাচচাটা নিয়েছে শুধুমাএ ছেলে জন্মাবে এই চিন্তা করে।আমার দেবর যথেষ্ট শিক্ষিত একজন মানুষ। কিন্তু ভাবতে অবাক লাগে যে ওর মানুষই যদি এমন করতে পারে তাহলে গ্রাম এলাকার চিত্র কি?
এখনো অনেক পরিবারেই ছেলেদেরকে বেশি যত্ন বা পড়াশোনা করানো হয় শুধুমাত্র তারা ছেলে বলে।অথচ একটা ছেলে যা করতে পারে সেই একই কাজ যে মেয়েরাও করতে পারে সেটা দেখেও বা জেনেও এড়িয়ে যায়।
তারপরও কিছুটা পরিবর্তন আসতেছে ধীরে ধীরে হলেও। এটাই আশার কথা।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।