রেসিপি পোস্ট ||| মজাদার ছোলার বরফি।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমার বাংলা ব্লগে আমি আজ এসেছি নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে।বাংলা ব্লগে যখন ইউনিক কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে পারি তখন অনেক ভালো লাগে।আমার সব সময় চেষ্টা থাকে আমার বাংলা ব্লগে ইউনিক কিছু নিয়ে আসতে। আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি "মজাদার ছোলার বরফি"রেসিপি নিয়ে।ছোলা অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার।ছোলা খাবারটি খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা হতে অব্যাহতি পাই। তবে ছোলা কাঁচা অবস্থায় বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। কাঁচা অবস্থা বলতে ছোলা গুলো পানিতে ভিজিয়ে সেই ছোলা খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো। শরীরের দুর্বলতা কমায়। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলাতে ৩৭২ কিলো ক্যালরি আমরা পেয়ে থাকি। ছোলা ফাইবারে ভরপুর।ছোলায় আয়রন, পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম ও জিংক ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আমরা ছোলা থেকে পেয়ে থাকি।ছোলাকে বিভিন্ন আইটেমে তৈরি করা যায়। শুধুমাত্র ছোলা ভাঁজি, ছোলার সবজি, ছোলা দিয়ে খিচুড়ি এগুলো করা যায় না এর বাইরেও যেভাবে ইচ্ছা করে সেভাবে রেসিপি তৈরি করতে পারা যায়। আমি "মজাদার ছোলার বরফি" নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। চলুন "মজাদার ছোলার বরফি" কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।ছোলা।
২।ঘি।
৩।চিনি।
৪।দুধ।
৫।বাদাম।
৬।কিসমিস।
৭।সাদা এলাচ।
৮।দারচিনি।
৯।তৈল।
প্রথমে পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি ছোলা গুলো।
এরপর ভেজানো ছোলা গুলো ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার সেই ছোলা গুলো প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ছোলাগুলো প্রেসার কুকার থেকে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা করে নিয়েছি।এরপর ব্লেন্ডারে ছোলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ব্লেন্ডারে ছোলা দেওয়ার পর তার ভিতরে বাদাম ও দুধ দিয়ে ব্ল্যান্ড করে নিয়েছি।
এবার ফ্রাইপ্যানে ঘি দিয়ে নিয়েছি।
সেই ফ্রাইপ্যানে ব্লেন্ড করে নেওয়া ছোলা গুলো দিয়ে অনেকক্ষণ নেড়েছি।
তারপর সেখানে কিসমিস এড করেছি ও চিনি এড করেছি। আবারো অনেকক্ষণ নেড়েছি যেন নিচে
লেগে না যায়।
যখন ছোলার পেস্ট নাড়ার পর আঠালো হয়ে এসেছে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
এরপর একটি বড় প্লেটে সামান্য ঘি মেখে নিয়েছি।আর সেই প্লেটের ভিতরে বুটের খোমারটি দিয়ে গরম অবস্থায় বড় রুটি আকৃতি করে নিয়েছি ।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি ঠান্ডা হওয়ার পর একটি চাকু দিয়ে বরফি আকৃতি করে কেটে নিয়েছি।আর এভাবে হয়ে গেল আমার "মজাদার ছোলার বরফি" রেসিপি।এবার এই "মজাদার ছোলার বরফি" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "মজাদার ছোলার বরফি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
ছোলার বরফি রেসিপি সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই ছিল না। আপনার কাছ থেকে এই প্রথম এরকম একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ আর আজকে যেভাবে আপনি এটি তৈরি করেছেন এটি একদমই ইউনিক হয়েছে৷ আর এটি আপনি যেভাবে ডেকোরেশন করেছেন এটিকে একদম সুস্বাদু মনে হচ্ছে ৷
জি ভাই অনেক মজাদার ও সুস্বাদু ছিল।
ছোলার বরফি আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছিলাম খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। পুষ্টিকর খাবারের রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপির ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।
অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপি টা দেখেই জিভে জল চলে এসেছে ।রেসিপিটা দেখেই একটু টেস্ট করতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমার রেসিপিটা আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
লোভনীয় এবং পুষ্টিকর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আজ। সত্যি বলতে আমি এই খাবারটির ভীষণ ভক্ত। আমার মা এভাবে তৈরি করেন। আজ আপনার রান্না দেখে মায়ের হাতের সেই স্বাদের খাবারের কথা মনে পড়ে গেল। আপনি দূরদান্ত উপস্থাপন করেছেন রেসিপিটি। এখন তো দেখছি আমিও তৈরি করতে পারবো।
আপনার মায়ের মত করে রেসিপিটি তৈরি করতে পেরেছি শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
ছোলার বরফি আমার ও ভীষণ পছন্দ। আপনার রেসিপি দেখে ইচ্ছে করছে এখনই বানিয়ে খেয়ে নেই।দারুন মজার এই ছোলার বরফি।আমি প্রায় সময় বানিয়ে রেখে দেই।এরপর আস্তে আস্তে খাই।ধন্যবাদ আপু দারুন মজার স্বাদের ছোলার বরফি রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দ হয়েছে এটি আমার জন্য বড় পাওয়া।
অনেক উপাদানের সমন্বয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু কিছুদিন আগে আপনার ভাবিও আমাকে বানিয়ে দিয়েছিল এই জাতীয় বরফি তবে সেটা তৈরি করে দিয়েছিল সুজি দিয়ে। খেতেও বেশ টেস্ট ছিল। নতুন করে নতুন একটা রেসিপি তৈরি করা দেখতে পেলাম। আশা করব এই জাতীয় রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ছোলার বরফি খুব মজাদার একটি খাবার।হাজারও পুষ্টি গুনে ভরপুর এই মজাদার খবরফি গুলো খেতে অসাধারণ সুন্দর লাগে।আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন এই সোলার বরফি বানানোর পদ্ধতি গুলো।ধন্যবাদ খুব সুন্দর ও লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
বাহ্ আপু আপনি খুব মজাদার ছোলার বরফি শেয়ার করেছেন আপু।রেসিপিটি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থাপনা চমৎকার হয়েছে।একদিন বাসায় ট্রাই করবো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটা আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো।
ছোলার বরফি তৈরি করার ধরনের একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের জিনিস আমাদের এলাকাতে তৈরি হয় না তাই আমার কাছে আপনার তৈরি করা এর রেসিপিটা দেখে নতুন ধরনের একটা রেসিপি বলে মনে হয়েছে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমি নতুন ধরনের একটা রেসিপি সম্পর্কে ধারণা লাভ করলাম।
গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু আপনার ছোলার বরফি দেখে লোভ লেগে গেল।আসলে বরফি খেয়েছি তবে কখনো নিজে তৈরি করিনি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করব। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন।ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।