রেসিপি পোস্ট |||| মজাদার মিল্ক ব্রেড।
আসসালামু আলাইকুম।
প্রতিটি পরিবারের গৃহিণীকে সর্তকতার সাথে ভালো মন্দের দিকে সচেতন থাকতে হয়।তাইতো প্রত্যেক পরিবারের নারীরা চেষ্টা করে কিভাবে তার পরিবার ভালো থাকবে।সেই দিকগুলো খুঁজে বের করতে আর সংসারের প্রিয় মানুষগুলো ভালো থাকলে তার যেন আনন্দের সীমা থাকে না।আমি চেষ্টা করি বাচ্চাদের বিকালের ও সকালের নাস্তাগুলো বিভিন্ন রকমের তৈরি করে দিতে।কারণ একই রকম খাবার বাচ্চারা খেতে চায় না।তাদের খাবারের আইটেমে নতুনত্ব আনলে নিমিষেই সেই খাবারটি তারা আনন্দের সাথে খেয়ে নেয়।
আসলে চেষ্টা করলে মানুষ পারেনা এমন কোন জিনিস নেই।যেকোনো কাজের চেষ্টাই প্রধান এবং মনের ইচ্ছা থাকতে হবে।ব্রেড বানানো আমি প্রথমে ভেবেছিলাম অনেক কঠিন আমি হয়তো বানাতে পারবো না।কিন্তু প্রথমবার চেষ্টা করে বেশ দারুন ব্রেড আমি তৈরি করেছি। আর বাজারে অনেক ধরনের ব্রেড পাওয়া যায় সেগুলো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে যা দেখে ব্রেড কেনার ইচ্ছা হারিয়ে গেছে। তাইতো এই ব্রেড বানানোর প্রক্রিয়া আমি শিখে বাসায় তৈরি করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।তবে নিজে বাসায় তৈরি করলে খাবারটি যেমন স্বাস্থ্যসম্মত এবং খেতেও অনেক মজা।তাইতো "মজাদার মিল্ক ব্রেড" এর রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "মজার মিল্ক ব্রেড" কিভাবে তৈরি করেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণ সমূহঃ-
১।ময়দা।
২।চিনি।
৩।ইস্ট।
৪।মিল্ক পাউডার।
৫।ঘি।
৬।লবণ।
৭।কিসমিস।
৮। সয়াবিন তৈল।
প্রথমে একটি বাটিতে দুই কাপ ময়দা মেপে নিয়েছি।
এরপর সেই ময়দায় লবণ,পরিমাণ মতো চিনি,ইস্ট, গুঁড়ো দুধ, ঘি,একসঙ্গে নিয়েছি।
এবার একটি বাটিতে পানি গরম করে নিয়েছি।
এবার সেই কুসুম কুসুম গরম পানি ময়দার সঙ্গে একটু একটু করে মেখে নিয়েছি।
সেই ময়দার খুমারটি আবারও অনেকক্ষণ মেখে নিয়েছি।
এবার ময়দার খুমারটি সুন্দর করে একটি প্লেট দিয়ে এক ঘন্টার জন্য ঢেকে রেখেছি ।
যখন ময়দার খুমারটি অনেক ফুলে উঠেছে।তখন ময়দার খুমার আবার মেখে তার ভেতর থেকে গ্যাস বের করে নিয়েছি।
এবার একটি প্লেটে ময়দার সামান্য পরিমাণ খুমার নিয়ে লম্বা করে ট্রেতে একটু ডিজাইন করে পেঁচে ব্রেড আকৃতি করে নিয়েছি ।
আরেকটি কেক বানানোর বাটিতে লম্বা আকৃতির ব্রেডের শেভ করে নিয়েছি এবং উপরে ব্রাশ দিয়ে ডিমের সামান্য লিকুইড দিয়ে পুরো ব্রেড টি মেখে নিয়েছি।
এবার একটি ফ্রাইপ্যান গরম করে তার ভিতরে একটি স্টিলের পাতিল রাখার স্ট্যান্ড রেখে তাতে সেই ব্রেড দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি ।
৩০ মিনিট অপেক্ষা করেছি তারপর ঢাকনা খুলে একটু চেক করে নিয়েছি ব্রেডের ভেতরে কাঁচা আছে কি না। কিন্তু আমার বেড গুলো এত সুন্দর হয়েছে যা আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারিনি "মজাদার মিল্ক ব্রেড" এর প্রথম রেসিপিটি এত সুন্দর হবে।তাইতো দুই রকম ডিজাইনের "মজাদার মিল্ক ব্রেড" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
আমি মনে করি হাতে যথেষ্ট পরিমাণ সময় থাকলে খাবার গুলো ঘরে তৈরি করে খাওয়াই ভালো। কারণ বাইরের খাবার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক খারাপ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হয় খাবার গুলো। আপনি কিভাবে তৈরি করলেন সেই ধাপ গুলো খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেন। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আপনার ইউনিক রেসিপিটি দেখে।
আমার রেসিপিটা আপনার ভালো লেগেছে যেনে অনেক ভালো লাগলো।
বাসায় মজার মজার সব রেসিপি তৈরি করা যায় তার মধ্যে আপনি আজকে মজাদার মিল্ক ব্রেড তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আর কিভাবে মিল্ক ব্রেড তৈরি করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায় ধৈর্য সহকারে করলে।আপনার মিল্ক ব্রেড টি চমৎকার সুন্দর হয়েছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
আপনি ঠিক বলেছেন মানুষ চেষ্টা করলে পারে না এমন কিছু নেই। আজকে আপনি মজাদার মিল্ক ব্রেড রেসিপি করেছেন। তবে বাজারে অনেক ধরনের ব্রেড পাওয়া যায়। এবং সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য তেমন ভালো হয় না। আর নিজে এভাবে বানিয়ে কোন কিছু খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। খুব সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিল্ক ব্রেড রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আমার কাছে রেসিপিটি ভালো লেগেছে, শর্টকাট নাস্তার জন্য দারুণ স্বাদের রেসিপি হতে পারে এটা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনার সঙ্গে একমত ভাই।তবে আপনার মূল্যবান মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো এবং কাজের প্রতি আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গেল।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু আপনার রেসিপিটি খুবই চমৎকার হয়েছে ।এরকম মিল্ক ব্রেড এর আগে কখনো দেখিনি। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন বাইরে এই খাবারগুলো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করে ।সে ক্ষেত্রে নিজের বাসায় বানানো অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত হয় এবং খেতেও মজা লাগে। নতুন কিছু শিখতে পারলাম। ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটি শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
মজাদার মিল্ক ব্রেড একদম পারফেক্ট ভাবে তৈরি করেছেন। মিল্ক ব্রেড খেতে সত্যি ভীষণ মজা লাগে। বাসায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করে খুব ভালো করেছেন। এধরনের খাবার গুলো বাসায় তৈরি করলে খেতে একটু বেশি মজা লাগে। আপনার কাছে থেকে সুন্দর একটি রেসিপি শিখে নিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু চেষ্টা করলে সব কিছুই করা সম্ভব হয়। আর স্বাস্থ্যকর কিছু বাসায় তৈরি করলে বেশ ভালো হয়। মিল্ক ব্রেড রেসিপি দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এই খাবারগুলো খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। কিন্তু নিজে কখনো বানানোর চেষ্টা করিনি আপু।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দের এটি জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আমি মনে করি মানুষ পারে না এরকম কাজ হয়তোবা পৃথিবীতে নেই। চেষ্টা এবং ধৈর্য নিয়ে যদি কোন কাজ করা যায় তাহলে সেটা করা শেষে সফলতা আসবে। যদিও আপনি প্রথম অবস্থায় কিছুটা ভয় পাচ্ছেন তবে যখন তৈরি করে ফেললেন তখন আসলেই অনেক বেশি ভালো হয়েছিল যার কারণে আপনি কিছুটা সাহস পেয়েছেন। মজাদার মিল্ক ব্রেড রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু ছিল যদিও এরকম ভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই ব্রেড দুটি খেতে খুব মজা এবং টেস্টি ছিল।