রেসিপি পোস্ট ||| পাবদা মাছের চচ্চড়ি।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সকলের পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আমার বাংলা ব্লগে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হতে পারলে অনেক ভালো লাগে। তাইতো ভাবছি আজ কি পোস্ট করব।শুধু পোস্ট করা নিয়ে ভাবনা নয় চিন্তা ভাবনা অনেক আছে। আগে যে পোস্টটি করা হয়েছে সেটা আবার নতুন করে দেওয়া চলবে না। তাই অনেক ভাবনা মাথায় রেখে তারপরে পোস্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।কারণ বর্তমান সময়টা অনেক ব্যস্ততায় কাটে সবার। কিন্তু ব্যস্ততা থাকলেও প্রতিটি কাজ নিয়ম মেনে করতে হয়। আমরা ধৈর্য ও নিয়ম মেনে যে কাজটি সম্পূর্ণ করবো সেই কাজে অবশ্যই সফলতা আসেবেই।তাইতো এই সফলতার পিছু ছুটছি। জানিনা এর শেষ কোথায়? তবে আমার বাংলা ব্লগ যতদিন থাকবে আমি তার পাশে সুখে দুখে আজীবন রয়ে যাবো। কারণ যার হাত ধরে এত দূর পর্যন্ত চলে এসেছি এত কিছু শিখতে পেরেছি তা কি কখনো ভুলা যায়। সময় যত যাচ্ছে মানুষ প্রচন্ড ব্যস্তমুখী হয়ে পড়ছে। তাই তো ব্যস্ততায় ঘিরেও ভালোবাসার টানে আমার বাংলা ব্লগে রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি বাংলা ব্লগে পোস্ট নিয়মিত করার জন্য।আজকে আমার রেসিপি পোষ্টের নাম "পাবদা মাছের চচ্চড়ি"। এই "পাবদা মাছের চড়চড়ি" এতটা স্বাদ, রান্না করে না খেলে কেউ বুঝতে পারবে না। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমি আজ আপনাদের মাঝে যে রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।পাবদা মাছ
২।কাঁচা মরিচ।
৩।পেঁয়াজ।
৪।রসুন
৫।জিরা গুঁড়ো।
৬।হলুদের গুঁড়ো।
৭।মরিচের গুঁড়ো।
৮।লবণ।
৯।তৈল।
প্রথমে মাছগুলো সুন্দর করে কেটে নিয়েছি।
এবার কেটে নেওয়া মাছগুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
সেই পাবদা মাছগুলো লবণ দিয়ে আবারো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচের বোটা ছাড়িয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে রসুনগুলো থেতলে নিয়েছি।
এবার ফ্রাই পেনে পেঁয়াজ কুঁচি ও কাঁচা মরিচ কুঁচি এবং তৈল দিয়ে ভেঁজে নিয়েছি।
ভেঁজে নেওয়া পেঁয়াজ মরিচের কুঁচিতে বাকি মসলার উপকরণগুলো দিয়ে দিয়েছি এবং মসলাগুলো কষিয়ে নিয়েছি।
কষিয়ে নেওয়া মসলার ভিতর পাবদা মাছ গুলো দিয়ে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
দশম ধাপ এবার আরেকটু পানি দিয়ে মাছটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি এবং মাছের পানি শুকানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি।যখন পানি শুকিয়ে গিয়েছে তখন আমার "পাবদা মাছের চচ্চড়ি" রেসিপি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "পাবদা মাছের চচ্চড়ি"।এবার এই "পাবদা মাছের চচ্চড়ি" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "পাবদা মাছের চচ্চড়ি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
পাবদা মাছ চচ্চড়ি দারুন একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই মাছটা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে আজকে দুপুরে ও আমি পাবদা মাছ রান্না খেলাম।
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু আমাদের কাছের সফলতা আনতে হলে অবশ্যই পরিকল্পনা করে করতে হবে। আপনার পাবদা মাছের চচ্চড়ি দেখে লোভ লেগে গেল। সত্যি বলতে আপু আমার আবার চচ্চড়িটা বেশি পছন্দ। তবে আপনি দেখছি গুড়ো মসলা ব্যবহার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপি আপনার পছন্দের এটি শুনে ভালো লাগলো।
আসলে এটা সত্যি যে, ধৈর্য এবং সময় দিয়ে যে কোন কাজ করলে সেই কাজে সফলতা অবশ্যই আসবে। আর আমাদেরকে যে কোন কাজ অবশ্যই ধৈর্য এবং সময় দিয়ে করতে হবে। পাবদা মাছের চচ্চড়ি রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। পরিবেশন দেখে অনেক বেশি লোভনীয় মনে হচ্ছে আমার কাছে। উপস্থাপনাটাও অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বুঝতে পারছি খুব মজা করে খেয়েছেন।
আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটি শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আমরা এখন সবাই কম বেশি অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছি আপু। তারপরও সময় বের করে আর কি কাজ করতে হয়। আমার পছন্দের মাছগুলোর ভিতর পাবদা মাছ অন্যতম এবং আমি অনেক বেশি পছন্দ করে এই মাছ। বেশিরভাগ সময় আমি পাবদা মাছ ভাপা এবং তরকারি খাই। তবে চচ্চড়ি কোনদিন খাওয়া হয়নি। তবে আমি যখন পাবদা মাছ রান্না করি তখন তার ভেতর টমেটো দিয়ে দেই। আপনার রেসিপিটা দেখতে কিন্তু বেশ আকর্ষণীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
রেসিপিটি খেতে অনেক মজাদার এবং টেস্টি ছিল দাদা।
পাবদা মাছ আমার অনেক বেশি পছন্দের। পাবদা মাছ খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আর এভাবে যদি পাবদা মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করা হয় তখন তো আরো বেশি ভালো লাগে খেতে। রেসিপিটা দেখেই আমার খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। এই রেসিপিটা আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছি। এরকম সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি ভাবে রেসিপিটা তৈরি করে সকলের মাঝে খুব সুন্দর করে ভাগ করে নিলেন তো। অনেক বেশি চমৎকার ছিল আপনার করা এই রেসিপিটা।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি ঠিকই বলেছেন, ধৈর্য ও নিয়ম মেনে কাজ সম্পন্ন করলে কাজে আসলে সত্যি সফলতা আসবে। পাবদা মাছের চচ্চড়ি দেখে লোভ লাগছে। খেতে খুব ইচ্ছে করছে। খেতে মনে হয় খুবই মজাদার হয়েছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
পাবদা মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখতে খুব সুস্বাদু ও মজাদার মনে হচ্ছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমার রেসিপি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটি আমার জন্য বড় পাওয়া।
আপনার রেসিপি টা দেখে সত্যিই খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। পাবদা মাছ আমার একটি পছন্দের মাছ। পাবদা মাছ খেতে আমি একটু বেশি পছন্দ করি। আপনি পাবদা মাছের রেসিপির সব গুলো ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।আপনার জন্য শুভকামনা কামনা রইলো।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দের শুনে ভালো লাগলো ভাই।
এই প্লাটফর্ম একটা পরিবার তৈরি করেছে। এখানে দীর্ঘদিন কাজ করার পর এমন একটি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে। এই জায়গাটি ছেড়ে কখনোই যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ হয় না। ভালো লাগলো আপনার কথাটা তাছাড়া আজকে পাবদা মাছের রেসিপি এতটাই সুন্দর হয়েছে এমনিতেই নদীর মাছ খেতে অনেক সুস্বাদ ু আর রেসিপিটাও অনেক সুন্দর ছিল।
জি ভাই রেসিপিটি খেতে অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু ছিল।
পাবদা মাছ আমার অনেক পছন্দ।আপনার রেসিপিটা দেখে আমি লোভ সামলাতে পারছি না।আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।