গোলাপগ্রামে আমার ফটোগ্রাফি
হ্যালো আমরা বাংলা ব্লগের বন্ধু বান্ধুবি গন। আশা করি সবাই ভালো আছেন! আমিও ভালো আছি।
চলুন আপনাদের সুন্দর একটা গ্রামের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।
ঢাকার এই যান্ত্রিক চলমান জীবনে, গোলাপ গ্রাম যেন এক টুকরা সবুজ ভুখন্ড আমার এমনি মনে হয়। ঢাকার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত। একটু এই যান্ত্রিকতা থেকে যদি বের হতে চান, তাহলে আমি বলবো অবশ্যই একবার আপনিও ঘুড়ে আসুন গোলাপ গ্রাম থেকে প্রান ভরে নিশ্বাস নিয়ে আসুন। এখানের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
আপনি এই গ্রামে ঢুকলেই বুঝবেন কেন এর নাম গোলাপ গ্রাম। প্রতিটা জমিতে ফুলের সমারোহ। এখানে অনেক রকমের গোলাপ আছে। চোখ আর মনের শান্তি পাওয়া যায় এখানে আসলে। চাষিরা পরম যত্নে ভালোবাসায় ফুটিয়ে তুলেছেন ভালোবাসার প্রতিক সাদা, হলুদ লাল রঙ বেরং এর গোলাপ।
ঢাকার প্রায় ৮০ % ফুলের যোগান দেয় এখানকার চাষিরা, এদের এখানে ফুলের হাট বসে। চাষিরা প্রতিদিন সকাল বিকাল পানি দেয়, বিকাল বেলা গেলে দেখতে পাবেন চাষিরা ডালা ভর্তি ফুল নিয়ে বাজারের উদ্দেশ্য যাচ্ছে।
চাষি ভাই ডালা ভর্তি ফুল নিয়ে যাচ্ছে
এখানের বাগান গুলোতে গোলাপ সারাবছর ফোটে তাই আপনি চাইলে যে কোন সময় ঘুড়তে আসতে পারেন। তবে শীত কাল হচ্ছে গোলাপ ফুল ফোটার সময়, এই সময় অনেক বেশি ফুল ফোটে, অনেকেই বিকেল বেলা তাদের সময় কাটাতে এখন এই গ্রামে আসে। ছবি তুলে গোলাপ গ্রামে। বইতে যেমন সুন্দর গ্রামের ছবি দেখেছেন তেমনি মনে হবে।
আমার বাসা থেকে গোলাপ গ্রাম অনেক কাছে ২০ টাকা অটো ভারা। আমি ৪ টার দিকে বাসা বাসা থেকে বের হই।
আবার ঘুড়ে সন্ধ্যার আগেই চলে আসেছি।
এখানে ফুলের দামো কম লাল গোলাপ গুলো প্রতি পিস ৫ থেকে ৬ টাকা হলুদ বা সাদা গুলা ৬/৭ বাহিরে গোলাপের দাম ১০ থেকে ২০ রাখে। কিছু বিশেষ সময় গোলাপের অনেক চাহিদা থাকে তখন তুলনামূলক দাম একটু বেশি থাকে। আমি যখন গিয়েছিলাম লাল গোলাপ ৬ টাকা পিস করে এনেছিলাম, আর বাহিরি ডিজাইন ১৫ টাকা। বাসায় এনে সাজিয়ে রেখেছিলাম অনেক দিন।
আপনি নিজের পছন্দ মতো এই বাগান থেকে গোলাপ পছন্দ করে নিতে পারবেন।
লাল গোলাপ
বাহারি গোলাপ
সাভার স্টান্ড থেকে গোলাপ গ্রাম অটো যায় ভাড়া মাত্র ৩০ টাকা বা বিড়ুলিয়া থেকেও যেতে পারেন।
এখানে ঘুড়তে আপনার খরচো কম হবে। তাই আপনার হাতে অল্প সময় হলেও আপনি গোলাপ গ্রাম আসতে পারেন। গ্রামের এই সুন্দর পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে। গোলাপের বাগানের ভিতর ২ টা চায়ের ছোট্ট টং দোকান আছে চা চিপস আচার পানি পাওয়া যায়।
চা খেয়েছিলাম আমি
ওখন অনেক মানুষ ঘুড়তে আসে তাই স্থানীয় মানুষরা ফুচকা চটপটির দোকান দিয়েছে।
এখানকার চাষিদের ব্যবহারো অনেক ভালো।
আপনি কি জানেন!
কোন গোলাপ ফুল গাছ থেকে ছিড়ে ফেলার পরে বেশিদিন থাকে?
বলে দিচ্ছি, অর্ধ ফোটা ফুল আপনি অনেক দিন রাখতে পারবেন সাজিয়ে, আর অবশ্যই পানিতে ডালের গোড়া ভিজিয়ে রাখতে হবে।
তবে হ্যা আরেকটা টিপস বলে দেই আপনি সেই পানিতে যদি এক চামচ চিনি গুলিয়ে দেন তাহলে ফুলগুলা দীর্ঘ দিন তাজা থাকবে।
চিনি পানি দিয়ে রাখা গোলাপ
ধন্যবাদ সবাইকে,আবারো আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে, সবাই ভালো থাকুন।
!upvote 50
This post was manually selected to be voted on by "Steem Seven Project". (Manual Curation) Your post was promoted on Twitter by the account josluds
the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 20%
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
আপনি তো দেখছি ফুলের রাজ্যে গিয়েছিলেন। গোলাপ গ্রামের নাম অনেকবার শুনেছি। সামনাসামনি খুব ইচ্ছে দেখার। সময় করে একবার ঘুরে আসতে হবে গোলাপ গ্রাম থেকে। আপনি খুবই সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে মনে হচ্ছে। আপনার টিপস টা ভালো লাগলো ট্রাই করে দেখতে হবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ, হ্যা খুব সুন্দর জায়গা
আপু, গোলাপ গ্রামের বিস্তারিত জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। যেহেতু ঢাকার প্রায় ৮০% ফুলের যোগান দেয় এখানকার চাষিরা, সেহেতু এ গোলাপ গ্রামে কত ফুল ফুটবে তাই ভাবছি। আর এই অগণিত ফুল ফোটা অবস্থায় বাগানটি দেখতে কেমন লাগবে তাও কল্পনা করছি। যাইহোক আপু, গোলাপ গ্রামে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।