"Better life with steem//The Diary Game// 18 th October,2025"//আশ্বিন মাসের শেষ দিন
![]()
|
|---|
Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে? আশা করছি প্রত্যেকে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা বেশ ভালো কেটেছে।
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে আজ আশ্বিন মাসের শেষ দিন। আর এই দিনটিকে আমাদের বাড়িতে একটু অন্যভাবেই পালন করা হয়। আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে সারাদিনের গল্পই শেয়ার করবো। তাহলে চলুন একেবারে সকাল থেকেই শুরু করি, -
|
|---|
![]()
|
|---|
আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে, নিচে এসে সবার আগে রান্নাঘরের ধুয়ে রাখা জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখলাম। তারপর চা বসিয়ে আগে শুভকে চা দিয়ে এলাম। তার সাথে গাছে ফুটে থাকা ফুলগুলো তুলে আনলাম। প্রতিদিন ফুল তোলার কাজটা করতে বেশ ভালো লাগে।
আজ নিরামিষ রান্নায় পনির এবং পরোটা রান্না করেছিলাম শুভকে অফিসে দিয়ে দেওয়ার জন্য। কারণ আজকের দিনে আমাদের বাড়িতে কোনোমতেই কোনো আমিষ রান্না হবে না।
গতকাল রাতেই খাওয়া-দাওয়া শেষে আমাদের বাড়িতে এক প্রস্থ সমস্ত কিছুই ধোয়া হয়েছে। এটা প্রত্যেক বছরের নিয়ম। আজকের দিনে আমাদের বাড়িতে নিরামিষ রান্নাবান্না হয়। তাই আমিষের দিনে গুলোতে ব্যবহৃত সমস্ত জিনিস ধোয়া মাজা করে, ফ্রিজও পরিস্কার করা হয়েছিলো।
![]()
|
|---|
খাবার ঢাকা দেওয়ার ঝুড়ি থেকে শুরু করে, শীল-নোড়া, রুটি তৈরি করার তাওয়া থেকে শুরু করে ছুরি, কাঁচি, বটি অর্থাৎ রান্নাঘরে ব্যবহৃত সমস্ত জিনিস গতকাল রাতেই ধোয়া হয়ে গিয়েছিলো। এমনকি মশলার সমস্ত কৌটো গুলোও এই দিনে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়। গতকাল সবটাই করা হয়েছিলো। তবে ছবিগুলো আর তোলা হয়নি। সেইগুলো আজ তুলে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
গতকাল একাদশী ছিলো, তাই আমার আজ পারণ ছিলো। সময়মতো পারণের কাজও শেষ করে নিয়েছিলাম। তারপর শুভ অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর, আমরাও ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। কয়েকটা পোস্ট ভেরিফিকেশন এর কাজ বাকি ছিলো, সেইগুলো শেষ করে তারপর আমি ঘরের বাকি কাজ শুরু করেছিলাম।
|
|---|
![]()
|
|---|
আজকে আমাদের বাড়িতে গাড়ুর ডাল রান্না করা হয়। সব রকম সবজি ব্যবহার করে তার সাথে মটর ডাল দিয়ে রান্না করা হয় এই গাড়ুর ডাল। এই ডাল সম্পর্কে আগের বছর একটা পোস্টেও শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক আজকে রান্নাটা স্নান করার পরেই করতে হয়। তাই শাশুড়ি মা সকাল বেলায় উঠে বাইরের দিকগুলো পরিষ্কার করে, একেবারে স্নান সেরে নিয়েছিলেন। তারপর দুপুর বেলাতে তিনি সমস্ত কিছু কাটাকাটি করে নিলেন।
|
|---|
তারপর মাটির প্রদীপ গুলোকে জলে ভিজিয়ে রাখলাম। আজ সন্ধ্যাবেলায় আমাদের বাড়িতে একুশ প্রদীপ জ্বালাতে হয়। বাড়ির বিভিন্ন জায়গাতে এই প্রদীপ গুলো জ্বালিয়ে, ধরিয়ে দেওয়ার নিয়ম আছে এই দিনে।
![]()
|
|---|
যাইহোক এরপর বাকি কাজগুলো সেরে নিয়ে আমি স্নান করে পূজা দিয়ে নিলাম। ততক্ষণে শাশুড়ি মা তৈরি করলেন গাড়ুর ডাল। দুপুর বেলায় এর সাথে শাক ভাজা এবং পটল ভাজা ছিলো।
|
|---|
আমরা তিনজন খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করে বেশ কিছুক্ষণ রেস্ট নেবো বলে শুয়েছিলাম। তবে শনিবার যেহেতু, তাই শুভ অনেক আগেই চলে এসেছে। এই কারণে একটু বাদে উঠেই গেট খুলে দিয়ে, তারপর আবার কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম।
|
|---|
![]()
|
|---|
সন্ধ্যাবেলা উঠে সময় মতো ঠাকুর পূজো শেষ করলাম। তারপর সমস্ত প্রদীপ গুলোতে তেল এবং সলতে দিয়ে সেগুলোই এক এক করে জ্বালিয়ে নিয়ে, বাড়ির বিভিন্ন জায়গাতে ধরিয়ে দিলাম। তুলসী মঞ্চেও প্রদীপ দিলাম। এই কাজগুলো করা যে কতখানি আনন্দের, সেটা বোধহয় যারা করেন তারা বুঝতে পারেন।
![]()
|
|---|
![]()
|
|---|
উৎসব মানেই আনন্দ। চারিদিকে আজ থেকেই বাজি ফাটার আওয়াজ পেতে শুরু করেছি। অথচ কালীপুজো, দীপাবলি আসতে একদিন দেরি আছে।
অন্যান্য বছর এই সময় পিকলুকে নিয়ে খুব ভীত থাকতাম। বাজির আওয়াজ হলে বেচারা খেতেও চাইত না। আজকে বাজির আওয়াজ শুনতে শুনতে পিকগুলোকে খুব মিস করছিলাম। অন্যান্য বছর ওকে ঘরে আটকে কিংবা আমি কোলে নিয়ে বসে থাকতাম, কারণ বাজে পড়তে শুরু করলে ও কাঁপতে থাকতো। তবে আজ আর কাউকে নিয়ে বসতে হচ্ছে না, কারণ ও সমস্ত ভয়কে জয় করে নিয়েছে।
এরপর পাশের বাড়ি থেকে একজন বৌদি এলেন আমাদের বাড়িতে কালী পূজার নিমন্ত্রণ করতে। কিছুক্ষণ হলো তিনি গেলেন, তাই আমিও এসে পোস্ট লিখতে বসলাম। এরপর রাতে রুটি করা বাকি রয়েছে। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে ভেরিফিকেশন শুরু করবো।
এরকম ভাবেই আজকের দিনটি কাটলো। আর পাঁচটা দিনের মতনই হয়তো সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থেকেছি, তবে কিছু নিয়মকানুন পালন করতে গেলে দিনটিকে যেন একটু অন্যরকমই অনুভূত হয়। যেমনটা আজকের দিনটা ছিলো।
যাইহোক আপনাদের সকলকে আগাম দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাই। সকলের জীবন আলোয় ভরে উঠুক, সুখ সমৃদ্ধির প্রাপ্তি হোক সকলের, এইটুকুই প্রার্থনা। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।

















