Better life with steem || The Diary Game || 17th September, 2024 ||
|
---|
Hello,
Everyone,
আপনারা যারা আমার গতকালের পোস্ট পড়েছিলেন, তারা প্রত্যেকেই হয়তো জেনেছেন, কিছু বিশেষ দরকারে আমি গতকাল সন্ধ্যায় একটু বাইরে বেরিয়েছিলাম। সত্যি বলতে পূজো যদিও একেবারেই সামনে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুজোর মার্কেটিং শুরু করা হয়নি।
আগেও হয়তো বলেছি আপনাদের, পূজো মানে আমার কাছে তেমন আলাদা কোনো আনন্দের বিষয় নয়। তবে প্রকৃতির সাজ এবং দূর থেকে ভেসে আসা পূজার গান, এই দুটো জিনিসই আমার বেশ ভালো লাগে।
যাইহোক পুজোর কেনাকাটা নিয়ে আলাদা কোনো উত্তেজনা কোনোদিনই আমার ভিতরে ছিল না, আজও নেই। তবে বাচ্চাদের মধ্যে বরাবর পুজে নিয়ে অনেক বেশি উত্তেজনা ককা করে। আর যদি জন্মদিন হয় পুজোর আগে, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। প্রথমে জন্মদিনের আনন্দ, তারপরে পুজোর।
আমার ননদের ছেলের জন্মদিন আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর। প্রধানত ওর জন্যই জামা কিনতে কাল সন্ধ্যার দিকে বেরিয়ে ছিলাম। এছাড়াও ঘরের টুকটাক কিছু জিনিস আনার ছিলো, তাই ভাবলাম একবারে সেগুলোও নিয়ে আসবো। যাইহোক আজ আপনাদের সাথে আমি গতকালের সারাদিন কিভাবে কাটিয়েছিলাম, সে গল্পই শেয়ার করবো। চলুন তাহলে শুরু করি, -
"সকালবেলা"
|
---|
যেমনটা আপনারা প্রত্যেকেই জানেন, গতকাল বিশ্বকর্মা পূজা ছিলো। তাই শুভর অফিসে যাওয়ার তাড়া অন্যান্য দিনের মতো ছিল না। টিফিন নেওয়ার কোনো বিষয় ছিল না, তাছাড়া টাইম মতন অফিসে পৌঁছানোর কোনো নিয়ম ছিল না কাল।
|
---|
এই কারণে একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ৮:১৫ নাগাদ উঠে, ফ্রেশ হয়ে শুভকে বানিয়ে শুভকে ও শশুরমশাইকে দিয়ে দিলাম। তারপর আমি পুজোর ফুল তুলে, শ্বশুর মশাই এর সুগার চেক করলাম। যেহেতু সুগার একটু বেশি ছিলো, তাই ওনাকে ইনসুলিন দিয়ে, আমি জলখাবারের জন্য রুটি বানালাম। অন্যদিকে শুভ ধীরে ধীরে তৈরি হয়ে নিয়েছিল অফিসে যাওয়ার জন্য।
|
---|
প্রতিবার বিশ্বকর্মা পুজোতে ও বাড়ি থেকে বেরোনোর আগেই, আমি স্নান সেরে ঘরের পুজো দিয়ে, ওর বাইকটাতেও একটু প্রদীপ দেখিয়ে দিই। বলতে পারেন এটা আমার মনের বিশ্বাস। সারা বছর যাকে সঙ্গী করে শুভর অফিসে যাতায়াত নির্ভর করে, বছরেই একটা দিন তার কাছেই তো প্রার্থনা করা, যাতে সারা বছর শুভতে যে কোনো বিপদের থেকে তিনি যেন রক্ষা করেন।
|
---|
গতকালও তার অন্যথা হয়নি, রুটি বানিয়ে রেখে আমি ঘর মুছে, স্নান করে পুজো দিয়ে নিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে শশুর মশাইকে শাশুড়ি মা ব্রেকফাস্ট দিয়ে দিয়েছিলেন। আমার পুজো দেওয়ার শেষে, আমরা তিনজন ব্রেকফাস্ট করেছি।এরপর শুভ অফিসে বেরিয়ে গেলে আমি ধীরে ধীরে কমিউনিটির কাজের পাশাপাশি, ঘরের কিছু কাজ সেড়ে দিয়েছিলাম। সকাল সকাল পুজো দেওয়া হলে মনটাও বেশ ভালো লাগে।
"দুপুরবেলা"
কিছুক্ষণ বাদে আমার বড় মামী ফোন করেছিলো, কারণ ওনাদের বাড়িতে বেশ বড় করে বিশ্বকর্মা পূজা হয়। যেতে বলেছিল বহুবার, কিন্তু সত্যি কথা বলতে গতকাল কেন জানি না আর ইচ্ছে করছিল না দুপুরবেলার বাড়ি থেকে বেরোতে। তাই আর যাওয়া হয়নি।
|
---|
কিছু জামা কাপড়ের ভাঁজ করার কাজ বাকি ছিলো। সেই সমস্ত গুলো শেষ করতে করতে লাঞ্চের সময় হয়ে গেলো। অন্যদিকে শাশুড়ির মায়েরাও রান্না শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই শ্বশুরমশাইকে ও পিকলু কে আমি আগে খেতে দিয়েছিলাম। পরে আমি আর শাশুড়ি মা লাঞ্চ শেষ করেছিলাম।
লাঞ্চে বসেছি এমন সময় শুভ ফোন করে জানালে বিকেলে যদি চাই তাহলে তুতুন অর্থাৎ আমার ননদের ছেলের জন্মদিনের জন্য জামাটা কিনতে যেতে পারি, এরপর আর সময় হবে না। কারণ দিন প্রায় এগিয়েই এসেছে।
আমিও আর খুব বেশি আপত্তি করলাম না। কারণ এই কাজটা আসলে আরও কিছুদিন আগেই করে ফেলা উচিত ছিলো। পুজোর কেনাকাটা এখন করবো না। শুধুমাত্র ওর জন্য একটা জামা কিনে নিয়ে চলে আসব এমনটাই ঠিক হয়েছিল।
|
---|
|
---|
আমি রেডি হয়ে রাস্তার কাছে অপেক্ষা করছিলাম। তখন আমাকে দেখে একটা বিড়াল রাস্তার ওপাশ থেকে আমার দিকে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিড়াল যদিও আমার একেবারেই পছন্দ নয়, তবে এই বিড়ালটার স্বাস্থ্য এত সুন্দর সুন্দর যে, ওকে দেখে ছবি তোলার লোভ আমি সামলাতে পারলাম না।
যাইহোক কিছুক্ষণ বাদে শুভ এলে বাইকে করে আমরা পৌঁছে গেলাম। সত্যি কথা বলতে ফোনগুলো ব্যাগের মধ্যে রাখা ছিল এবং বিগ বাজারের ঢোকার পূর্বে ফোনটা বের করতে একদমই মনে ছিল না। ব্যাগটা গেট থেকে লক করে নিয়ে ঢুকতে হয়, তাই সেখানকার একটা ছবিও তোলা হয়নি।
|
---|
|
---|
|
---|
|
---|
|
---|
যেহেতু আমাদের খুব বেশি কেনাকাটি ছিল না, তাই কিছু সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলাম আমরা। বাচ্চাদের গেঞ্জিতে বেশ ভালো অফার ছিলো, তাই আমি তিতলি ও্যতারের জন্য দুটো করে গেঞ্জি কিনে নিয়ে এসেছি। আমাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে শুভ ননদের ছেলের জামাটা ওকেই দিয়ে এসেছে। তাই ওর শার্টের ছবিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারলাম না।
|
---|
দ্রব্যের নাম | মূল্য | স্টীম প্রাইজ |
---|---|---|
১. ননদের ছেলের জামা | ১২৯৯ টাকা | ১৪৯৫.৫ স্টিম |
২. তিতলির জামা | ৫০০ টাকা | ৫৭৫.৬৪ স্টিম |
৩. তাতানের জামা | ৫০০ টাকা | ৫৭৫.৬৪ স্টিম |
৪. হ্যান্ড ওয়াশ | ১৯৯ টাকা | ২২৯.১১ স্টিম |
৫. টুথপেস্ট | ২৪৯ টাকা | ২৮৬.৬৭ স্টিম |
৬. শ্যাম্পু | ৬৫০ টাকা | ৭৪৮.৩৩ স্টিম |
"সন্ধ্যাবেলা"
বাড়িতে ফেরার সময় ফুচকা নিয়ে এসেছিলাম, বাড়িতে এসে কাজ সেরে খাবো বলে। কারণ তখন কমিউনিটির বেশ কিছু কাজ করা বাকি ছিলো, তাই দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার সময় ছিল না। তবে বাড়িতে এসে দেখলাম শ্বশুরমশাইয়ের ওই অবস্থা।
|
---|
এরপর কমিউনিটির কাজগুলো শেষ করলাম এবং তারপরে আরো অনেকখানি সময় গেল অন্যান্য কাজে। শুভ যদিও বাড়ি ফিরে ফুচকা খেয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। আমার ফুচকা গুলো পড়েছিলো। তাই সকল কাজ শেষ করে, ফুচকা খেয়ে, শ্বশুরমশাইয়ের সুগার টেস্ট করে, ওনাকে ইনসুলিন দিয়েছিলাম।
"রাত্রিবেলা"
শ্বশুর মশাইয়ের জন্য রুটি করতে গিয়েছিলাম এবং সেই সময়ের পাশের বাড়ির জ্যেঠিমা এসে একটা দুঃসংবাদ দিয়েছিলেন। সে বিষয়টি গতকালকের পোস্ট আমি উল্লেখ করেছি। জ্যেঠিমা চলে যাওয়ার পরে শ্বশুর মশাইকে খেতে দিয়ে, আমি পিকলুকে খাইয়ে দিয়েছিলাম।
যেহেতু আমি অনেকটা দেরি করে ফুচকা খেয়েছিলাম, তাই গতকাল ডিনারে আমি আর কিছুই খাইনি। বাকি সকলের খাওয়া দাওয়া হলে, আমি এসে আমার কাজ নিয়ে বসলাম।
গত কালকের ঘটনাটা ভিতর থেকে কেমন যেন নাড়িয়ে দিয়েছে আমাকে। কতক্ষণ সময় শুধু ফোনে রিলস্ দেখেই কাটালাম। কারণ কোনো কাজেই মন বসাতে পারছিলাম না। তবে শেষে ভাবলাম, সময় ব্যয় করে লাভ নেই, নিজের পোস্টটা শেয়ার করি।
যেহেতু গতকালকের ঘটনাটা মাথায় ঘুরছিলো, তাই সেই বিষয়টাই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। শুতে যাবো এমন সময় অ্যাডমিন ম্যাম ফোন করলেন। ঘড়ির কাটায় তখন রাত ৩.৩২ মিনিট। দুজনে মিলে প্রায় ১০ মিনিটের উপরে কথা বললাম। কোনো কাজের কথা নয়, এ কথা, সে কথা আরও কত কথা ☺।
দুজন দুজনকে শুভরাত্রি জানিয়ে শুতে গেলাম, কিন্তু শুলেই যদি এত তাড়াতাড়ি ঘুম আসতো, তাহলে তো সমস্যার সমাধান হয়েই যেতো। সেই এপাশ ওপাশ করে আরও অনেকটা সময় পার করলাম। ভোর বেলায় যখন সবাই ঘুম থেকে ওঠে, তখন গেলাম ঘুমাতে। এইভাবে কাটিয়েছি কালকের দিনটা।
ভালো থাকবেন সকলে।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
প্রতিদিনের ছোট ছোট ঘটনাগুলো এমন সুন্দরভাবে বর্ণনা করার ক্ষমতা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার পরিবারের প্রতি যত্ন, বিশেষ করে শ্বশুর মশাইয়ের যত্ন নেওয়া, সেটাও মমতার একটি সুন্দর উদাহরণ। তাছাড়া, বাচ্চাদের জন্য জন্মদিনের প্রস্তুতি এবং কেনাকাটার অভিজ্ঞতাও সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এত ব্যস্ততার মাঝেও কমুনিটির কাজ দক্ষভাবে পরিচালনা করা প্রসংসার দাবিদার। ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল!