রেসিপি - চাল কুমড়া দিয়ে দেশি মুরগির মাংসের ঝোল।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

সবাইকে পড়ন্ত বিকেলের শুভেচ্ছা।

আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার স্টিমিট আইডি @samhunnahar। আমি আপনাদের সাথে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত আছি বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা থেকে। বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগে কারণ নিজের অনুভূতি গুলো বাংলায় প্রকাশ করার মধ্যে অনেক আনন্দ রয়েছে। যে ভাষা আমাদের মাতৃভাষা, যে ভাষা আমাদের মুখের ভাষা সেই ভাষায় ব্লগিং করা মানে আমাদের নিজস্ব একটি স্বাধীনতা। তো প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্লগিং নিয়ে আপনাদের সাথে যুক্ত হয়। আজকেও নতুন একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি। আশা করি আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের ভালো লাগবে।

চাল কুমড়া দিয়ে দেশি মুরগির মাংসের ঝোল।

low8.jpg

তো আমি আজকে যে রেসিপিটি আপনাদের শেয়ার করব সেটা হচ্ছে যে চাল কুমড়া দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি। চাল কুমড়া আমার খেতে অনেক ভালো লাগে। এছাড়া দেশি মুরগির মাংস হলে তো আর কোন কথাই নেই। তো আমি রান্না করেছিলাম চাল কুমড়া এবং দেশি মুরগির মাংস দিয়ে। খেতে অনেক ভালো লেগেছিল রেসিপিটি। চাল কুমড়া যেভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাহলে বন্ধুরা রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। চলুন আমার আজকের রেসিপিটা আমি কিভাবে তৈরি করেছি তা আপনাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করে নিই।

low7.jpg


রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ


low.jpg


উপকরণপরিমাণ
দেশি মুরগির মাংস১ কেজি
চাল কুমড়া১ টির অর্ধেক
সরিষা বাটা৩ চামচ
বাদাম বাটা২ চামচ
পেঁয়াজ বাটা৩ টি
রসুন বাটা৩ চামচ
লবণস্বাদমত
লাল মরিচ গুঁড়া৪ চামচ
হলুদ গুঁড়া১ চামচ
জিরা গুঁড়া১ চামচ
ধনে গুঁড়া২ চামচ
গরম মসলা৩ চামচ
তেলপরিমাণ মত
ধনে পাতা কুচিপছন্দমত


চাল কুমড়া দিয়ে দেশি মুরগির মাংস রান্নার ধাপ সমূহ


রন্ধন প্রক্রিয়া-১

প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ যেহেতু আগে থেকেই তৈরি করে নিয়েছি এবং উপকরণ সমূহ পরিমাণ মতো আপনাদেরকে নিয়ে দেখিয়েছি। তো বন্ধুরা এখন রান্না করার জন্য একটি পাত্র চুলায় বসায় দিয়ে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিলাম। তেল গরম হয়ে আসলে তাতে দারুচিনি, এলাচ ও লবঙ্গ দিয়ে ভেজে নিব।

low1.jpg


রন্ধন প্রক্রিয়া-২

লবঙ্গ, এলাচ এবং দারুচিনি তেলের মধ্যে ভাজা হয়ে গেলে বাটা মসলা গুলো দিয়ে দিতে হবে। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, সরিষা বাটা ও বাদাম বাটা দিয়ে ভালো মতো কষিয়ে নিতে হবে।

low2.jpg


রন্ধন প্রক্রিয়া-৩

সব মসলা গুলো কষিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে দিয়ে দিতে হবে দেশি মুরগির মাংস গুলো। যা আমি আগে থেকে সাইজ করে টুকরো করে নিয়েছিলাম এবং পরিষ্কার করে ধুয়ে রেখেছিলাম।

low3.jpg


রন্ধন প্রক্রিয়া-৪

মাংস গুলোকে বাটা মসলার সাথে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেওয়ার পরে এখন দিয়ে দিব হলুদ, মরিচ, জিরের গুঁড়া ও ধনিয়ার গুঁড়া সাথে দিয়েছি অল্প পরিমাণ গরম মসলা।

low4.jpg


রন্ধন প্রক্রিয়া-৫

শুকনো মসলা গুলো দেওয়ার পরে আবার আরো কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। কষিয়ে নেওয়ার পরে এখন দিয়ে দেবো আগে থেকে কেটে রাখা চাল কুমড়ার টুকরো গুলো। এছাড়া সাথে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো লবণ ও পরিমাণ মতো ঝোল। এখন সিদ্ধ করে নিতে হবে।

low5.jpg


রন্ধন প্রক্রিয়া-৬

প্রয়োজন মতো সিদ্ধ করে নিয়েছি সিদ্ধ করা হয়ে আসলে কুচি করে রাখা ধনেপাতা গুলো উপরে ছিটিয়ে দিয়ে তার পরে চুলা বন্ধ করে দিলাম। চুলা বন্ধ করে দিয়ে তরকারি গুলো চুলা থেকে নামায় নিয়েছি। তো তরকারি যেহেতু রান্না করা শেষ এখন পরিবেশনের পর্যায়ে।

low6.jpg


পরিবেশনা

যেহেতু রান্না করা শেষ তাহলে তো গরম গরম পরিবেশনের পালা। পরিবেশনের জন্য একটা বাটিতে নিয়ে নিলাম। চাল কুমড়া দিয়ে দেশি মুরগি রান্নার ঝোল খেতে দারুন হয়েছে। চাল কুমড়া খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে অনেক ভালো লাগে। চাল কুমড়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এভাবে দেশি মুরগি দিয়ে রান্না করেছি এতটা মজার হয়েছিল আমি ভাবতেও পারিনি।

low7.jpg

low8.jpg

low9.jpg

low10.jpg

তো বন্ধুরা আপনারাও তৈরি করে নিতে পারেন কুমড়া দিয়ে এমন মজার রেসিপিটি। আমার খেতে অনেক ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে এভাবে তৈরি করে খেলে। আমার রেসিপিটি কেমন লেগেছে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পড়তে অনেক ভালো লাগে অপেক্ষায় রইলাম।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png


ক্যামেরার বর্ণানাঃ
ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিরেসিপি

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।


💘ধন্যবাদ সবাইকে💘

@samhunnahar

আমার পরিচয়


hira.jpeg

আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

287864753_400308362032280_8045934577883994743_n.gif

Banner_Annivr44.png

Sort:  
 last year 

আপু আপনি একদম আনকমন একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। চাল কুমড়া দিয়ে মুরগির মাংস কখনো খাইনি । এমনকি এর আগে কখনো দেখিও নি । আজই প্রথম দেখলাম । জানিনা খেতে কেমন হবে । আপনার কাছে যেহেতু ভালো লেগেছে তাহলে হয়তো ভালোই হবে। যাই হোক নতুন একটি রেসিপি দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ।

 last year 

খেতে ভীষণ ভালো লেগেছিল অনেক মজার একটি রেসিপি আমার রেসিপি দেখে তৈরি করে নিতে পারেন।

 last year 

চাল কুমড়া দিয়ে আমার কখনো মুরগির মাংস খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। এই রেসিপিটি দেখে একদিন বাসায় তৈরি করে খাবো নিশ্চয় অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 last year 

দারুন ছিল রেসিপিটি ভীষণ ভালো লেগেছে আমার খেতে। আমার যেহেতু খেতে ভালো লেগেছে আপনাদের ও ভালো লাগবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু।

 last year 

চাল কুমড়া আমার অনেক প্রিয়। বিশেষ করে পাকা চাল কুমড়া আমার বেশি পছন্দের। মাছ বা মাংস দিয়ে চাল কুমড়া রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক মজার হয়। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 last year 

ঠিক বলছেন আপু অনেক ভালো লাগে খেতে চাল কুমড়া দিয়ে মুরগির মাংস গুলো রান্না করলে ঝোল গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে।

 last year 

দেশি মুরগির মাংস মানেই লোভনীয় খাবার। চাল কুমড়া দিয়ে ভীষণ লোভনীয় স্বাদের খাবারটি তৈরি করেছেন। বিশেষ করে রান্নার পদ্ধতি বেশ গোছানো মনে হয়েছে আমার কাছে। সুন্দর পোস্ট ছিল 👌

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর অনুপ্রেরণা পেলে কাজ করতে অনেক বেশি আগ্রহ জাগে।

 last year 

অনেক ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। চালকুমড়া দিয়ে দেশি মুরগির মাংস কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপির কালার টা কিন্তু খুব সুন্দর এসেছে। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন রেসিপিটা ট্রাই করবো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

 last year 

আমিও আগে জানতাম না আপু মুরগি দিয়ে চাল কুমড়া রান্না করা হয়। তবে একজন থেকে দেখে রান্না করেছি খেতে অনেক ভালো লেগেছে এরপর থেকে রান্না করি সব সময়।

 last year 

আপু চালকুমড়া দিয়ে যে মাংস রান্না করা যায় আমার জানা ছিল না। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে আপু দেশি মুরগির স্বাদই আলাদা। আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম। একদিন অবশ্যই তৈরি করব।ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপু অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন খেতে ভালো লাগবে। বিভিন্ন মাছের সাথে কিংবা সবজি হিসেবে রান্না করলে খেতে যেমন ভালো লাগে মাংস দিয়ে রান্না করলে আরো ভালো লাগে খেতে।

 last year 

চাল কুমড়া ডাল দিয়ে রান্না করে খেয়েছি। তবে মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

চাল কুমড়া আর মুরগির মাংস দিয়ে খেলে অনেক ভালো লাগে। আপনিও একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন ভীষণ মজার একটি রেসিপি।

 last year 

আপু চালকুমড়া দিয়ে দেশি মুরগির মাংসের ঝোল রেসিপি আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি। তবে চাল কুমড়াটা কচি হলে খেতে খুবই স্বাদ লাগে। আমার বাসাতেও মাঝে মাঝে চাল কুমড়া দিয়ে দেশি মুরগির মাংসের ঝোল রেসিপি তৈরি করা হয়, যার কারণে বেশ বুঝতে পারছি এই রেসিপিটি খেতে কতটা মজার হয়েছিল। এছাড়াও আপনার রেসিপির কালার দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপু আপনার রন্ধন প্রণালীও জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, খুব সুস্বাদু ও মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমার তো অনেক ভালো লাগে ভাইয়া চাল কুমড়া কিংবা লাউ দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করে খেতে। তবে ভাতের চাইতে রুটি কিংবা পরোটা দিয়ে খেতে আরো অনেক ভালো লাগে।

 last year 

চাল কুমড়ার সাথে দেশি মুরগির মাংস রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে রেসিপি পরিবেশন করলেন। রেসিপি দেখে যেন খেতে ইচ্ছা করছে।

 last year 

জ্বী ভাইয়া অনেক সুস্বাদু ছিল চলে আসেন বাসায় আবার রান্না করে খাওয়াবো।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62339.62
ETH 2444.37
USDT 1.00
SBD 2.62