চট্রগ্রামের অতি প্রিয় ছন ফুল ভর্তা রেসিপি।@samhunnahar
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের খাদ্যপ্রেমি ব্লগার প্রিয় ভাই ও বোনেরা আশা করি ছুটির দিনে সবাই অনেক ভালো আছেন। |
---|
চট্রগ্রামের অতি প্রিয় ছন ফুল ভর্তা।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
ছন ফুল- ৪০০ গ্রাম।
শিম- ২০০ গ্রাম।
কাঁচা মরিচ -৮/১০ টা।
পেঁয়াজ কুচি- দুইটি।
ধনেপাতা কুচি- পছন্দমত।
লবণ- স্বাদমতো
তেল-পরিমানমতো
ছন ফুল ভর্তা তৈরির ধাপ সমূহ দেখাবো
১ম ধাপ
প্রথমে ছন ফুল গুলোকে পরিষ্কার করে বেছে নেব কোন ময়লা কিংবা পোকা থাকলে ফেলে দিয়ে ভাল করে বেছে নিতে হবে। অনেকক্ষণ ধরে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।পানি ঝরিয়ে নেওয়ার জন্য এক সাইডে রেখে দেবো।ততক্ষণে অন্যান্য উপকরণ গুলো সাজিয়ে নিব।
২য় ধাপ
এরপর শিম গুলো বেছে নিব ভিতরে দেখে নিব কোন পোকা মাকড় আছে কিনা।ভাল করে বেছে নিয়ে ধুয়ে নিয়ে একটি পাত্রের মধ্যে পানি দিয়ে সিদ্ধ করার জন্য চুলায় বসিয়ে দিব।
সাথে কাঁচা মরিচ দিয়ে দিবো।
৩য় ধাপ
কাঁচা মরিচ এবং শিম প্রায় সিদ্ধ হয়ে আসলে এবার দিয়ে দিব ছন ফুল গুলো।ফুল গুলো পরে দিচ্ছি কারণ ফুল অনেক সফট তাই অল্প গরম পেলে সিদ্ধ হয়ে যাবে।ফুল দিয়ে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নেওয়ার পরে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলবো।
৪র্থ ধাপ
এবার সিদ্ধ করা কাঁচা মরিচ শিম এবং ছন ফুল গুলোকে কিছুর সাহায্যে ভর্তা করে নেব এবং আমি বেশি ভেঙে নিব না কারণ আমার একটু একটু আস্ত থাকলে খেতে ভালো লাগে।তবে কতটুকু ভেঙ্গে নিবেন সেটা আপনাদের পছন্দমত।
এবার দিয়ে দিবো কুচি করে রাখা পেঁয়াজ ধনেপাতা কুচি ও লবণ।ভাল করে মেখে নিবো।
৫ম ধাপ
এবার একটি ফ্রাই প্যান চুলাই দিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো।তেল গরম হয়ে আসলে মেখে রাখা ভর্তা গুলো দিয়ে দিব। ভালো করে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে সবগুলো যাতে ঠিকমত হয়।আমি বেশিক্ষণ রাখব না যেহেতু আগে সিদ্ধ করে নিয়েছি তাই।
পরিবেশনা
ভর্তা গুলো হয়ে গেলে চুলা থেকে নামায় নিব।এবার পরিবেশনের পালা অনেকক্ষণ ধরে তো রান্না করেছি এবার খেয়ে দেখতে হবে কি রকম লাগে খেতে।তাই পরিবেশনের জন্য একটা প্লেটে সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছি।এরপরে গরম ভাতের সাথে পরিবেশনের পর্যায়ে।সত্যি কথা কি বলবো এই ভর্তা আমার অনেক প্রিয়।
এই ফুল আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করি যখন বাজারে পাই তখন নিয়ে আসি।গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজার হয় ছন ফুল ভর্তা।যদি আপনাদেরও সুযোগ হয় এই ছন ফুল ভর্তা এভাবে তৈরি করে একবার খেয়ে দেখবেন।অনেক মজার একটি ভর্তা নিশ্চয়ই আপনাদেরও ভালো লাগবে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি।আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন। |
---|
ছন ফুল নামটি আজ প্রথম শুনলাম আর দেখলাম ৷ তবে অনেকটা চেনা চেনা লাগে ৷ যা হোক আপনি একটা ইউনিক রেসিপি করেছেন ৷ ছন ফুল সাথে শিম দিয়ে একসাথে ভর্তা ৷ দেখে অনেক ভালো লাগলো নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে ৷
চেনা চেনা লাগবে সেটা স্বাভাবিক হইতো আপনাদের ওখানে অন্য নামে চিনেন।আমরা ছন ফুল বলি সেটা আপনারা অন্য নাম বলতে পারেন।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/5s4fnq-samhunnahar
ছুটির দিন মানেই আরো বেশি ব্যস্ততা। আসলে ছুটির দিনগুলোতে ব্যস্ততার পরিমাণ বেড়ে যায়। যাইহোক আপনার শেয়ার করা রেসিপি আমার কাছে একেবারে নতুন মনে হয়েছে। ছন ফুল ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। এই ফুলগুলো কখনো দেখেছি বলে মনে হচ্ছে না। তবে শিম ভর্তা অনেক খেয়েছি। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
অনেক ব্যস্ত থাকি আপু ছুটির দিনে ঠিক বলছেন।আপু ভর্তাটা অনেক মজার এই ফুল শীতকাল আসলে আমাদের এখানে অনেক পাওয়া যায়।
এই ফুল গুলোর নাম আমার জানা নেই। তবে যেহেতু নাম জানা নেই তাই সেই হিসেবে এই ফুলটির ভর্তা করা যায় তাও কিন্তু জানিনা। আপনি তো দেখছি খুব সুন্দর করেই সিম আর কাঁচামরিচ দিয়ে শন ফুলের ভর্তা তৈরি করেছেন। আসলেই ফুলগুলো যদি আমাদের এইদিকে থাকতো তাহলে এখন তৈরি করে খাওয়া যেত। যেহেতু এগুলো চিনিনা সে হিসেবে আর হয়তো খাওয়াও হবে না। যাইহোক ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেলাম।
শিম দিয়ে এই ছন ফুল ভর্তা করলে খেতে অনেক মজার হয়।এছাড়াও আলু কিংবা অন্যান্য সবজি মিক্স করা যায় ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই ইউনিক একটা রেসিপি ছিলো আপু।ধন্যবাদ খুব চমৎকার একটি ফিডব্যাক দেয়ার জন্য।ভালো থাকুন সবসময় এই কামনা করি।
ছুটির দিন মানে অন্য রকম একটা ব্যস্ততা,আমার মনে হয় ছুটির দিনে কাজ আরো বেড়ে যায়। যাইহোক আপু আপনার ছন ফুল ভর্তা নাম আমি প্রথম শুনলাম ও দেখলাম। রেসিপিটি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। তবে রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে কখনো পেলে হয়তো কিনে আনবো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার খুব বিরক্ত লাগে আপু ছুটির দিন আসলে কারণ আমার কাজ বেশি পড়ে যায়।আপু ভর্তা টা খেতে দারুন হয়।
যেকোনো ধরনের ভর্তা আমার খুব প্রিয়। এই ফুলগুলো আমি চিনতে পারে নি। ফুল গাছের ফটোগ্রাফি দিলে অবশ্যই চিনতে পারব। তবে আপনার ভর্তা তৈরি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকারভাবে ভর্তা তৈরির প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলছেন ভাইয়া হয়তো গাছের ফটোগ্রাফি দিলে সবাই চিনতে পারবেন।আর ভর্তাটি অনেক মজা হয়েছিল খেতে।
আপু আপনি যে ফুলের নাম বলেছেন এই ফুলের নাম আমি কখনো শুনিনি।যেহেতু এই ফুল কখনো দেখিনি বা নাম শুনিনি সেহেতু এই ফুলের ভর্তা খাওয়ার কথা তো ভাবাই যায় না।তবে আপনি সিম এবং ছন ফুল দিয়ে যে ভর্তা করেছেন দেখে মনে হচ্ছে ভর্তাটা অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এই ছন ফুল আমাদের এদিকে পাওয়া যায় না তাই খেতেও পারিনা। যেহেতু এদিকে পাওয়া যায় না তা এটি আমার কাছে ইউনিক একটি রেসিপি মনে হচ্ছে। যায় হোক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আশা করি সবাই চিনবেন কারণ আমি ছন ফুল গাছের ফটোগ্রাফি দিই নাই তাই ভর্তাটি খেতে ভালো লাগে।
ছন ফুলের নাম আগে কখনো শুনিনি আপু। ছন ফুলের ভর্তাও খাইনি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আমি অবশ্যই রেসিপিটি বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখব।
ধন্যবাদ আপু অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খেতে অনেক ভালো লাগে।
আপু ইউনিক একটি রেসিপি দেখলাম। চট্টগ্রামের ঐতিহ্য ছন ফুল ভর্তা আজকে প্রথম দেখলাম। জীবনে কখনো খাওয়ার ভাগ্য হয়নি। আপু ছন ফুল গাছ গুলো দেখতে পারলে খুব ভাল হতো। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক আছে ভাইয়া অবশ্যই একদিন সময় করে ছন ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।