কাঁচা বড়ইয়ের টক ঝাল আচার রেসিপি।
১১ ই- জানুয়ারী -২০২৩ খ্রিস্টাব্দ।
রোজ-বুধবার।
আমি সামশুন নাহার হিরা@samhunnahar।আমি বাংলাদেশ থেকে আপনাদের সাথে ব্লগিং করি।বন্ধুরা হাজির হয়ে গেছি আপনাদের সাথে নতুন ব্লগ নিয়ে।আশা করি সকলেই অনেক অনেক ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায়,আপনাদের শুভ কামনায় ভালো আছি।প্রতিদিনের মত আজও চলে এসেছি নতুন পোস্ট শেয়ার করব বলে।আসলে পোস্ট করা এমন একটি ধারাবাহিকতা হয়ে গেছে যে না করলে ভালো লাগে না।কাজের মধ্যে একটা রুটিন হয়ে গেছে কোন সময় কি কাজ করতে হবে।
মূল কথায় চলে আসি তাহলে আজ আমি আপনাদের সাথে হাজির হয়েছি নতুন একটি ব্লগিং নিয়ে।আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি রেসিপি পোস্ট।আপনারা সবাই জানেন এখন যেহেতু শীতকাল নতুন বড়ই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।তো আমি বাজার থেকে কিছু কাঁচা এবং পাকনা বড়ই নিয়ে আসছিলাম।আমি বড়ই গুলোকে আচার বানিয়েছি।কাঁচা বড়ইয়ের আচার বিভিন্ন ভাবে খেতে অনেক ভালো লাগে।কাঁচা বড়ই এমনি লবণ দিয়ে কিংবা মাখা খেতে তো অনেক ভালো লাগে।এছাড়াও মাঝে মাঝে কাঁচা বড়ইয়ের টক ও ঝাল করে আচার খেতে বেশ ভালো লাগে।কিছু বড়ই এমনি এমনি খেয়েছিলাম বাকি গুলোকে আচার তৈরি করেছি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।যেহেতু খেতে অনেক ভালো লেগেছিল তাই ভাবছি রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলে কেমন হয়।সেই ভাবনা থেকে আমার আজকের রেসিপি পোস্ট লিখা।আশা করি আমার আজকের কাঁচা বড়ইয়ের আচার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।তাহলে শেয়ার করা যাক আমি রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি-
আমি রেসিপিটি কিভাবে রান্না করেছি তাহলে চলুন দেখে আসি--- |
---|
কাঁচা বড়ই -২৫০ গ্রাম।
রসুন ছোট সাইজের-একটি।
পাঁচফোড়ন-পরিমাণ মত।
লবণ -স্বাদ মত।
তেল- পরিমাণ মতো।
সামান্য পরিমান হলুদ।
আচারের মসলা -পরিমাণ মতো।
হাফ ভাঙ্গা মরিচের গুঁড়া- পছন্দ মত।
রান্না করার ধাপে চলে যাবঃ
প্রথমে বড়ই গুলোকে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে যাওয়ার জন্য রেখে দিয়েছি।পানি ঝরতে ঝরতে আমি অন্যান্য মসলা গুলো রেডি করে নিয়েছি।এখন চুলায় একটি পাত্র বসাই দিয়েছি গরম হয়ে আসলে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে অপেক্ষা করবো।
তেল হালকা গরম হয়ে আসলে হালকা থেকে বেশি ভেঙ্গে রাখা রসুন গুলো দিয়ে দেব।রসুন দেওয়ার পরে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে।
রসুন হালকা ভাজা ভাজা হয়ে আসলে তাতে পাঁচফোড়ন দিব।পাঁচফোড়ন দিয়ে হালকা ভেজে নিয়ে লবণ, লাল মরিচের গুঁড়া এবং হালকা হলুদ দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে ভেজে নিব।
সব মসলা প্রয়োজন মত ভাজা হয়ে আসলে ধুয়ে রাখা কাঁচা বড়ই গুলোকে ঢেলে দিব।বড়ই গুলোকে ভালোভাবে সব মসলার সাথে মিশাই নিয়ে প্রয়োজন হলে আরো লবণ দিব দেখে।বেশি সিদ্ধ করব না বেশি সিদ্ধ করলে বড়ই ভেঙ্গে যেয়ে একদম আটা ভাব চলে আসবে।
এখন আমার পছন্দ মত ভেজে নেওয়ার পরে বড়ই গুলোতে আচারের মসলা দিয়ে দিব।আচারের মসলাটা আমার আগে তৈরি করা ছিল তাই দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে আরো কিছুক্ষণ ভেজে নিব। কিছুক্ষণ রাখার পরে আমার আজকে শেয়ার করা কাঁচা বড়ইয়ের আচার রেসিপি তৈরি করা শেষের দিকে।
তৈরি করা আচার রান্না শেষ হয়ে গেছে চুলা থেকে নামায় ফেলে ঠান্ডা করার দিব।পরিবেশন করার জন্য বা খাওয়ার জন্য একটা প্লেটে নিয়ে নিলাম।তৈরি করা কাঁচা বড়ই এর আচারটা খেতে কিন্তু দারুণ হয়েছিল।এই রেসিপি যদি আপনাদের নতুন মনে হয় তাহলে আপনারা ও দেখে তৈরি করে এভাবে খেয়ে নিতে পারেন ঝাল ঝাল করে। আর এভাবে যদি তৈরি করতে জানেন তাহলে তো ভালো কথা আমার অনেক ভালো লাগে খেতে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি।আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন। |
---|
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি।আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/4juhpp
আচার আমার খুব পছন্দের। সেটা হোক আমের আচার বা বরই এর আচার। আমি সব ধরনের আচার খেতে পছন্দ করি। আর সব ধরনের আচার তৈরি করতেও ভালো লাগে আমার কাছে। তাই প্রতিনিয়ত সিজনাল ফল গুলো দিয়ে আমি আচার তৈরি করার চেষ্টা করি। এইতো বরই চলে আসছে বাজারে। আচার তো নিশ্চয়ই তৈরি করব। কারণ আমার ফ্যামিলির সবাই আচার খেতে পছন্দ করে। ভালো লাগলো এবং খেতেও ইচ্ছে করছে আপু😋😋লোভ লাগিয়ে দিলেন।
আচার খেতে পারলে ভালো আচার শরীরের জন্য অনেক উপকারী অনেক ভালো লেগেছে।
রুটিন করে কাজ করলে সত্যিই অনেক সুবিধা হয়। যাই হোক আপু বড়াইয়ের আচার কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছে। আচার খেতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুবই কম আছে। আপনার তৈরি করা আচার দেখে যে কেউ খুব সহজে তৈরি করতে পারবে।
শীতকালে টক এবং ঝাল ঝাল আচার খেতে অনেক ভালো লাগে তাও আবার কাঁচা বড়ইয়ের আচার।
কাঁচা বড়ইয়ের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আসলে আমার বড়ইয়ের আচার রেসিপি খেতে খুবই ভালো লাগে। এই বড়ইয়ের আচার আমার খুবই প্রিয়।
ইচ্ছা করলে খেতে চলে আসেন ভাইয়া বাসায় অনেকগুলো তৈরি করেছি।
আচার আমার খুবই পছন্দের। যে কোন আচার খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার বরই এর আচার গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। মন চাইছে এখান থেকে নিয়ে খেতে শুরু করি। কালার টা খুবই লোভনীয় লাগছে। লোভনীয় ও সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আচার খেতে চাইলে বাসায় তৈরি করে খেয়ে নিন না হয় আমার এখানে চলে আসেন।
যে কোন ধরনের আচার আমার খুব প্রিয়। কাঁচা বড়ইয়ের টক ঝাল আচার রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। অত্যান্ত লোভণীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনি আচার তৈরির প্রক্রিয়া অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো দুর্দান্ত রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ।
ঠিক বলছেন ভাইয়া আসলে আচার দেখলে লোভ সামলানো যায় না খেতে ইচ্ছে করে।
আচারের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। আমার কাছেও বরই এর আচার খেতে অনেক ভালো লাগে।তবে আমি পাকা বরই এর আচার খেয়েছি কিন্তু কাঁচা বরই এর আচার খাওয়া হয়নি।আপনি খুব সুন্দর ভাবে আচার তৈরির পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু জিভে জল আসা আচারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু খেতে অনেক মজার হয়।আপনি বাসায় তৈরি করে খেয়ে নিতে পারেন ভাল লাগবে।
আচার খেতে তো অনেক ভালো লাগে সবারই আর বড়ই এর আচার হলে তো কথাই নেই।আমরা শুকনো বড়ই এর আচার তৈরি করে থাকি বাসায়।কিন্তু আপনি দেখছি কাঁচা বড়ই এর আচার শেয়ার করেছেন।দেখতে চমৎকার লাগছে আপু।খেতেও মনে হয় অনেক সুস্বাদু ছিল।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু শুকনা বড়ই এর পাশাপাশি কাঁচা বড়ইয়ের আচার খেতেও বেশ ভালো লাগে তৈরি করে খেয়ে দেখিয়েন।