বিভিন্ন কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা:
আশা করি সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি আজ আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন বিষয়বস্তু তুলে ধরার চেষ্টা করছি বিষয়বস্তুটি হলো:
বিভিন্ন কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা :
কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট মজুরি বা বেতন এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদির বিনিময়ে চাকরি গ্রহণ করা হলে তাকে মজুরি ও বেতনভিত্তিক কর্মসংস্থান বলে। বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য উচ্চ, মধ্যম ও নিম্ন পর্যায়ে বহুসংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন। ফলে চাকরি কর্মসংস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কাজের নিরাপত্তা, নিয়মিত আয় প্রবাহ, পদোন্নতি ও আনুষঙ্গিক সুবিধার জন্য কর্মসংস্থান হিসেবে চাকরি মানুষের নিকট আকর্ষণীয়। বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার না হওয়ার বেতন ও মজুরিভিত্তিক চাকরি কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। তা ছাড়া, দেশের সকল মানুষের জন্য বেতন ও মজুরিভিত্তিক চাকরি কর্মসংস্থান সম্ভবও নয়।
সরকারি অফিস, গণপূর্ত বিভাগ, গৃহসংস্থান, বিআরটিসি, পিডিপি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিএডিসি, পল্লিবিদ্যুৎ বাংলাদেশ রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ, টি অ্যান্ড টি বোর্ড, শিল্প মন্ত্রণালয়, বস্ত্র মন্ত্রণালয় ও বস্ত্র বিভাগ ইত্যাদি।
সরকারি অফিস-আদালত, সরকারের সমস্ত মন্ত্রণালয়, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।
ইপিজেড, শিল্পকারখানা, বিভিন্ন প্রকার কোম্পানি, ঔষধ কোম্পানি, গ্যাস, তৈল, ট্যানারি, পাটকল, কাপড় ও সুতাকল, রিয়াল স্টেট বিজনেস, পরিবহন, মেরামত ও সংযোজন কারখানা, জুতা, ছাতা তৈরির কারখানা, অক্সিজেন ও অন্যান্য গ্যাস, পেইন্ট ও বার্নিশ, রোলিং ও রিরোলিং, জাহাজ ভাঙা কারখানা, বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাজার-হাট, যানবাহন, শিল্প- কারখানা, ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি ।
নিজে উদ্যোগী হয়ে নিজের কাজের ব্যবস্থা করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। কোনো ব্যক্তি কোনো প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট বেতনের বিনিময়ে চাকরি না করে স্বীয় যোগ্যতা ও দক্ষতার বলে সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে জীবিকানির্বাহ করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একজন ইলেকট্রিশিয়ান ইলেকট্রিক্যালের কাজ করে জীবিকানির্বাহ করলে তাকে আত্মকর্মসংস্থান পেশা হিসেবে গণ্য করা যায়। আমাদের দেশে সরকার কর্তৃক বেশ কয়েকটি যুব উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এ সমস্ত যুব উন্নয়ন ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বেসিক ট্রেড কোর্স ও কুটিরশিল্পের উপর প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা গ্রামের ছেলেমেয়েদের নানাবিধ কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে, যেমন- হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, কাঠের কাজ, মেরামত কাজ, হাঁস-মুরগি পালন, মাছের চাষ, শাকসবজি চাষ, ফুলের চাষ, পোশাক তৈরি ইত্যাদি। এসব কাজে বেশি মূলধনের প্রয়োজন হয় না। এজন্য প্রয়োজন সামান্য প্রশিক্ষণ ও উদ্যোগী মনোভাব। আয়ের ধারাবাহিকতা না থাকায় আমাদের দেশের মানুষ সহজে আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজে উদ্বুদ্ধ হতে চায় না।
আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Location | Bangladesh, bogura 🇧🇩 |
Short by | @rxsajib |
!upvote 40
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation) Your post was promoted on Twitter by the account josluds
the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 120%
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
Thank you🥰🤗
আপনি বেশ কয়েকটি কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা করেছেন ৷ যেগুলো সরকারি এবং বেসরকারী কর্মসংস্থান হয়ে থাকে ৷ আর বিশেষ করে এই কর্মসংস্থান গুলোতে নানা ধরনের পদবী থাকে ৷ একেক জন একেক পদের অন্তভূর্ক্ত থাকে ৷ আপনার পোস্টের মাধ্যমে থেকে বেশ কিছু অজানা তথ্য জানতে পারলাম ৷
যাই হোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷