বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার গল্প (নবম পর্ব)।

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


ইনানী বিচ আমার কাছে বরাবরই বেশ ভালো লাগে। আমি প্রথমবার যখন ইনানী বিচে এসেছিলা। তখন রীতিমতো সেখানকার সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলা। তবে ইনানী বিচের একটা মজার ব্যাপার হচ্ছ। আপনি যদি জোয়ারের সময় আসেন তাহলে এখানকার প্রবাল খুব একটা দেখতে পাবেন না। ইনানী বিচের প্রবাল দেখতে হলে আপনাকে ভাটার সময় আসতে হব। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য এবার আমরা জোয়ারের সময় ইনানী বিচে পৌঁছে ছিলাম। সেখানে পৌঁছে দেখতে পেলাম আগত দর্শনার্থীরা সবাই মনের আনন্দে চমৎকার বিচে পা ভেজাচ্ছিলো। আমরা এর আগের যে কটায় স্পটে থেমেছিলাম সেখানে অল্প সময়ের জন্য দাঁড়িয়েছিলাম।

1000001419.jpg

তবে ইনানী বিচে আমরা কয় বন্ধু বেশ খানিকটা সময় কাটালাম। কিন্তু সেখানে কিছু হকার সবাইকে ক্রমাগত বিরক্ত করছিলো। কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে প্রত্যেক পর্যটকের মতো আমরাও হকারদের উৎপাতের শিকার হয়েছিলাম। বিশেষ করে যারা ছবি তোলে এরা সব সময় আশপাশ দিয়ে ঘুরঘুর করতে থাকে। আর ছবি তুলবো নাকি সেটা জিজ্ঞেস করতে থাকে। যদি বলি ছবি তুলবো না তারপরেও এরা পাশ থেকে সরে না। যাইহোক আমরা বেশ খানিকটা সময় ইনানী বিচে কাটালাম। অন্যান্য টুরিস্টদের দেখে আমরাও প্যান্ট গুটিয়ে পা ভেজাতে লাগলাম।


1000001420.jpg

বাইরে প্রচন্ড গরম থাকার কারণে একসময় মনে হচ্ছিলো সমুদ্রের পানিতে গা ডুবিয়ে বসে থাকি। তারপরেও যেহেতু আরও বেশ কিছু জায়গায় যেতে হবে। তাই আমরা সামনের দিকে আগাতে লাগলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা যখন পাটোয়ারটেক পৌছালাম তখন সেখানে পৌঁছে অনেক টুরিস্ট দেখতে পেলাম। তবে একটা আফসোসের বিষয় হচ্ছে। কক্সবাজার বিশ্বের সবচাইতে বড় সী বিচ থাকলেও এখানে আসা বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। নাই বললেই চলে। এটার অন্যতম মূল কারণ হচ্ছে কক্সবাজারের পরিবেশ এবং লোকজন টুরিস্ট বান্ধব না হওয়া।


1000001421.jpg

আর আমরা কক্সবাজারকে বিশ্বের দরবারে খুব একটা ভালোভাবে তুলে ধরতে পারিনি এটাও একটা কারণ। যাইহোক আমরা পাটোয়ারটেকে বেশ কিছুক্ষণ কাটানোর পরে আবার ফিরতি পথ ধরলাম। কারণ ততক্ষণে বেলা অনেক বেড়ে গিয়েছে। আমরা চিন্তা করতে লাগলাম এখান থেকে ফিরে আবার সি পার্লের ওয়াটার পার্কে যাবো। সেখানে বেশ খানিকটা সময় কাটানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। যার ফলে অন্য জায়গায় বেশি সময় নষ্ট করতে চাইনি। যাইহোক পাটোয়ারটে থেকে সিপার্লের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। যার ফলে অল্প সময়েই আমরা সি পার্লের গেটের কাছে পৌঁছে গেলাম। তবে সেখানে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম ওয়াটার পার্কে প্রবেশ করার গেট আরো একটু সামনে। তখন আমরা চার বন্ধু কটার পার্কের গেটের দিকে আগাতে লাগলাম। অবশ্য তখনো আমরা অটোতেই ছিলাম। সি পার্লের ওয়াটার পার্কের গেটের সামনে গিয়ে আমরা অটো রিক্সাওয়ালাকে টাকা পয়সা মিটিয়ে ছেড়ে দিতে চাইলাম। তবে সে আমাদেরকে প্রস্তাব দিলো। সে আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে। যাওয়ার সময় নরমালি যে ভাড়া হয় সেটা তাকে দিলেই হবে। তার প্রস্তাবে আমরা রাজি হয়ে গেলাম। তারপর চার বন্ধু মিলে টিকেট কেটে ঢুকে পড়লাম সি পার্ল ওয়াটার পার্কে। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানকক্স বাজার

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 3 months ago 

মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে যেতে যেতে যখন ইনানী বীচে পৌঁছে যায় তখন ইনানী বীচের সৌন্দর্য সব সময় সবাইকে মুগ্ধ করে তোলে।সূর্য অস্তের সময় ইনানী বীচে আমার সবচেয়ে ভালো লাগে।ইনানী বীচ মূলত সেই পাথর এবং একপাশে সুবিশাল পাহাড় অন্যপাশের সমুদ্রের জন্য বিখ্যাত।আজকের পর্বে আপনার ইনানী বীচের ভ্রমণ কাহিনী পড়ে খুবই ভালো লাগলো।পরবর্তী পর্বে ওয়াটার পার্কে আপনাদের মজার সময় গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।

 3 months ago 

ইনানী বীচ আমারও খুব পছন্দ। বিশেষ করে শীতকালে গেলে তো বাইকে উঠে লাল কাঁকড়া দেখতে যাওয়া যায়। যাইহোক পাটুয়ারটেক বীচে ঘুরাঘুরি করে আপনারা সি পার্ল ওয়াটার পার্কে গিয়েছেন,এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। আমরা সি পার্ল ওয়াটার পার্কের গেটের সামনে গিয়েও ভিতরে ঢুকিনি হাতে পর্যাপ্ত সময় ছিলো না বলে। তবে পরবর্তীতে গেলে এই ওয়াটার পার্কে অবশ্যই ঢুকবো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.23
TRX 0.26
JST 0.040
BTC 98004.63
ETH 3487.60
USDT 1.00
SBD 3.26