বৈকালিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। ১০% সাইফক্স।
কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড গরমে এবং নানাবিধ ব্যস্ততার কারণে বাইরে যাওয়া হয়না। তাই চিন্তা করছিলাম একদিন বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারলে একটু ভালো লাগতো। চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য বন্ধু ফেরদৌস কে ফোন দিলাম। প্রস্তাব পাওয়ার সাথে সেও রাজি হয়ে গেলো। অবশ্য আজকে বাইরে যাওয়ার উদ্দেশ্য শুধু ঘোরাফেরা করা নয়। আমরা বন্ধু-বান্ধব মিলে ঈদের পরে ট্রলার ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছি। তাই আজকে বাইরে যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ট্রলারের খোঁজ-খবর নেয়া।
পরিকল্পনা ছিলো প্রথমে আমরা ফরিদপুরের একটি নৌবন্দর আছে যেটাকে সি এন্ড বি ঘাট বলে। সেখানে গিয়ে ট্রলারের ব্যাপারে খোঁজখবর নেবো। তারপর সেখান থেকে চলে যাব পদ্মার পাড়ে। সেখানে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে তারপর বাড়ীর দিকে ফিরবো। যথাসময়ে আমরা রওনা দিলাম। কিন্তু যখন সিএন্ডবি ঘাট পৌছালাম। সেখানে পৌঁছে দেখি প্রচন্ড ধুলোবালিতে সেখানকার রাস্তাঘাট প্রায় অন্ধকার দেখাচ্ছে। কারণ সেখানকার রাস্তা দিয়ে প্রচুর ট্রাক চলাফেরা করে সব সময়।
আবার এই ঘাট সম্বন্ধে আমাদের দুজনের করোরই খুব একটা ভাল ধারণা নেই। যার ফলে আমরা অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও আমরা যে ধরনের ট্রলার খুঁজছিলাম সেই ট্রলার গুলো পেলাম না। পুরো নদীর পাড় জুড়ে শুধু বড় বড় মালবাহী ট্রলার আর ছোট ছোট জাহাজ দেখতে পেলাম। বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই খোঁজাখুঁজির পরে আমাদের কাঙ্খিত ট্রলার দেখতে না পেয়ে আমরা পদ্মার পাড়ের দিকে চলে এলাম।
আমরা ভেবেছিলাম হয়তো পদ্মার পাড়ে আমরা যে ট্রলার গুলো খুঁজছি সেগুলি পেয়ে যাবো। কিন্তু পদ্মার পাড়ে পৌঁছেও সেই ট্রলার গুলো দেখতে পেলাম না। এর একটা কারণ হচ্ছে পদ্মায় এখনো পানি অনেক কম। যখন পানি বাড়বে তখন এই ধরনের ট্রলারের আনাগোনা অনেক বেশি দেখা যাবে। পরে আমরা ট্রলার খুঁজে না পেয়ে বন্ধু রাফসান কে ফোন দিলাম ট্রলারের ব্যবস্থা করার জন্য। সে আমাদের কাছ থেকে নির্দেশনাগুলো শুনে নিয়ে জানালো সে ট্রলারের খোঁজখবর নিয়ে আমাদেরকে জানাবে।
যাইহোক ট্রলার ঠিক করার ঝামেলা যখন ঘাড় থেকে নেমে গেলো তখন চিন্তা করলাম এখন বিকালটা উপভোগ করা যাক। আমরা সরাসরি মোটরসাইকেল নিয়ে একদম পদ্মার চরে পৌঁছে গেলাম। প্রচন্ড গরমের কারণে পদ্মার পানি দেখে মনে হচ্ছিলো এখনই এখান থেকে গোসল করে নিই। গোসল না করতে পারলেও জুতা খুলে প্যান্ট গুটিয়ে পদ্মার পাড়ে পানির ভেতরে হাঁটতে লাগলাম। পানিতে পা দিয়েই এত আরাম লাগলো মনে হচ্ছিল নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পড়ি। অনেকটা সময় এভাবে পানির ভেতরে হাটাহাটি ঘুরে বেড়ালাম।
এর ভেতরে আমাদের সাথে আরো দুজন যোগ দিয়েছিলো। চারজনে মিলে জমপেশ একটা আড্ডা হোলো। সময়টা এতটাই উপভোগ করছিলাম যে খেয়ালই করিনি এখন ছয়টা বেজে গিয়েছে। ঘড়ির দিকে তাকাতেই বুঝতে পারলাম যে এখন ফিরতে হবে। না হলে সময়মতো ইফতার করতে পারবোনা। আমি আর ফেরদৌস সেখান থেকে রওনা দিলাম। বাকি দুজন জানালো তারা আরও কিছুক্ষণ সেখানে থাকবে। এভাবেই চমৎকার একটি বিকাল উপভোগ করলাম।
আজকের মতো এখানে শেষ করছি।
পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে।
সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
ভাইয়া আপনি আজকে চমৎকার ভাবে বৈকালিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এমন সময় ঘুরতে আমার ভিশন ভালো লাগে। আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
বিকালের সময়টা ঘোরাঘুরি করার সময়। যদিও যারা চাকরি বাকরি করে তাদের সময়টা ব্যস্ততায় কেটে যায়। সময় সুযোগ পেলে বিকালের দিকে কোন একটা নদীর পাড় থেকে ঘুরে আসবেন। দেখবেন ভালো লাগবে।
খুব সুন্দর একটি বিকালের মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনি এবং আপনার বন্ধু একসাথে ট্রলারের খোঁজে গিয়েছিলেন যে ঈদের পরে ভ্রমণ করবেন। আসলে ঈদের সময় ভ্রমণ করতে খুবই ভালো লাগে। অনেক মানুষের সাথে দেখা শুনা হয়। অনেককে দেখা যায় ভ্রমণ করছে ঈদের আনন্দে বাইরে বের হয়েছে। তবে পদ্মার কথা বললেন ফরিদপুরের, এর সাথে আমার রাজশাহীর পদ্মার পাড় স্মরণে এসে গেল। যেখানে রয়েছে আমার মধুর স্মৃতি দিনগুলো। সব মিলিয়ে ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি। তবে একটি পরামর্শ থাকবে এখন পথে-ঘাটে প্রচন্ড ধুলাবালি যেহেতু বলেছেন রাস্তায় খুব কম বের হন,এখন হয়তো দিনকাল খুবই গরম, তাই এখন পথে-ঘাটে কম চলাচল করাটাই উত্তম।
আপনাদের রাজশাহীর পদ্মা দেখে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বছর দুয়েক আগে একবার রাজশাহীতে গিয়েছিলাম। সেখানে পদ্মার পাড়ে গিয়ে দেখি কি তীব্র স্রোত। অবস্থা দেখে প্রচন্ড ভয় পেয়েছিলাম।
ফেরদাউস ভাইয়ের সাথে দেখি মাঝে মাঝে এরকম ঘুরতে যান ভাই আপনাদের দুইজনের বন্ধুত্ব অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। ঈদের পরে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করতেছেন ভাই জেনে ভালো লাগলো। নদী এলাকায় এরকম ট্রলারে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। যদিও শেষ পর্যন্ত ট্রলার খুঁজে পান নাই। আশা রাখছি আপনার বন্ধু ঠিক করে দিবে। যাইহোক খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত পার করেছেন পদ্মার পাড়ে দেখে বোঝা যাচ্ছে। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ট্রলার পাওয়া নিয়ে কিছুটা টেনশনে আছি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।
ভাই সত্যি বলতে কি এই গরমে কিছু ভালো লাগে না ৷কিন্তু বিকেল বেলা ঘুরতে ভালোই লাগে ৷আমিও তো ঘুরতে বের হইলে বিকেল বেলায় হই ৷কারন তখন পরিবেশ বেশ সুন্দর ৷আর আমি সম্পুর্ণ পোষ্টটি পড়ে বুঝলাম আপনি বিকেল বেলা ঘুরতে বের হয়ে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন ৷ ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য
এই সময় ঘোরাফেরা করার জন্য বিকাল বেলাই সবচাইতে ভালো।
আসলেই সকাল ও বিকেলবেলা প্রকৃতি একটু নমনীয় থাকে অর্থাৎ এই সময়টুকুর বাতাস ও আবহাওয়া খুবই ভালো লাগে।বিশেষ করে তা যদি হয় কোন নদী বা সাগরের কাছাকাছি তাহলে তো আর কিছুই বলার নেই।আপনি ট্রলারে করে ভ্রমণ করেছেন বিকেলবেলা আশা করি আপনি খুবই উপভোগ্যময় একটা সময় অতিবাহিত করেছেন।তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার শেয়ারকৃত বৈকালিক বেলার ভ্রমণের গল্পটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে আমার ও খুবই ভালো লাগে।
ট্রলারে ভ্রমণ করিনি ভাই। ঈদের পরে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ট্রলারে করে ঘুরতে যাবো নদীতে। সেটা বলেছি পোস্টে।
আসলে ভাইয়া কয়েকদিন হলো প্রচণ্ড গরম কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না। আপনারা নদীর পাড়ে ভ্রমণ করতে এসেছেন এবং নদীর পারে শুধু ভ্রমণ নয়, আপনারা ঈদের পরে ট্রলারে করে ভ্রমণ করবেন।তাই ট্রলার অনুসন্ধান করতে এসেছেন। সত্যিই আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।
আগামী কয়েকটা দিন আমার খুবই ব্যস্ততায় কাটবে। একদিকে কমিউনিটির কাজ। আবার অন্যদিকে ট্রলার ভ্রমণের আয়োজন। একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছি।
কদিন থেকে বেশ ভালোই গরম পড়েছে। যার ফলে বাইরে তেমন একটা ঘোরাঘুরি করা যাচ্ছে না। তবে বিকেলের দিকে আবহাওয়া মোটামুটি ঠান্ডা থাকায় ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগছে। আপনার বেশিরভাগ ঘুরাঘুরির গুলো আপনার বন্ধু ফেরদৌস ভাইকে নিয়ে সম্পন্ন করেন।ট্রলারে কখনো চড়া হয়নি ভাই। আপনারা নিশ্চয় অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো ভাই।
সময় সুযোগ পেলে একবার নদীতে ট্রলারে ভ্রমণ করবেন। দেখবেন খুব ভালো লাগবে।
আপনি বিকেলে খুব আনন্দে করে ঘুরাঘুরি করেছেন। খুব ভালো একটা প্যান্ট করেছেন ভাইয়া ঈদের পরে আপনি আপনার বন্ধুদের কে নিয়ে ট্রলারে ঘুরতে যাবেন। আসলে সবারই উচিত মাঝে মাঝে সাগর পাড়ে নদীর পাড় একটু ঘুরতে যাওয়া তাহলে মন অনেক ফ্রেশ এবং ফুরফুরে থাকে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার বিকেলে ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এখন পরিকল্পনাটা সফল হলেই বাচি। বিকালে এরকম নদীর পাড়ে ঘুরতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
সি এন্ড বি ঘাট নৌ বন্দর আর নেই ওটা ধূলার বন্দরে পরিনত হয়েছে। আশে পাশের ইট ভাটা গুলো এর জন্য দায়ী। হয়তো বৃষ্টির শুরু হলে কিছুটা ধূলো বালি কমতে পারে। বিকাল টা নদীর পারে কাটালে এই গরমে ভালই লাগে। অন্তত পা টা জলে ভিজিয়ে শরীর ঠান্ডা করা যায়। নদীর জল সবসময় ঠান্ডা থাকে। ধন্যবাদ ভাই শুভেচ্ছা নিবেন।
ঠিকই বলেছেন ভাই। ওটা এখন ধুলার বন্দরে পরিণত হয়েছে।
আশা করি ভাইয়া, ভালো আছেন? বিকেলবেলা আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে বিকেল বেলা নদীর পানির ঢেউয়ের সাথে সাথে শীতের আবহাওয়া খুব ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। নিশ্চয় আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। এত অসাধারন পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন ভাইয়া।