Better Life With Steem || The Diary game || 16 March 2024

in Incredible India6 months ago
Picsart_24-03-17_09-09-38-313.jpg

আলহামদুলিল্লাহ আবারও আরেকটা রোজা রাখার জন্য, রাত ৩ঃ২৫ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিলাম। ঘরে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে ঘরে এসে সবাই মিলে সেহরি খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। খাওয়া হয়ে গেলে নামাজ পড়ার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। এরপর নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছি ৭ঃ৪৫ আমার ঘুম ভেঙে গেছে। তাড়াতাড়ি করে উঠে ছেলেকে খাবার খাইয়ে দিয়ে প্রাইভেটে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।

ও চলে যাওয়ার পর আমি আমার ঘরে যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করলাম। সবাই এখনো ঘুমিয়ে আছে, কিন্তু আমাকে কাজ গুলো সম্পন্ন করতে হবে। সমস্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়ে গেলে আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে ঢুকে কিছু পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম। আজকাল কমেন্টের সংখ্যা একেবারেই কমে যাচ্ছে।

কিছু কমেন্ট করার পর, আমার শাশুড়ি হঠাৎ করে এসে বলল আজকে আমার বড় ননদ এবং উনার হাসবেন্ড আমাদের বাড়িতে আসবে। বাড়িতে মেহমান আসার মানেই হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কাজ। প্রথমত আমি ঘর সুন্দরভাবে মুছে নিয়েছিলাম। এরপর ঘরে আরো কিছু কাজ ছিল, সেগুলো সম্পন্ন করে নিয়েছিলাম।

IMG_20240316_090848_834.jpg

ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে, রান্নাবান্নার জন্য আমি সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। কেননা বিকেল বেলায় আমার আর একটু কাজ আছে। তাই এখন থেকে সবকিছু রেডি করে নিতে হবে।

IMG_20240316_090853_790.jpg

সবকিছু গোছানো হয়ে গেলে, আমি গোসল করে এসে জোহরের নামাজ আদায় করে নিয়েছিলাম এবং সামান্য পরিমাণ কোরআন তেলাওয়াত করতে পেরেছিলাম। কেননা আমার হাতে আরও কিছু কাজ ছিল। এরপরে ওই কাজগুলো সম্পন্ন করে, আমি দুইটা পোস্ট ভেরিফাই করেছিলাম। ভেরিফাই করার পর আমি আমার রান্নার জন্য সবকিছু রান্না ঘরে নিয়ে গিয়েছিলাম।

IMG_20240316_090856_839.jpg
IMG_20240316_090851_378.jpg

এক এক করে আমি সমস্ত রান্না সম্পূর্ণ করলাম সম্পূর্ণ করতে, আমার প্রায় পাঁচটা ৪২ মিনিট বেজে গেছে। এর মাঝেই আমার ননদ এবং উনার হাজবেন্ড চলে এসেছে এবং আমি উনাদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে নিলাম। সবকিছু ঘরে গুছিয়ে নিয়ে আসতে, আমার প্রায় মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। আমি দেখলাম আমার শাশুড়ি মোটামুটি ইফতারের জন্য সবকিছু রেডি করে নিয়েছে।

IMG_20240316_090901_814.jpg

যাইহোক অবশেষে আলহামদুলিল্লাহ মাগরিবের আজান দেয়ার পর, আমরা সবাই একসাথে মিলে ইফতার করে নিলাম। এরপর আরো কিছু কাজ জমা হয়েছিল, সেগুলো সম্পূর্ণ করে আমি নামাজ পড়ে নিয়েছিলাম এবং ছেলেকে পড়তে বলেছিলাম। কিন্তু ও বলছে ওর ভালো লাগছে না। আমি নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম জিকির করলাম।

IMG_20240316_090904_291.jpg

জিকির করতে করতেই এশার আযান দিয়ে দিল। তারাবির নামাজ পড়তে হবে, তাই তাড়াতাড়ি করে তারাবির নামাজের অজু করে এসে আবার নামাজ পড়া শুরু করলাম। নামাজ শেষ করে আমি কিছু পোস্ট ভেরিফাই করেছিলাম। এরপরে আমার ঘরে যে মেহমান ছিল, সবাইকে রাতের খাবার দিয়েছিলাম। সবাই রাতের খাবার খেয়ে যে যার মত করে ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি কিছুক্ষণ অনলাইনে থেকে তারপর ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে একটা দিন পার হয়ে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Loading...
 6 months ago 

আপনাদের বাড়িতে আপনার বড় ননদ এবং তার হাসবেন্ড বেড়াতে আসছে, বাড়িতে আত্মীয় স্বজনরা আসলে তাদের প্রতি কিছু দায়িত্ব থাকে এজন্য কাজের চাপও বেড়ে যায়। সময় মতো আপনারা সবাই একসাথে বসে ইফতারি করেছিলেন।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

আসলে উনি বাহিরে থাকে একবার এসেছিল, তেমন একটা আপ্যায়ন করতে পারিনি। তাই এখন আবার আসতে বলেছিলাম। সবাই মিলে বেশ আনন্দের সাথে ইফতার করেছি, এর চাইতে বড় পাওয়া হয়তোবা কিছুই হতে পারে না। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 6 months ago 

আপু রমজান মাসে মেয়েদের এমনিতে একটু কাজের চাপ বেশি থাকে। আবার আজকে আপনার বাসায় মেহমান আসবে। সব মিলিয়ে কাজের চাপ কয়েক গুণ বেশি। সবকিছু সামলিয়ে কমিউনিটিতে সময় দেন এটা আমাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। আপনার প্রতি অনেক অনেক দোয়া আর শুভকামনা রইল।

 6 months ago 

আসলে মেয়েদের কাজ কখনো শেষ হয় না। মাঝে মাঝে চিন্তা করে এই সংসার জীবন থেকে যদি কিছুটা দিন ছুটি পেতাম। তাহলে হয়তোবা বেশ ভালই হতো। মেহমান আসলে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। কেননা আমার কাছে মনে হয় মেহমান আসলে ঘরের রহমত চলে আসে। আপনাকে ধন্যবাদ আমার জন্য দোয়া করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 6 months ago 
  • আপনার বাসায় ও দেখছি মেহমান। যাক রহমতের মাসের রহমতে মেহমান নিয়ে আসছে ইনশাল্লাহ। সবকিছুই সময়মতো গুছিয়ে নিতে পেরেছেন ।সবাই একসাথে বসে ইফতার করবেন এটার একটা আনন্দ আলাদা, খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের দিনের কার্যক্রম গুলো পড়ে।
 6 months ago 

জি আমার বাসা মেহমান এসেছে, তবে তারা বলে এসেছে। যার কারণে সবকিছু আগে থেকেই আমি ঠিক করে রাখতে পেরেছিলাম। একদমই ঠিক বলেছেন সবাই মিলে ইফতার করার আনন্দ অন্যরকম। আর রহমতের মাসে মেহমান রহমত নিয়েই আসে। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।

 6 months ago 
  • হে আপু, রহমতের মাসে রহমতের মেহমান নিয়ে আসে এটি একদম সত্যি কথা। তা না হলে আমি ক্লাস করে এসে এতগুলো কাজ করলাম কি করে ?তাও আবার এক হাতে ।নিশ্চয়ই আল্লাহপাক আমাকে সাহায্য করেছেন।
 6 months ago 

আজ আপনার দিনটা অনেক ব্যস্ততার মাঝে কেটেছে বাসায় মেহমান আসলে এমনিতেই একটু দৌড়ের উপরে থাকতে হয়।।
আর আমার কাছে ঘর গোছানো ঝামেলাটা অনেক বড় মনে হয়। আর তাই আপনাকে খুব সুন্দর ভাবে করতে হয়েছে যাক অবশেষে আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু ঠিকঠাকভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন।।

 6 months ago 

রোজার দিনে বাসায় মেহমান আসা মানেই কাজ। আমার বাসায়ও দুদিন যাবত মেহমান আসতেছে আমার হাসবেন্ডকে দেখতে। যার কারনে আমিও বাড়তি ঝামেলার মাঝেই আছি।

কিন্তু সবকিছুর মাঝেও আপনি খুব সুন্দর করে ঘরের কাজ আর কমিউনিটির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন যা প্রশ্নংসনীয়।

এত সুন্দর একটা দিনলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময় এই
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 6 months ago 

রোজা মানেই কাজ রোজার মধ্যে যদি মেহমান আসে তাহলে আর ডাবল পরিশ্রম করতে হয় ।তা আত্মীয়-স্বজন আসলে এর দায়িত্ব কর্তব্য বেড়ে যায়। এত কাজ থাকা সত্ত্বেও আপনি সঠিক টাইমে সঠিক কাজ গুলো শেষ করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং পরিবারের নিয়ে আনন্দে থাকবেন।

 6 months ago 

এটা একদম সঠিক বাসায় মেহমান আসলে কাজের চাপ একটু বেড়ে যায়।। আজকে আপনার ননদ ও তার হাজবেন্ড আসবে তাই বেশ কিছু রান্নাবান্নার করেছেন।। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে ভাল থাকবেন।।

 5 months ago 

মেহমান আসলে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তবে সবাই যদি কাজের মধ্যে একটু হাত লাগায়, তাহলে কাজ করতে আরও বেশি আনন্দ পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 5 months ago 

আমাদের বাসায় মেহমান আসলে তারা আম্মুর সাথে কাজ করে। এটা আপনি একদম সঠিক বলেছেন আত্মীয়-স্বজন এসে যদি সাথে কাজ করে তাহলে আরো আনন্দের সাথে কাজ করা যায়।।

 6 months ago 

আপনার ইফতারের জিনিস গুলো দেখেই একদম লোভ লেগে যাওয়ার মত হয়ে গেছে। যদিও রমজান মাস তবুও বলে ফেললাম। যাক, মজা করলাম কিছু মনে করবেন না।
ইফতারের জন্য যাবতীয় খাবার খুব সুন্দরভাবে আপনি তৈরি করেছেন। আর ছবিগুলো দেখে মনে হলো খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে।

 5 months ago 

আসলে আমরা সবাই এখানে ভাই বোন। মজা করা আনন্দ করা এটা আমাদের একটা অভ্যাস, কেন আপনার এই কথা আমি মনে কিছু নেব। একদমই ঠিক বলেছেন দেখতে যতটা লোভনীয় খেতেও ঠিক ততটাই মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56588.25
ETH 2399.94
USDT 1.00
SBD 2.32