বাড়ি ফিরে আসা
নমস্কার,,
ঢাকাতে গরমের মাত্রাটা ছিল ভীষণ রকমের। আকাশে হালকা মেঘের কারণে গরমের ভাবটা আরো বেশি বেড়ে গিয়েছিল বোধ হয়। এই গরমে এসি বাস ছাড়া যাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই বাস কাউন্টারে ফোন করে শুনে নিলাম দুপুরে প্রথম বাসটা কয়টায় ছাড়বে। আমাকে জানালো দুপুর দেড়টায় এসি বাস আছে। ঘড়িতে তখন বাজে দুপুর বারোটা। আমি তাড়াহুড়ো করে নিচে নেমে সকাল আর দুপুরের খাওয়াটা একসাথে খেয়ে নিলাম। তারপর রুমে এসে সবকিছু গুছিয়ে রওনা দিতে সাড়ে বারোটা পার হয়ে গেল। এই অল্প সময়ের মাঝে দেড়টার বাসটা ধরতে হলে পাঠাও ছাড়া আমার কোন গতি নেই। সাথে সাথে পাঠাও নিয়ে রওনা দিলাম টেকনিক্যাল এর উদ্দেশ্যে।
২০ টাকার বাস ভাড়া রেখে ২০০ টাকা দিয়ে আসলাম বাইক নিয়ে। কিন্তু তাতেও জ্যামের ছোবল থেকে নিস্তার পেলাম না। ঘড়িতে তখন প্রায় দুই টা পঁচিশ বাজে। এমন সময় পৌছালাম বাস কাউন্টারে। যে বাস ধরার জন্য এত তড়িঘড়ি করে আসলাম সেটাই মিস হয়ে গেল। পরের এসিটা ছিল বিকাল চারটার পরে। ভাবলাম এতক্ষণ গরমে বসে থেকে কষ্ট করার চেয়ে যা আছে তাতেই রওনা দেই। আমার পয়সা টাও বেচেঁ যাবে। এমনি টানাটানি চলছে। হিহিহিহি। সাথে সাথে আড়াইটার বাসে রওনা দিয়ে দিলাম বাড়ির দিকে।
রাস্তায় যানজট খুব একটা ছিল না বললেই চলে। গাড়ির ড্রাইভার টাও বেশ জোরেশোরেই চালিয়ে আসছিল। মোটামুটি দুই ঘণ্টার মাঝেই যমুনা ব্রিজে পৌঁছে যাই। আমি নিজেই প্রায় অবাক । এত দ্রুত বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে প্রায়। অবশেষে আমাদের বাসটা যাত্রা বিরতি দিল ফুড ভিলেজে এসে। মোটামুটি বেশিরভাগ সময় আমি আইসক্রিম খাই বিরতি দিলেই। সেদিনও আইসক্রিমটা নিতে গিয়েছি, এমন সময় হঠাৎ করেই চোখ পরল মিষ্টির ভান্ডারের দিকে। দেখলাম ছোট বাটির মতো হাড়িতে দই বিক্রি করছে। দামটাও খুব একটা বেশি না। ষাট টাকা পিস। আমি আর লোভ টা সামলাতে পারলাম না। ফ্রেশ হয়ে ছোট ওই বাটিটা নিয়ে বসে গেলাম। এক কথায় অসাধারণ ছিল খেতে।
প্রায় ৩০ মিনিট যাত্রা বিরতির পর আমাদের বাসটা আবার যাত্রা শুরু করলো। চারপাশে তখন কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। একদম বাড়ির পাশে এসেই বৃষ্টিটা পড়তে শুরু করেছে। কি আর করার। ওভাবেই বৃষ্টির মাঝেই বাস থেকে নামতে হলো। ড্রাইভারকে বলে মার্কেটের পাশে নেমে গিয়েছিলাম। তাই খুব একটা ভিজে যাই নি। এভাবেই সাড়ে তিন ঘন্টার মাঝে আমি আমার গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম। তারপর বৃষ্টি টা একটু কমলে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
বৃষ্টি টা একটু কমলে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছেন ভালো করেছেন। এখন বৃষ্টির ফোঁটা শরীরে পরলে অসুস্থ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি কয়েকদিন আগে বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা লাগিয়েছিলাম। যাক ভালো ভাবে বাড়িতে ফিরিয়েছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ লিমন ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।
বাড়ি ফিরে আসার পুরো গল্পটা পড়লাম এত তাড়া করে যাবার পরেও শেষমেশ আপনার রক্ষা হলো না। তবে ভালোই হলো অনেক টাকা বেঁচে গেছে। কিন্তু এটা আপনি ঠিক করেননি খাবারের ফটোগ্রাফি দিয়ে। এতটা লোভনীয় ছিল দই সত্যি খেতে ইচ্ছে করছিল জিভে জল এসে গেছে। সব মিলিয়েই টানাপোড়নের মধ্যেও ভালো সময় কাটালেন আপনি।
দই টা আসলেই অনেক মজার ছিল আপু। ভীষন ভালো লেগেছিল খেতে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
বাড়ি ফিরার বাস ভ্রমণ নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন। উবার ব্যবহার করেও এসিবাসে ভ্রমণ করতে না পারলেও প্রকৃতি আপনার সহায় ছিল। বৃষ্টি তা পুষিয়ে দিয়েছে।যদিও বাড়ির কাছাছাছি বৃষ্টি পেয়েছেন। আর ফুড ভিলেজের দই অনেক মজার! এমনিতেই বগুড়া বিখ্যাত দইয়ের জন্য। সুন্দর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
হ্যাঁ আপু প্রকৃতি সত্যি আমার ওপর সদয় হয়েছিল। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।
দাদা আপনার আজকের বাড়ি ফেরার গল্পটি পড়ছিলাম আর একটি বিজ্ঞাপনের কথা মনে মনে ভাবছিলাম। স্বপ্ন যাবে বাড়ি.....। বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে বাড়ি ফেরার গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ফুড ভ্যালিতে ৬০ টাকার দই বেশ স্বাদই ছিল মনে হয়। কিন্তু সবশেষে বৃষ্টির কবলে পড়েই গেলেন তাহলে।
আমাদের এই দিকের দই সব সময় অনেক মজার হয় আপু। যে এক বার খায়, বার বার খেতে চায়। হিহিহিহি। অনেক ধন্যবাদ আপু।
পাঠাও দিয়ে গিয়ে ও এসি বাস মিস করলেন।ভাড়া গেলো কিন্তু কাজ হলো না।যাক খুব কম সময়ে পৌঁছে গেলেন বাড়ি জেনে খুব ভালো লাগলো। বাড়ি ফিরে আসার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
কপাল খারাপ হলে যা হয় আপু। হিহিহিহি। ভালো থাকবেন সবসময়। দোয়া করবেন আমার জন্য।
আমার চিন্তাধারা অনেকটাই আপনার মত। কারণ আমি যখন বাইরে ঘুরতে যাই তখন সবসময় চেষ্টা করি এসি বাসে করে বাড়ি আসার। একটু টাকা বেশি নিলেও আসলে কষ্টটা বেশ খানিকটা কম হয়।
আর আপনাদের বাংলাদেশের দই আসলেই খুব ভালো খেতে। আমি এবার খুলনাতে গিয়ে বেশ ভালো ভালো কয়েকটা দোকানের দই খেয়েছিলাম, যেটার টেস্ট এখনো আমার মুখে লেগে রয়েছে।
বেচেঁই থাকব আর যে কয় দিন, একটু আরাম না করলে জীবনে আর আছেই বা কি 🤪। এরপর বাংলাদেশে আসলে আমাদের বগুড়া তে আসবেন। বগুড়ার দই পুরো বাংলাদেশে বিখ্যাত। সারা জীবন মুখে লেগে থাকবে একদম।