আমার বাংলা ব্লগ। মৎস্য শিকারের মুহূর্ত। ১০% beneficiary shy-fox এর জন্য।
মৎস্য শিকারের মুহূর্ত।
কিছু অনুভূতি।
প্রতিটা মানুষের জীবনে মৎস্য শিকারের হাজারো গল্প রয়েছে। তেমনি আমার জীবনেও মৎস্য শিকারের গল্পের শেষ নেই। তবে আজকে আর আপনাদের সাথে পুরনো দিনের কোন গল্প করবো না। বাস্তব জীবনে বর্তমানে মৎস্য শিকারের মুহূর্ত শেয়ার করার জন্যই আজকে আপনাদের মাঝে আশা। জীবনের উত্থান পতন প্রতিটা মানুষের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে। তেমনি মানুষের মনের চাহিদাও থেকে যায়। এমনি মনের চাহিদা মিটানোর জন্য মৎস্য শিকারে যাওয়া।
একটু সময় পেয়ে নিজেকে কিছুক্ষণ ব্যস্ত রাখার জন্য এবং কি দুষ্টু চিন্তাভাবনা গুলোকে দূরে রাখার জন্য মৎস্য শিকারে যখন গিয়েছিলাম তখন মনের মধ্যেই একটা আশা-আকাঙ্ক্ষা জল্পনা কল্পনা ঘিরেই পথ চলা শুরু করলাম। নিশ্চয়ই ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। ভাবতে ভাবতে অনেক দূর যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত সেই কাঙ্খিত জায়গার সন্ধান পেলাম। অনেক পরিশ্রম করে মাছ ধরার জন্য বড়শি সিপ ফেলানোর জন্য জায়গা ঠিকঠাক করলাম। এবং কি প্রয়োজনীয় জিনিসপাতি সব ঠিক করে বসে পড়লাম বৎস্য শিকারের জন্য।
সিপ উঠাচ্ছি আর ফেলছি, মাঝে মাঝে মাছের আধার গুলো পরিবর্তন করে দিচ্ছি, কিন্তু ফলাফল শূন্য। তবুও অপেক্ষায় রইলাম হয়তো কাঙ্খিত হাসিটুকু হাসতে পারবো। কিন্তু অবশেষে পরাজয় নিয়ে ফিরে আসতে হল গন্তব্য স্থলে। যদিও অনেক বড় আশা করে গিয়েছিলাম মৎস্য শিকার করতে। এমনকি নদীর বড় মাছ ধরার জন্য, অবশেষ খালি হাতেই ফিরতে হলো। কিন্তু একটা কথা আছে যদি থাকে নসিবে আপনা আপনি আসিবে। তবে মৎস্য শিকারীদের এ কথার খুব প্রচলন আছে। কারণ তকদিরের লিখন যায় না খন্ড। আর সব সময় মাছও ধরা দেয় না। আর যখন ধরা দেয় তখনকার আনন্দের কথা বলে বুঝানো সম্ভব নয়। তবে মৎস্য শিকার করতে গিয়েছি এবং কি সিপ ফেলেছি এই স্মৃতিটুকু চোখের সামনে বাসছে। তাই চিন্তা করলাম বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করলে হয়তো অনেক ভালো লাগবে।
চলুন একবার দেখে আসি মৎস্য শিকারের খন্ড চিত্রগুলো।
আমার বাসা থেকে অটো রিক্সায় করে বুড়িগঙ্গার পাড়ে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে একটা ফটোগ্রাফি নিলাম। তবে নিচে নেমে ট্রলারে করে আমাকে পাড়িয়ে দিতে হবে নদী পথ। আর সেই নদী পথ পাড়ি দিয়ে আবারো চলতে হবে আমাকে দুরন্ত গতিতে মৎস্য শিকারের গন্তব্যস্থল বাবনগাঁও।
নদীর এপারে আমার সামনেই দিনমজুরেরা বড় ট্রলার থেকে ইটা আনলোড করতেছে। এবং বুড়িগঙ্গার ওপারে বিশাল রাজপ্রাসাদের মত বসুন্ধরা গ্রুপের ইন্ডাস্ট্রিগুলো, দেখতে আমার কাছে বেশ দারুন লাগছে।
নদীর ওপারে ইন্ডাস্ট্রির সাথে সংযোগিত দারুন একটা ব্রিজ দেখতে পাচ্ছেন। তবে এটা কোন মানুষ চলাচলের জন্য নয়। বসুন্ধরা গ্রুপের এক ইন্ডাস্ট্রি থেকে অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে গ্যাস ট্রান্সফারের জন্য এই ব্রিজ করা হয়েছে। যেহেতু নিচের এই খালটা দূর থেকে বহুদূর চলে গিয়েছে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে।
বুড়িগঙ্গার পাড়ে বসুন্ধরা গ্রুপের অন্য একটা ইন্ডাস্ট্রি। আর এই ইন্ডাস্ট্রি গুলো সবগুলোই বুড়ি গঙ্গার পাড় ঘেশে নির্মিত হয়েছে। দূর থেকে দেখতে বেশ আকর্ষণীয় দেখায়।
বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে মৎস্য শিকারের ফটোগ্রাফি গুলো নেওয়া। যদিও এই জায়গাটায় কোন কচুরিপানা ছিল না। জোয়ার ভাটার কারণে নদীর পাড়ে রূপের পরিবর্তন হয় সকাল এবং বিকেল। তবে যেদিন গিয়েছিলাম সেখানে কচুরিপানা একেবারেই ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। তাই কচুরিপানা দিয়েই টং তৈরি করে কচুরিপানার উপরে ভাসমান বসার জায়গা তৈরি করে নিলাম।
দীর্ঘ চার ঘন্টা অতিক্রম করার পরও একটা মাছও ধরা দিল না। শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়েই ফিরতে হলো। তবুও মৎস্য শিকারের সেই সখ টুকু তো আর চলে যায়নি। আশা এবং ধৈর্য দুটোই মৎস্য শিকারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবুও সখ থেমে নেই, যেখানে যাই সুযোগ পেলেই মৎস্য শিকার করার জন্য লেগে পড়ি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া যতো ব্যস্ততায় থাকি না কেন দিনশেষে ভালো লাগার জন্য এই প্লাটফর্মে চলে আসি। এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। আপনার মাছ শিকার করার মূহূর্ত গুলো দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের এলাকায় যখন বর্ষা হতো তখন মাছ মারার জন্য বর্ষি নিয়ে মাছ ধরার জন্য চলে যেতাম। কিন্তু আমি মাছ না ধরতে পারলে আশে পাশে কাউকে মাছ ধরতে দিতাম না।পানির মধ্যে ডেল ছুড়ে চলে আসতাম। ধৈর্য্য ছাড়া মাছ শিকার করা অসম্ভব ব্যাপার। অনেক কে দেখিছি রাতের পর রাত জেগে থেকে মাছ শিকার না করে চলে আসে। তারপরও তাদের মধ্যে হতাশা দেখি নাই কখনো। ঠিকই আবার পরের দিন চলে যেত মাছ শিকার করার জন্য।বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু খুবই চমৎকার সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনাকে যে আপনার অতীতের কথা মনে করে দিতে পেরেছি এটাই বা কম কিসে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মৎস্য শিকারের অনুভূতির কথা গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো আর মৎস্য শিকারের যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন সেই প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর করে তুলেছেন। সবকটি ফটোগ্রাফি আমার অনেক ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ ভাই আপনার মৎস্য শিকারের অনুভূতির কথা গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর করে প্রশংসা করার জন্য।
বাহ বুড়িগঙ্গা নদীতে মৎস্য শিকার করেছেন। এর সাথে বুড়িগঙ্গার কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে বসুন্ধরা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রি করে উঠেছে যা আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তবে এটি বেশ স্বতারজনক চেয়ে আপনি চার ঘন্টা সময় অতিবাহিত করার পরেও একটি মাছ ধরা দিল না। তবুও আপনার ধৈর্য পরীক্ষা দেখে আমি অবাক হয়েছি।
আপনার মক্তব্য শুনে বুঝতে পারছি আপনি পুরো পোস্ট খুব সুন্দর করে পড়েছেন। আসলে ধৈর্য না ধরলে কোন কিছুই হয় না। আপনার জন্য রইল সীমাহীন ভালোবাসা।
আপনার মত মৎস শিকার আমার খুব পছন্দ। এটা আপনি ঠিক বলেছেন মৎস্য শিকার করতে অনেক সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। যাদের ধৈর্য নেই তারা কিন্তু বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারে না। অল্প কতক্ষনেই বিরক্ত হয়ে উঠে যায়। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু খুব সুন্দর হয়েছে।
জি আপনি একদম ঠিক বলেছেন ধৈর্য না ধরলে বড়শি দিয়ে মাছ ধরা অসম্ভব ব্যাপার।
আসলে ভাই বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে খুবই ভালো লাগে। আমরা ছোটবেলা বড়শি নদীর মাছ ধরতে যেতাম। তখন অবশ্য অনেক মাছ বড়শিতে ধরাছি। আজকে আপনি দীর্ঘ চার ঘণ্টা বড়শি দিয়ে মাছ ধরার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় একটু ধরতে পারেন না। আগামীতে অবশ্যই মাছ ধরা পরবে।
জি অবশ্যই, কথায় আছে না আসার বাঁচে চাষা।
হেলায় হেলায় গড়িয়ে যায়
রবিউল ভাইয়ের বেলা,,
নিয়ে এসেছে আজকে ভাইয়া
মৎস্য শিকারের মেলা।
টং এর উপর বসে তিনি
শিকার করবেন মাছ,,
কচুরিপানা সরিয়ে তাই
শুরু করলেন কাজ।
দীর্ঘ চার ঘন্টা অতিক্রম করেও
মাছের দেখা নাই,,,
রবিউল ভাইয়ের হতাশা দেখে
ভীষণ মজা পাই।।।
হা হা হা,,,,
হতাশা নিয়ে মজা করো না এখন বোন
মাছ না নিয়ে বাসায় গেলে খাবে কি এখন
আজ পাইনি কালকে পাবো ধরবো আমি ঠিক
বড়শি দিয়ে মাছ ধরা এটাই ধৈর্য পরীক্ষার দিক।
Hi, @robiull,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @gorllara.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP