দীপাবলি - আলোর উৎসব : পর্ব ০১
দীপাবলি হলো আলোর উৎসব । দীপাবলি হলো আমাদের মনের অন্ধকার দূর করে আলোকিত করার উৎসব । দীপাবলি হলো সমাজের যত অন্যায়, অবিচার, পাপ দূর করে সমাজকে সত্যের আলোয় উদ্ভাসিত করার উৎসব ।
এবছর আমাদের দীপাবলি পড়েছিল আমার ভাইয়ের বিয়ের মাত্র ৬ দিন পূর্বে । তাই, এবারের দীপাবলি উৎসব একটু ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছি । প্রত্যেক বছর দীপাবলিতে আমরা দারুন এনজয় করি । আলো দিয়ে ঘর সাজানো, মোমবাতি দিয়ে সারা ঘর আলোকিত করা, প্রদীপ জ্বালানো আর সর্বোপরি ছাদে বাজি পোড়ানো । সব শেষে গভীর রাতে বাইকে করে সারা শহরময় ঘুরে বেড়ানো, মাঝরাতে মেলায় ঘুরে বেড়ানো আর খাবার খাওয়া ইত্যাদি ।
এবছরও সব কিছুই করেছি তবে, বিয়ের কেনাকাটা আর ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই সব সারতে হয়েছে । আমাজন থেকে কিছু ক্যান্ডেল আর মাটির প্রদীপ অর্ডার করেছিলাম । এরপরে সন্ধ্যাবেলায় বাজি কারখানা থেকে বেশ কিছু বাজি কিনে নিয়ে এলুম । বাড়ি ফিরেই দেখলাম বাড়িঘর প্রদীপ আর মোমবাতি জ্বেলে খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে । সেই সাথে পুরো বাড়ি ইলেক্ট্রনিক টুনি বাল্ব আর কিছু লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে । আমরাও হাত লাগালাম প্রদীপ আর মোমবাতি জ্বালানোর কাজে ।
সারা ঘর সাজানোর পরে সবাই মিলে ছাদে গিয়ে আতশবাজি পোড়ানো শুরু করলাম । টিনটিন বিশাল মজা পেয়েছিলো বাজি পোড়ানো দেখে । প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে একটানা বাজি পুড়িয়ে আমরা অবশেষে ক্ষান্ত দিলাম । এরপরে পেট পুরে ভাত খেয়ে রেডি হতে লাগলাম আমাদের নৈশ অভিযানের জন্য ।
আমাদের বাড়ির পাশের শপিং মলে দীপাবলির উৎসব ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৫ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
আমাদের বাড়ির ছাদে ওঠার সিঁড়িঘরে প্রদীপ আর মোমবাতি জ্বেলে সাজানো হয়েছে ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সিঁড়িঘর এইভাবেই মোমবাতি জ্বেলে আলোকিত করা হয়েছিল ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ঘরের মধ্যেও এভাবে প্রদীপ জ্বালিয়ে সাজানো হয়েছিল ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩
টাস্ক ৪৫২ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 81f768b84ea7aacd2cce56fe55fa3ea9d618eca796999bb614163714568b693b
টাস্ক ৪৫২ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![steempro....gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaoDovSRKJkSYdayf9pPFaVyMVKjTHykerWDLSbMDi99e/20230809_130323.gif)
রূপকথা আমরা ছোটবেলায় সবাই শুনে শুনে বড় হয়েছি । রূপকথা শুনতে কে না ভালোবাসে ? কল্পনার রঙিন জগতে ভেসে বেড়াতে কোন ছেলের না মন চাইতো ? রাজপুত্র, রাজকন্যার পাশাপাশি রূপকথায় থাকতো কত শত অদ্ভুত প্রাণী - বেঙ্গমা-বেঙ্গমী, রাক্ষস-খোক্কস, দৈত্য-দানব, পক্ষীরাজ আরো কত আজব সব জীব । এসব কাল্পনিক রূপকথার প্রাণীদের নিয়েই আমার আজকের আয়োজন । APENFT তে আমি একটা আলাদা গ্যালারি খুলেছি শুধু এই রূপকথার প্রাণীদের NFT করবো এই কথা ভেবে ।
গ্যালারির নাম দিয়েছি Fairy Creatures । এই মুহূর্তে গ্যালারিতে মোট ৬টি NFT আর্ট আছে । সবগুলোই রূপকথার রহস্যময় প্রাণীদের নিয়ে । তার মধ্যে থেকে দুটি NFT আর্ট আমি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
Fairy Creatures (Rare)
a very rare cute baby unicorn
A cute baby unicorn is dancing in moonlit night
ছোট বেলায় কতো এই ইউনিকর্ণ নিয়ে ভাবতাম।কল্পনাকে বাস্তবে দেখতে পাওয়াটা বিশাল আনন্দের।
এই গ্যালারির আটটি আর্ট সবগুলোই খুব চমৎকার হয়েছে। আমার কাছে গ্রাফিক্স কোয়ালিটি অসাধারণ লেগেছে যেটা একেবারে প্রফেশনাল লেভেলের। আপনি আর্টের কাজ অনেক ভালো করতে পারেন দাদা যদিও আমি তেমন বুঝি না তারপরও আমার কাছে দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
Khub sundor dada.
ইউনিকর্ন একটি কাল্পনিক পশু। ছোটবেলা থেকেই অনেক গল্পে, অনেক চিত্রে ইউনিকর্ন দেখেছিলাম। আজকের আপনার NFT অসাধারণ হয়েছে দাদা।
জাস্ট অসম্ভব অসম্ভব সুন্দর, আপনার প্রশংসা করতেই হয়। আমি মনে হইনা কখনো চেস্টা করলে ও এতো সুন্দর nft করতে পারবো। ইউনিকর্ন গেইম খেলেছি অনেক ফোনে আজ মনে পরে গেল।
দীপাবলি এমনই হওয়া উচিত। মোমবাতি এবং প্রদীপের আলোতে ঘর আলোকিত করা সাথে অনেক অনেক বাজি পোড়ানো। এতো ব্যস্ততার মাঝেও তোমরা সময় বের করে দীপাবলি পালন করলে সেটা খুবই ভাল লাগলো।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
বেশ সুন্দর ছিলো সিঁড়িঘরের দৃশ্যটা। টানা দেড় ঘন্টা মানে অনেক বাজি পুড়িয়েছিলেন সেদিন। এই বাজি পুড়ানোটা আমার কাছে দারুণ লাগে। ছোট বেলায় বেশ ইনজয় করতাম এই দৃশ্যগুলো। অনেক ধন্যবাদ
বাজি পোড়ানো দেখতে খুব সুন্দর লাগে। আগে শবে বরাতের সময় অনেক বাজি পোড়াতাম। যাইহোক চারিদিকে তো দেখছি শুধু আলো আর আলো। সিড়িটা মোমবাতি দিয়ে আসলেই খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে। তাছাড়া প্রদীপ জ্বালানো দৃশ্য গুলো দেখতে ও দারুণ লাগছে। সবমিলিয়ে ভীষণ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। টিনটিন বাবু বাজি পোড়ানোর সময় ভীষণ আনন্দ পেয়েছিল,জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চারদিকে আলোর ছড়াছড়ি, দারুন লাগছে বিশেষ করে ঘরের মধ্যে যে দীপাবলি গুলো জ্বালানো হয়েছে এবং সিডি ঘরের মধ্যে সাজানো হয়েছে অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। একটু ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন তবুও বেশ ভালোই ইনজয় করেছেন বোঝা যাচ্ছে।
ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর দীপাবলি কাটিয়েছেন। সত্যি মোমবাতি দিয়ে সিঁড়িটা চমৎকার হয়েছে সাজানো। আর বাজিগুলো পুড়ানো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আসলে বাজি পুড়ানো দেখে বাচ্চারা অনেক আনন্দ পায়।ধন্যবাদ দাদা।
দীপাবলি উৎসবের আলোকসজ্জাটা আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। পুরো বাড়ি আলোতে ঝলমল করে ওঠে। আমাদের এদিকেও দেখি কিছু কিছু বাড়িতে প্রচুর আলোকসজ্জা করা হয়। সময়টা আপনারা ভালই কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। আর বাজি পোড়ানো বাচ্চার সবসময়ই খুব উপভোগ করে। আপনাদের সবার ভেতর হয়তো টিনটিন সবচাইতে বেশি মজা পেয়েছে। ধন্যবাদ দাদা এই চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাজি পোড়াতে সবারই ভালো লাগে। টিনটিন তো বাচ্চা, ওর তো মনের মধ্যে আরো বেশি করে লাড্ডু ফুটছিলো। হিহি, আমিও ছোটবেলায় অনেক বাজি পুড়িয়েছিলাম এবং এখনো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুড়ানো হয়। অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে।
হ্যাঁ দাদা দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব ৷ চারদিকে সেদিন শুধু আলো আর আলোয় আলোকিত হয় চারপাশ ৷ এই আলো আমাদের মনের অন্ধকার দূর করে ৷ যাই হোক , দীপাবলির পূর্বে ছোট দাদার বিয়ে সেজন্য ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করেছেন ৷ এরপরও দীপাবলি উৎসব ব্যস্ততার মাঝেও নিজের মতো করেই উদযাপন করা চেষ্টা করেছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ সেদিন অবশ্য কালীপুজো আর দীপাবলি এক সাথে উদযাপন করেছি আমরা ৷ যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা , আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ৷