বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ভ্রমণ ও শপিং অভিজ্ঞতা
গতকাল আমরা ঢাকায় দু'জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলুম । এক. বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়াম আর দুই. বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স । মিউজিয়ামে পৌঁছতে আমাদের বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিলো । কাল দুপুরের দিকে অনাকাঙ্খিত জ্যামে আমাদের প্রায় এক ঘন্টা লস্ট হলো রাস্তায় । যখন পৌঁছলাম শাহবাগে তখন ঘড়িতে দুপুর দুটো বেজে পঁয়তাল্লিশ । বিকেল সাড়ে চারটায় বন্ধ হয়ে যায় মিউজিয়াম শুনে খুব দ্রুত টিকেট কেটে ঢুকলাম আমরা ভেতরে ।
গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটা আর্ট গ্যালারি ছিল । অনেকটা সময় নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে এই চিত্রপ্রদর্শনীর সবগুলো আর্ট দেখলাম ও ফোটো তুললাম । এরপরে দ্বিতীয় তলা পরিভ্রমণ করলাম । প্রায় ৫০০ ছবি তুলেছি মিউজিয়ামের ভেতর । আস্তে আস্তে সেগুলো সব শেয়ার করবো আপনাদের সাথে । আজকে শুধু বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স -এ শপিং এক্সপেরিয়েন্স আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
মিউজিয়াম থেকে বের হলাম কাঁটায় কাঁটায় ঠিক বিকেল ৪ টা ৩০ এ । এরপরে সোজা বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স । যেতে বেশিক্ষণ লাগলো না । পাঁচটার দিকে পৌঁছলাম মলে । বিশাল বড় একটা শপিং মল । আমাদের কলকাতায় এত বড় শপিং মল নেই । যথেষ্ঠ ভিড় ছিল এদিন শপিং মলে । আমাদের কলকাতার সিটি সেন্টার, সাউথ সিটি মল, ষ্টার মলের দু'গুণ বড়ো বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ।
গ্রাউন্ড ফ্লোরে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ফটো তুললাম । এরপরে শুরু হলো আমাদের শপিং পর্ব । জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক কম থাকায় এদিন মনের সুখে কেনাকাটা করলো তনুজা । একটা সময় আমার ক্যাশ টাকা কম পড়ে গেলো । ভাগ্য ভালো আমার মোবাইলে নেট স্পিড এদিন বেশ ভালোই ছিল । আমার সিঙ্গাপুরিয়ান একটা ব্যাঙ্ক একাউন্টের ডেবিট কার্ড নিয়ে গিয়েছিলাম সাথে করে । তাই দ্রুত আমার একাউন্ট-এ লগইন করে ডেবিট কার্ডটা বাংলাদেশে POS এর জন্য এনাবেল করে দিলাম । যাক এবার নিশ্চিন্ত মনে কেনাকাটা করে কার্ড দিয়েই বিল দিলাম ।
বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স এর ভেতরে
দোকানদারদের আন্তরিক ব্যবহারে আমরা এদিন মুগ্ধ হয়েছিলাম । গ্রাউন্ড ফ্লোর, এক তলা, দো'তলা, তিন তলা অব্দি কেনাকাটা করতে করতে উঠতে লাগলাম । একটা সময় আমাদের হাতে ব্যাগ রাখার আর জায়গা ছিল না । এর মধ্যে টিনটিন বাবু সুর করে করে বলতে লাগলো "খেতে যাবো, বার্গার খাবো, কেপি (KFC) খাবো, পিজা (Pizza) খাবো" । বাধ্য হয়ে কেনাকাটায় ইতি দিয়ে আমরা একদম টপ ফ্লোরে চলে গেলাম ।
তনুজা ও টিনটিন অবাক হয়ে দেখছে
পুরো টপ ফ্লোর জুড়েই অসংখ্য ফুড কোর্ট । অসম্ভব ক্রাউডেড ছিল এ জায়গাটা । খুঁজতে খুঁজতে একটা ফাঁকা দোকান দেখে বসে পড়লাম টেবলে । মেনু দেখে খাবার অর্ডার করে wait করতে থাকলাম । ও মা ! পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরেও খাবারের কোনো নাম গন্ধ নেই । বাধ্য হয়েই উঠে গিয়ে বললাম টাকা ফেরত দিন, খাবো না । বলার সঙ্গে সঙ্গেই খাবার দিয়ে দিলো । এরই নাম ঢাকা শহর । খাবারের মান মোটামুটি ছিল । আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম ফাইভ স্টারে ছাড়া আর বাইরে খাবই না । খাবারের মানের সাথে দাম তুলনা করলে মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছে করে ।
অবশেষে খেয়ে দেয়ে এসে গাড়িতে উঠে বান্দরের মতো মুখ করে বসে থাকলাম । অসম্ভব ভীড় আর জ্যাম । যেটা খুবই স্বাভাবিক ঢাকা শহরে ।
একটা কৃত্রিম খেঁজুর গাছের সামনে তনুজার ফটো
May your journey be auspicious. All the pictures are very lovely beautiful. In which you have to take care of yourself and enjoy traveling. Thank for sharing
তাহলে এবার থেকে দেরি করলেই টাকা ফেরত চাইবো,এইটা তো জানা ছিলো না দাদা।🤪বৌদিকে শাড়িটাতে খুব বেশি সুন্দর লাগছে সাথে টিনটিন বাবুকেও।আমার ও ইচ্ছা আছে এই শপিং মলটাতে যাওয়ার দাদা।
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পুরো পোস্টটা পড়ে একদম মন থেকেই অনেক খুশি হয়েছি দাদা,এতো সুন্দরভাবে কথাগুলো বলেছেন যা এমনিতেই মনে জায়গা করে নেবে।
সময় পেলে যমুনা ফিউচার পার্কের দিকে যেতে পারেন,আরো বেশি ভালো লাগবে,আমি গ্যারান্টি।
মিউজিয়ামের ভেতর তো খুব সম্ভবত ছবি তোলা নিষেধ!তাও ৫০০ ছবি তুলেছেন।দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
সত্যি বলছি দাদা আপনার আজকের পোস্টটি পরে কতক্ষন খিল খিল করে হাসলাম। গাড়িতে উঠে বানরের মতো করে মুখ করে রাখলেন😃😃😃 । রাখবেন নাই বা কেন? বসুন্ধরায় তো কাপড়ের দামের তুলনায় খাবারের দাম বেশি। আর যে পরিমাণ ভিড় লেগে থাকে। খাবার অর্ডার দিলে তো রাত্রি পার হয়ে যাওয়ার কথা। যাক তবুও কম দামে অনেক শপিং করতে পারলেন এটাই ধন্য। অপেক্ষায় রইলাম মিউজিয়ামের ছবিগুলো দেখার।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
ঢাকা শহরের অপর নাম জ্যামের শহর। আসলে ঢাকার জ্যামে একদিন বসে থাকলে আর দ্বিতীয়বার যেতে ইচ্ছে করে না। তবে যাই হোক এবারের শপিং তাহলে ভালই হয়েছে। আমাদের মিষ্টি টিনটিন বাবা এবং বৌদিকে দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। বাংলাদেশে ভ্রমণ অনেক আনন্দের হোক এই প্রত্যাশাই করি।
আমার ভার্সিটি বসুন্ধারা সিটির পাশেই। প্রায়ই যাওয়া হয় প্রয়োজনীয় জিনিশপত্র কিনতে এবং মাঝে মধ্যে ঘুরতেও যাই। টিনটিন বাবু কি দেখছিলো অবাক হয়ে দাদা? মিউজিয়াম এর ছবি গুলো দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
দাদা, গত দুদিন আগে ও বসুন্ধরা সিটিতে গিয়েছিলাম। কেন যে আপনার সাথে দেখা হলো না! হাহাহা.... শাহবাগ থেকে বসুন্ধরা সিটি খুব বেশি দূরে নয় খুব পাশাপাশি অবস্থিত। আমার বাসা থেকে বসুন্ধরা সিটি খুব বেশি একটা দূরে নয়। তাই মন খারাপ থাকলে সেখানে গিয়ে বসে থাকি, বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেই। তবে দাদা সেখানকার খাবারের মান গুলো আমার ভালো লাগে না। এছাড়া খাবার দিতে অনেকটাই লেট করে। যে পরিমাণের দাম নেয়, সেই পরিমাণ খাবারের মান তারা পরিবেশন করতে পারেনা। তাই আমি সেখানে খাওয়া-দাওয়া খুব একটা করি না। তবে বিভিন্ন ধরনের নতুন মুভি আসলে সেখানে গিয়ে দেখা হয়। অনেক চমৎকার পোস্ট করেছেন দাদা।