আমার অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ বিষয়ক আপডেট -০৬
সিকিম ভ্রমণের আজ আমাদের চতুর্থ এবং শেষ দিন । প্রথমে আমাদের প্ল্যান ছিল পুরো নর্থ সিকিম ঘুরবো । কিন্তু, নাথুলা পাসে গিয়ে অক্সিজেনের অভাবে টিনটিন ও তনুজার অসুস্থ হয়ে পড়াতে সে পরিকল্পনায় জল ঢেলে সাউথ সিকিম ঘোরার প্ল্যান করলাম । এখানে উচ্চতা বেশ কম । নর্থ সিকিম হলো উচ্চতায় সর্বাধিক, প্রায় ১৮,০০০ ফিট । বছরের বারো মাস সেখানে তুষারপাত হয় । ভেবেছিলাম বরফের মধ্যে গড়াগড়ি খাবো এবার সিকিম গিয়ে । বাট, টিনটিন আর তনুজা এখনও ফিট নয় নর্থ সিকিম ভ্রমণে । তাই সাউথ সিকিম ভ্রমণ ।
সাউথ সিকিমটা গ্যাংটক থেকে বেশ অনেকটাই দূরে । আমাদের টার্গেট ছিল টেমি টিগার্ডেন, রাবাংলা বৌদ্ধ মঠ এবং চারধাম ভ্রমণ করা । কিন্তু, টেমি টিগার্ডেন যেতেই দুপুর দেড়টা বেজে গেলো । সেখান থেকে রাবাংলা যেতে আরো দুই ঘন্টা । ফলে, এ যাত্রায় আমাদের চারধাম অধরাই রয়ে গেলো । তবে, রাবাংলা দেখে মন প্রাণ দুটোই ভরে গিয়েছিলো ।
আজকে শুধু টেমি টিগার্ডেন ভ্রমণের ফোটো শেয়ার করবো । অনেকটা সময় আমরা Temi Tea Estate এ কাটিয়েছিলাম । নয়ন মনোহর চা বাগান এটি । রোডোডেনড্রন আর চেরী ব্লোসমস ফুটে আছে রাস্তার এক ধরে যেদিকে খাদ । আর রয়েছে দিগন্তবিস্তৃত পাহাড়ের ঢালে ঢালে চা বাগান ।
চা বাগানের ভেতর ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত ভাবে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরার পরে আমরা নিচে নেমে কোম্পানির কাছ থেকে ডিরেক্ট বেশ কয়েক প্যাকেট চা পাতা কিনে নিলাম । এরপরে রোদের মধ্যে ছাতার নিচে বসে সোনালী রঙের দুধ চিনি ছাড়া টেমি টী গার্ডেনের চা পান করে মনটা ফ্রেশ করে রওনা দিলাম রাবাংলার উদ্দেশ্যে ।
পাহাড়ের ঢালে ফুটে থাকা অপূর্ব সুন্দর চেরী ব্লোসমস । আমার কাছে এই ফুল লাগে দেখতে ।
তারিখ : ১৬ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ০১ টা ৩০ মিনিট
স্থান : রাবাংলা, সিকিম, ভারত ।
টেমি টী গার্ডেন । অপূর্ব সুন্দর এই টী স্টেটের মালিক কিন্তু সিকিম গভর্নমেন্ট । ১৯৬৯ সালে এই চা বাগানটি গড়ে তোলা হয় । ১৯৯৪ এবং ১৯৯৫ সালে পরপর দু'বার All India Quality Award পুরস্কার জিতেছে টেমি টি ।
তারিখ : ১৬ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ০১ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : রাবাংলা, সিকিম, ভারত ।
I 💓TEMI র সামনে টিনটিন ও তনুজার কিছু ফোটোগ্রাফ ।
তারিখ : ১৬ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ০১ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : রাবাংলা, সিকিম, ভারত ।
চা বাগানের মধ্যে আমরা ।
তারিখ : ১৬ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ০১ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : রাবাংলা, সিকিম, ভারত ।
টেমি টী গার্ডেনকে পেছনে ফেলে আমরা রওনা দিলাম রাবাংলা বৌদ্ধ বিহারের উদ্দেশ্যে ।
তারিখ : ১৬ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ০২ টা ০০ মিনিট
স্থান : রাবাংলা, সিকিম, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
RME, Thank You for sharing Your insights...AND photographs.
চেরি ব্লোসমস গাছগুলো দেখতে সত্যিই দারুণ লাগছে।দেখতে অনেকটা বাইরের কান্ট্রির যে টুরিস্ট স্পটগুলো থাকে বসন্তের সময় ঠিক তেমন লাগছে।আর টিনটিন আর বৌদিকে নিয়ে পরে আবার যাইয়েন সিকিম।আপাতত টিনটিন খুব ছোট।
Congratulations!
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
সত্যি অপূর্ব সুন্দর চেরি গাছ! টিনটিন সোনাকে অনেক কিউট লাগছে। আর জায়গার কথা কি বলব এমন সুন্দর জায়গায় কার না ঘুরতে মন চায়? তবে শেষের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে, অনেক সুন্দর রাস্তা। পাশ দিয়ে সুন্দর সুন্দর গাছপালা এবং দূরে নীল রঙের পাহাড় দেখা যাচ্ছে।
তবে অনেক কষ্ট লেগেছে জেনে বরফের মধ্যে গড়াগড়ি খেতে পারলেন না।
Thank You for sharing...
দাদা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনার ভ্রমণের অনেক কিছু আমরা জানতে পারছি। এজন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ দাদা। চা বাগানের মধ্যে টিনটিন বাবু কি অনেক সুন্দর লাগছে।
দাদা এটা তো বেশ বড় চা বাগান দেখতেছি।চা বাগানের ভিতরে বৌদি আর টিন টিন বাবুকে বেশ ভালো দেখাচ্ছে।অক্সিজেনের অভাবে বৌদি আর টিন টিন বাবু অসুস্থ হওয়াই ভালো করে ঘুরতে পারলেন না শুনে খারাপ লাগলো।তবে আশা করি টিন টিন বাবু আরেকটু বড় হলে বেশ ভালোভাবে ঘুরতে পারবেন।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মন জুড়িয়ে গেল।ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা আমার মনে হয় এই সফরে আপনাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি টিনটিন বাবুর অনেক ভালো একটি অভিজ্ঞতা হলো। তবে একটু খারাপ লাগলো বৌদি এবং বাবু অক্সিজেনের অভাবে কিছুটা অসুস্থ হয়েছিল জেনে। মনে হয় নর্থ সিকিম না গিয়ে খুব ভালোই করেছেন। ১৮০০০ ফুট উচু সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভাবতেই আমার ভয় লাগছে। টেমি টি গার্ডেনের ফটোগ্রাফি গুলো খুব চমৎকার ছিল। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে টেমি টি গার্ডেন কে পেছনে ফেলে রাবাংলা বৌদ্ধ বিহারের দিকে যাওয়ার সময় যে ফটোগ্রাফিটা করেছেন। বিশ্বাস করেন দাদা চোখ সরাতে পারছি না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank You for sharing...
প্রথমেই টিনটিন বাবুর ও বৌদির জন্য সুস্থতা কামনা করছি ভাই। তাছাড়াও চা বাগানের সৌন্দর্য জাস্ট নয়নাভিরাম। প্রতিটি পর্ব দেখছি আর মুগ্ধ হচ্ছি। প্রকৃতি আসলেই অনেক সুন্দর। যা আমার এখনো সচক্ষে দেখার বাকি।
চেরি গাছের সৌন্দর্য সত্যি অপুর্ব। টেমি চা বাগান অনেক বড় মনে হলো।টিনটিন বাবু আর দিদি ভাই অসুস্থ হয়েছে জেনে খারাপ লাগলো। আসলে ঘুরতে গিয়ে অসুস্থ হলে সব আনন্দ ই ফিকে হয়ে যায়, টেনস থাকতে হয়।সবাইকে খুব সুন্দর লাগছে।🥰😍 দোয়া করি সুস্থ থেকে সবাই সুন্দর মত ঘুরে আসবেন।অনেক শুভকামনা রইল দাদা। 💞💞💞💞💞 সবগুলো ফটোগ্রাফি সত্যিই অসাধারণ হয়েছে।
Thank You for sharing...
বাহ্ চেরী ব্লসমের ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে দাদা। আর টিনটিন এত গম্ভীর হয়ে আছে কেনো? ও কী ভীষণ লাজুক নাকি দাদা? আর বৌদি তো একেবারে হার্টে হ্যালান দিয়ে দারুণ পোজে ছবি তুলেছে। খুব ভালো লাগলো সকলকে।