ঢাকায় ব্যুফে খাওয়ার অভিজ্ঞতা
গতকাল রাতে গিয়েছিলাম ঢাকার এক বুফে রেস্তোরাঁয় । এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো বুফে রেস্তোরাঁতে খেলাম । সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ি থেকে বেরোলাম । বাট, গন্তব্যে পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গেলো । কারণ রাস্তায় বেশ জ্যাম ছিল ।
এই বুফে রেস্তোরাঁটি ডেকোরেশনের দিক থেকে দারুন, কিন্তু খাবারের স্বাদ ও মানের দিক থেকে এভারেজ । খাবারের পদের সংখ্যার দিক থেকেও বেশ কমই ছিল । আরেকটা ব্যাপার হলো খাবার পাত্র রিফিল রেট খুবই স্লো । প্রায়ই আমাদের শূন্য প্লেট নিয়ে wait করতে হচ্ছিলো । তবে, রেস্তোরাঁর কর্মচারীদের ব্যবহার খুবই আন্তরিক ছিল । এদেশের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ ।
অসম্ভব ক্রাউডেড ছিল রেস্তোরাঁটি । এই জন্যই মনে হয় খাবার খুবই দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছিলো । রেস্তোরাঁর একজন কর্মচারীকে ডেকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললাম । মানুষ পে করবে অথচ খেতে পারবে না, এ কেমন কথা ? খাবার কই ? দেখলাম এই কথায় বেশ কাজ হলো । ঘন ঘন ফুড বৌল এবং ট্ৰে গুলো রিফিল হতে থাকলো ।
মোট খাবারের পদের সংখ্যা ছিল আনুমানিক মেইন কোর্স ২০, স্ন্যাক্স ১০, স্যুপ ২, জুস্ ২, ডেজার্ট ৪ । উল্লেখযোগ্য আইটেমগুলো হলো পোলাও, মাটন বিরিয়ানি, চিকেন পোলাও, কাঁকড়া কষা, চিকেন রোস্ট, চিকেন ফ্রায়েড রাইস, চায়নিজ ভেজিটেবল, চিকেন ভেজিটেবল, চিকেন ফ্রাই, ক্রিস্পি চিকেন, অন্থন, চিকেন স্যুপ ।
আমি খুবই কম খেয়েছিলাম । ১ প্লেট চায়নিজ ভেজিটেবল ও ২ প্লেট চিকেন ভেজিটেবল, ১ বাটি চিকেন স্যুপ, ৪ টে অন্থন, ২ পিচ্ কাঁকড়া আর ১ পিস্ চিকেন ফ্রাই । শেষ পাতে এক বাটি গ্রীন স্যালাড আর ফ্রুটস ।
ওভারঅল বলবো ভালোই লেগেছে এই বুফে রেস্তোরাঁটি ।
এতো টাকা খরচ করে খাবারের খালি প্লেট নিয়ে বসে থাকা সত্যিই খারাপ লাগার কথা। যাক আপনার ধমক খেয়ে খাবারের পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা। দাদা দেখছি খুব বেশি খেতে পারলেন না। সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে আপনার এটাই বড় বিষয়।
এবার তো আসলেই কম খেলেন মনে হচ্ছে দাদা!অন্যান্য দিন তো আরো বেশি লম্বা থাকে খাবার এর লিস্ট।আসলে বুফের খাবার বেশিরভাগ এভারেজ ই থাকে।
খাবার শেষ হয়ে গেলে খালি প্লেট নিয়ে বসে থাকলে কেমন লাগে! কর্মচারীদের নজরে থাকেনা বিষয়গুলো! তবে বেশ বড়সর বোফেঁ রেস্তোরা ছিল বুঝা যাচ্ছে! কর্মচারীদের আন্তরিক ব্যবহার এটা জেনে ভালো লাগলো অবশ্য! বড় বড় রেস্টুরেন্ট গুলাতে কর্মচারীরা বলতে গেলে দাদা ভালই আন্তরিক হয়! খাবারের মোটামোটি ভালোই মনে হচ্ছে!
১ প্লেট চায়নিজ ভেজিটেবল ও ২ প্লেট চিকেন ভেজিটেবল, ১ বাটি চিকেন স্যুপ, ৪ টে অন্থন, ২ পিচ্ কাঁকড়া আর ১ পিস্ চিকেন ফ্রাই আর শেষ পাতে এক বাটি গ্রীন স্যালাড আর ফ্রুটস, তাও আবার খুব কম - হা হা হা। ঢাকা শহরে জ্যামের যে অবস্থা দাদা। তাও ভালো যে আপনি এদেশের আতিথিয়তায় মুগ্ধ। ও আর একটি কথা দাদা এদেশে কিন্তু আদরের কাজ না ধমকে কাজ হয়।
হুম দাদা, আপনি যে সব সময়ই কম খান সেটা কিন্তু আমরা জানি, আর এই কারনেই তো আপনি এতো স্মার্ট। আসলে সব খারাপের মাঝেও কিছু ভালো লুকিয়ে থাকে, আর হয়তো সেই ভালো ব্যবহারের কারনেই আপনি জ্যামসহ অন্যান্য কষ্টগুলো নিমিষেই ভুলে যান। ধন্যবাদ
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
দাদা প্রথমে ঢাকা শহরের জ্যামের অবস্থা জানান দিলেন। বুফে রেস্তোরাঁয় যেতে আপনার সময় লেগেছিল প্রায় দেড় ঘন্টা। আয়তনের তুলনায় মানুষ আর গাড়ি বেশি হলে যা হয় আরকি। যায়হোক রেস্তোরাঁটির ডেকোরেশন সত্যিই অনেক সুন্দর। খাবারের মান যেমনই হোক আপনি তাদের ব্যবহারে সন্তুষ্ট। ধন্যবাদ দাদা।
ঢাকা শহরে খুব জ্যাম।আমি ঢাকা আসি মাঝে মাঝে খুব জ্যাম পড়ে । বিশেষ করে শুক্রবার ঢাকাতে বেশি জ্যাম পড়ে।
দাদা আপনাকে বুঝতে পেরেছেন ঢাকা শহর হল জ্যামের শহর। এখানে যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী। যাইহোক খাবার উদ্দেশ্যে প্রায় আপনি দেড় ঘন্টা পরে ব্যুফে পৌঁছেছেন।যাক আমাদের দেশের আন্তরিকতা আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনারা বেশ মজার মজার খাবার খেয়েছেন। খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদ।বড় রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা অনেক আন্তরিকতা দেখায়।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community