ফোটোগ্রাফি : গ্রাম বাংলার এক অপরূপ সৌন্দর্য্য "মাছের ভেড়ি"
অদ্য রজনীই আমার শেষ রজনী বাংলাদেশে । আগামীকাল ভোরেই বাংলাদেশ ত্যাগ করছি । একটা মিশ্র অনুভূতি নিয়েই বাংলাদেশ ছাড়ছি আমি । কিছুটা ভালো লাগা, কিছুটা হতাশা মিশে আছে আমার এই বাংলাদেশ সফরে । আজকে গ্রামে ঘুরতে গিয়ে একটা ছোট্ট নদীর ধারে কিছুটা সময় কাটিয়ে এলাম । বেশ দারুন লাগলো । সময়টা অসম্ভব ভালো কেটেছে আমার ।
মেঠো রাস্তা । রাস্তার দু'ধারে অসংখ্য মাছের ভেড়ি । মূলত চিংড়ি আর কাঁকড়া চাষ করা হয়ে থাকে এই সব মাছের ভেড়িতে । তবে কাঁকড়া-চিংড়ির পাশাপাশি রুই, কাতলা, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, পার্শে, টেংরা, ভেটকি প্রভৃতি মাছের চাষও হয়ে থাকে । প্রত্যেক ভেড়িতে একটা করে টং ঘর আছে । এগুলো আসলে পাহারা চৌকি । রাতের বেলা এই সব টং ঘরে পাহারাদার থাকে ।
মাছের ভেড়ি অঞ্চলে চুরির খুবই চাপ আছে । তাই রাতের বেলা রাত জেগে এই সব টং ঘরে পাহারাদাররা ভেড়ি পাহারা দেয় । ভালোই লাগছিলো বেশ ঘুরতে এই সব মাছের ভেড়ি অঞ্চলে । রাস্তাটি ধরে মাইল খানেক গেলেই একটা ছোট্ট নদী পড়ে । নদী না বলে তাকে খাল বলাই অধিকতর সঙ্গত । একদমই ছোট্ট ।
স্রোত নেই বললেই চলে । নদীর দুই তীরেই জন্মেছে গেওয়া, হরগোজা, কেওড়া, গোলপাতা প্রভৃতি উদ্ভিদ । নদীর তীরের কাদায় অনেক গুলো কেওড়া গাছের শ্বাসমূল লক্ষ্য করলাম । এগুলোকে স্থানীয় ভাষায় বলে শুলো বন । সন্ধ্যে অবধি এই ছোট্ট নদীর পাড়ে সময়টা কাটিয়ে অবশেষে অস্তগামী সূর্য্যের লাল আভাতে আলোকিত গ্রাম্য মেঠো রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরে এলুম ।
পশ্চিম আকাশে অস্তগামী রাঙা সূর্যের শেষ রশ্মিচ্ছটা মাছের ভেড়ির অনুচ্চ ঢেউয়ের মাথায় পড়ে ঝিকমিক করছে ।
তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
যেদিকে তাকাই শুধু জল আর জল । মাছের ভেড়ি অগুনতি ।
তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ১৫ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
অগুনতি মাছের ভেড়ির বুক চিরে গ্রামের মেঠো রাস্তা ।
তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
সুন্দরবন অঞ্চলের খুবই কমন উদ্ভিদ গেওয়া ।
তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
মাছের ভেড়ি পাহারা দেওয়ার টং ঘর ।
তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
মাছের ভেড়ির জলে অস্তগামী সূর্যের রশ্মি ।
তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৫ টা ১০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
ছোট্ট নদী ও নদীর তীরে জন্মানো গোলপাতার ঝাড় ।
তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৫ টা ১০ মিনিট
স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
দাদা আপনার শেয়ার করা গ্রাম্য বাংলার প্রকৃতি দৃশ্য গুলো দেখে খুব ভালো লাগছে।ছোটবেলা থেকে এরকম মাছ ধরার টংগুলোর দৃশ্য দেখা হয়নি।তবে আপনি সুন্দরবনের কাছাকাছি একটি গ্রামে গিয়ে এমন দৃশ্য উপভোগ করেছেন এবং অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লেগেছে।এমন একটি মুহূর্ত সকলের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
গ্রাম বাংলার মনোরম পরিবেশে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন দাদা। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে, প্রকৃতির সৌন্দর্য অনেক কাছ থেকে অবলোকন করেছেন এবং উপভোগ করেছেন। সেটা দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। আসলে এমন পরিবেশে গেলে যে কারোরই মন ভালো হয়ে যাবে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে, তবে আমার কাছে গোলপাতার ঝাড় এর ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
আসলে সব কিছুতেই ভালো লাগা মন্দ লাগার একটা ব্যাপার আছে।তাই তো মিশ্র অনুভূতি। জানি না কোন অনুভূতি বেশি।তবে আশা করছি আবার আসবেন সব খারাপ অনুভূতি গুলো ভুলে।ধন্যবাদ
দাদা অদ্য রজনীই আমার শেষ রজনী বাংলাদেশের শেষে পুকুর পারের কাটানো মুহূর্ত টা দারুন ছিল ৷ আসলে প্রায় প্রতি জায়গার পুকুরে মাছ চাষ করার জন্য এরকম করে টঙ্গের উপর ঘড় বানিয়ে পাহারা দেয় ৷
যা হোক অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ সত্যি গ্রাম বাংলার বেশ কিছু ছবি ক্যাপচার করেছেন ৷
আবার সোনার বাংলায় ঘরতে আসবেন এমনটাই প্রতার্শা ৷ সর্বোপরি আপনি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ৷
আসলে সবকিছুতেই ভালোলাগা মন্দলাগা থাকে ।মন্দটা না থাকলে হয়তো ভালোলাগাটা এতটা অনুভব করা যেত না। তবুও মন্দ জিনিসটা ভুলে ভালো লাগাটাকেই মনে স্থান দেওয়াটাই ভালো। দেখতে দেখতে আপনার বাংলাদেশ সফর শেষ হয়ে এলো ।তবে ভালো কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে আনন্দঘন সময় কাটানোর মুহূর্ত নিয়ে দেশে ফিরলে বেশি ভালো লাগতো। যাইহোক সবকিছু ভুলে আবারও বাংলাদেশ সফরে আসবেন সেই কামনাই করছি। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভাল ছিল ।আসলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি সত্যি অপরূপ। মাছ পাহারা দেয়ার টং ঘরটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সুন্দরবনের পাশের গ্রামটা সত্যিই সুন্দর। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
সত্যিই চমৎকার একটা পরিবেশ এরকম পরিবেশে থাকলে মনটা ভালো হবেই, আরো বেশি ভালো লাগছে আপনার পোস্টে আমার দেশের ছবিগুলো দেখে, খানিকটা তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বটে তবে এখন বোধহয় ভালোর পাল্লাটাও একটু ভরলো, আশা করি বাংলাদেশ ভ্রমণটা আপনার ভালই কেটেছে।
আদাব দাদা, ভাল আছেন আশাকরি।বাংলাদেশ সফর শেষে ভাল লাগা ও মন্দ লাগা দুই অনুভূতি নিয়েই আপনি চলে যাচ্ছেন। ভাল টাই মনে থাকুক, মনটা ভাল থাকবে।খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন, খুব ভাল লাগলো। সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম কিন্তু অসাধারণ। আবার আসবেন আমার এই সুজলা-সুফলা বাংলাদেশে। ধন্যবাদ দাদা।
বাংলাদেশ তাহলে ত্যাগ করছেন দাদা! আশা করি শহরের জীবন থেকে গ্রামের মানুষের জীবনটা বেশ উপভোগ করেছেন! সেই সাথে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ! বাংলাদেশে দেখার মতে রয়েছে শুধু গ্রামবাংলার চিরাচরিত রূপ! তাইতো কবিরা বাংলাকে বলেছে রূপসী বাংলা! কিন্তু এই বাংলার মানুষ কিন্তু এখনপ স্বভ্য হয়নি! ঠিকই আধারেঁ মাছ চুরি করে নিয়ে যায়! তাইতো রাখতে হয় পাহারাদাড়। গ্রামের বিলরে পরিবেশে তাহলে সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন দাদা 🌼🦋