কেমন ছিল ঈদের প্রথম দিন!!
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা সবাই? আমি আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। এবার আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি আমার ঈদ টা কেমন ছিল। প্রতিবছর কিছু ছবি তুলে রাখি পরবর্তীতে আপনাদের সাথে শেয়ার করি। এবার কি কারনে আমি নিজেও জানিনা কোন ছবি উঠানো হয়নি। শুধুমাত্র ঈদগাহে যেশে একটিমাত্র ছবি তুলেছিলাম। যাইহোক সমস্যা নেই, ছবির প্রয়োজন নেই। পুরো দিন কিভাবে কাটলো সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে আজকের এই পোস্টটি লিখছি।
প্রথমেই বলছি আমার জীবনে এমন কোন ঈদ-ই নেই যে ঈদের দিনে আমি অনেক কিছু করেছি, মজা করেছি, ঘুরেছি। ঈদের পরের দিন থেকে যাই হোক ঘোরাঘুরি শুরু করি। ঈদের দিন কাটে বিভিন্ন ব্যস্ততায়। বিশেষ করে কোরবানি ঈদ পুরোটাই কাটে ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। এবার ঈদে সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে হালকা মিস্টি মুখ করে নিলাম। এরপর দ্রুত গোসল করে রেডি হয়ে নিলাম নামাজের জন্য। এরপর আসলো সালামি দেওয়া নেওয়ার পালা। বেশ কয়েক বছর হল আমার ভাগ্যে সালামি জোটে না বড়দের থেকে। আমাকেই এখন দিতে হয়। কি আর করার বড় হয়ে গেছি মনে হয়। কিন্তু সালামি নিয়ার মাঝে অন্যরকম একটা আনন্দ আছে, যেটা সবাই পেতে চায়।
আমার বড় আপুর থেকে কোন বছরেই আমি সালামি নেওয়া ছাড়ি না। আমি আপুকে বলেছি আমাকে সারা জীবনই সালামি দিতে হবে। আপু প্রত্যেক বছরই আমাকে ২ ঈদেই সালাম দেয় যেটা আমি খুবই ইনজয় করি। যাহোক এবারেও নিয়েছি। আর আমি সালাম দিয়েছি আমার ভাগ্নেকে, আমার ছোট ভাইকে, চাচাতো এক ভাই দুটো বোন, একটা ভাস্তে, দাদি, কাকি আর আমার ওয়াইফ কে। গতকালকে আমি এসেছি শ্বশুরবাড়িতে। এখানে দিতে হয়েছে তিনটা শালিকে। আমার মোট হাজার পাঁচেক বেরিয়ে গেছে সালামির পিছনেই। মানিব্যাগ এর অবস্থা খারাপ, হাহাহাহা। যাইহোক দেওয়া নেওয়া দুটোর মধ্যে একটা আনন্দ আছে। তো এবার ঈদের সালামি দেওয়া পর্ব শেষ করে চলে গেলাম নামাজে।
আমি ছোট ভাই, আব্বু আর ভাগ্নে পাটি নিয়ে চলে গেলাম ঈদগাহ ময়দানে। এবার প্রচন্ড রোদ ছিল আমাদের এদিকে। ছাতা নিয়ে খুব বুদ্ধিমানের কাজ করেছিলাম। প্রচন্ড রোদে তো আমার পাশে একজন মাথা ঘুরে পড়েই গিয়েছিল নামাজের মধ্যে। পরে অবশ্য খোঁজ নিয়েছিলাম তেমন কিছু হয়নি। যাই হোক নামাজ কালাম শেষ করে কবর জিয়ারত করে সবার সাথে কোলাকুলি করে চলে গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটা করতে। ঈদগাহ ময়দানে গিয়ে কিছু কেনাকাটা না করলে কেমন লাগে! ছোটবেলা থেকে একটা অভ্যাস৷ কিছু গরম জিলাপি, দানাদার, বাদাম কিনেছিলাম আর ছোট ভাগ্নের জন্য কিছু খেলনা। এরপর সোজা বাড়িতে।
দীর্ঘ কয়েকদিন প্রচন্ড গরম পড়ার পর ঈদের দিন একটু প্রশান্তি লাগছিল। রোদ ছিল অনেক তবুও পরিবেশটা ঠান্ডা ছিল। বাড়িতে এসে সবাই একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করলাম। এবার একটু শুয়ে রেস্ট করলাম। রেস্ট করার সময় একবার আমাদের এলাকার গ্রুপে ঢু মারলাম। ওমা সবারই দেখি আমার মত অবস্থা। সবাই শুয়ে শুয়ে সেলফি উঠে গ্রুপে দিচ্ছে। আমিও একটা মেরে দিলাম। এরপর কখন যেন আমি ঘুমিয়ে পড়েছি একদমই বুঝতে পারিনি। ঘুম থেকে উঠতে উঠতে দেখি বিকেল পাঁচটা বেজে গেছে। আবারো গ্রুপে ঢুকলাম আর একটু খোঁজ খবর নিলাম সবার। জানতে পারলাম কেউই বের হয়নি সবারই একই অবস্থা।
সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। গত দিন ভাগ্নিদের জন্য কিছু আতশবাজি কিনে নিয়ে এসে দিয়েছিলাম। ছোটরা সবাই দেখলাম দল বেঁধে এসব ফাটিয়ে বেড়াচ্ছে বেশ মজা পেলাম। এরপর আমাদের গ্রুপের আমরা সবাই বের হলাম সন্ধ্যার দিকে। সবাই একসাথে গার্লস স্কুলের মাঠে গিয়ে বসলাম আর আড্ডা দিলাম অনেকক্ষণ। এরপর সেখান থেকে বাজারে, বাজারে গিয়ে সবাই চা খেলাম। এরপর সবাই বাইক নিয়ে অনেকক্ষণ ঘুরেছি বিভিন্ন জায়গায়। রাতে বাইক নিয়ে ঘুরতে ভালোই লাগে। তারপর সবাই ছুটিতে এখন বাড়িতে। সবাইকেই পাচ্ছি একসাথে। তাই ঘুরাঘুরির আনন্দটা আরো অনেক বেশি। আমরা প্রায় রাত নটা দশটা অব্দি ঘুরেছিলাম একসাথে। সারাদিন কথাও না গেলেও সন্ধ্যার পর থেকে সময়টা বেশ ভালই কাটছে।
এটাই ছিল আসলে আমার ঈদের দিন। সিম্পল ছিল বাট খারাপ কাটেনি। ঈদের দিন কোন বারই আমাদের অনেক বেশি প্রোগ্রাম থাকে না। এরকম হালকা একটু ঘোরাঘুরির মধ্যে দিয়েই কাটিয়ে দিই আমাদের ঈদের দিন। আপনারা অনেকেই শেয়ার করেছেন আপনাদের ঈদের দিনের মুহূর্ত। অনেকের পোস্টই দেখেছি, বেশ ভালো লেগেছে। যাহোক, আজকে তাহলে আমি এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।

image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
VOTE @bangla.witness as witness

OR
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |



প্রথমে আপনাকে ঈদ মোবারক জানাই। ভাই ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ। এদের সময় সালামি সবাইকে কমবেশি দিতে হয়। কিন্তু আপনার পকেট থেকে যে ৫ হাজার টাকা খসেছে এটা শুনে খুব মজা পেলাম ভাই। তবে ঈদ সালামি দেওয়া এবং নেওয়ার মধ্যে খুবই আনন্দ রয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা ঈদের দিন খুব বেশি ঘোরাফেরা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তারপরও আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি যথেষ্টই ঘোরাফেরা করেছেন সবার সাথে। ঈদের দিন সব থেকে মজার বিষয় হল আতশবাজি ফোটাল। আর এর মাধ্যমে বুঝতে পারা যায় ঈদের আনন্দটা। ভালো লাগলো ভাই পড়ে আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন কেউ আর সালামি দিতে চায়না। সবাইকে দিতে হয় আরো🤭। মনে হয় আমরা সবাই বড় হয়ে গেছি। যাই হোক বড় আপু আছে বলেই এখনো সালামি পান। ঈদের সালামি পাওয়ার মাঝে সত্যি অনেক আনন্দ লুকিয়ে আছে। আর ঘরভর্তি তিনটা শালী থাকলে তো পকেট খালি হবেই 😅। যাইহোক ভাইয়া সময়টা বেশ ভালই কেটেছে বুঝতে পারছি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে কোরবানির ঈদে তুলনামূলক ভাবে প্রচুর ব্যস্ত থাকতে হয়। তবে রোজার ঈদে বেশি মজা করা যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মজার মজার খাবার খেয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়া। ঈদের সালামি দেওয়া নেওয়ার মধ্যে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। আপনি তো তাহলে আপনার আপুর কাছ থেকে ভালোই সালামি পেয়েছেন। আবার ৫০০০ টাকা সালামি দিয়ে পকেটও খালি হয়েছে হা হা হা। আপনার মতো আমারও ৪/৫ হাজার টাকা সালামি দিতে হয়েছে। যাইহোক ঈদের প্রথম দিন তাহলে বেশ ভালোই কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া সালামি পাওয়ার মধ্যে এবং সালামি দেওয়ার মধ্যে - এই দুটোতে এক অনাবিল আনন্দ রয়েছে। তবে সালামি দেওয়ার পরে পকেটের অবস্থা দেখলে মনটা একটু খারাপই হয়ে যায়। যাহোক, এবার ঈদের দিন প্রচন্ড রোদ ছিল আমাদের এদিকেও। তবে রোদের সাথে সাথে বাতাসও ছিল। আর ঈদের দিনে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আপনার ঈদের দিনের মুহূর্তটুকু পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার প্রত্যেকটি ঈদ আরো আনন্দের সাথে কাটুক, এমনটাই আমি প্রত্যাশা করি।
হায়রে ঈদ সালামী। আপসোস এক সময় শুধু সালামী পেতাম। কিন্তু এখন তো পাওয়ার চেয়ে বেশী দিতেই হয়। তবে আমার কাছে সালামী পাওয়ার চেয়ে দেওয়ার অনুভূতিটাই কিন্তু আনন্দ দেয় বেশী। আশা করি শালীদের সালামী দিতে দিতে পকেটটি শূন্য করতে পেরেছেন ভাইয়া। হি হি হি।