নারকেলের মালাই আর অদ্ভুত ওয়েদার।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো আছেন সবাই। আজকালকার দিনগুলোর পরিবেশ কেমন অদ্ভুত লাগছে খেয়াল করছেন? কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি কখনো আবার পরিষ্কার আকাশ। এই সময় অবশ্য এরকমটাই হয়। যাই হোক আজকে সকাল সকাল আমার একটু শহরের দিকে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। গতদিন এক ভাইয়ের জন্য একটি শার্ট কিনেছিলাম কিন্তু শার্ট টা সাইজে ছোট হয়েছে। ওটাই চেঞ্জ করতে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে কম্পিউটারে বসার সময় পাইনি। সকাল ৯ টার দিকে বেরিয়ে পড়েছিলাম। একটা ছোট ভাইয়ের বাইক ছিল আমার কাছে ওটা নিয়ে প্রথমে বাজারে যাচ্ছিলাম। বাজারে যাওয়ার মাঝপথ থেকে প্রচন্ড বেগে বৃষ্টি শুরু হলো। বাজারে যেতে যেতে অনেকটাই ভিজে গেলাম। মজার বিষয় হল বাজারে গিয়ে দেখি বাজারের দিকে বৃষ্টি হচ্ছে না। যাহোক এরপর আরো দুজনকে সাথে নিয়ে রওনা দিলাম শহরের উদ্দেশ্যে। মাঝপথ থেকে আবারও বৃষ্টির কবলে পরলাম। এরকমই থেমে থেমে যেতে হচ্ছিল।
আমরা ৮-১০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে দেখি ওদিকে একফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি। কি একটা অবস্থা। এবার শহরে প্রায় পৌছে গেছি সেই সময় নামলো ঝুম বৃষ্টি। সাথে ছাতা ছিল, এক জায়গায় দাঁড়াইলাম। বৃষ্টির তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে ছাতাতেও মানছে না এমন। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। অনেকক্ষণ পর যখন বৃষ্টি থামলো তখন শহরের মধ্যে গিয়ে শার্টটা টা চেঞ্জ করে নিয়ে আসলাম। ওই সময়টাতে মেঘের যে অবস্থা ছিল তাতে মনে হচ্ছিল আজ হয়তো সারাদিন বৃষ্টি হবে।
শহরের কাজ সেরে সোজা বাড়ির দিকে চলে আসলাম। আর আসার সময় মেঘের অবস্থা দেখে মনেই হচ্ছে না আজ সকালে বৃষ্টি হয়েছে। সারা আকাশ নীল আর সাদা তুলোর মতো ভেসে বেড়ানো মেঘ। এরকম আকাশ কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর হয়। আকাশের কোন এক প্রান্তেও এক টুকরো কালোমেঘর দেখা নেই। এখন আকাশ দেখে মনে হচ্ছে আজ সারা দিন আর বৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ওই যে সকালে যেমনটা হলো, সেরকমটা যেকোনো সময় আবারও হতে পারে। এই আষাঢ় মাসে কখন যে মেঘ আসে আবার কখন যে উড়ে চলে যায় কিছুই বোঝা যায় না। এই মেঘ, এই বৃষ্টি, এই আবার আকাশ পরিষ্কার।
প্রায় বাড়ি পাব পাব এমন অবস্থা, ঠিক তখনই চোখের সামনে এক অসাধারণ জিনিসের দেখা পেলাম। আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে হয়তো শেষবারের মতো নারিকেলের মালাই খেয়েছিলাম। দেখামাত্রই আমরা দাঁড়িয়ে পড়েছি। সেই ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। স্কুল থেকে এসে ব্যাগ রেখেই মাইকের শব্দ শুনে দৌড়ে চলে যেতাম মালাই খেতে। ওই সময় নারিকেলের মালাই দুই টাকা করে বিক্রি হতো। এত বছর পর আবার সেই নারকেলের মালাই দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না।
তিনজন তিনটা নিয়ে নিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো নারিকেলের পরিমাণ খুব অল্প সল্প থাকবে । কিন্তু হাতে নেওয়ার পর দেখলাম নাহ্ বেশ ভালো পরিমাণে নারিকেল আছে। যখন মুখে দিলাম তখন সেই পুরনো স্বাদ টাই অনুভব করলাম। এখন অবশ্য ১০ টাকা পিস হয়েছে। আর যে লোক বিক্রি করছিল ঠিক আগে যেরকম করে মাইকে গান বাজিয়ে ভ্যানে করে বিক্রি করতো ঠিক তেমনি। মালাই রাখার ওইটাও সেই আগের মতই। যাইহোক মালাই টা খেয়ে খুব ভালো লাগলো।
ছোটবেলার এই মালাই নিয়ে কত স্মৃতি আছে। বাড়ি থেকে নিষেধ করতো আর বলতো পুকুরের পানি দিয়ে বানানো মালাই। আমরা তাও লুকিয়ে লুকিয়ে খেতাম। এখন কত উন্নত মানের আইসক্রিম পাওয়া যায়, কিন্তু সেই দুই টাকার মালাই এর অনুভূতি অনেক বেশি প্রিয়।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রথম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝাই যাচ্ছিল যে বৃষ্টি থামার কোন চান্স নেই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পুরাই উল্টো আকাশ একদম পরিষ্কার এবং সূর্য মামাও তাকিয়ে আছে। ভাই আইসক্রিম আমি প্রচুর খেয়েছি। কিন্তু অবশ্য এখন দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
ধন্যবাদ আপু।
প্রথম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝাই যাচ্ছিল যে বৃষ্টি থামার কোন চান্স নেই। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পুরাই উল্টো আকাশ একদম পরিষ্কার এবং সূর্য মামাও তাকিয়ে আছে। ভাই আইসক্রিম আমি প্রচুর খেয়েছি। কিন্তু অবশ্য এখন দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক ভাইকে দেয়া শার্ট পাল্টাতে শহরে যাবেন।ঝুম বৃষ্টি এলো।আসলে একই জায়গা হলেও সব জায়গায় একই সময় বৃষ্টি হয়না।একেক সময় একেক জায়গায় হয়।আমিও এমনটা একই সময় দেখেছি।আপনি নারিকেলের মালাই পেয়ে গেলেন পথে।সেই যে ছেলেবেলা খেয়েছি।এখন আর দেখি না।আমি ওখানে থাকলে ২ টা একসাথে নিতাম।খুব ভালো লাগলো অনেকদিন পর দেখে।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমিও বহু বছর পর চোখের দেখা দেখলাম আর সাথে খেয়েও নিলাম ।অনেক সুস্বাদু ছিল আপু।
দুই টাকার সেই নারকেলের মালাই আইসক্রিমের কথা এখনো মনে পড়ে। আসলে পুরনো দিনগুলো কেন জানি হারিয়ে গেছে। আইসক্রিম ওয়ালার টুং টাং শব্দ শুনলেই দৌড়ে চলে যেতাম দুই টাকা নিয়ে কিংবা দুটো সুপারি নিয়ে। যাইহোক ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আর বৃষ্টির অবস্থা বোঝা খুবই মুশকিল। কখন বৃষ্টি হচ্ছে আর কখন রোদ উঠছে বোঝা মুশকিল। এখন তো মাঝে মাঝে এমন হচ্ছে কিছুটা পথ যাওয়ার পর বৃষ্টি আবার রোদ।
আপনার স্মৃতি আমি রিলেট করতে পেরেছি কারণ আমিও ছোটবেলায় এমনটা করতাম।
নারিকেলের মালাই এগুলো তো এখন স্মৃতি বলা যায়।তবে আপনার বাড়ির অঞ্চলে এখনও দেখা যায় এগুলো জেনে ভালো লাগলো।বৃষ্টির এই বিষয়টা আমার অদ্ভুত লাগে।একই আকাশ যেহেতু সবজায়গায় বৃষ্টি হবে এক এলাকার,কিন্তু তা হয়না।ভালো লেগেছে আপনার লেখাটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এদিকেও পাওয়া যায় না। হঠাৎ সেদিন দেখা মিলল।
আহা!! নারিকেলের মালাই সে যে বড্ড স্বাদের। ছোটবেলায় স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের সাথে এই মালাই খাওয়ার কত স্মৃতি রয়েছে তা আর কি বলবো। তবে এখন কেন জানি নারিকেলের মালাইতে আগের স্বাদ আর পাইনা। হয়তো বড় হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে স্বাদেরও পরিবর্তন ঘটেছে। শুধু স্বাদের নয়, বর্তমানে পরিবর্তন হয়েছে আবহাওয়ারও, আর তাইতো এখনই মেঘ বৃষ্টি হচ্ছে আবার এখনই মেঘ রোদ্রুর খেলা চলছে। আজ আমাদের এদিকেও প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল সকালের দিকে, আর দুপুরের দিকে সূর্যি মামা তার ঝাঁঝালো রূপ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছিল, যার কারণে রোদের অত্যাচার সহ্য হচ্ছিল না। যাইহোক ভাইয়া, নারিকেলের মালাই আর বিরূপ আবহাওয়া নিয়ে আপনার সুন্দর অনুভূতিটুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আমি যে মালাইটি খেলাম সেটা আমি আগের মতোই স্বাদ পেলাম। ভালই লাগছিল কিন্তু।
আমিও প্রায় ১৫ বছর আগে খেয়েছি। আপনার পোস্ট পরে ছোটবেলায় স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। নারিকেলের মালাই খেতে ভীষণ মজা লাগে। আমরা খেয়েছিলাম এক টাকা করে আর এখন হয়ে গেছে ১০ টাকা। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন। আগে এক টাকা দুই টাকায় এমন ভালো ভালো মালাই পাওয়া যেত।
আসলে ভাইয়া মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে ছাতাতে আর বৃষ্টি ঠেকাতে পারে না। যাহোক, আপনার নারিকেলের মালাই খাওয়ার অনুভূতির কথা পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। এক সময় আমরা এই ধরনের মালাই গুলো দুই টাকা পিস কিনে খেতাম। সময়ের পরিবর্তনের কারণে এগুলোর দাম এখন মাত্র ১০ টাকা। যাহোক, খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।