তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন আপনারা এটা আজ আর জিজ্ঞেস করবো না। তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড সূর্যের উত্তাপে জমিন অস্থির হয়ে পড়েছে। জীবিকার তাগিদে তবুও মানুষকে বের হতে হচ্ছে ঘরের বাইরে। দুটো ডাল ভাত খেতে এই রোদে পুড়ে কাজ করছে সাধারণ মানুষ। রিক্সার প্যাডেল ঠিকই ঘোরাতে হচ্ছে ঘরে চাল ডাল কিনতে। সোনালী ফসল পালাতে মাঠে গিয়ে রোদে পুড়ে ঠিকই কাজ করতে হচ্ছে দু মুঠো খাবার জুটবে বলে।

desert-279862_1280.jpg
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY

রাস্তায় বেরিয়ে মনেহয় আসেপাশে কোথাও আগুন জ্বলছে আর পাশদিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। পিচ ঢালা রাস্তা উনুনের মতো গরম হয়ে আছে। গাছের পাতাগুলিও নরতে চায়না। বাহিরে অস্বাভাবিক গরম আর ঘরেও ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আবার শুরু হয়েছে মাত্রা অতিরিক্ত লোডশেডিং। মানুষ যাবে কই। ভন্ডরা আবার সাংবাদিকদের বলছে নাকি তারা রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এইমাত্র আবার লোডশেডিং হলো, যখন আমি লোডশেডিং নিয়েই লিখতেছি। দুর্নীতিবাজ বাস্টার্ডদের জন্য সাধারণ মানুষ আর কতো কষ্ট করবে। তারা তো এসির ভেতরে ঢুকে আছে।

একটা সময় ছিলো যখন গ্রামে বিদ্যুৎ ছিলো না৷ তখন মানুষের এতো অভিযোগ ছিলো না। দিব্বি হাতপাখা চালিয়ে রাত পার করে দিত। গরমের সন্ধ্যায় উঠানে পাটি বিছিয়ে বসে থাকতো সবাই। এখন এতো অভিযোগ কেন জানেন? কারন মানুষ এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এখন মানুষ এগুলো স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারবেনা এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক, সরকারের অনেক কিছু করার আছে। দিন দিন তাপমাত্রা এতো বৃদ্ধি কেন পাচ্ছে?? গাছপালা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, অক্সিজেন দেয়, ছায়া দেয়, খাবার দেয়, এগুলো আমরা বইয়ের পাতায় পড়ে এসেছি। কিন্তু প্রকৃতি রক্ষায় আমরা কি করছি। আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এনাফ গাছগাছালি আছে। কিন্তু শহরের গুলো কোথায়?? দ্বায় কি শুধু গ্রামের??

সরকার এতো এতো উদ্যোগ গ্রহণ করে, গাছ লাগানোর জন্য কঠোর কোন উদ্যোগ কেন নেই? এটা কি প্রতিটি দেশের সরকারের করা উচিৎ নয়? আমরা কখন বুঝবো। গাছ কেটে কলকারখানা, নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা বানিয়ে ফেলা হচ্ছে, কিন্তু যে পরিমান গাছ কাটা হয় সেই পরিমান গাছ কি আর লাগানো হয়? এ বছর যে অস্বাভাবিক গরম পরছে, এমনটা নয় যে আগামী বছর এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এটা বারতেই থাকবে প্রতিনিয়ত। জনজীবনে দুর্ভোগ কমবেনা কখনোই।

sun-3588618_1280.jpg
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY

আমাদের এখন কষ্ট করতে হবে কি আর করা। সারাদিন রোজা থেকে ইফতারে ভাজাপুরা এভয়েড করার চেষ্টা করবেন সবাই। পানি খাবেন প্রচুর। তবে ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খাবেন না একদম ই। সারাদিন পর পানি খাওয়ার সময় মন চাইবে বরফ ঠান্ডা পানি খেতে, কিন্তু মনকে একটু কন্ট্রোল করতে হবে। স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি খাওয়াই বেটার। তাছাড়া ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। আমার হয়েছিল এমন। ইফতারের সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খেয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিলো। তারপর থেকে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি খাই। এটাই ভালো, আপনারাও চেষ্টা করবেন অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি এভয়েড করতে।

এইতো আর ৩-৪ টে রোজা আছে। সবাই শপিংয়ে ব্যাস্ত। কিন্তু সাবধান, ছোট বাচ্চা আর মহিলাদের এই কঠিন সময়ে মার্কেটে না নেয়াই ভালো। আর সুযোগ থাকলে রাতে যাওয়া যেতে পারে। সর্বপরি চেষ্টা করুন এই গরমে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যেতে, ইফতারের পর পর্যাপ্ত পানি খেতে। সকলের ঈদ শুভ হোক। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার নতুন কোন পোস্টে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 3 years ago 

খুব সুন্দর কিছু কথা আপনি শেয়ার করলেন ভাইয়া।আমরা সবাই এর সবটা জানি কিন্তু মানতে আর পারি কোথায়।আপনি ঠান্ডা পানি খেয়ে বেশ ভুগেছিলেন, তাই আমাদের কে সাবধান করলেন।আমি ঠান্ডা পানি কখনও খাইনা।তবে রোজায় ঠান্ডা শরবত, পানি খেতেই হচ্ছে।রোজা গেলে আর খাব না।এই গরমে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে ই হবে ভাল থাকতে চাইলে।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর করে গুছিয়ে কথাগুলো লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাই, গ্রীষ্মের দাবদহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে । রাস্তায় বেরোলে মনে হচ্ছে চারদিকে যেন আগুন জ্বলছে। তবুও কাজের তাগিদে প্রায় সকলকেই বেরোতে হচ্ছে। শহর অঞ্চলে গাছ তো নেই, বরং সরকার রাস্তা বড়ো করার জন্য গাছ না বাঁচিয়ে গাছ সব কেটে ফেলছে গ্রামের। আগের কার দিনের মানুষ অভ্যস্ত ছিল না ফ্যানের হাওয়ায়, এসির ঠান্ডা হওয়ায়, আর তাদের সময় এতো বড়ো বড়ো গাছ কেটে বিল্ডিং ওঠেনি। কিন্তু এখন!! চারিদিকে সব গাছ কেটে ফেলছে, মানুষ গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে তাও উন্নয়ন শেষ হচ্ছে না। এইবছর তো প্রচুর গরম পড়েছে , এর পরের বছর রাস্তা চওড়া করার জন্য ওই কটা গাছ কেটে ফেললে মানুষ আর বাঁচবে না।

 3 years ago 

আমি আমার জীবনে এতো গরম আর দেখিনি। এতো অসহনীয় গরমের মাঝে আবার লোডশেডিং মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে গেছে।
এর মধ্যে সবথেকে হাস্যকর ব্যাপার হলো লোডশেডিংয়ের মধ্যেও আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছি 🤪
যাক ঐদিকে আর কথা বাড়াবো না কারন দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরতে পারে। আমরা শুধুই ধৈর্য ধারণ করে এবং সহ্য করে জীবন টিকিয়ে রাখতে পারি এই সোনার দেশে। বনভূমি আর উজাড় হয়েছে এই উন্নয়নের জোয়ারে।

 3 years ago 

চারপাশের পরিবেশ বড়ই উত্তপ্ত মনে হয়। যেন উত্তপ্ত আগুনের পাশ দিয়ে আমরা হেটে চলেছি। আসলে এই উত্তপ্ত পরিবেশ সবার জন্যই বেশ কষ্টের। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষরা আরো বেশি কষ্ট করছে। রোজা রেখে তারা খাবারের জোগাড় করছে। যাই হোক ভাইয়া ইফতারের সময় আমাদের সবারই ভাজাপোড়া খাবার কম খাওয়া উচিত। সেই সাথে ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি খাওয়া এভয়েড করা উচিত। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। তবে সরকার অবশ্যই গাছ লাগানোর পদক্ষেপ নেওয়া এটা খুবই জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ।

 3 years ago 

আসলে আজকে আমাদের এখানে বেশ ভালই গরম পরছে। আর হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন সরকারের উচিত গাছ লাগানোর জন্য একটি কড়া উত্তর গ্রহণ করা। গাছ না লাগালে গরম আরো বাড়তে থাকবে কমবে না। যাহোক আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আর হ্যাঁ আমাদের নিজে থেকেও যতটুকু সম্ভব গাছ লাগানো উচিত ধন্যবাদ।

 3 years ago 

ভাই ফাঁকা জায়গায় যদি একটু বাতাস উপভোগ করতে যাই তখন মনে হয় মরুভূমির বাতাস আসছে। এতোটা গরম বাতাসে গা মনে হয় ঝলসে যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সরকার গাছ লাগানোর মত কোন প্রজেক্ট হাতে নিচ্ছে না। হ্যাঁ ভাইয়া খেয়াল করলে দেখতে পাবেন অনেক হাইওয়ের পাশ দিয়ে বড় বড় গাছ ছিল সেগুলো আরো কেটে ফেলা হয়েছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.09
TRX 0.30
JST 0.034
BTC 113671.71
ETH 4072.99
USDT 1.00
SBD 0.60