অচেনার উদ্দেশ্যে যাত্রা - পর্ব ২steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। "অচেনার উদ্দেশ্যে যাত্রা" গত পর্বে শেয়ার করেছিলাম আমরা অচেনা একটি পথে প্রবেশ করেছিলাম। সেখানে অদ্ভুত একটি এলাকার দেখা মিলেছে, যেখানে প্রচুর জঙ্গলে ভরা আর বাড়িঘর কম। আমরা চা খেতে একটি টঙের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখানে চা খেতে খেতে সন্ধ্যা লেগে যায়। এরপর মাগরিবের আজানও পড়ে যায় সেখানে থাকতে থাকতেই।

পাশেই একটা মসজিদ দিকে আযানের সুর ভেসে আসে। সেখানে গিয়ে নামাজ পড়বো স্থির করলাম আমরা। চায়ের দোকান থেকে একটু এগিয়ে গেলাম সামনে। আর হ্যাঁ এখানে বলে রাখি আর একটা কথা, এই চায়ের দোকানের চা টা যেহেতু অনেক ভালো লাগছে জীবনে যদি আবার কখনো এদিকে আসি আবার এখান থেকে এক কাপ চা খেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। যাইহোক এরপর আমরা সামনের মসজিদটতে গেলাম। সেখানে গিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষ করে যখন বেরোলাম তখন চারিদিকে মনে হলো বিদঘুটে অন্ধকার।

1698804834208-01.jpeg

1698804857677-01.jpeg

এরপর আমরা ওই মসজিদের পাশ দিয়ে আরো সামনের দিকে একটি রাস্তা চলে গেছে সেটা দিয়েই এগোতে থাকলাম। আমরা এ রাস্তায় জীবনে আসিনি আর গুগল ম্যাপও না দেখেই এগোচ্ছিলাম। এককথায় যেদিকে দুচোখ যায় আর কি। অনেক দূর যেতে যেতে সামনে মেটে রাস্তা পড়লো। দুই দিকে দুটি রাস্তা চলে গেছে এরপর আমরা ওখানে থাকা একটা লোক কে জিজ্ঞেস করলাম কোন রাস্তায় গেলে সুবিধা হবে? আমাদের একটা রাস্তা দেখিয়ে দিল, সে রাস্তা দিয়েই আমরা এগোতে থাকলাম।

1698804898418-01.jpeg

এবার আসলো একটা ভয়ংকর রাস্তা। সামনে এগোতে এগোতে দেখলাম সামনে ইয়া বড় একটা মাঠ। মাঠের মাঝখান দিয়ে রাস্তা চলে গেছে। আশেপাশে কোন বাড়িঘর নেই দু এক কিলোমিটারের মধ্যে। আর রাস্তাটার দু প্রান্তে অল্প গাছপালা ছিল। একেবারে অচেনা একটা রাস্তা। মাঠের মাঝখান দিয়ে আমরা যাচ্ছি, একটু ভয় ভয় লাগছিল। আমি যে গাড়ি চালাচ্ছিলাম সেটা ছিল সবার সামনে। মনের মধ্যে খালি মনে হচ্ছিল গাড়ির হেডলাইটের আলো যতদূর পৌঁছেছে সেই প্রান্তে যদি হঠাৎ একটা সাদা কাপড় পড়া কেউ নেমে আসে তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে?? তবে পুরো সময়টা ছিল এক্সাইটমেন্টে ভরা। এ পাশ দিয়ে একা একা আসা কোনভাবেই সম্ভব না যা পরিবেশ।

1698804938735-01.jpeg

1698804950058-01.jpeg

1698804980731-01.jpeg

এরকম নিস্তব্ধতা আর রোমাঞ্চকর পরিবেশ সবাই উপভোগ করলাম। সত্যি কথা বলতে পরিবেশটা একটু ভয় ভয় ছিল জন্যই বেশি ভালো লেগেছে এই পাশ দিয়ে একসাথে আসতে। অনেকক্ষণ ধরে ড্রাইভ করার পর অবশেষে মাঠ পেরিয়ে অপর প্রান্তের রাস্তায় পৌঁছে গেলাম যেখানে কিছু জনবসতি ছিল। আরো অনেকক্ষণ সামনে এগোতে থাকলাম এরপর পাকা রাস্তার সন্ধান পেলাম। পাকা রাস্তা ধরে আবারো আমরা এগিয়ে চলেছি।

1698804916087-01.jpeg

চাঁদনী রাত। গান ধরলাম একটা সবাই। বেশ লাগছিল চাঁদনী রাতে গান গাইতে গাইতে বাইক চালাতে। আসলে আগে আমরা প্রায় দিনই ঘুরতে বের হতাম। কিন্তু এখন তো আর বেরোনো হয় না। বহুদিন পর সবাই একসাথে বের হয়েছি তাই আনন্দটা অনেক বেশি। যাইহোক সামনে এগোতে এগোতে আবার একটা ফাঁকা রাস্তা পেলাম যেখানে তেমন বাড়িঘর নেই আর ছোট্ট একটা মাঠের মাঝখান দিয়ে রাস্তা চলে গেছে। এ রাস্তাটার প্রায় শেষ প্রান্তে যেতেই দেখলাম ২-৩ টা মেয়ে খুব সেজেগুজে মাঠের এদিকে এগিয়ে আসছে। হেডলাইটের পাস মারতেই একটা মেয়ের মুখের ওপর সরাসরি লাইটটা গিয়ে পড়ল। স্পষ্ট বুঝতে পারলাম পার্লার থেকে মাত্রই সেজে এসেছে এমন। কিন্তু বুঝতে পারলাম না এখানে উনারা কি করে.......

পর্ব -১



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

20230619_2107145.gif

Sort:  
 10 months ago 

অজানার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে সময়টাকে খুব বেশি উপভোগ করছেন তা পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি।ভাইয়া আপনাকে হ্যাং আউটে গান গাইতে বলা হলে ও গান কখনও গাইতে শুনিনি।আর আপনি বন্ধুদের সাথে গান ধরলেন,বেশ ইন্টারেস্টিং তো।যে দোকানে চা পান করেছেন তা খুব মজার ছিল।আসলে অনেক সময় ছোট ছোট দোকানের চা বেশ ভালোই হয়।আপনারা তো নামাজ শেষ করে মসজিদের সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।হঠাৎ সামনে কিছু মেয়ে পরলো,যাদের দেখে মনে হচ্ছে পার্লার থেকে সেজে এসেছে।ব্যাপারটা খুব রহস্যজনক।দেখা যাক কি হয়।

 10 months ago 

আসলে একা একা গান গাইতে পারি না। সবাই গাইলে সাথে তাল মিলাতে পারি।

 10 months ago 

অনেকদিন পর সবাই ঘুরতে বের হলে এমনিতেই খুব আনন্দ লাগে। আর এমন এডভেঞ্চারাস জায়গায় ঘুরতে গেলে তো সেই ভালো লাগা দ্বিগুণ হয়ে যায়। বাইক চালানোর সময় যদি সাদা কাপড় পরা ভূত সামনে চলে আসতো, তাহলে তো ভয়ে সবাই স্ট্রোক করতেন মনে হচ্ছে 😂। মেয়েগুলো পার্লার থেকে সেজে প্রকৃতিকে দেখাচ্ছে ভাই 😂। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

হঠাৎ করে ভূত যদি সামনে চলে আসতো কি যে হতো সেটাই ভাবছি 😆

 10 months ago 

ভাইয়া সত্যি বলছি আপনার পোস্টটি পড়ছিলাম আর আমার শরীরের পশম গুলো দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল ভয়ে। কি যেন এক ভয় কাজ করছিল। যেই ভয়ংকর রাস্তা। তার উপর আবার নিরব আর নিস্তব্দ। দেখেই তো ভয় পাওয়ার কথা। ভ্যাগিস যে আপনাদের সাথে হেলম্যাটের আলো ছিল। আর সেই আলো সামান্য হলেও আপনাদের মনে সাহস যুগিয়েছে। কিন্তু কথা হলো এত রাতে সেজেগুজে যাওয়া মেয়ে তিনটি ভূত না তো?

 10 months ago 

হাহাহা। আপনি দেখছি আমার রিয়েল পাঠিকা। আসলেই মুহূর্তটা অন্যরকম ছিল।
নেক্সট পর্ব আগামী শুক্রবারে শেয়ার করব ইনশা আল্লাহ।

 10 months ago 

এটা এতদিনে বুঝলেন ভাইয়া? হি হি হি

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

অজানার উদ্দেশ্যে তো আপনারা দেখতে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন। আমি তো ভেবেছিলাম হয়তোবা সেখান থেকেই আপনারা বাড়ির দিকে ফিরে আসবেন। কিন্তু এখন তো দেখছি আপনারা আরো অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। মাঠের মাঝখানে দুই তিনটা সাজগোজ করা মেয়ে দেখতে পাওয়া বিষয়টা বেশ রহস্যজনক। ওরা আবার কোনো পরি নয় তো। হাহা হা যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর অ্যাডভেঞ্চার মূলক ভ্রমণ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

চা টা আপনাদের ভালো লেগেছিল।তারপর নামাজ পড়ে গিয়েছিলেন অচেনা রাস্তায়, আপনাদের সাহস আছে তো ভালোই।অন্ধকার রাস্তায় আবার গান ও গাইলেন।তারপর যেই মেয়েদের দেখেছেন সেজে গুঁজে এসেছে আমার মনে হয় ওরা জ্বীন পরি।আপনারা যদি কিছু বলতেন তাহলে দেখতেন ঘাড় মটকে দিত, হাহাহা।যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।তারপর কি হয় জানতে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

যদিও প্রথম পর্ব পড়িনি দ্বিতীয় পর্ব পরে বেশ মজা পেয়েছি। আসলে অচেনা কোন জায়গাতে যখন যাওয়া হয় রাস্তাটি সহজে শেষ হয় না। সেই সাথে বেশ ভয়ের কাজ করে। যেহেতু অনেক অন্ধকার ছিল। তাছাড়া অনেক আনন্দ উপভোগ করা যায় যেহেতু আপনার অনেকেই ছিলেন। তো একটা বিষয় খুব ভালো লাগলো যেহেতু চাঁদনী রাত ছিল সবাই গান ধরলেন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক ভালো লেগেছে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 58415.58
ETH 2485.36
USDT 1.00
SBD 2.39