-হারিয়ে যাওয়া কবুতর- কবুতর নিয়ে আমার ছোটবেলার স্মৃতি।
স্মৃতির ডায়রি
- The 25th March , 2022
- Friday
আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুরা। এখন গাছে গাছে নতুন পাতা। গরমের এই সময়টাতে প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে। গাছের পাতাগুলো ঝরে গিয়ে প্রায় সব গাছেই নতুন পাতা গজিয়েছে। সবুজে-শ্যামলে ভরে গেছে চারপাশটা। পরিবেশের সাথে মনের একটা যোগসুত্র আছে ৷ আপনার পুরনো স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দিতে পারে কোন একটি চেনা প্রাকৃতিক পরিবেশ। আজ দুপুরে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। সে সময় চোখে পরলো কিছু কবুতর রাস্তায় এসে কি যেন খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে। ওদের দেখে আমার ছোটবেলার একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল। তখনই ভাবলাম আপনাদের সাথে আজ সেই বিষয়টি শেয়ার করব। তাহলে চলুন হারিয়ে যাই সেই স্মৃতিতে।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
তখন আমি পড়ি ক্লাস সেভেনে। লেখাপড়ার দিকে তেমন একটা মন ছিল না। সবসময়ই খেলাধুলা করে বেড়ানো, ছুটোছুটি করে বেড়ানো, এসবেই ছিল আমার মেইন ফোকাস। ওই সময়টাতে আমাদের এলাকায় অনেক বাড়িতেই কবুতর পালতো। যেহেতু কৃষকদের বাড়িতে এই সময়ে অনেক অনেক ফসল উঠায়, কবুতরের খাবার দাবারের অভাব হয়না এজন্য কবুতর পোষা বেশ লাভজনক ছিল। আমার বয়সি আমার কয়েকটা বন্ধুও কবুতর পালতো। আমাদের প্রতিবেশী কারোর বাড়িতে কবুতর থাকলে মাঝেমধ্যেই সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কবুতরদের খাওয়া দেখতাম, আর তারা বাকুম বাকুম করে ডাকে সেগুলো দেখতাম। আমার খুবই ভাল লাগতো।
আমি একদিন মনস্থির করলাম আমিও কবুতর পালবো। আমি বাড়িতে এসে আমার বাবাকে বললাম। আমার বাবা ও রাজি হয়ে গেল। আমার ছোট ছোট শখ, যেগুলো আমার বাবা সাধ্যের মধ্যে থাকতো সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করত। তবে স্কুলে অনেক বাদরামি করতাম তো তাই রিপোর্ট আসলে আবার ভালোই ঝড়ঝাপটা যেত আমার উপর দিয়ে। তবে কবুতর কিনে দেয়ার কথা বলার পর আমার বাবা আমাকে একটি ঘর বানিয়ে দিতে চাইল। আমি তো বিশাল খুশি। কিছুদিনের মধ্যেই আমার বাবা মিস্ত্রিদের নিয়ে আমাদের নিজেদের ঘরে থাকা কাঠ দিয়ে একটি বড় সরো কবুতরের ঘর বানিয়ে দিলেন। প্রথমে আমি ৪-৫ জোড়া কবুতর ও কিনে ফেললাম হাঁট থেকে। আমি একটু ছোট সাইজের কবুতর কিনেছিলাম। ওগুলোকে ডেগি কবুতর বলে। এগুলো খুব সহজেই পোষ মানানো যায়।
কবুতর কেনার পর সেগুলোর পাখনা বেঁধে দু-তিনদিন রেখে দিয়েছিলাম ঘরে। এরপর পাখনা বাধা অবস্খাতেই বাইরে ছেড়ে দিয়েছিলাম। আর একদিন পর একটা পাখনা খুলে দিয়েছিলাম। যখন দেখলাম কোথাও চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে না তখন দুটো পাখনাই খুলে দিয়েছিলাম। আমার একটা কবুতরও বাইরে কোথাও চলে যায়নি। সারাদিন এ দিক সে দিক গাছের ডালে ডালে ঘুরে বেড়াতো, আমাদের উঠানে এসে শস্যদানা খেত আর সন্ধ্যা হলেই ঘরে ফিরে যেত। খুব ভালোই কাটছিল আমার কবুতরগুলো নিয়ে। খুব যত্ন করতাম। আমি আমার বারান্দায় দাঁড়িয়ে যখন কবুতরদের খাওয়া দেখতাম তখন খুবই ভালো লাগত। আমি আমার বন্ধুদের কাছে গিয়ে গল্প করতাম আমার কবুতরগুলো নিয়ে। আর তাদের কবুতরের গল্পও তারা করত। আমি তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের কবুতর দেখে আসতাম। আমার কিছু বন্ধু যারা কবুতর পালে তারাও আমার বাড়িতে আসতো আমার কবুতর দেখতে।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
আমার স্পষ্ট মনে আছে এখন যেই সময় যাচ্ছে অর্থাৎ চৈত্র মাস এই সময়ে আমি কবুতর পোষা শুরু করছিলাম। আমার এক জোড়া কবুতর ছিল খুবই লক্ষ্মী। নিয়মিত ডিম দিত। আর একটা মোরগ কবুতর ছিল খুবই বেয়াদব। প্রত্যেকটা মুরগি কবুতরের সাথে যেয়ে টাংকি মারতো। যবে থেকে ওদের পোষা শুরু করছিলাম তবে থেকে ওদের সাথে আমার অনেক ভালো সময় কাটত। খুবই আনন্দে ছিলাম আমি। আমার স্বপ্ন ছিল একসময় আমার ঘর ভরে যাবে কবুতরে। কিন্তু সেই সুখের দিন আর বেশিদিন রইল না। একদিন আমাদের বাড়িতে আত্মীয় স্বজন এসেছিল। সন্ধ্যার সময় আমি ঘর আটকাতে ভুলে গিয়েছিলাম। হঠাৎ যখন মনে পড়ল কবুতর ঘর আটকানো হয়নি তখন কবুতর ঘরের কাছে গিয়ে দেখি আমার বাচ্চা কবুতরগুলো নেই। পাখনা পড়ে আছে। আর বড় কবুতর একটাও ঘরে নেই। সব এদিক-ওদিক উড়ে গেছে। আমার কবুতর ঘরের পাশেই একটি ছোট্ট গাছ ছিল সেই গাছে কয়েকটা কবুতর বসেছিল। ওরা সবাই খুব ভয় পেয়েছিলো এজন্য ঘরে মোটেও আসতে চাচ্ছিল না। আমার আর বুঝতে বাকি রইল না এটি বেজির কাজ।
সেদিন অনেক চেষ্টা করেও কোনো কবুতরকে ঘরে ঢুকাতে পারিনি। ওরা কিভাবে ঘরে ঢুকবে,, খুব ভয় পেয়েছে সবাই। অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পর ব্যার্থ হয়ে আমি আমার ঘরে চলে গেলাম। পরের দিন সকালে উঠে আবার আমি কবুতর ঘরের কাছে এসে দেখলাম তখন পর্যন্ত তারা ঘরে আসেনি। এদিক-ওদিক গাছে বসে ছিল তখনও। বেলা বাড়ার পর অনেকগুলো কবুতর উড়ে চলে গেল। একটামাত্র কবুতর বসেছিল। সেটিও দুপুরের দিকে কোথায় যেন হারিয়ে গেল। ভীষণ মন খারাপ ছিল আমার। সারাক্ষণ শুধু ওদের কথাই মনে পড়তো। ওদের ঘরের কাছে গেলেই মনটা আরো বেশী খারাপ হয়ে যেত। এভাবে দুদিন যাওয়ার পর হঠাৎ একদিন দেখলাম আমার ঘরের চালে একটা কবুতর এসে বসে আছে। সেটা আমারই কবুতর। চিনতে আমার ভুল হলো না। কিন্তু আমি লক্ষ্য করলাম আমার কবুতরের একটি পাখনা বাধা অর্থাৎ কথাও উড়ে গিয়েছিল, আর কেউ একজন ধরে ওর পাখনা বেঁধে রেখেছে। কোনরকম ছুটে চলে এসেছে এখানে । বারবার ঘরের কাছে যাচ্ছিল কিন্তু ঘরের মধ্যে ঢুকছিল না। বুঝতে পারলাম ওর ভয় এখনো কাটেনি। অনেকক্ষণ যাবৎ ঘরের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে কোথায় যেন আবারো উড়ে চলে গিয়েছিল আমার সেই কবুতরটি।
image source & credit: copyright & royalty free PIXABAY
এরকম আরো একদিন দেখেছিলাম আমার টিনের চালে। সেদিনও ও ঘরের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে আবারো উড়ে চলে গিয়েছিল। সেটাই ছিল ওর সাথে আমার শেষ দেখা আর কখনো ফিরে আসেনি। হয়তো কেউ বেঁধে রেখেছে অথবা অন্য কোথাও উড়ে চলে গেছে। ওর এরকম দুইবার ফিরে আসা দেখে আমি আরো বেশি মায়ায় পড়ে গিয়েছিলাম ওর প্রতি। পরবর্তীতে আর কখনো কবুতর পোষার সাহস করে উঠতে পারিনি কারণ ওরা যে পরিমাণ মায়া রেখে চলে গেছে সেটা যদি আবারও হয় তাহলে আমি আরো অনেক বেশি কষ্ট পাবো। এই জন্য ওদের স্মৃতি মনে রেখে আমি সেখানেই ইতি টেনেছি আমার কবুতর পোষার শখ এর।
এটাই ছিল আমার সেই ছোটবেলার কবুতর পোষার স্মৃতি। আজ হঠাৎ অনেকদিন পর সেই স্মৃতি গুলো মনের মধ্যে ভেসে উঠেছিল এজন্য আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে আবার আগামী কোন পোস্টে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনার আজকের এই পোষ্টটি পড়ে কেন জানি কষ্ট পেলাম। আসলে ভালোবেসে যদি কোনোকিছু পোষা হয় তাহলে তাদের প্রতি এতটাই মায়া বেড়ে যায় যে তাদেরকে খুবই আপন করে নিতে ইচ্ছে হয়। ভালোবাসার পোষা প্রাণী যদি এভাবে হারিয়ে যায় তাহলে খুবই খারাপ লাগে। আপনি যখন আপনার কবুতরের বাসার কাছে গিয়ে দেখেছেন ছোট কবুতরের পাখা গুলো পড়ে আছে তখন নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট পেয়েছেন। কারণ সেই মুহূর্তটির কথা আমি যখন মনে মনে ভাবছিলাম তখন আমারও খুবই কষ্ট লাগছিল। অনেক সুন্দর করে আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
জি আপু । ওটা সত্যিই কষ্টদায়ক একটা মুহূর্ত ছিল। আমি খুবই ভেঙে পড়েছিলাম।
সত্যি বলতে আমার আব্বু ছোটবেলা থেকে কবুতরের প্রতি বেপক নেশা ছিল মানে সবকিছু ছেড়ে কবুতর নিয়ে পড়ে থাকতো। অন্য কিছু হারায় গেলে কিছু মনে করতো না কিন্তু একটি কবুতর হারাই গেলে যা অবস্থা হতো। আসলেই কবুতর খুব শখের জিনিস। আসলে কবুতরের খাবারের অভাব হয়না তারা মাঠে যাই খাই। আসলে এদের দেখতে যেমন সুন্দর লাগে। এরা খেলা দেখায়। আসলে সত্যিই প্রিয় জিনিসটা হারিয়ে গেলে অনেক কষ্ট লাগে। আর কবুতর খুবই শখের একটা জিনিস
কিছু পোষ মানিয়ে হারানোর যে কতটা যন্ত্রণার তা আমি একবার দুইবার নয় অনেক বারের অভিজ্ঞতায় জানি।বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে আসে এতটা মায়া জড়িয়ে যায়।খুবই কষ্টের এইজন্য এখন আর কিছু পুষি না আমি।সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি মায়ার বন্ধন,তাই মুক্ত আকাশের জিনিসকে স্বাধীনতা দিয়েছি।কষ্ট পেলুম,আপনার গল্প পড়ে।
ভাইয়া আমি ভীষণ মর্মাহত হয়েছি আপনার আজকের এই ছোটবেলার কবুতরের গল্প পড়ে।যেকোনো পশু-প্রাণী বাসায় পড়তে গেলে তাদের প্রতি অন্যরকম একটি মায়া জন্মায় যা আবেগ অনুভূতি দিয়ে বোঝানো যায়না।আপনার কবুতর দুইবার ফিরে আসার বিষয়টা আমার কাছে খুবই অদ্ভুত লেগেছে।সত্যিই ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় আপনার কবুতর পোষার ইচ্ছে ছিল এরকম ইচ্ছে আমারও ছিল।আপনার গল্পটি পড়ে আমার বেশ কিছু গল্পের সাথে মিলে যায় তাই তো এতটা আহত হয়েছি।বুঝতে পারছি স্মৃতিচারণ করে মন অনেক খারাপ হয়ে আছে। মন খারাপ করবেন না ভাইয়া।♥♥
এই জিনিস গুলো আসলেই মানা যাইনা। ছোট বেলায় আমার ও অনেক পোষা পাখি ছিল, তবে দেখা যেতো দিন শেষে আমি একা। খুবই কষ্ট লাগতো। আপনার গল্প পড়ে অনেক খারাপ লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই আপনার কবুতরের গল্প পড়লাম যখন দৃশ্যগুলো আমার চোখে ভাসলো। কবুতরগুলো আপনার মায়ার টানেই দুইবার ফিরে আসছে। তবে কবুতর একবার ভয় পেলে আসলেই আর সেখানে সহজে আসে না। আপনার ছোট একটা ভুলের জন্য সব শেষ হয়ে গেলো। তবে বেজি টাকে আপনি যদি কাছে পাইতেন কি করতেন???
এজন্যই আমার কবুতর গুলো আর ফিরে আসেনি। ওরা যেখান থেকে ভয় পায় ওখানে আর যেতে চায়না।
বেজিটার আর কি দোষ ভাই।।। ওরাতো খাবার জিনিস কাছে পেলে খাবেই। আমার সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিল ।
তবে ভাই আমি নিজেকে কন্টোল করতে পারতাম না। আপনার পোস্ট যখন পড়ছি বেজির উপর এত রাগ হচ্ছিলো বলার মতো না।
ভাইয়া,পোষা প্রাণীও মালিকের ভালোবাসা বুঝতে পারে। আর তাই আপনার পোষা কবুতরটি দুইবার আপনার কাছে ফিরে এসেছিল। আপনিও কবুতরগুলোকে ভীষণরকম ভালোবাসতেন এবং তাদের যত্ন করে খাওয়াতেন তা অবশ্যই কবুতরগুলো বুঝতে পেরেছিল। তার মালিক তাকে কতটা ভালোবাসে। আপনার ভালবাসার টানে সে দুইবার আপনাকে দেখা দিতে এসেছিল। শেষের বার হয়তো কারো খাঁচায় বন্দী হয়ে গিয়েছিল যার কারণে আপনার কাছে আর ফিরে আসেনি। ভালবেসে কোন প্রাণীকে পুষলে আর সে প্রাণী যদি কখনো হারিয়ে যায় তাহলে ভীষণ কষ্ট পাওয়া যায়। কারণ এই বিষয়ে আমার ভালো অভিজ্ঞতা আছে। আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই।। পোষা প্রাণী গুলো মালিকের ভালোবাসা বুঝতে পারে।
ভালই লেগেছে ভাইয়া আপনার পোষ্ট টি ।কিন্তু মন ও খারাপ হল। বেজি টা কেমনে নিয়ে গেল ভাইয়া। খুব মন খারাপ হল।ইচ্ছে করছে বেজিতাকে ধরে ওর পেট থেকে বের করে ফেলি।যাইহোক ভাইয়া মন খারাপ করবেননা।
কি আর করার আপু। ভাগ্যে না থাকলে যা হয় আর কি।
বিড়াল এবং বেজি হলো কবুতরের শএু। যে বাড়িতে এই দুইটার উপস্থিতি আছে সেখানে কবুতর পালন অসম্ভবই বলা যায়। আমি কখনো কবুতর পালন করিনি। তবে আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতা টা ভালো ছিল। পরিবার রাজি হলেও হয়ত আপনার ভাগ্যেই ছিল না কবুতর পালন করা। সবার ছোটবেলা অনেকটা একই রকম কাটে।।
হ্যাঁ বিড়াল এবং বেজি দুটিই কবুতরের শত্রু। কিন্তু অনেক জায়গায় বিড়াল আর কবুতরের খেলা করতে দেখেছি।
অপূর্ণতা, অপ্রাপ্তি এই সব নিয়েই আমাদের জীবন হলেও কিছু সময় আসলে মনের অগচরে থাকা ব্যাপারগুলো প্যারালাল কোন ঘটনায় জেগে উঠে আমাদের নাড়া দিয়ে যায়। ঠিক এরকমই রাস্তায় থাকা কিছু কবুতর আপনাকে আপনার জীবনের বিশেষ কিছু মুহূর্তের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় না পাওয়া বা না হওয়ার একটা ব্যাপার আছে যা মন খারাপ করিয়ে দেয়। আর কোন অনিশ্চিত কারণে হঠাত করে যদি সব শখের কবুতর হারাতে হয় তাইলে তো আরো বেশি কষ্ট। তাই এই কষ্টকর দিকটা যেন আপনার জন্য আর বেদনাদায়ক স্মৃতি না হয়ে থাকে সেই কামনা করছি।
আমার ওই কবুতরগুলো যদি এখনো থেকে যেত তাহলে হয়তো এখন প্রচুর প্রচুর কবুতর থাকতো আমার।
হ্যাঁ হয়ত তাই হত। তবে এমনই যদি ইচ্ছা হয় আর সুযোগ থাকে তাহলে আর একবার শুরু করতে পারেন।