হসপিটালে চারটি দিন।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি গত সপ্তাহিক কমিউনিটি হ্যাংআউটে জয়েন থাকতে পারিনি৷ আপনারা হয়তো সবাই শুনেছেন আমি আমার বাবা মাকে নিয়ে একটু ব্যস্ত ছিলাম। আমার বাবা আর মা দুজনই অসুস্থ ছিলেন। বাবার সমস্যা ছিল একটু বেশি আর মায়ের কিছু প্রবলেম ছিল কিন্তু সেগুলো ধরতে পারতেছিলাম না আসলে কি সমস্যা।

গত ২০ তারিখে বাবা-মাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাবার হার্টে অনেক সমস্যা করতেছিল কিছুদিন যাবত। হাঁটাচলা করতে পারত না। বুকের মধ্যে ব্যথা করত। অনেকদিন যাবত নিজ জেলাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন কিন্তু তেমন একটা উন্নতি হয়নি। আর মায়ের কিছু প্রবলেম ছিল সেগুলোও হার্টের সমস্যা বলেই মনে হচ্ছিল। যাইহোক গত ২০ তারিখে গিয়েছিলাম ঢাকায়। ঢাকায় গিয়ে প্রথমেই খালার বাসায় উঠেছিলাম। আমাদের প্ল্যান ছিল ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটালে বাবাকে দেখাবো। সেই সাথে ওখান থেকে মাকে ও দেখিয়ে আনব। আমাদের প্ল্যান অনুযায়ী আমরা ২১ তারিখে গিয়েছিলাম হসপিটালে।

1672117493433-01.jpeg

1672117690816-01.jpeg

1672117527438-01.jpeg

হসপিটালে গিয়ে প্রথম দিনেই ডক্টর ফাতেমা বেগমকে দেখিয়েছি। ডক্টর বাবার কথা শুনে বলল এনজিওগ্রাম করাতে। কারণ হার্টের সমস্যা বেশি হলে এই টেস্ট ব্যতীত ভিতরের অবস্থা বোঝা সম্ভব নয়। আর মাকে অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছিল বোঝার জন্য যে আসলে কি প্রবলেম আছে। হার্টের কোন সমস্যা আছে কিনা। ডাক্তার দেখানোর পর আমরা সাথে সাথেই হসপিটালে বাবাকে ভর্তি করে দিয়েছিলাম। বাবাকে ভর্তি করেছিলাম দুপুরের দিকে। আর দুপুরের পরেই বাবাকে এনজিওগ্রাম করানোর জন্য আরো প্রাথমিক যে টেস্টগুলো প্রয়োজন সেগুলো করে এনজিওগ্রাম রুমে উনারাই নিয়ে গিয়েছিল।

এনজিওগ্রাম করা শেষ হওয়ার পর ডঃ আমাকে ডেকে স্ক্রিনে দেখাইছিল যে কি কি প্রবলেম আছে ভেতরে। আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম উনার হার্টে একটা জায়গায় ৯০% ব্লক আছে, আর একটা জায়গায় ৬৫%, এক জায়গায় ৭০% প্লাস, কিছু জায়গায় ১০% ২০% করে ব্লক আছে। সবচেয়ে বড় যে ব্লক গুলো সেগুলো দেখলাম সব প্রায় একই জায়গায়। ডক্টর তখন আমাকে বলল এই জায়গাগুলোতে রিং পড়াতে হবে। বড় বড় ব্লক যে জায়গাগুলোতে আছে ওই জায়গাগুলো সব একই জায়গায় হওয়ায় একটা বড় সাইজের রিং পড়ালেই হয়ে যাবে। আমি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলাম রিং পরানোর জন্য। আমার কাছ থেকে বেশ কিছু সিগনেচার নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে দিলেন ওনারা।

1672117616342-01.jpeg

আমি ঘন্টা দুই মতন বাইরে অপেক্ষা করলাম। এরপর উনারা বাবাকে ওখান থেকে বের করে বলল সাকসেসফুলি রিং বসানো হয়েছে। এরপর বাবাকে ওইখান থেকে সিসিইউতে ট্রান্সফার করা হয়। এটা ছিল হসপিটালে প্রথম দিনের ঘটনা। প্রথম দিন বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। অনেক কাজ ছিল সবকিছু তো লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। প্রথমদিন আমরা রাতে আবার খালাদের বাসায় চলে গিয়েছিলাম। সিসিইউ-তে কাউকেই তো প্রবেশ করতে দেয় না। ওখানে একটা ফোন পর্যন্ত নিতে দেয় না। ড্রেসটা পর্যন্ত হসপিটাল থেকেই দেয়।

দ্বিতীয় দিন একটা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম। বাবার কাছ থেকে সিগনেচার আনার প্রয়োজন ছিল। কারণ ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে হবে। এদিকে এই হসপিটালের সিকিউরিটি খুবই জটিল। একটা অসুস্থ রুগীর কাছে কেউ যদি গিয়ে ভুলভাল বুঝিয়ে চেক সিগনেচার করে আনে তাহলে তো রুগীর অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। ওই সময় তো রুগী নরমাল মস্তিষ্কে থাকে না। এজন্য হসপিটালের সিস্টেমটা খুবই ভালো। প্রথমে দরখাস্ত করতে হয়, প্রমাণ করতে হয় যে আমি তার রিলেটিভ, এরপর সিগনেচার করতে হয় এবং সবশেষে একজন ডিউটি ম্যানেজার আমার সাথে বাবার পর্যন্ত গিয়েছিল। সিগনেচার নিয়ে আসার সময়ও সে ওখানেই ছিল। ওই জায়গাতে একটা ফোন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কোন উপায় ছিল না।

1672117721208-01.jpeg

এই দিনে আমি সবচেয়ে বেশি প্রেসারে ছিলাম। এদিকে বাবার কাছ থেকে সিগনেচার করে নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে হবে কারণ তার পরের দিন শুক্রবার। শুক্র-শনি দুই দিনই ব্যাংক বন্ধ থাকবে। আবার এদিকে মায়ের সমস্ত টেস্ট করাতে হচ্ছে ওই দিনই। আমার মা তো তেমন কিছুই বোঝে না। আমি এদিকে না থাকলে উনি এক পা ও উঠতে পারবে না। আবার ওদিকে আমার চেকের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বড় চিন্তার বিষয় হচ্ছে তারপরের দিন শুক্রবার। শুক্রবারে কোন পরীক্ষা করানো হয় না ওখানে। তখন আবার শনিবারে গিয়ে করাতে হবে সবকিছু। হিউজ একটা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছিল। আবার এই হসপিটালে বাবাকে একদিন বেশি ভর্তি রাখা মানে ৫০ হাজার টাকা প্লাস খরচ। যাইহোক লিখে অনেক কিছুই আমি বুঝাতে পারতেছি না। কখনো বাবার ওখানে যেতে হচ্ছিল আবার মা কে ৫-৬ টা টেস্ট দিছে ওগুলোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছিল। একসাথে দুটি রুগীকে দেখভাল করতে হয়েছে। ঐদিন আমি সারাটা দিন চরম মাত্রার প্রেসারে ছিলাম।

1672117448711-01.jpeg

1672117663047-01.jpeg

সেদিন মায়ের সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করতে সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল। আর ওদিকে ২৪ ঘন্টা সিসিইউতে অবজারভেশনে রাখার পর বাবাকে কেবিনে ট্রান্সফার করেছিল। এভাবেই দ্বিতীয় দিন কেটে যায়। পরে মায়ের সমস্ত টেস্ট রিপোর্ট ডক্টরের কাছে দেখানোর পর ডক্টর মায়ের জন্য ও প্রেসক্রিপশন করে। ছয় মাস পরে আবারো দেখা করতে বলে। মা আসলে প্রচন্ড দুশ্চিন্তার কারণে হার্টের সমস্যা বানিয়ে ফেলেছে। ডক্টর দুশ্চিন্তা করতে না করে দিয়েছেন মা কে।

যাইহোক গত ২৫ তারিখে বাবা-মাকে নিয়ে আমি বাসায় এসেছি। এ কয়দিন খুবই কষ্টের মধ্যে দিয়ে কেটেছে। প্রত্যেকটা মুহূর্তই আমি বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছি, সাথে ছিল হাজারো রকমের দুশ্চিন্ত। এদিকে কমিউনিটির কাজগুলো আমাকে প্রত্যেকদিন সেরে রাখতে হচ্ছিল। এ দুঃসময়ে আমার প্রিয় সহযোদ্ধা @hafizullah ভাই এবং বন্ধু @moh.arif অনেক হেল্প করেছেন।

এখন আমি আবার গ্রামে ফিরে এসেছি। শান্তির নিশ্বাস ফেলছি। হসপিটাল আসলে কারোর কাছেই সুখের জায়গা হতে পারে না। ওই জায়গাটা খুবই পেইনফুল। তবে আল্লাহ্ তা'আলা কষ্টের পরেই সুখ দেন এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তী কোন পোস্টে দেখা হবে ইনশা আল্লাহ্। আল্লাহ্ হাফেজ।



IMG_20220926_174120.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abbVD.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago (edited)

ভাইয়া আপনি আপনার বাবা মাকে নিয়ে বেশ সমস্যার মধ্যে দিন কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। আসলে কিছু কিছু অনুভূতি হয়তো তুলে ধরা যায় না। তবে বুঝতে পারছি আপনার একার পক্ষে সবকিছু ম্যানেজ করা সত্যিই অনেক কঠিন ব্যাপার ছিল। আর যেহেতু হার্টে রিং পড়ানো হয়েছে তাই বোঝাই যাচ্ছে সমস্যাটা অনেক জটিল ছিল। তারপর আঙ্কেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য সিগনেচার নেওয়ার ব্যাপারটিতেও বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল আপনাকে বুঝতেই পারছি। যাই হোক এখন আলহামদুলিল্লাহ আপনার বাবা-মা দুজনেই ভালো আছেন জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি ধীরে ধীরে আরো বেশি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আর আমাদের সকলের প্রিয় ও আপনার সহযোদ্ধা @hafizullah ভাই এবং @moh.arif ভাই আপনার কাজে হেল্প করেছে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। আসলে এমন সহযোদ্ধা পেলে নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবান মনে হয়। কারণ তারা বিপদের বন্ধু।

 2 years ago 

আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু। দোয়া করবেন।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

প্রথমেই আপনার বাবা মার জন্য দোয়া করি উনারা দুজনে যেন তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।যেহেতু দু জনে এক সাথে অসুস্থ তাই ঝামেলা আরো অনেক বেশি।আসলে ভাইয়া কথায় আছে না বিপদ যখন আসে সব জায়গায় থেকেই আসে।হসপিটালে এই সিস্টেমটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যে অসুস্থ মানুষের কাছ থেকে সিনগেনটার নিতে হলে আগে দরখাস্ত করতে হবে, সে রিলেটিভ কিনা।তবে আপনার বাবার ব্লগ গুলো এক জায়গায় হওয়ায় বড় সাইজের একটা রিং পড়ালেই হয়ে গেছে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া হসপিটাল কারো সুখের জায়গা হতে পারে না।যাইহোক আপনারা ভালো ভাবে গ্রামে পৌঁছাতে পেরেছে যেনে অনেক ভালো লাগল। আশাকরি উনারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।

 2 years ago 

আমিন।

ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

গত হ্যাংআউটে বলেছিল যে আপনি হাসপাতালে আছেন ৷
আপনার কষ্ট টা বুঝতেছি ভাই ৷ আসলে পরিবারের কারো কিছু হলে যে কেমন লাগে তা বেশ ভালেভাবেই বুঝি ৷ যা হোক ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করি কাকা-বাবু যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়৷ আবার দেখছি কাকিমাও অসুস্থ কি একটা ঝামেলা ৷ আপনার. পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করি ৷

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাই।

ভালোবাসা রইলো।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া হসপিটাল কখনো সুখের এবং শান্তির জায়গা হতে পারে না। এটা হচ্ছে দুখের এবং কষ্টে কাটানোর স্থান। যেখানে প্রতিটা সেকেন্ড টেনশন ছাড়া কিছুই করা যায় না । হার্টের রোগীদের অনেক সাবধানে রাখতে হয় ভাইয়া। যেহেতু আপনার বাবা-মা দুজনে হার্টের রোগী তাদের দিকে খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার বাবা এবং মায়ের জন্য অনেক অনেক সুস্থতা কামনা করছি। দোয়া ও ভালোবাসা রইলো তাদের জন্য। এই চার দিন নিশ্চয় হসপিটালে আপনার অনেক ব্যস্ত এবং টেনশনে সময় কেটেছিল। তবে আপনার এই বিপদে হাফিজুল্লাহ ভাইয়া এবং আরিফ ভাই আপনাকে অনেক হেল্প করছে শুনে বেশ খুশি লাগলো।

 2 years ago 

জি আপু। আসলে হার্টের রোগীদের নিয়ে একটু টেনশন হয়।

 2 years ago 

প্রথমেই আপনার মা ও বাবার জন্য দোয়া ও সুস্থতা কামনা করি। ঐদিন হ্যাংআউট এ শুনেছিলাম আপনার বাবার অসুস্থতার কথা,তখনই খুব খারাপ লেগেছিল। যাক অবশেষে হসপিটালে নিয়ে ট্রিটমেন্ট করেছেন এটা অনেক ভালো লাগলো। তবে কিছু কিছু হসপিটালের আইন অনেক কড়া। আপনি একটি চেক বাবার থেকে সাইন করে নিতে আপনাকে অ্যাপ্লিকেশন করতে হলো এবং প্রমাণ দিতে হলো যে আপনি তার রিলেটিভ কেউ। আসলে এরকম হওয়া উচিত, অন্যথায় থার্ড পার্টি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যেতে পারে। যাক আপনার বাবা-মায়ের জন্য অনেক দোয়া রইল। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

জি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন। সিকিউরিটি এমন কঠিন হওয়া উচিত সব জায়গাতেই।

 2 years ago 

হাসপাতালে চার দিনের কথা শুনেই তো ভেতরটা একটু মোচড় দিয়ে উঠলো। পরে মা-বাবার কথা শুনে আরও বেশি দুশ্চিন্তা হলো। বিস্তারিত পড়ে জানতে পারলাম একা দুটো পেসেন্ট কে নিয়ে মাত্রা অতিরিক্ত চাপে ছিলেন। আপনার বাবার সিগনেচার নেওয়ার ঝামেলাটা আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমিও গত দুই মাস আগে মাকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে অস্থির হয়ে পড়েছিলাম। মেডিকেলে পা রাখলে মোটা অংকের টাকা গুনতে হয়। আন্টি মনে হয় সহজ সরল মানুষ, শহরের আবহাওয়ার কিছুই বোঝেনা। আঙ্কেল তো একেবারেই অসুস্থ ছিল, সব মিলিয়ে আপনি পাগলের মতই ছিলেন। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে হাফিজুল্লাহ ভাই এবং আরিফ ভাই আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ সহযোগিতা করেছে কমিটির কাজে। অসময়ে প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায়। আঙ্কেলের রিং পরাতে কত টাকা খরচ হয়েছে জানালে একটু ভালো হতো ভাই। জানিনা মায়ের আবার কখন কি হয়, আমিও দুশ্চিন্তায় ভুগছি। ডাক্তার দেখানোর পর থেকে এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন। দোয়া করি আঙ্কেল আন্টিকে যেন দ্রুত আল্লাহর সুস্থতা দান করেন। আমাদের মাঝে আপনার কষ্টের অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।

 2 years ago 

কমেন্টে নয়।। আপনি আমাকে একসময় ডিএম করবেন আমি কিছু পরামর্শ দিব।

 2 years ago 

জি আচ্ছা ভাইয়া, শুকরিয়া আল্লাহর দরবারে।

 2 years ago 

সে দিন হ্যাঙআউটে শুনেছিলাম আপনার মা বাবা দুইজনেরই সমস্যা।তাদের পুরোপুরি সুস্হ্যতা কামনা করছি।আসলে ইদানিং হার্টের সমস্যাটা প্রকোপটা বেশি।ইউনাইটেড হসপিটালে সেদিন আমার কাজিনেরও হার্টে রিং বসিয়েছিলো,তাদের অনেক রেস্ট্রিকশন। যাই হোক অবশেষে শান্তির জায়গায় গ্রামে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু। গ্রাম আসলেই শান্তির জায়গা ।

আল্লাহ আপনার মা বাবাকে দ্রুত সুস্থতা দান করুক।

 2 years ago 

আমিন।

 2 years ago 

হসপিটাল আসলে কারোর কাছেই সুখের জায়গা হতে পারে না।

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া,আপনার বাবা মায়ের অসুস্থতার কথা জানতাম না,আজকে পড়ে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।দুজন অসুস্থ মানুষকে নিয়ে আপনি বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন।গত কয়েকদিন আগে আমার আম্মুকেও ডাক্তার দেখানোর জন্য ঢাকায় গিয়ে বেশ জামেলা পোহাতে হয়েছে।বাসা থেকে বের হয় সকাল ৮ টায় তারপর রাত ১১টায় বাসায় ফিরেছে, শুধুমাত্র ডাক্তার দেখানো, টেস্ট করা। পরে আবারও গিয়েছে।অসুস্থতা নিয়েও বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছে।যাইহোক আপনার বাবা মা সুস্থ থাকুক এই কামনা করি।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আন্টির সুস্থতা কামনা করছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 76606.02
ETH 3048.30
USDT 1.00
SBD 2.62