বন্ধুদের সাথে ইকোপার্কে ভ্রমন করতে যাওয়ার স্মৃতিময় গল্প// পর্ব-২
হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।
স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আর এই মুহূর্তগুলো সত্যিই আজ খুব মনে পড়ে। আমার কাছে স্কুল জীবনের স্মৃতিময় দিনগুলো সবচাইতে আনন্দ ছিল। কারণ এই স্কুল জীবনের মুহূর্তগুলো আমার বন্ধুদের সাথে আমি অনেক আনন্দের সাথে সময়টা পার করেছি। প্রিয় বন্ধুদের সাথে স্কুল জীবনের সেই দিনগুলোর কথা খুবই মনে পড়ে, তাই আপনাদের সাথে আমার স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে কাটানো একটি গল্প শেয়ার করতে ছিলাম। এই গল্পের আজকে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আসলে গল্পটি হলো আমরা চার বন্ধু মিলে ইকো-পার্কে ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তের অনুভূতি গুলো। তো বন্ধুরা চলুন আজকের দ্বিতীয় পর্বের মাধ্যমে জানা যাক সেই গল্পের বাকি অংশটুকু।
তো বন্ধুরা আমরা প্রথম পর্বে শেষ করেছিলাম আমরা চার বন্ধু মিলে ইকো পার্কের ভিতরে ঢুকিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়েছিলাম। ইকোপার্কের মাঝে যাওয়ার জন্য, এভাবে আমাদের দৌড় প্রতিযোগিতা হয়ে যাবে। আর আমরা সেখানে পৌঁছাতে পারবো। আমরা চার বন্ধু মিলে দৌড় প্রতিযোগিতায় দিয়েছে সবুজ প্রকৃতির মাঝের রাস্তা দিয়ে। দৌড় প্রতিযোগিতার মুহূর্তে অনেক আনন্দের ছিল এবং দৌড় প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট হলে তাকে তিন বন্ধু মিলে গিফট করা হবে। তাই আমরা চারজন খুবই আনন্দের সাথে দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়েছিলাম এবং এই দৌড় প্রতিযোগিতায় আশ্চর্যভাবে ফাস্ট হয়েছিলাম আমি। অন্য বন্ধুদের সাথে আমি দৌড়ে এগিয়ে ছিলাম। যাই হোক আমি ফার্স্ট হতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর ইকোপার্কে এই সবুজ প্রকৃতির মধ্যে আমি যখন প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট হয়েছি তখন আমার অনেক বেশী ভাল লেগেছিলো।
দৌড় প্রতিযোগিতায় দিয়ে আমরা যখন ইকো পার্কের পূর্ব পাশে এসেছি, পূর্বপাশের যমুনা নদীর অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য ছিলো।এই অপরূপ সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এই প্রথম আমি যমুনা নদীর এই সৌন্দর্যময় দৃশ্য দেখতে পেলাম। ইকোপার্কে সাথেই ছিল যমুনা সেতু সত্যি মুহূর্তটি অনেক আনন্দের ছিল এবং আমি যখন ফার্স্ট হয়েছি তখন আমার বন্ধুরা বলল ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই। আমরা ইকো পার্ক থেকে বের হয়ে তোর জন্য একটা সুন্দর গিফট কিনে দিব। আর এই গিফটটি পাওয়ার সাথে সাথে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল কারণ আমার বন্ধুরা আমাকে দিয়েছিল একটি জ্যামেতি বক্স। কারণ আমার এই জ্যামিতি বক্সটি কত এক সপ্তাহের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিল। তখন আমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। তাই বন্ধুদের কাছ থেকে সেই গিফট পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত ছিলাম।
ইকো পার্কের এই সৌন্দর্যময় দৃশ্যের মধ্যে আমার সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে যমুনা সেতুর অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্য। আসলে ইকোপার্কে সাথেই যমুনা সেতুর আর যমুনা সেতুর নিজের সৌন্দর্যময় দৃশ্য গুলো অসাধারণ।এই দৃশ্য সেখান থেকে দেখা যাচ্ছিল।তাই আমার খুবই ভালো লেগেছে। সত্যি আমি অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম কারণ যমুনা সেতুর এই সুন্দর মুহূর্ত আমি প্রথম দেখলাম। আর যমুনা সেতু এর আগে আমি কখনও দেখিনি যার কারণে আমার মধ্যে একটা কৌতুহল ছিল। আর ইকো পার্কে এসে সেই কৌতুহলটাকে মিটিয়ে নিলাম।তাই খুবই ভালো লাগতেছিল, তারপরে আমরা বন্ধুরা মিলে ইকো-পার্কে দক্ষিণা দিকের যাচ্ছিলাম।কারণে সাজু বললো এই দিকে অনেক পশুপাখি রয়েছে এবং বড় বড় খাঁচার মধ্যে বানর ও ময়ূর রয়েছে।
তাই আমরা ইকোপার্কের দক্ষিণ সাইডে আসলাম। দক্ষিণ দিকে এসে আমি সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। এখানে অনেক বড় বড় খাঁচা আর এই খাঁচার ভিতর অনেক রকমের পশু পাখি রয়েছে। বিশেষ করে হাজার রকমের পাখি রয়েছে। এই পাখিগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আর সেখানে অনেক দোকানপাট ও রয়েছে। অনেকেই এই দোকান থেকে কলা রুটি কিনে এনে পাখিদের ও বানরকে খাওয়াচ্ছে আমি ও হাসান কলা কিনে নিয়ে আসলাম এবং বানরকে খাওয়ায় দিছিলাম। বানরের লাফালাফি করার দৃশ্য সত্যিই অবাক করেছে, আমার খুবি ভালো লাগছিল তখন।
গল্পটি চলমান
পার্কে ভ্রমণ করতে এমনিতে অনেক ভালোলাগে। আর বন্ধু-বান্ধবসহ যদি ভ্রমণ করা হয় তখন সেটি স্মৃতির পাতায় মনে হয় একগুচ্ছ স্মৃতি জমা হয়ে যায়। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে গল্পটি তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া🌻🌹