গ্রামাঞ্চলে হাতে ভাজা ধানের খই অম্লান
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা অবিরাম। সকলেই কেমন আছেন?আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।
গ্রামাঞ্চলের অতি জনপ্রিয় খাবার হলো খই। খই সাধারণত অতিথি আপ্যায়নে একসময় ব্যবহৃত হতো। ধান থেকেই খই হয় তবে যেকোন ধান থেকেই। বিভিন্ন ধানের খই আামদের দেশে বহুল প্রচলিত। আগুনের তাপে ধান থেকে ফুলের মতো খই তৈরি করা হয় একে ধানের সাদা ফুলও বলা হয়ে থাকে। আমাদের এক এক জায়গা এক এক ধানের খই হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশের বহুল প্রচলিত ধান হলো ষোল ধান। এই ধান থেকে খই করলে অনেজ স্বচ্ছ হয় এবং খইয়ের আকৃতি অন্যান্য ধানের থেকে বেশ লম্বা হয়ে থাকে। খই তৈরি করতে হলে সাধারণত ধান পুরোপুরি ভাল করে শুকাতে হবে। ধান ভাল করে না শুকালে খই তৈরি করা সম্ভব হয় বটে।
খই মুলত দুই দিয়ে খেতে ভাল লাগে। এছাড়াও আম-কাঠাল দিয়েও খই খেতে বেশ চমৎকার লাগে। বাংলাদেশে প্রতিটি গ্রামেই দেখা যায় বিভিন্ন ধান থেকে খই ভাজা হয়। তবে ষোল ধান কড়া করে শুকিয়ে খই তৈরি করা হয়। মাটির চুলায় মাটির হাঁড়িতে বা কড়াইতে বালু দিয়ে ধান থেকে খই হয়। বাঁশের তৈরি কাঠি বা ঝাটা দিয়ে কাঠি নাড়িয়ে খই তৈরি করা হয়। ধান নাড়ার পর একপর্যায়ে তৈরি হয় খই। খইয়ের খোসা চালনিতে ঢেলে ঘষে আলাদা করতে হবে।
খই সহজে হজমের সৃষ্টি করে।এক প্রকারে দেখা যায় যাদের হজমের সমস্যা আছে ধানের খই খেলে উপকার হয়। তবে ভুট্টার খইয়ে আসে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। ষোল ধান, আতব ধানের, ইত্যাদি ধানের খই গুলো আমাদের সকলের পরিচিত। সব জাতের ধানেই খই হয় না। বিভিন্নরকম ধানের খইয়ের ঐতিহ্য শতবর্ষের। বিভিন্ন রকমের ধানের খই একটি মুখরোচক সুস্বাদু খাবারের মধ্যে একটি। এই খই শিশু থেকে শুরু বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের পরিচিত খাবার খই। শীতকালে দেখা যায় বৈশাখ মাস পর্যন্ত মেলা চলে। বংশ পরম্পরায় গ্রামগঞ্জে প্রায় কম বেশি বিভিন্ন রকমের ধান থেকে খই পেশার সঙ্গে জড়িত। গ্রাম বাংলার সুপরিচিত খাবার হলো খই।
খই সাধারণত গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো ধানের খই।এই খই সাধারণত বিভিন্ন রকমের ধানের হয়ে থাকে যেমন ষোল ধান, আতব ধান,ইত্যাদি তবে আমাদের দিনাজপুরের ষোল ধান থেকেই খই তৈরি করা হয়।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
গ্রাম অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে খই।আগে খই সবার বাড়িতে ভাজা হত।আর খই সবাই ভাজতে পারে না।কেবল পাড়ার দুই একজনে খই ভাজতে পারে।আপনি নিয়ে দারুণ লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
আসলে খই একটি শুকনা মজাদার জাতীয় খাবার। কাঁঠাল দিয়ে খেতে আমাকে বেশ ভালোই লাগে। ধন্যবাদ ভাই খই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু আলোচনা করার জন্য।
বিকালে আম কাঁঠাল দিয়ে এই খই খাওয়া হত।তবে বর্তমানে এই খই ভাজতে দেখা যায় না, দেখা গেলেও খুব কম। ধান থেকে কই বানানোর পদ্ধতিটি মোটামুটি কষ্টকর কাজ। ধান থেকে খই ভাজার পর খই থেকে ধানের খোসা আলাদা করার পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি কঠিন। ধন্যবাদ আপনাকে।
খই খেতে আমার খুব ভালো লাগে। খই বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি খাবার। কাঁঠাল দিয়ে খই খেতে আমার খুব ভালো লাগে।এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার।ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামে হাতি ভাঁজামুড়ি খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে,
মা চাঁচি রা চাল দিতে মুড়ি ভাজে যেগুলো আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্য। এই খই গুলো মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। সুন্দর উপস্থাপন করছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।
খই নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন।খই আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। তবে অনেকদিন থেকে খই খাওয়া হয়নি। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
হাতে ভাজা খই খেতে ভীষণ ভালো লাগে। খই হলো ঐতিহ্যবাহী খাবার। আমাদের বাসায় ও খই ভাজা আছে। খই গাভীর দুধ দিয়ে খাবার অন্য রকম স্বাদ। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
গ্রামগঞ্জের এক ঐতিহ্যবাহী খাবার হল খই।খই খেতে আমাদের প্রায় সবাইকে ভালো লাগে।খই আমাকেও খুব ভালো লাগে খেতে ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আগে যখন গ্রামে ছিলাম তখন দেখতাম দাদিরা এই ভাবে ধান থেকে খই ভাজত। আপনার এই পোস্ট দেখে ভালোই লাগল ভাই। দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন। সুন্দর লিখেছেন আপনি।