Better Life with Steem || The Diary Game || December 30, 2023
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা বেলা হয়ে গেল। আজকে সকাল ৮:৩০ নাগাদ আমি ঘুম থেকে উঠেছি। অন্যান্য দিন সকাল ৭টা থেকে ৭টা ৩০ মিনিটের মধ্যে আমি ঘুম থেকে উঠে যাই কারণ আবর্জনা নিতে গাড়ি আসে ওই সময়। আজকে আর ঘরের আবর্জনা ফেলা আমার পক্ষে সম্ভবপর হলো না কারণ গাড়ি ততক্ষণে চলে গেছে। গতকাল রাতে কেন জানিনা আমার ঠিক মতো ঘুম হয়নি। সেই জন্যই হয়তো আজকে সকালে উঠতে আমার এতটা দেরি হলো।
রোজকার মতো ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে আমি খবরের কাগজ নিয়ে বসলাম। চা খাওয়া এবং খবরের কাগজ পড়া হয়ে যাবার পর আমি মার রুমে গেলাম। মাকে ফ্রেশ করিয়ে তারপর মাকে চা খাওয়ালাম। এরপর আমি বাসি বাসন-কোসন যা পড়েছিল সব মেজে পরিষ্কার করলাম।
গতকাল রাতে অনেকটা ভাত বেচেছিল, তাই আজকে সকালে আমি আর রোজকার মতো পাউরুটি খাইনি। ওই বাসি ভাত গরম করে নিয়েছি আর অন্যদিকে কুকারে আলু সিদ্ধ করে নিয়েছি। আজকে আমি ব্রেকফাস্টে ঘি দিয়ে মেখে আলু সিদ্ধ ভাত খেয়েছি। আমার সকালের টিফিন খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর আমি দু পিস স্লাইস ব্রেড দুধের সাথে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে মাকে খাইয়ে দিয়েছি। মার কথা বলা বন্ধ হয়ে যাবার পর আমাকে রোজ অনেকটাই সময় দিতে হচ্ছে মার জন্য।
ব্রেকফাস্ট পর্ব সাঙ্গ হবার পর আমি সকাল দশটা নাগাদ লাঞ্চ আর ডিনার রান্না করার প্রস্তুতি শুরু করলাম। রান্না শেষ হতে হতে বেলা ১২টা বেজে গেল। এরপর আমি মার গা মুছিয়ে আর ড্রেস চেঞ্জ করিয়ে লাঞ্চ খাইয়ে দিলাম। আজকে মাকে লাঞ্চে আমি ডিম সেদ্ধ আর ভাত মিক্সিতে পেস্ট করে খাইয়েছি। মাকে খাওয়ানো কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পর আমি স্নান করে নিয়ে নিজে খেতে বসলাম। আজকে আমি অনেকগুলো পদ রান্না করেছি। আমার খুব খারাপ লাগে যখন আমি মাকে এসব খাবার খাওয়াতে পারি না। আজকের মেনুতে ছিল মুলা শাক ভাজা, মুলা ছেঁচকি, বিট ও আলুর তরকারি, ছোট ছোট ট্যাংরা মাছের আলু দিয়ে ঝোল আর ডিম সেদ্ধ। লাঞ্চ হয়ে যাবার পর আমি ঘন্টাখানেক ঘুমিয়ে নিলাম।
বিকেল ৪টে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বেশ শীত করছে। তাই আমি এক কাপ কফি বানিয়ে খেয়ে নিলাম তারপর হাঁটার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
আজকে হাঁটার পথে এই রাধা-কৃষ্ণের মন্দিরটা পড়েছে কিন্তু গেট তখনো বন্ধ ছিল। আরেকটু এগিয়ে গিয়ে এই ছোট লেকটা চোখে পড়ল তাই একটা ছবি তুলে নিলাম।
তারপর বাড়ি ফিরে সন্ধ্যে দিলাম। অন্যান্য দিন সন্ধ্যে দেওয়ার পরে মাকে চা খাওয়াই। কিন্তু আজকে মা ঘুমিয়ে আছে দেখে মাকে আর ডিস্টার্ব করলাম না। আমি নিজের জন্য এক কাপ চা করে নিয়ে ডেইলি ডায়েরি লিখতে বসলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের সারাদিনের কার্যাবলী। পরবর্তী দিনলিপি নিয়ে খুব শীঘ্রই হাজির হবো আপনাদের সামনে। সকলকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়ে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
Shared on Twitter/X: https://x.com/PijushMitra/status/1741097306391560549?s=20
সত্যি পোস্টটা পড়ে খুবই ভালো লেগেছে
মা-বাবার ঋণ কোনো সন্তানই কোনোদিন শোধ করতে পারবে না। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করি মাকে যতটা সম্ভব ভালো রাখার। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
মায়ের সেবা করেই আপনি দিনের অধিকাংশ সময় কাটালেন। সারাদিনের সব রান্নাই দেখলাম আপনি নিজ হাতে করলেন। তবে দুপুরে অনেকগুলো আইটেমই রান্না করলেন । আপনার মায়ের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হয়তো উনি অনেক অসুস্থ ও। প্রতিবেলায় আপনি ওনাকে খাবার ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে এরপরে যত্ন সহকারে খাইয়ে দেন। পরম মমতায় আপনি আপনার মায়ের সেবা করছেন। নিশ্চয়ই এর ফল আপনি সৃষ্টিকর্তার কাছে পাবেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।ভালো থাকবেন।
মায়ের জন্য আমাকে সারাদিন অনেকটা সময় দিতে হয়। আমি রোজ এতগুলো আইটেম রান্না করি না। গতকাল মুড হয়েছিল তাই রান্না করলাম। মায়ের সেবা করাটা আমি আমার কর্তব্য বলে মনে করি, আর এটাও বিশ্বাস করি যে মা এবং বাবার কোন রিপ্লেসমেন্ট হয় না। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এদিক থেকে আপনাকে ভাগ্যবান বলবো কারণ আপনি মায়ের সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন। মায়ের সাথে ছেলে এ সম্পর্ক টি যে কি পরিমাণ নিবিড় তা শুধু মা ছেলেই জানে। আপনি ক্লান্তিহীনভাবে যেভাবে মায়ের সেবা করে যান তা সত্যি ই অনুসরণীয়। একদিন আপনার মাকে নিয়ে কিছু লিখবেন। আমরাও জানতে চাই আপনার মা সম্পর্কে। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
দাদা আপনার দিনলিপিটি পড়লাম। কমেন্ট করতে গিয়ে অনেক্ষন ভাবলাম। আসলে ভাষা খুজে পাচ্ছিলাম না কি কমেন্ট করবো। তবে একটা দিক বলবো আপনাকে স্যালুট না জানিয়ে কোন উপায় নেই।
ভালো থাকবেন দাদা। আপনার ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করি।
ভালো থাকার চেষ্টা তো রোজই করে যাচ্ছি কিন্তু ভালো আর থাকতে পারছি কই? এই একঘেয়েমি জীবনের মাঝে স্টিমিট আর ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া হলো আমার নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা যেখানে আমি প্রাণ খুলে আমার সব কথা শেয়ার করতে পারি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সত্যি দাদা আপনার পোস্টি পড়ে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনার মতো যদি ঘরে ঘরে এরকম সন্তান থাকে তাহলে মা বাবার বৃদ্ধ আশ্রমে আর যেতে হয় না। আপনি একজন ছেলেমানুষ হয় আপনার মায়ের অনেক অনেক কেয়ার ও সেবা যত্ন করেন। আমরা কখনো মায়ের ঋন শোধ করতে পারবো না। মা বাবার অসুস্থ হলে তাদের সেবা যত্ন করতে পারলে মনের ভিতরে একটা শান্তি পাওয়া যায়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো থ্যাঙ্ক ইউ।
বাবা-মায়ের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না। বাবাকে সেবা করার তো কোনো সুযোগ পাইনি। বাবা কোনোরকম সুযোগ না দিয়েই চলে গেছে। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি মাকে একটু ভালো রাখার। মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখার কথা আমি কোনদিন দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। তারা না থাকলে আমার তো এই পৃথিবীটাই দেখা হতো না।
আপনার মত যাদের সন্তান আছে তারা কখনো ভুলেও বৃদ্ধআশ্রমের কথা ভাবেনা। তবে আপনার মা অনেক লাকি আপনার মত আপনার মতন একটা ভালো সন্তান পেয়েছে। আপনার মা এই পৃথিবীতে যে কয়দিন আছে এরকম ভাবে তার সেবা যত্ন করে যান দেখবেন সামনের দিকে আপনার অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। থ্যাংক ইউ রিপ্লাই দেওয়ার জন্য।
কথায় আছে মায়ের ঋণ কখনো শোধ করা যায় না। কিন্তু আপনি আপনার মায়ের জন্য যা করছেন। আপনার মা যদি আপনার জন্য দোয়া করে আপনি এই পৃথিবীতে জান্নাতের সুখ লাভ করতে পারবেন।
আপনার একটা দিনের মধ্যে আপনি আপনার অনেকটা সময় আপনার মায়ের পেছনে ব্যয় করেন।অবশ্যই মায়ের দিকে খেয়াল রাখবেন, কেননা ওনার কথা বলা বন্ধ হয়ে গেছে। উনার অবস্থাটা কেমন সেটা আমি একটু হলেও অনুধাবন করতে পারছি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রমে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমি আর কতটুকু করতে পারছি আমার মায়ের জন্য। যাই করি তাই কম বলে মনে হয় আমার কাছে। খালি মনে হয় কি করলে মা আরেকটু বেশি ভালো থাকবে। বাবা আর মায়ের ঋণ কখনোই শোধ করা যায় না। ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।