বরই তেতুলের টক ঝাল মিষ্টি আচার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
বরই ও তেঁতুলের টক ঝাল মিষ্টি আচার রেসিপি
১.তেতুল
২.বরই
৩.পাঁচফোড়ন
৪.শুকনো মরিচ
৫.চিনি ফ্লেক্স
৬.গুড়
৭. সিরকা
৮.লবন
৯. সরিষার তেল
ধাপ-১
প্রথমে আমি আধা কেজি শুকনো বরই নিয়েছি। তারপর বরই গুলোকে ভালো করে পানি দিয়ে দুই তিন ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখেছি। আসলে শুকনো বরই অনেক সময় ভিজিয়ে রাখলে কোন ময়লা থাকে না।তারপর বরই গুলো পানি থেকে তুলে নেব।
ধাপ-২
এখন আধা কেজি তেতুল নিয়েছি। তারপর তেতুলগুলোকে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে তে্তুলের কাঁথ তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। কড়াই গরম হয়ে আসলে পরিমাণ অনুযায়ী সরিষার তেল দিয়ে দেব। তেল গরম হয়ে আসলে শুকনো মরিচ দিয়ে দেব।
ধাপ-৪
তারপর ধুয়ে রাখা বরই গুলো দিয়ে দেব। বরই দিয়ে কিছু সময় নেড়েচেড়ে সিদ্ধের জন্য পানি দিয়ে দেব। তারপর ঢাকনা দিয়ে কিছু সময় ঢেকে দেব।
ধাপ-৫
এখন গুড় দিয়ে বেশ কিছু সময় নেড়েচেড়ে নেব।তারপর তেঁতুলের কাথ দিয়ে আরো কিছু সময়ই রান্না করে নেব।
ধাপ-৬
এভাবে হয়ে আসলে তৈরি করে রাখার চিনি ফ্লেক্স দিয়ে দেব। তারপর কিছু সিরকা দিয়ে আরো কিছু সময় নেড়েচেড়ে নেব।
ধাপ-৭
নাড়তে নাড়তে এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব। এখন একটা প্লেটে বেড়ে পরিবেশন করব। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি
কিছুদিন আগে আমি তৈরি করেছিলাম কুলের আচার। গত বছর তৈরি করেছিলাম দুই তারি আচার। খুব ভালো লাগলো আপু আপনার সুন্দর আচার তৈরী করা দেখে। এগুলো আমার খুবই প্রিয়।
বড়ই ও তেতুলের টক ঝাল মিষ্টি আচার রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আসলে এরকম রেসিপি দেখলেই যেন জিভে দিয়ে জল চলে আসে। আপনার রেসিপির পরিবেশনে অসাধারণ হয়েছে। দেখেও তাই খেতে ইচ্ছা করছে, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আজকে আপনি বড় ই এবং তেঁতুলের আচার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার আচারের রেসিপি গুলো সত্যি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে আচার আমার অনেক বেশি প্রিয়। আমি কোন অনুষ্ঠান কিংবা মেলা দেখতে গেলে সর্বপ্রথম আচার কিনে খাই। আপনার তৈরি কৃত বড় ই এর আচার গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
আচার দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে আপু। টক মিষ্টি ঝাল আচার খেতে অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর ভাবে এই লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন এবং রেসিপি তৈরির পদ্ধতি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
বরুয়ের আচার খেয়েছি বা তেতুলের আচার খেয়েছি কিন্তু কোনদিন বড়ই বা তেতুল একসঙ্গে মিশ্রিত আচার খাইনি। আজকে সত্যি আপনি ইউনিক ভাবে আচারটি তৈরি করেছেন ।এমনভাবে আচার তৈরি করে একদিন খেয়ে দেখতে হয় কেমন লাগে খেতে ।আপনার বাচ্চাদের জন্য ঝালটা একটু কম দিতে হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু একদিন অবশ্যই তৈরি করে খাবেন, ধন্যবাদ আপু।
আপনার আচার দেখে মনে পড়ে গেল গত বছর আপনার ভাবি ঠিক এই দুইটা ফল দিয়ে আচার তৈরি করে আমাকে দিয়েছিল, সে আচার এখনো আমার কাছে রয়েছে। তেতুলের আচার আমার পছন্দ আবার কুলের আচার বেশ ভালো লাগে। খুব সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুশি হলাম। আর তেতুল শব্দটা মুখে আনলেই যেন জীবিত জল চলে আসে।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লভোনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপু আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। দেখে মনে হচ্ছে এখনই খেতে পারলে অনেক ভালো হতো। আপনার এই পেটে খুব সুন্দর ভাবে ধাপে থাকে আমাদের মাঝে বর্ণনার সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ভালো লেগেছে আপু আপনার রেসিপিটি দেখে। কিছুদিন আগে আমি শেয়ার করেছিলাম বড়ই তেঁতুলের আচার। আমি ঝাল এবং মিষ্টি দুইটাই মিক্স করেছিলাম। আপনাদের রেসিপির কালার দেখেই জিভে জল এসে গেছে আপু। আচার দেখলে আপু লোভ সামলানো যায় না। অনেক ধন্যবাদ আপু এত লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাহ আপনি তো বেশ মজাদার আচার এর রেসিপি তৈরি করেছেন। বরই এবং তেঁতুল দুটো আমার কাছে খেতে মোটামুটি খুব ভালো লাগে। আবার এই আচার গুলো দিয়ে গরম ভাত খেতেও খুব মজা লাগে। সত্যি বলতে আপনার আচারের রেসিপি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে আচারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার বড়াই তেঁতুলের লোভনীয় রেসিপিটি দেখেই জিভে জল চলে আসলো।ঘরে তৈরি আচার আমার ভীষণ পছন্দের। আমিও নানান প্রকারের আচার বানিয়ে সংরক্ষণ করি ফ্রিজে।ধাপে ধাপে আচার তৈরি পদ্ধতি চমৎকার করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লোভনীয় আচার রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।