ভালোবাসার গল্প অপেক্ষা ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।
ভালোবাসার গল্প অপেক্ষা ১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। গল্প মানে আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা। গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তে সব সময় চেষ্টা করি সপ্তাহে একটি করে গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আসলে ভালোবাসা এমনি জিনিস একবার হলে তা কখনো ভুলা সম্ভব নয়।আর সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো ভুলা সম্ভব ও নয়।তবে এটা সত্যি ভালোবাসলেই যে দুজনের মিলন হবে তা কিন্তু নয়। আর ভালোবাসা বেঁচে থাকে বিশ্বাসে। আর ভালোবাসার জন্য পৃথিবী। তবে পৃথিবীতে একেক জনের ভালোবাসা একেক ধরনের। তেমনি এক ভালোবাসার গল্প নিয়ে এসেছি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
অন্তরা ও হৃদয় দুজনে বেশ ভালো বন্ধু ছোটবেলা থেকে। তবে অন্তরার গ্রাম সম্পর্কের মামাতো ভাই হয় হৃদয়।আসলে অন্তরা যখন মামা বাড়িতে আসে তখন হৃদয়ের সাথে সব সময় খেলাধুলা করে।আসলে দুজনে সমবয়সী আবার হৃদয়ের বাড়ির কাছেই অন্তরার নানা বাড়ি।অন্তরা যখন ক্লাস সিক্স এ পড়ে তখন অন্তরাকে তার মামা এনে সরকারি স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছে। আসলে অন্তরার নানা বাড়ি শহরের কাছে আবার অন্তরা পড়াশোনায় অনেক ভালো। তাই অন্তরার মামা তাকে ভালো স্কুল কলেজে পড়াবে।এদিকে অন্তরার বাবার তেমন সামর্থ নেই ভালো জায়গায় পড়ানোর। তাই মামা নিয়ে এসেছে।
হৃদয় ও সরকারি স্কুলে পড়ে তবে দুজনের স্কুল একই জায়গা। আসলে দুজনে ছোটবেলা থেকে এক সাথে খেলাধুলা করে এখন আবার এক জায়গায় স্কুল থাকায় কারণে দুজনে এক সাথে যাওয়া আসা করে। অন্তরার মামা ও বলে হৃদয়ের সাথে যাওয়া আসা করার জন্য। হৃদয় তখন ক্লাস নাইনে পড়ে। যাইহোক দুজনে এক সাথে যেতে যেতে এক সময় ভালোবাসায় পরিনত হলো।এভাবে কেটে গেল কয়েক বছর। হৃদয় এখন কলেজে পড়ে এদিকে অন্তরা ক্লাস নাইনে পড়ে। এখন দুজনের দেখাশোনা অনেক কম হয়।
তবে বিকেলে সবাই মিলে এক সাথে সময় কাটায়। অনেকে বলে ওদের মধ্যে সম্পর্ক আছে। কিন্তু হৃদয়ের বাবা ও অন্তরার মামা এতে কিছু মনে করে না।এদিকে হৃদয় এইচ এসসি পাশ করে ভার্সিটিতে ভর্তি হলে অন্য দিকে অন্তরা এসএসসি পাশ করলো।হৃদয় ও অন্তরার মাঝে এখন অনেক দূরত্ব হয়ে গিয়েছে। তারপর অন্তরাকে তার মামা ভালো একটা কলেজে ভর্তি করে দিল।হৃদয় যখন আসে তখন অন্তরা আর এক সাথে মিলামেশা করে। একদিন অন্তরার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ল, এদিকে হৃদয় ছুটিতে এসেছে। এখন অন্তরা পড়েছে মহাবিপদে।এদিকে অনেকদিন পরে হৃদয়ে এসেছে অন্যদিকে বাবা অসুস্থ। তারপর অন্তরা তার বাবাকে দেখতে গেল কিন্তু তার বাবা একটু সুস্থ হয়েছে দেখে সেই দিন অন্তরা চলে এল। তারপর অন্তরা ও হৃদয়কে এক সাথে অন্তরার মামা দেখে ফেলল।আসলে ছোটবেলা মিশার সাথে এখন মেশা অনেক পার্থক্য।তারপর অন্তর মামা জিজ্ঞেস করল তুই হৃদয়ের সাথে সন্ধ্যাবেলা ওখানে দাঁড়িয়ে কি করিস। তখন অন্তরা মামার কথায় ভয় পেয়ে গেল। অন্তরা বলল কিছু না মামা হৃদয় ভাইয়া ডাক দিল তাই কথা বলছি। তখন অন্তরার মামার আর বুঝতে বাকি রইল না। তারপর অন্তরের মামা অন্তরাকে বলে দিল আজ থেকে কখনো হৃদয় সাথে এভাবে মেলামেশা করা না দেখি। পরের দিন হৃদয় বারবার অন্তরাকে আসতে বললো, তখন অন্তরা বলল দেখা করতে পারবে না মামা নিষেধ করেছে। কিন্তু হৃদয়ের বারবার বলাতে অন্তরা এক পাকে হৃদয়ের সাথে দেখা করতে চলে গেল। হৃদয় অন্তরাকে এবার হৃদয়ের বাবা দেখল।তারপর দুজনের সামনে গিয়ে বললো এতদিন সবাই বলেছে আমি বিশ্বাস করিনি কিন্তু আজ নিজের চোখকে অবিশ্বাস করি কি করে।তারপর হৃদয়ের বাবা অন্তরের মামার কাছে নালিশ দিল অন্তরা যেন আর কখনো হৃদয়ের সাথে মেলামেশা না করে। তখন অন্তরার মামা সিদ্ধান্ত নিল অন্তরাকে তার বাবা মায়ের কাছে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেবে।পরবর্তী পর্বে কি হল জানতে হলে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। (চলবে)
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1835632326719737947?t=VhluA901cE2xLlKr60Hm9A&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
তাদের মিষ্টি প্রেম তো ভালোভাবেই চলছিল। তবে এরকম ভাবে যে ধরা পড়ে যাবে এটা ভাবিনি। এখন তো দেখছি তাদের দুজনের মেলামেশাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন তো তাদের মধ্যে অনেক বড় দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। অন্তরা এবং হৃদয়ের ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে কিনা, এটা জানার জন্য অনেক আগ্রহ জন্মেছে। আশা করছি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই গল্পের পরবর্তী পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। অপেক্ষায় থাকলাম দ্বিতীয় পর্বের জন্য
জ্বী আপু দুজনের মধ্যে অনেক বড় দ্রুত সৃষ্টি হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর একটি গল্প লিখে আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অন্তরা আর হৃদয়ের ভালোবাসাটা যখন ভালো চলছিল ঠিক তখনি তারা ধরা খেয়ে গেল। এত গভীর ভালোবাসায় দুরুত্ব সৃষ্টি হয়ে গেছে যেনে খারাপ লাগছে। প্রথম পর্বটি পড়ে ভালো লাগলো। তবে জানার আগ্রহ হচ্ছে তারা দুজন কি আবার একসাথে হবে কিনা।
আসলে আপু ভালোবাসা যখন গভীরেই যায় তখনই ধরা খায়। ধন্যবাদ আপু।