চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি পঞ্চম বা শেষ পর্ব (প্রাণী জাদুঘরে)
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি পঞ্চম বা শেষ পর্ব (প্রাণী জাদুঘরে)
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে। ঘুরতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি তবে সেই ঘোরা যদি প্রিয় কোন জায়গায় হয় তাহলে তো কথায় নেই। আসলে ঘুরতে হলে সময় আর টাকার প্রয়োজন। যাইহোক বেশ কিছু দিন আগে আমরা ঢাকায় গিয়েছিল তারপর সবাই গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে আমরা চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। সেই পোস্ট নিয়ে আজও এসেছি আপনাদের মাঝে । আগে কয়েকটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম আপনাদের ভালো লেগেছিল।আশাকরি আজকের পর্ব আমাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আমরা প্রাণী জাদুঘরে গিয়েছিলাম। আসলে সেখানে দেখলাম মানুষের অনেক ভীর। এত পরিমাণ মানুষ বলার মতো নয়। আসলে চিড়িয়াখানায় ভিতরে থেকে প্রাণী জাদুঘরে আমার মনে হয় অনেকটা ভীর ছিল। তারপর আমরা ভীর রেখে সামনের দিকে চলে গিয়েছিলাম। আবার প্রাণী জাদুঘরের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের ফুল ও সবজি রয়েছে। সেটা নিয়ে হয়তো অন্য দিন পোস্ট লিখবো।
প্রথমে আপনাদের মাঝে মাছের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আসলে মাছের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো ছিল। তারপর চলে গিয়েছিলাম অন্য পশুপাখি ইত্যাদি দেখার জন্য। আসলে এখানে প্রাণহীন বিভিন্ন ধরনের জিনিস দেখতে পেলাম। এটা দেখে বাচ্চারা অনেক আনন্দ পেয়েছিল।আসলে এমন জিনিস গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর কৃত্রিম জিনিস গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে।
তারপর হনুমান ও কুমিরের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।হনুমান গুলো দেখে আমার কাছে অনেক লেগেছিল। আসলে এদের দেখে মনে হয় বাস্তবে হনুমান। আর কুমর গুলোর কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।
তারপর বেজি জলহস্তী, অলিভ ইত্যাদি গুলো দেখতে লাগলাম। আর বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। আসলে আমরা প্রাণী জাদুঘরে গিয়ে অনেক বেশি আনন্দে পেয়েছিলাম। যদিও এগুলোর মধ্যে প্রাণ ছিল। বেশ ভালো লেগেছিল সব গুলো পশুপাখি। আমরা সবাই অনেক আনন্দ অনুভব করেছিলাম।
তারপর আমরা সবাই মিলে বিভিন্ন ধরনের পশুপাখির ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। আসলে এই প্রাণী জাদুঘরে গিয়ে আমার সবাই অনেক ভালো লেগেছিল। সত্যি সব পশুপাখি এক সাথে দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। আমরা সবাই মিলে পুরো চিড়িয়াখানা ঘোরাঘুরি করেছিলাম। সত্যি আমাদের অনেক ভালো লেগেছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ঢাকা |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1883149940786086313?t=8Yl2jy79yzNLbxy64WOsWQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জাদুঘর ভ্রমণ করে জাদুঘরে সংরক্ষিত দেশ অনেক কিছু দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আপু। বেশ অনেক রকমের অনেক কিছু দেখার সুযোগ পেলাম আপনার জন্য। অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে এত সুন্দর ভাবে জাদুকর দেখানোর জন্য। পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
যদিও আমি আপনার এই ভ্রমণের অন্যান্য পর্বগুলো পড়িনি তবে এই পর্ব দেখে বেশ ভালো লাগলো। আমি যতদূর সম্ভব জানি জাদুঘরে ফোন ইউজ করতে দেয় না। যাক ভালই হলো আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছু দেখতে পারলাম।
আপু আমরা তো সবাই ফোন ব্যবহার করলাম কেউ বাধা,দেয়নি।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাচ্চাদেরকে নিয়ে বেশ কিছু দৃশ্য দেখলেন আপু। তবে শেষ মুহূর্তটা অনেক সুন্দর দেখলেন। এই দৃশ্যটি আমরাও দেখেছিলাম যখন চিড়িয়াখনায়া ঘুরতে গেছিলাম। প্রাণী যাদুঘরটা বিশাল প্রাণীদের চামড়া নিয়ে বেশ সুন্দর করে রাখা হয়েছে। দেখলে মনে হয় যে বাস্তব কিছু দেখতেছি আমরা। সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু দেখলে মনে হয় বাস্তব জিনিস দেখছি,ধন্যবাদ আপু।
প্রাণী জাদুঘরে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন দেখছি। প্রাণী গুলো কৃত্রিম ভাবে তৈরি করলেও,দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর লাগছে। আপনারা ঢাকা মিরপুরের চিড়িয়াখানায় গিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপু। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করার শেষ বা অন্তিম পর্বে দারুন কিছু বিষয়কে ফুটে তুলেছেন। প্রাণহীন প্রাণীর ছবিগুলি দেখে তো দারুন দেখাচ্ছে। তাছাড়া এরকম জাদুঘর গুলোতে গেলে দেশের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলো সম্পর্কে জানা যায়। চিড়িয়াখানায় ঘুরাঘুরির শেষ পর্বটি খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে ।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার চিড়িয়াখানা ভ্রমণের শেষ পর্বটি পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার। বিশেষ করে প্রাণী জাদুঘরের বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় প্রাণীর সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। একই সাথে আপনার উপস্থাপন করা চমৎকার বর্ণনা গুলো পড়েও অনেক ভালো লাগলো আমার। প্রত্যেকটি প্রাণীর কি অদ্ভুত নাম!
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।