জেনারেল রাইটিং :-বাদামওয়ালা চাচা

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

বাদামওয়ালা চাচা

Color Splash_202310474344550.png

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।। আসলে আজ এসে এক বাদামওয়ালা চাচার কিছু কথা নিয়ে। এই বাদাম বিক্রি করা চাচা আমার অনেক দিনের পরিচিত। তবে প্রায় দশ বছর পরে দেখা হলো। আসলে এমন কিছু মানুষ আছে যাকে দেখলে মনে হয় অনেক আপনজন। কয়েক দিন আগে আমরা একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম সেখানে দেখি এই বাদাম বিক্রি করা চাচা।তারপর আমরা কিছু বাদাম কিনলাম ও চাচার সাথে অনেক সময় কথা বললাম। আসলে চাচা আমাদের অনেক ভালো করে চিনত আমরা ও চাচাকে চিনতাম। কিন্তু আমি কখনো জানতাম না চাচার বাড়ি আমার শশুড় বাড়ির পাশের এলাকায়। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।


হঠাৎ চাচাকে আমি অবাক হয়ে গেলাম। আসলে আমরা যখন ইন্টারমিডিয়েট এ পড়ি তখন আমাদের কলেজের সামনে এই চাচা বাদাম বিক্রি করতো। আসলে চাচাকে এতো দিন পরে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর চাচার সাথে চাচার ছেলেমেয়ে সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানতে পারলাম।দুই ছেলে এক মেয়ে। ছেলেমেয়ে সবাই বিয়ে করে আলাদা খায়। চাচা বাদাম বিক্রি করে তারা দুজনে খায় । আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনি এখনো বাদাম বিক্রি করেন। তখন চাচা বললো আসলে আমি এখনো সুস্থ আছি আর নিজের খাবার নিজেকে যোগার করতে হয়, আর তা না হলে খাব কি।সত্যি সেই কলেজ লাইফে চাচাকে যেভাবে দেখেছি এখনো চাচা সেই ভাবে আছে একটু পরিবর্তন হয়নি।

চাচার কাছ থেকে কিছু বাদাম নিয়ে খাচ্ছিলাম আর কলেজ লাইফের কথা ভাবছিলাম। সাথে আমার জারা ছিল। সত্যি মনে হচ্ছিল এভাবে যে সেই কলেজের বাদাম বিক্রি করা চাচার সাথে দেখা হবে ভাবতে পারিনি।চাচা বললো আমি এলাকায় কোন অনুষ্ঠান হলে আসি।তারপর চাচাকে আমার শশুর বাড়ির ঠিকানা দিলাম। আর বললাম মাঝে মাঝে বাদাম নিয়ে যাবেন।আসলে চাচাকে দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। চাচা আবার আমার কয়েক জন বান্ধবীর কথা জিজ্ঞেসা করলো। ওরা সবাই কেমন আছে ও ওদের ছেলেমেয়ে হয়েছে কি না।


আসলে চাচার ছেলেমেয়ে কোন রকম ইনকাম করে খায় তাই তারা বাবাকে দেখা না। চাচা বললো মারে ওরাই ভালো মতো চলতে পারে না আবার আমাকে কি দেখবে। আমি ওদের দেখি তবে ব্যবহারটা একটু ভালো হলে হতো।চাচা আমার মেয়েকে ডেকে আবার কিছু বাদাম দিল। তারপর আমি টাকা দিতে চায়লাম কিছুতেই নিল না। সত্যি চাচাকে প্রায় দশ বছর পরে দেখে অনেক ভালো লাগলো।সত্যি বলতে চাচাকে দশ বছর আগে যেভাবে দেখেছি ঠিক সেই ভাবেই রয়েছে। তবে চাচার সাথে কথা বলে আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগলো। এমন মানুষের সাথে মাঝে মাঝে দেখা হলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।


প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসLGK30
লোকেসনফরিদ পুর

2GZpiygLZbndtMBNRVUJ19to2HA8AJHhDzhWy6HXkpbABs3wVi77RWv7qwHBXVEN3qzVymfDrdF7YupEDxp2dxQk8bz63txFqiUxURWQ1BudgH7GRTX4aoe8KcTgjL...rqmazngaQSFCEE1jXrmR7g8aaRttRx4JkC2twxSFfTuT37LxyiG5FBmgWctHLy1bxhovdtRWRZAhst4UtrYW1GhfoWLVYrog3FtTpgC8XsdEsddY2raMrKZQgM.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkKeUxjpvDicJC19Ww3PsohAvFMrugrSu1pSg638699Yh7Ad6pYix9LvdLXvARH2hxGmJfzFWD97xUzBMCRy1Fz5WLidW545LKQ.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7AHbTLxQc1o85rEUTzNp98...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScQy7C44Q43NAfhUa73Y1nHv3cvSKChk62pnPhuqhkLAnzA47j47NEp6Q4f9dRCvyy31KSeqyMAMi2Tg2svDUEiUHJR3KGZmtezgQhN2HrwQ.png

Sort:  
 10 months ago 

আপু আপনার এই বাদাম চাচার গল্পটা পড়তে গিয়ে আমার এক বরফ বিক্রেতা মামার কথা মনে পড়ে গেল। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন তিনার কাছ থেকে বড় ক্রয় করে খেতাম। তো একটা সময় উনাকে দেখছিলাম না অনেকদিন পরে আবার দেখা হয়েছিল। এই বাদামওয়ালার সাথে আপনার বিষয়টি ঠিক একই ঘটেছে। আপু বাদাম খেয়েছেন কিন্তু টাকা নেই নি চাচা আপনাকে মেয়ের মত দেখেছে বলেই কিন্তু এই কাজটি করেছেন।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 10 months ago 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে আপনার পোস্টটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। বাদামওয়ালা চাচা আপনার বেশ পরিচিত কিন্তু দশ বছর পর দেখা তাই সেই অনুভূতি আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অবশেষে চাচার সাথে কথা বলে জানতে পারলেন চাচার বাড়ি আপনার শ্বশুরবাড়ির এলাকায়। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

সত্যি ভাইয়া পুরানো মানুষের সাথে হঠাৎ দেখে হলে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।

 10 months ago 

কত কষ্ট করে ছেলে মেয়েকে মানুষ করলো কিন্তু বিয়ে করালো। তারপরও বলতেছে তারা কষ্ট করে খাই আমাকে কিভাবে খাওয়াবে? মা-বাবাদের এই সুন্দর আকুতিগুলো অনেক বেশি হৃদয়ের মধ্যে আঘাত করে আপু। তারপরও অভিশাপ দেই না যে ছেলেমেয়েরা মা-বাবাকে খাওয়াই না। ছেলে সন্তান স্ত্রীকে নিয়ে সুখে থাকলে মা বাবারাও সুখী। বেশ ভালো লাগলো আপনার স্কুল জীবনের বাদামওয়ালা চাচা কে আবারো ফিরে পেলেন।

 10 months ago 

জি আপু ছেলে সন্তান সুখে থাকলে বাবা মাও সুখে থাকে, ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59999.40
ETH 2646.89
USDT 1.00
SBD 2.44