জেনারেল রাইটিং :- সন্তানের কাছে বাবা মা বড় অসহায়

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট।

জেনারেল রাইটিং :- সন্তানের কাছে বাবা মা বড় অসহায়

1000018079.jpg

Source

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি প্রতি নিয়ত চেষ্টা করি বিভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আসার জন্য। আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। বর্তমান সমাজে ছেলে মেয়েদের কাছে বাবা মা বড়ই অসহায়। আসলে আজকাল ছেলেমেয়েদের কিছু বলার উপায় নেই। বাবা যা বলে ভালোর জন্যই বলে কিন্তু আমরা হয়তো সেটাকে মনে করি কঠিন কিছু। আর বর্তমান বেশির ভাগ বাবা মা চান বাচ্চাদের ভালো করে লেখাপড়া শেখানোর জন্য। আর বেশির ভাগ বাচ্চারা চায় পড়াশোনা না করার জন্য। এমন অনেক ঘটনা আছে বাবা মা পড়াশোনা করে না দেখে সন্তানদের রাগ করলে তারা আত্মাহত্যা করে।তারপর বাবা মা অকালে সন্তান হারা হয়। আসলে আমাদের সবার উচিত সন্তানের মন বুঝে চলা। আর সবাই পড়াশোনা করানোর জন্য ব্যস্ত থাকি।অবশেষে পড়াশোনার বদলে লাশ হয়ে আসে । তাই আমাদের সবার উচিত সন্তানেরা পড়াশোনা না করলে আত্মাকর্মসংস্হান সৃষ্টি করতে হবে।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আমার এক চাচাতো ভাইয়ের দুই মেয়ে এক ছেলে।মেয়ে দুটি বড় আর ছেলে ছোট।এখন ছেলেটির বয়স প্রায় ১৪ বছর।আমার ভাইয়ের ইচ্ছে ছেলেকে মাদ্রাসায় পড়াবে কিন্তু ছেলে পড়াশোনা মোটেও করতে চাই না। তারজন্য ছেলেকে ক্লাস থ্রি থেকে মাদ্রাসায় দিয়েছে। আসলে ছেলেটা মাদ্রাসায় যখন থাকে বেশ ভালোই থাকে। তবে বাড়িতে আসলে আর যেতে চায়না।এভাবেই কেটে গিয়েছে কয়েক বছর। ছেলেটার অনিচ্ছার সত্বেও মাদ্রাসায় থাকতে হয়। যেহেতু ক্লাস থ্রি থেকে চলে গিয়েছে মাদ্রাসায়। আসলে এতদিন মোটামুটি ভালোই চলছিল।

মাদ্রাসায় থেকে থেকে ছেলেটা একেবারে সবার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কারো সাথে কথা বলে না। তার মা বাবা ও বোনদের সাথে ও। এভাবে যত বছর যায় ততই যেন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আরো চার দিন আগে বাড়িতে এসেছিল তার খালাতো ভাইয়ের বিয়ে খেতে।সেখানে তিন দিন থেকে বাড়িতে এসেছে।তারপর তার মা বলেছে এখন মাদ্রাসায় যা।ছেলেটা প্রথমে যেতে চায়নি তারপর মা একটু রাগ করেছে। তারপর ছেলেটা কোন কথা না বলে রেডি হয়ে মাদ্রাসায় চলে গেল। গতকাল দুপুর বারোটার দিকে চলে গিয়েছে বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্য। তারপর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আমার ভাইয়া ছেলের জন্য মাদ্রাসায় খাবার নিয়ে গিয়েছে। তারপর গিয়ে দেখে ছেলেটা মাদ্রাসায় নেই। তখন হুজুরের কাছে জিজ্ঞেসা করলো আমার ছেলেটা কোথায়। তখন হুজুর বললো আজ তিন চারদিন ধরে ও মাদ্রাসায় আসেনি।তখন ভাইয়া বললো আজ দুপুরে মাদ্রাসায় আসবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে তাহলে গেল কোথায়?


তারপর ভাইয়া বাড়িতে এসে সবাইকে বললো ঘটনা। সব আত্মীয় স্বজনের কাছে ফোন দিল কিন্তু কারো কাছে যায়নি ছেলেটা। এভাবে রাত অনেক হলো বাবা মা আরো সবাই ছেলেটাকে খুঁজতে লাগলো। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাকে পাওয়া যায়নি।আর একটা বাবা মা ছেলেমেয়েকে কিছু বলতে পারবে না তা কি করে হয়। এত বড় ছেলে তাকে এখন কোথায় খুঁজবে। আর ছেলেটা নিজে ধরা না দিলে হয়তো তারা আর খুঁজে পাবে না।আমি যেহেতু গতকাল বাবার বাড়িতে এসেছি তাই আমার ভাই ও ভাবির কান্না দেখে অনেক খারাপ লাগছে।সবাই ছেলেটার জন্য দোয়া করছে।আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন তারাতাড়ি ছেলেটা বাবা মার বুকে ফিরে আসে।

প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 96919.66
ETH 2712.79
SBD 0.62