রফিকের জীবনের গল্প শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
রফিকের জীবনের গল্প শেষ পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। নতুন নতুন গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প লিখার চেষ্টা করে।আর গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা। আসলে এমন কিছু গল্প আছে যা বলে বুঝানো মুশকিল। সত্যি বলতে আগে ভাবতাম সিনেমা থেকে গল্পের সৃষ্টি হয় কিন্তু এখন দেখে বাস্তবতা থেকেই গল্পের সৃষ্টি। আর বর্তমান ভালোবাসা এমন হয়েছে অনেক ছেলেরা বিয়ে করলে মা বাবার ভালোবাসা ভুলে যায়। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আজ এসেছি রফিকের জীবনের গল্প নিয়ে। সত্যি বলতে রফিক তার মায়ের বাধ্য ছেলে।কিন্তু বিয়ের পরে হঠাৎ করেই রফিক এভাবে পরিবর্তন হবে বুঝা মুশকিল। আর সবাই যাইহোক রফিক এর মায়ের পক্ষে সব কিছু মেনে নেওয়া কষ্টকর। যাইহোক সন্তান অবাধ্য হলে করার কিছুই থাকে না। রফিক মাকে না জানিয়ে যখন বউকে রেখে এসেছে। তার জন্য রফিকের মায়ের মন অনেক খারাপ। তবে রফিক আবার যখন শশুর বাড়িতে যাবে তখন যাবার আগে তার মায়ের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছে।তখন রফিকের মা বলেছে তুই ইচ্ছেমতো রেখেছিস এখন তুই কি করবি দেখ।তারপর রফিক মায়ের এমন কথা শোনে চুপ করে সকাল সকাল ঢাকা থেকে শশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল।
তবে ঢাকা থেকে আসার সময় কিছু খেজুর কিনলো বউয়ের জন্য। আর কিছু রেখে আসলো মায়ের জন্য। আর রফিক তার শশুর বাড়ির সবার কাছে অনেক ভালো। কিন্তু তার পরিবারের কাছে অনেক খারাপ। আর এখন রফিক কোন টাকা পয়সা বাবা মা দেবে না। তবে মুখে বলে তোমাদের টাকা যা লাগে নিয়ে নিও।কিন্তু বাবা মা রেখে তার টাকায় হাত দেয় না। এভাবে অনেক দিন চলে গেল।রফিকের একটা পুত্র সন্তান হলো।
আর রফিক ছাড়া কেউ বাচ্চাটাকে দেখতে গেল না। আসলে রফিকের শশুর যে কাজ করেছে তাতে যাবার ইচ্ছে থাকলেও কেউ যাইনি।দেখতে দেখতে বাচ্চাটা বড় হয়ে গেল। তবে রফিক তার বাচ্চাকে বাসায় আনবে। তখন তার মা বলেছে তুই তোর মতো বউ বাচ্চাকে নিয়ে আলাদা বাসায় থাক। আমাদের সাথে থাকলে তোর শশুর শাশুড়ি কেউ আসবে না।রফিক ঠিক তাই করল আলাদা বাসা নিল।আর এটা দেখে রফিকের মা কষ্ট মারা যাওয়ার অবস্থা। তবে তার আর কিছু করার নেই। এখন সে শুধু দোয়া করছে যেন তার ছেলে ভালো থাকে। এদিকে রফিকের শশুর বাড়ির লোকজন অনেক খুশি।তবে রফিকের এমন পরিবর্তন আসলে ঠিক হয়নি।যাইহোক এখন আর কিছুই করার নেই। বাবা মা অনেক কষ্ট করে বাচ্চাদের বড় করে তারপর যদি অন্যের হয়ে যায় তাহলে আর কি করা। তবে রফিক অনেক সুখে আছে।আসলে আমাদের সমাজে হাজারো রফিক আছে। আশাকরি গল্পটি আমাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1954908240279687262?t=JhwGaAuqeY6dcqQwmFH9jg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1954909127907651745?t=Qg3_t7-wUVOfLjoDyN5rHg&s=19
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1954909655173660868?t=ClsTQpVTf3BYcLMuY7LKVw&s=19