ভালোবাসার গল্প অপেক্ষা ২য় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট ।
ভালোবাসার গল্প অপেক্ষা ২য় পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প শেয়ার করার চেষ্টা করি।গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা। আর সেই গল্প যদি ভালোবাসার হয় তাহলে তো কথায় নেই।তবে ভালোবেসে পেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। কিন্তু ভালোবাসলেই যে পাওয়া যাবে তা কিন্তু নয়। তারপরে আমরা ভালোবাসায় ঘর বাধার জন্য স্বপ্ন দেখি।আসলে স্বপ্ন দেখলেই যে পূরণ হবে তা কিন্তু নয়। কিন্তু স্বপ্ন তো আমাদের দেখতেই হবে।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
অন্তরা ও হৃদয়ের ভালোবাসা যখন সবাই জেনে গেল ঠিক তখনি অন্তরাকে তার মামা বাড়িতে পাঠিয়ে দিল। এদিকে অন্তরার সামনে এইচ এসসি পরিক্ষা তারপরে ও মামা বাড়ি থেকে পাঠিয়ে দিল। এভাবে চলে গেল অনেক দিন। তবে অন্তরা আর হৃদয়ের দেখা হয়নি অনেক দিন কিন্তু কথা হয় মাঝে মাঝে। তবে অন্তরা মামা বাড়ির থেকে নিজের বাড়িতে মনে হয় হৃদয়ের সাথে বেশি যোগাযোগ করে।আসলে অন্তরার মামা অনেক রাগী একজন মানুষ ছিল।এদিকে দেখতে দেখতে পরীক্ষার সময় চলে এলো।তারপর অন্তরা মামা বাড়িতে থেকে পরিক্ষা দিচ্ছে। তবে অন্তরা মামার ভয়ে আর হৃদয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না। এদিকে কয়েক দিন অন্তরার সাথে কথা না বলে হৃদয় ভার্সিটি থেকে চলে আসলো বাড়িতে।
কিন্তু অন্তরার মামা অন্তরাকে একেবারে চোখে চোখে রাখে।অন্তরা হাজার চেষ্টা করে ও কখনো হৃদয়ের সাথে দেখা বা কথা বলতে পারে না।তারপর হৃদয় তার এক চাচতো বোনের কাছে একটা চিঠি লিখে দিল।চিঠিতে লেখা ছিল আগামীকাল নদীর পাড়ে দেখা না করলে হৃদয় বড় ধরনের কিছু করে ফেলবে।তারপর অন্তরা শুধু সুযোগ খুঁজতে লাগলো কিভাবে দেখা করা যায়। আসলে খুঁজতে খুঁজতে একটা উপায় পেয়ে গেল। অন্তরার মামা একটা কাজে বাইরে গেল।বাড়িতে বলে গিয়েছে আসতে রাত হবে অন্তরা একথা শুনে মহাখুশি।
তারপর তারা বিকেল বেলা এক নদীর পাড়ে দেখা করতে গিয়েছে। দুজনে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে। এদিকে কথা বলতে বলতে কখন যেন রাত হয়েছে বুঝতে পারেনি।অন্তরা হৃদয়কে কথা দিয়েছে যেকরেই হোক সে হৃদয়কে বিয়ে করবে।এদিকে হৃদয় বলেছে আমি শীঘ্রই একটা চাকরি যোগার করে তোমাকে বিয়ে করবো।তবে তুমি কিন্তু কিছুতেই বিয়ে করবে না। অন্তরা
হৃদয়কে কথা দিয়েছে আমি মরে গেলেও কখনো তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করব না। তবে অন্তরা বলেছে আমার যোগাযোগ করা খুবই কঠিন৷ তবে আমার প্রতি বিশ্বাস রাখো আমি তোমাকে বিয়ে করব। এভাবে কথা বলতে বলতে রাত আটটা বেজে গেছে তখন যখন ফিরে আসতে লাগলো তখন পথে অন্তরার মামার সাথে দেখা হল। তারপর কি হলো জানতে হলে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। (চলবে)
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1837840759170728093?t=M3SaLi52Ew4_63BUDC0dIg&s=19
আপনার লেখা এই গল্পের প্রথম পর্বটা আমার পড়া হয়েছিল। আজকে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো পড়তে। অন্তরা যদিও সুযোগ পেয়ে হৃদয়ের সাথে বিকেল বেলায় দেখা করেছিল। কিন্তু আসার সময় তো দেখছি তার মামার সাথে দেখা হয়ে গিয়েছে। এরপরে কি হলো এটা জানার জন্য অনেক আগ্রহ জেগেছে মনের মধ্যে। আশা করছি অনেক তাড়াতাড়ি জানতে পারবো পরবর্তী কাহিনীটা। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।
জি আপু চেষ্টা করবো তারাতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার জন্য। গল্পটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে একটু পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে ভালবাসার দ্বিতীয় পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে গল্পটি খুবই সুন্দর করে লিখেছেন। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।
গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।