আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে। ঘুরতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আর সেই ঘুরটা যদি কোন প্রিয় জায়গায় হয় তাহলে তো কথায় নেই। আসলে অনেক দিন ধরে ধলার মোড় যাব বলে আর যাওয়া হয়নি। তাই এবার ঈদের সময় একটু সময় পেয়েছিলাম তাই বাচ্চাদের নিয়ে বের হয়েছিলাম। আসলে আমাদের ফরিদ পুরে ঐতিহ্য বাহি স্থান হলো ধলার মোড়। তবে পানির সময় দেখলে অনেক ভালো লাগে। আর এখন তো নদীর বুকে চর জেগেছে। আসলে এমন প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে কার না ভালো লাগে। আমরা অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছিলাম। আগের পর্ব গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে তাই এর তৃতীয় বা শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আমরা ঘোরাঘুরি শেষ করে চলে আসলাম কেনাকাটা করার জন্য। আসলে মেলাতে গেলে কিছু না কিনলে ভালো লাগে না। আর এই মেলাতে শুধু বাচ্চাদের জিনিস বেশি পাওয়া যায়। আসলে বাচ্চারা এই খেলনা গুলো পেলে বেশি খুশি হয়। তারপর তাদের বেলুন কিছু কিনে দেওয়া হলো।এদিকে অনেকে হাতে মেহেদী পড়ছে। আসলে এই মেহেদী পড়া দেখে অনেক ভালো লাগে তবে এগুলো আমার কাছে পড়তে একটু ও ভালো লাগে না।

তারপর চলে গিয়েছিলাম বাচ্চাদের খেলনা দেখার জন্য। আসলে এখন বাচ্চারা একটু বড় হয়েছে তাই তাদের খেলনা কিনে দিতে ইচ্ছে করে না। আসলে খেলনা পেলে তাদের আর কিছু লাগে সারাক্ষণ খেলতে থাকে। তবে বাচ্চাদের খাবারের জিনিস এর চেয়ে খেলনার প্রতি আকর্ষণ বেশি। তাই তাদের খেলনা কিনে দেওয়া হলো। আসলে এই খেলনা গুলো বেশি সময় স্হায়ী থাকে না। তারপরে তাদের কিনে নিতে হবে।

আর যেকোনো জায়গায় খেলে একটু হালকা খাওয়া দাওয়ার প্রয়োজন। তারপর সবাই মিলে বসে ফুসকা খেলাম। আসলে ফুসকা খেতে সবাই অনেক পছন্দ করে। তবে মেলাতে একটু বেশি দাম নেই। তারপরে খেতে হয় আরকি।