জেনারেল রাইটিং :-বউকে মেয়ে ভাবা উচিত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
জেনারেল রাইটিং :-বউকে মেয়ে ভাবা উচিত
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আমরা বউ আর মেয়ের মধ্যে অনেক তফাৎ দেখি।যদিও বর্তমান যুগে সবাই বলে বউ আর মেয়ে সমান কিন্তু আমি মনে করি এটা শুধু সবার মুখের কথা। আসলে আমাদের সমাজে বেশির ভাগ মানুষ এখনো বউ ও মেয়েকে আলাদা দেখে।আসলে আলাদা দেখে বলে এটা নয় যে ছেলেকে বিয়ে করালেই বউকে তার সংসারে সকল কাজ করতে হবে।আর শাশুড়িরা এমন পার্থক্য করলে দোষ নেই কিন্তু বউ যদি পার্থক্য সৃষ্টি করলে তখন সব দোষ বউদের। আসলে আমাদের সবার উচিত বউকে মেয়ে ভাবা।
তবে শাশুড়ীরা সব সময় বলে বউ কখনো মেয়ে হয় না। এটা আমি মানছি বউ কখনো মেয়ে হয় না তবে শাশুড়ী কখনো মা হয় না এটা শাশুড়ীরা মানতে নারাজ। যাইহোক আজ আমাদের এক প্রতি বেশির ছেলের বউকে দেখে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। আসলে বিয়ে হয়েছে প্রায় এক বছর হবে।তবে তার স্বামী কাজের জন্য বাইরে থাকে। তবে বউকে বাবা মা ভাই বোনের কাছে রেখে গিয়েছে। এখন রমজান মাস। আর রোজা রেখে সংসারের সকল কাজ করা আসলে কষ্টকর। তবে নিজের মতো সব কাজ গুছিয়ে করা যায় কিন্তু অন্যের অর্ডারে কাজ করা মুশকিল।
বউটা রোজা রেখে সংসারের সকল কাজ করে এতে তার কোন দুঃখ নেই। কিন্তু ওদিকে সংসারে অনেক লোক যারা রোজা রাখে না তাদের জন্য দিনে রান্না করতে অনেক খারাপ লাগে। তবে তার বড় একটা মেয়ে রয়েছে কিন্তু বউকে সকালে উঠে আটটার মধ্যে রান্না করতে হবে আর মেয়ে বারোটা বেজে গেলেও উঠবে না।এভাবেই চলছে। তবে একদিন বউটা সকালে সেহরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে তাই আর সকাল সকাল উঠতে পারেনি।সকাল উঠে সবাই দেখে গরম খাবার নেই আর বউ ঘুমাচ্ছে। তাই শাশুড়ী থেকে সবাই কম বেশি বউকে রাগ করতে লাগলো। অথচ অন্য দিকে মেয়েটা বারোটা পর্যন্ত ঘুমায় তাতে কোন দোষ নেই।
তাই আমাদের সবাইকে বউকে মেয়ের চোখে দেখা উচিত। আসলে আজ আমার মেয়ে কাল সে তো অন্যের ঘরে বউ হবে।নিজের মেয়েকে তো আর আমরা কাছে রাখতে পারবো না। তারজন্য মেয়ের জায়গাটা বউকে দেওয়া উচিত। আর কারো ওপর কোন কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।আসলে আপনি বউকে মেয়ে ভাবুন বউ ও আপনাকে মা ভাববে।আশাকরি আমার লেখা গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1896924160598979063?t=oPf1BGNGKVsoTSTVufrB5g&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি তো একটি বিতর্কিত বিষয়ে পোস্ট করে ফেলেছেন আপু। এই বিষয়টি নিয়ে যুগে যুগে বহু তর্কবিতর্ক হয়ে গেছে। আসলে এই বিষয়টি নিয়ে বহু দ্বন্দ্ব এবং ঝামেলা আমরা বাড়ি বাড়িতে দেখি। আর এর ফলে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বাড়ির ছেলেরা সব সময় ব্যস্ত হয়ে থাকে। তবে আমার মনে হয় মেয়ে হোক বা বউ, বাড়িতে সব সময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করাটা ভীষণ জরুরি।
এটা আমরা কেউ ভাবি না, ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে প্রত্যেকটা সংসারেই হয়তোবা এমন কিছু কম বেশি দেখা যায়। বউ আর মেয়ের মধ্যে অনেক তফাৎ করা হয়ে থাকে। কিন্তু সে মেয়েটাও যে একদিন অন্য ঘরের বউ হবে বা হয়েছে এটা কেউ বুঝতে চায় না। তবে সবার কর্মফল একদিন ভোগ করতেই হবে। আজ বউয়ের সাথে যা ঘটছে সেটা হয়তো তার মেয়ের সাথেও একদিন ঘটতে পারে। যাইহোক আপু গল্পটা পড়ে খুব খারাপ লাগলো।
এটা ঠিক বলেছেন আপু নিজের কর্মফল ভোগ করতেই হবে, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু কখনো বাড়ির বউ মেয়ে হয় না এবং শাশুড়ি মা হয় না তবে দুজনের মনের একটা মিল থাকে। যার কারনে সম্পর্কটা সুন্দর হয়। কিন্তু এভাবে যদি কোন শাশুড়ি বা বাড়ির মানুষ কোন বউয়ের ওপর এমন অত্যাচার করে তাহলে সেটা সত্যিই কষ্টকর। আমি এটাকে অত্যাচার বলছি কেননা রমজান মাসে রোজায় না থেকে যারা রোজায় থাকে না তাদের জন্য রান্না সত্যি কষ্টকর। যারা রোজায় থাকে না তাদেরও বোঝা উচিত রোজায় থেকে সংসারের সমস্ত কাজ করে আবার রান্না করাটা কেমন ঝামেলা। বউকে মেয়ে ভাবা উচিত তবে মেয়ে না ভাবলেও এতটা খারাপ ব্যবহার করা উচিত না। ধন্যবাদ আপু।
পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
দুই পরিবেশের দুইটা মনোভাব এক স্থানে এক হওয়াটা একটু জটিল বিষয় হয়ে থাকে অনেকের কাছে। তবে প্রত্যেকটা বেটার বইয়ের উচিত নতুন পরিবেশে এসে সেই পরিবেশকে মানিয়ে নেওয়ার। অনেক সময় অনেক মেয়ে মানতে চায় না বলেই সমস্যা সৃষ্টি হয় আবার অনেক জায়গায় দেখা যায় শাশুড়ি ভালো না হলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে বেটার বউদের অবশ্যই নিজের ধৈর্য সহকারে পরিবেশটাকে মানিয়ে নিতে হয়। কারণ শাশুড়ি সংসার নয় তার নিজের সংসার গড়তে হবে তাই ধৈর্যশক্তি তার বেশি থাকতে হবে।
সবারি ধৈর্য্য ধারণ করা উচিত, ধন্যবাদ আপনাকে।
হয়তো কিছু মেয়ে আছে যারা শাশুড়িকে নিজের মায়েরা আসনে কখনোই বসাতে পারে না, আবার কিছু শাশুড়ি আছে যারা নিজের মেয়ে ভাবতে পারেনা ছেলের বউকে। যদি একে অপরের প্রতি বন্ডিংটা ভালো থাকতো তাহলে সংসারে কখনোই অশান্তি হতো না। সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। তবে আমাদের দিনশেষে উচিত সবাই সবাইকে আপন করে নেওয়া।
সবাই সবাইকে আপন ভাবলে সংসার সুখের হয়,ধন্যবাদ আপনাকে
এটা কিন্তু আসলেই ঠিক বলেছেন আপু, শ্বাশুড়িরা যদি ছেলের বউকে মেয়ের মতো দেখে, তাহলে কিন্তু ছেলের বউয়েরাও শ্বাশুড়িকে মা হিসেবে দেখবে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এটা বুঝতে চায় না। যাইহোক সেই মেয়েটার জন্য আসলেই খুব খারাপ লাগলো। রোজা রেখে এতো কাজ করাটা আসলেই বেশ কষ্টকর। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।
সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আসলে কিছু কিছু শ্বাশুড়ি থাকে যারা তাদের বউকে অন্যের বাড়ির মেয়ে মনে করে সব সময় শাসন করতে থাকে৷ যার ফলে তাকে অনেক ধরনের নির্যাতন করে এবং অনেক কিছুই করতে থাকে৷ তবে সেই মেয়েকে যদি তিনি তার নিজের মেয়ে মনে করতেন তাহলে কোন ভাবে এরকম কোন কাজ তিনি করতে পারতেন না৷ আর যদি তিনি তার বউকে নিজের মেয়ের মতো করে দেখে তাহলে সত্যিই ওই মেয়েও তাকে মা হিসেবে দেখবে৷ তাদের সে সম্পর্ক খুবই মধুর হবে৷ যার ফলে সেই সম্পর্ক আর কখনোই নষ্ট হবে না৷ তবে এখনকার সময় এগুলো না থাকার কারণে অনেক সময় অনেক ভালো ভালো সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর একটি পড়ে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷