আমার বারান্দার লাগানো কিছু গাছ ও কিছু উপলব্ধি।(২)

---

---

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।

---

---

---

---

গতকাল আমি আপনাদের সাথে আমার বারান্দার কিছু গাছের ছবি শেয়ার করেছিলাম। আমার বারান্দায় খুব অল্পসংখ্যক গাছ ই রয়েছে। কারণ বারান্দাটি খুব একটা বড় নয় আর ছোট ও নয়।
কিন্তু গাছ রাখার জায়গা খুব একটা বেশি নেই। তাই আমি চাইলেও অতিরিক্ত গাছ আমার বারান্দায় লাগাতে পারিনি। সেই কারণে আমার একটু কষ্ট রয়েছে। তবে খুব একটা কষ্ট নেই। কারণ যেই গাছ গুলো রয়েছে। সেগুলো কে পরিচর্যা করতে আমার বেশ বেগ পেতে হয়। কারণ আমি কতোটা অলস মানুষ তা তো আপনারা সকলে জানেন ই।তাই যে গাছ গুলো রয়েছে তাই নিয়ে আমি মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ বেশ খুশি। তবে আমি সবসময় চিন্তায় থাকি আমার কোনো গাছ কখন যেনো আবার নষ্ট হয়ে যায়। কারণ ইতিমধ্যেই আমার বেশ কিছু গাছ মরে গিয়েছে কিংবা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে তার কারণ আমি এখনো পর্যন্ত বের করতে পারিনি। কারণ আমি সবকিছু সুন্দরভাবে করছিলাম। গাছে কীটনাশক দেওয়া, গাছে সার দেওয়া কিংবা পানি দেওয়া সবটাই আমি একেবারে নিয়ম মেনে করেছি। কিন্তু তাও কেনো জানিনা আমার অনেকগুলো গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে গাছ গুলো নষ্ট হয়েছে তার মধ্যে কিছু হলো ক্যাপসিকাম গাছ, ধনেপাতা গাছ, মরিচ গাছ আরো বেশ কিছু রয়েছে যেগুলো হয়তো এখন আমার মনেই পরছে না।

---

---

---

---

থাক সেসব কথা, যে গাছ গুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেই গুলো নিয়ে কথা বলে আর মনে হয়না কোনো লাভ হবে। আজকে আমি আমার বারান্দার আরো কিছু গাছের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। গতকাল আমি আমার লেটুস পাতা গাছটির ছবি শেয়ার করেছিলাম।লেটুস পাতা গাছটি যে টবে রেখেছি সেটি আপনারা একবার দেখুন। এটি আমার ভীষণ প্রিয়। কিন্তু সত্যি বলতে এটা কিন্তু কোন টব নয়। এটি একটি দইয়ের পাত্র ছিলো। সেই দইয়ের বাটি খালি হতেই, আমি এটাকে কাজে জন্য ধুয়ে নিয়ে ফেলেছিলাম।এরপর টব বানিয়ে ফেললাম, আমার কাছে তাই এই টবটি বেশ ভালো লাগে।

---

---

---

---

এই টবের গাছটির গল্প কিন্তু বেশ মজার।আমার কাছে মজার লাগলেও আপনাদের কাছে মজা না ও লাগতে পারে।তাহলে বলছি শুনুন, আমি কয়েকদিন আগে আমার কলেসিয়া গাছে পানি দিচ্ছিলাম। সেইসময় আমার হাতের সাথে লেগে গাছের ডালের একটি টুকরা ছিড়ে যায় হাতের সাথে লেগে। সেই সময় আমি এমনিতেই বেখেয়ালিতেই ওই টুকরাটি আমি পাশের খালি টবটিতে দিয়ে দিলাম।আর তাতে কিছু পানি দিয়ে দিলাম।আমার তখন কোনো ধরনের ধারণাই ছিলোনা যে তা থেকেও গাছ হয়ে যাবে। কিন্তু কয়েকদিন পরেই আমি আবিষ্কার করলাম যে এখান থেকে একটি কলেসিয়া গাছের চারার উৎপন্ন হয়েছে।

---

---

---

---

এই কলিসিয়া গাছটি আমার কতো যে প্রিয়।তা জাস্ট আপনাদের আমি বলে বুঝাইতেই পারবোনা।কারণ গাছটিতে একেবারেই কোনো ফুল হয়না।এই ফুল হয়না বলে প্রথম প্রথম আমার বেশ আফসোস হচ্ছিলো।তবে যখন গাছটি একটু তরতাজা হলো তখন ই আমি এর সৌন্দর্য খুঁজে পেলাম।সত্যিই পাতা গুলো কি সুন্দর ভাবে হয়!আপনারা একবার খেয়াল করে দেখুন, পাতাগুলো অন্যান্য গাছের মতো স্বাভাবিক ভাবে গজায় না।একটির ভেতর থেকে একটি বেশ কৌশলে গজায়।যার কারণে পাতাগুলোকেই অনেকটা ফুলের মতো দেখতে লাগে।তখন কিন্তু তা সত্যিই খুব দারুণ লাগে দেখতে।গাছটি আপনাদের কেমন লাগে?এটা কিন্তু প্রশ্ন থাকলো আপনাদের উদ্দেশ্যে।

---

---

এই গাছটি কোনটা বলুন তো?যাক আপনাদের এতো কষ্ট করতে দেওয়া বোধহয় ঠিক হচ্ছেনা।কারণ এমনিতেই বেশ কষ্ট করেই পোস্টটি পড়ছেন।কষ্ট বললাম এই কারণেই যে পড়ালেখা করা আবার ভারী কষ্ট।হিহিহি,আপনারাই বলুন আমি কি ঠিক বলিনি?থাক,অনেকে এখন আবার এসে বলা শুরু করবে আমি বড্ড ফাঁকিবাজ।যদিও কথাটি খুব একটা মিথ্যে নয়।তাও সব সত্যি সামনে আসা ঠিক নয়,কিছু সত্যি গোপনেই ভালো লাগে,কিছু সত্যি গোপনেই সুন্দর।এই যাহ!গাছপালা থেকে দেখছি আমি একেবারে সাহিত্যের দিকে হাঁটছি।থাক আবার গাছের দিকেই আসা যাক।এই গাছটি হলো ওইযে এমনিতেই আমি একটি গাছের অংশ ফেলে দিয়েছিলাম একটি টবে।আর সেই থেকে চারা হয়ে গেলো সেই গাছটিই।পিচ্চি গাছ দেখতে কিন্তু খুব মিষ্টি লাগে তাইনা বলুন?

---

---

---

---

কলিসিয়া গাছটির রূপ সৌন্দর্য্য যতোই বর্ণনা করিনা কেনো।ততোই যেনো একেবারেই কম হয়ে যাবে।মানুষ নাকি মানুষের রূপের মাঝে মুগ্ধ হয়।মানুষ নাকি মানুষের রুপের মাঝে মুগ্ধতা খুঁজে।আমি আবার একটু বিপরীত সে দিকটা দিয়ে।আমি মুগ্ধতা খুঁজি প্রকৃতির প্রতিটি ছোট ছোট জিনিষে।আমি মুগ্ধতা খুঁজি সৃষ্টিকর্তার প্রতিটি অপরূপ সৃষ্টিতে।কিন্তু আজকাল আমাদের যে কি হয়ে গেলো!আমরা শুধুই মরিচিকাতে মুগ্ধ হই।যে মরিচিকা হুট করে হাওয়ার সাথে মিলিয়ে যায়।দূরে চলে যায় অনেক অনেক মাইলের।আমি আবার সে মরিচিকাতে একেবারেই বিশ্বাসী নই,বিশ্বাসী নই সে মুগ্ধতায় ও।আচ্ছা সেসব আপাতত একটু থাক।এই কলিসিয়া গাছটি দেখুন কি সুন্দর ভাবে এই প্রাণহীন গ্রিলগুলোর উপরে ভর দিয়ে দিনকে দিন বেড়ে উঠছে।জড় বস্তুর উপরে জীব কি অপরূপ ভাবে নির্ভরতার জানান দিচ্ছে।আর আমরা?আমরা জীব হয়েও জীবের প্রতি আস্থা রাখতে পারছিনা।তাইতো আমি প্রকৃতির রূপেই মুগ্ধ হতে ভালোবাসি।এক্কেবারে নির্ভেজাল মুগ্ধতা।

---

---

---

---

এই কলিসিয়া গাছটি একটু দূর থেকে দেখলে যে কেও হুট করে প্রথমেই বলে উঠবে এটি একটি পুদিনাপাতা গাছ।কারণ গাছটিকে একটু দূর থেকে দেখা হলে গাছটির পাতার শেইপের কারণে অনেকটা ঠিক তেমন ই লাগে।এই গাছটি খুব একটা বড় টবে লাগানো হয়নি।বোতল কেটে তার মাঝেই লাগানো।তবে কেনো জানিনা ছবিতে বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে,সত্যিই মুগ্ধ করার মতো একেবারে।এই গাছগুলো আবার ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবেও বেশ ভালো।তবে সমস্যা হলো ইনডোর প্ল্যান্ট এর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডাল-পালা,লতা-পাতা হলে খুব একটা ভালো দেখায় না।

---

---

সমাপ্তি

---

---

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।

আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্যদিন অন্য কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

---

---