ইফতার পার্টি,চাঁদরাত,মেহেদি পরানোর টুকটাক গল্প।

🌼হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? করছি সবাই খুব ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।

প্রথমেই সকলকে জানাই ঈদ এর অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।আশা করবো সকলের ঈদ খুব খুব ভালো কাটুক এবং সকলের ঈদ খুব মজার কাটুক।ঈদ সবসময় আসে না,ঈদের এই খুশি,ও আমেজ ছড়িয়ে পরুক সকল জায়গায়,ঈদের এ আনন্দ ছড়িয়ে পরুক প্রতিটি ঘরের কোণে এবং প্রতিটি মানুষের মনে এই দোয়াই করি।
আজকের দিনটায় একটু ভালো লাগছে কারণ অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে একটু ঠান্ডা আছে ওয়েদারটা।যে কারণে আরো বেশিই মন ভালো।অন্যান্য দিন গরমের কারণে মন চাইতো এখন ই চলে যাই গ্রাম ছেড়ে চলে যাই শহরে।তবে আজকে আর তা মনে হচ্ছেনা,বেশ ভালো লাগছে।
আজকে আমার চাঁদরাত এবং তার আগের কিছু ছোট ছোট মূহুর্ত নিয়ে আপনাদের সাথে আলাপ করবো।আশা করছি সকলের ই ভালো লাগবে।
তার আগে আবার ও জানাই সকলকে পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

আমরা কাজিনরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম।তখন হঠাৎ করে এক চাচ্চু প্ল্যান করলো যে আজকে সবাই একসাথে ইফতার করবে।আর প্ল্যান হলো তো হলো তাও একেবারে শেষ মূহুর্তে।তাই ঠিক হলো সবাই সবার বাসায় যা যা ইফতারি বানিয়েছে সে সব আনবে আর বাকিগুলো দোকান থেকে কিনে আনা হবে।তাই আমরাও চলে গেলাম।এক দাদুর উঠানে আমাদের সকলের বসার আয়োজন করা হলো।পুরো বাড়ির মোটামুটি সকলেই এসেছিলাম।আর আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে গ্রামের যেকোনো আয়োজনে কেনো জানিনা শহরের মতো এতো জাঁকজমক বা এলাহী ব্যাপার স্যাপার বা ফর্মালিটি করতে হয়না।এইযে ভাবুন শহরে যদি বাড়ির কাওকে ইফতারের আমন্ত্রণ দেই তাহলে প্রিপারেশন শুরু করতে হয় একদিন আগে থেকেই।আর গ্রামে জাস্ট লাস্ট মূহুর্তেই প্ল্যানিং।আমাদের শেষ রোজার ইফতার পার্টির ম্যানু ছিলো,ছোলা,পিঁয়াজু,আলুর চপ,বেগুনী,খেজুর,মুড়ি,দই এর শরবত,চিকেন বিরিয়ানী।চিকেন বিরিয়ানীটা আমাদের মসজিদের ইফতার পার্টির তাই স্বাদ ছিলো অসাধারণ।

এরপর আমরা ইফতার করে কিছুক্ষণ বসে বসে গল্প করছিলাম।একটু পরেই বাইরে থেকে পিচ্চিদের বাজি ফাটানোর আওয়াজ কানে আসলো,বুঝলাম যে চাঁদ দেখা গিয়েছে।এরপর শুরু হলো মেহেদি দেওয়ার পালা।আমি মেহেদি নিয়ে বসতেই নুয়াইরা বলে উঠলো,"আপু আমি দিবো মেহেদি"।তাই কি আর করার,সে কিছুক্ষণ আমার হাতে শুধু শুধুই আঁকা আঁকি করলো।

এরপরে অনেক ঝামেলা করে নুয়াইরার দু হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিলাম।তাকে মেহেদি লাগানো যে কতোটা ঝামেলার একটা কাজ তা জাস্ট বলে বুঝানো সম্ভব ই না একেবারে।অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে,এটা ওটা বলে মেহেদি দেওয়ালাম।এরপর সাথে সাথেই বলে ধুয়ে ফেলবো!কি ঝামেলা!এরপর প্রায় ২০ মিনিটের মতো তাকে বুঝিয়ে মেহেদি রাখলাম।এরপর ধুঁয়ে দিয়েছি।

এরপর আর নিস্তার পাইনি!সত্যি বলছি আর কোনো নিস্তার পাইনি!উপরের ছবিগুলো দেখে আশা করি তা একটু হলেও বুঝতে পারছেন।এতো গুলো মেহেদি একহাতে দেওয়াটা খুব ই কঠিন কাজ।তাও কি আর করার তাই দিয়েছি,আবদার তো আর ফেলে দিতে পারিনা।

এরপরে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিলাম আর পরে বাসায় এসে সোজা ঘুম।কারণ পরের দিন সকাল সকাল উঠতে হবে তাই।
সকলকে আবার ও জানাই অনেক অনেক ঈদের শুভেচ্ছা।সকলের জন্য রইলো ভালোবাসা।আর বড় ভাই বোন গুলো তাড়াতাড়ি সালামিটা পাঠিয়ে দিন দেখি!হিহিহি,

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।

আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। আবার অন্যদিন অন্য কিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
আমার আজকের কাজটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।

ভালোবাসা নিবেন ❤️
ইতি,
@nusuranur

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

---