মায়ের মন সর্বদা ব্যাকুল

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকেও ভাবলাম যে আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করা যাক। কারণ ওই যে বলেছিলাম একেবারেই মন ভালো নেই। কারণ পরিবারের কেউ যদি অসুস্থ থাকে কিংবা হসপিটালে থাকে। তাহলে সত্যিই খুব একটা ভালো লাগে না।

আর একটা ব্যাপার আমি খুব বেশি হাড়ে হাড়ে টের পাই, যখন পরিবারের কিংবা নিজের একেবারে ঘরের কেউ হসপিটালে ভর্তি হয়। তখন ব্যাপারটা হলো ভর্তি তো একটা মানুষই হয় বেশিরভাগ সময় অর্থাৎ যে অসুস্থ থাকে, সে ই তো হসপিটালে ভর্তি হয়। কিন্তু তার সাথে সাথে যতগুলো মানুষ হসপিটালে যায় কিংবা হসপিটালে রুগীর দেখাশোনা করে তারা নিজেরাও কিন্তু দিনে দিনে অসুস্থ হয়ে পরেন এবং বর্তমানেও আমাদের বাসাতেও ঠিক তাই ঘটছে। অর্থাৎ আমার ছোট ভাই যেহেতু হসপিটালাইজড, সেহেতু আমার বাবা-মায়ের ও তার সাথে থাকতে হচ্ছে।

আর যেহেতু তার সাথে থাকতে হচ্ছে, সেহেতু তারা কোনোভাবেই রাতে ঘুমাতে পারছে না। কারণ হসপিটালে যতই সুযোগ-সুবিধা থাকুক না কেনো বা যতোই ভালো ডিলাক্স রুম নিক না কেনো। যেহেতু ব্যাপারটা রোগীদের জায়গা। তাই সুস্থ ভাবে ঘুমানো কিংবা শান্তভাবে ঘুমানোটা অসম্ভব। তার উপর আম্মুতো অনেক বেশি ভয় পেয়ে আছে। যেহেতু নিজের ছেলে আর ভয় পাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো, আমার ছোট ভাইয়ের পাশের কেবিনের রুগীটি গতকাল মারা গিয়েছে,তাও মাত্র কয়েকদিনের ডেঙ্গু রোগে । আসলে হসপিটালের মতো জায়গা গুলোতেই ব্যাপারগুলো একেবারেই স্বাভাবিক। অর্থাৎ সবাই যে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরবে ব্যাপারটা এমনটা কোনোভাবেই নয়। আর অনেক বেশি জটিল রোগ নিয়ে যখন হসপিটালাইজড হয় তখন আসলে বাড়ি ফিরে আসাটাও খুব একটা সহজ নয়।অর্থ্যাৎ সবটাই সৃষ্টিকর্তার কৃপা।

তো আজকেও আমি আসলে আম্মুকে অনেকক্ষণ ধরে বুঝিয়ে এলাম মেডিকেল থেকে যে আমার ছোট ভাই এর যেহেতু শুধুমাত্র টাইফয়েড ধরা পরেছে এখন পর্যন্ত এবং লিভারের সমস্যা বলতে শুধু লিভারের সাইজটা কিছুটা বড় পেয়েছে। তো এই ব্যাপারগুলো আসলে ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে সাড়ানো সম্ভব। কিন্তু মায়ের মন তো আসলে সন্তানদের নিয়ে ভয়টা একটু বেশিই পায়।

যাইহোক যে ব্যাপারটা বলছিলাম, আসলে আজকে গিয়ে দেখলাম আম্মু আব্বুও খানিকটা অসুস্থ হয়ে পরেছে। সে সাথে আমারও মেডিকেলে রাতে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু বাসায় নুয়াইরা রয়েছে। আর সে আমি কিংবা আম্মু এই দুইজন ছাড়া অন্য কারো কাছেই তেমন একটা থাকতে চায় না। সব মিলিয়ে কোনো পরিবারে একজন রুগী হলেও, ওই রুগীর পিছনে সময় দিতে দিতে আসলে সবাই একটা সময় রুগী হয়ে যায়। এটাই হলো বর্তমানে সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা,অর্থ্যাৎ আমার ঘরের কথাই বললাম।আর আপডেট বলতে,তেমন কোনো আপডেট নেই। কারণ আমার ছোট ভাইয়ের জ্বর একবার উঠছে আবার নামছে, এমনটাই করছে।তো যতদিন পর্যন্ত জ্বরটা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় স্টে করবে না। ততদিন আসলে তারা ছাড়বেও না রুগীকে এবং এই আর কি।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।