নানার বাড়িতে সাপ ধরার একটি ঘটনা।শেষ পর্ব।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
নানার বাড়িতে সাপ ধরার একটি ঘটনা। |
---|
১ম পর্ব পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
২য় পর্ব পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
তখন সাপুড়ে উঠানে বসে বলতেছিলো হায় হায় হায় একি করলি, সর্বনাশ কেন করলি।সাথে সাথে দূর থেকেও চিৎকারের আওয়াজ আসতেছে। সবাই দৌড়ে পালিয়ে এলো সেই কবরস্থানের পাশে থেকে।আমার মামার পা ও জঙ্গলের মধ্যে কিসের সাথে লেগে হালকা কেটে গেল।পরবর্তীতে শুনতে পাই কবরস্থানে কুড়ো গুলো মারার পরপরই সেখানে তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। একটা মোটা সাপ সেই জঙ্গল গুলোকে একদম মুড়িয়ে ফেলছিল।
চারোদিকে নাকি জঙ্গলগুলো নড়াচড়া শুরু করে দিল এজন্য সেখান থেকে সবাই পালিয়ে চলে গেল।এরপর সাপুড়ে বলে আর এখানে সাপ ধরা যাবে না।কুণ্ডলীর কুড়ো গুলো বাড়ি পাহারাদার সাপের গায়ের উপর পড়ে গিয়েছে। এদেরকে আমি আগেই নিষেধ করছি কবরস্থানে না মারার জন্য। এরা তারপরেও মেরে দিয়েছে। যাইহোক এখন আমরা মাফ চাই ওর কাছে এবং আমরা এখান থেকে বিদায় নিতে হবে। এ বলে তারা সবকিছু গুটিয়ে সবগুলো নিয়ে চলে গেল।
মূলত যে সাপটি এরকম জঙ্গল গুলোকে তোলপাড় করেছিল সেটি ওই বাড়ির পাহারাদার সাপ ছিল।আর এই সাপ গুলো কোন সাপুড়েই নাকি ধরতে পারে না।কারণ এরা নাকি সাপের মত রুপ নেয় তবে এরা মূলত জ্বীন। এরা নাকি বাড়ি পাহারা দেয়। আমাদের গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতেই পাহারাদার সাপ, মানে এইরকম ভালো জ্বীন থাকে। এগুলো সাপের রূপ ধরতে পারে এবং যতটুকু শুনেছি এরা মসজিদে গিয়ে নামাজও পড়ে।
আর এই জ্বীন সাপটিকে নানার বাড়ির অনেকেই দেখেছে। কারো ক্ষতি করে না নিজের মতো করে নিজেই চলাফেরা করে।তবে এই সাপটি নাকি মিয়াজির কবরের আশে পাশেই বেশি থাকে।অনেকেই সেই জায়গা থেকে সাপটিকে আসা যাওয়া করতে দেখেছে।অনেক বড় এবং মোটা এই সাপ।পুকুরের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময় মনে হয় যেন পুকুরের পানি দুইভাগ হয়ে গেছে।মূলত আমার এক নানু একদম ফজরের আজানের পর দেখেছিল,তার কথামতে সাপটি এরকম ছিল।
যাক পরিশেষে কয়েকটি কথা বলে বিদায় নিচ্ছি। মূলত এই সাপ ধরার ক্ষেত্রে যে কার্বোরিক এসিড ব্যবহার করেছে, সেটি হচ্ছে তাদের মূল মন্ত্র। আর বলেছিল মাটি পরীক্ষা করে বুঝতে পেরেছে। মূলত এটি পুরনো বাড়ির তারা নিজেরাই জানতো। আর এরকম পুরনো বাড়িতে সাপ থাকে সেটা আন্দাজ করে বলা যায়।যেহেতু ওই বাড়ির আশেপাশ অনেক জঙ্গল ছিল। তৃতীয় কড়ি পড়াটার মধ্যে কার্বোরিক এসিড দিয়ে ঝলসানো ছিল।
যার কারণে ওই কড়ি পড়াটা ওই শক্তিশালী সাপের সামনে নেওয়াতে সাপটি আরো দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যদিও সাপের ঘ্রাণশক্তি কম, তবুও যতটুকু আছে এতটুকুতেই সাপ দুর্বল হয়ে যায়। আর যদি ঘ্রাণশক্তি বেশি থাকতো তাহলে আরো বেশি খারাপ অবস্থা হয়ে যেত সাপের। পরিশেষে যে ঘটনাটি ঘটলো সেটা আসলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে গিয়েছে। কারণ আপনারা অনেকেই শুনেছেন যে বাড়ি পাহারাদার সাপ অনেক ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে।
ভয়ংকর বলতে এরা বাড়ি পাহারা দেয় এগুলো মূলত জ্বীন। তবে এরা মানুষের ক্ষতি করে না।আর এগুলোকে ধরাও সম্ভব হয় না। এজন্য কেউ ধরতে গেলেও সেখানে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সর্বোপরি এ ছিল আমার গল্পের সমাপ্তি। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | সাপ ধরার গল্প। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
বানার বারিতে মাছ ধরার ঘটনা পরেছি তবে সাপ ধরার ঘটনা পরি নাই । আগের পর্ব গুলো পরা হয়নি তাই ঠিক ভাবে বুঝতে পারলাম না।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ভাইয়া।শুভ কামনা রইল আপনার জন।
ভাই আপনার জন্যও শুভ কামনা রইল, আর বানানে কিছুটা ভুল আছে ভাইজান।
আপনার নানার বাড়িতে সাপ ধরার গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো ৷ যদিও আগের পর্ব গুলো আমার পড়া হয়নি , তবে এই পর্ব পড়ে বেশ ভালো লাগলো ৷ অনেক সুন্দর লিখেছেন ৷ ধন্যবাদ আপনার এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
পর্বগুলো সব একসাথে আছে ভাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
🙏🙏🙏📸
এর আগের পর্ব পড়েছিলাম অনেক ভালো লেগেছিল। পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আজকে বিস্তারিত পড়ে অনেক ভালো লাগলো। একদম ঠিক বলছেন প্রতিটি বাড়িতে আসলে পাহারাদার সাপ থাকে। সেগুলো সাপের রূপ ধরে থাকে জীন গুলো বেশ ভালোই বললেন আমি অনেক শুনেছি। বিস্তারিত জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
জি আপু প্রতিটি বাড়িতে আসলে পাহারাদার সাপ থাকে।।
আগের পর্ব পড়েই বুঝতে পেরেছিলাম মিয়াজির কবরের উপর কুড়া দেওয়াতে বেশ ঝামেলা হয়ে যাবে। বাড়ি পাহারাদার সাপ সম্পর্কে ছোটবেলা শুনেছিলাম,তবে বিস্তারিত জানা ছিলো না। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম সবকিছু। সাপুড়েরা তাহলে ভয়ে বাসা থেকে চলে গেল😂। যাইহোক ভাই কার্বোরিক এসিড দিয়ে হোক আর যেভাবেই হোক, সাপগুলো তো ধরেছে আপনার নানা বাড়ি থেকে সাপুড়েরা। আমি মনে করি এটাই অনেক। তাদের স্পেশাল কোনো টেকনিক থাকুক, নয়তো না থাকুক সাহস আছে অনেক, এটা বলতেই হয়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জি ভাই আসলেই সাহস আছে অনেক, এটা বলতেই হয়।
https://x.com/Nevlu123/status/1738038662238277700?s=20
নানার বাড়িতে সাপ ধরার গল্পটি প্রায় সবগুলো গল্পই পড়েছি গায়ে কাটা দেয়ার মত কিছু কিছু ঘটনা আছে গল্পে। কবরস্থানে পাহারাদার সাপ ছিল ভাগ্যিস কারো কোন ক্ষতি করে দেয়নি।
আসলে মন্ত্র বল বলতে কিছু নেই কার্বনিক এসিড কিংবা অন্যান্য নানান কৌশলের মাধ্যমেই তারা সবগুলো সাপ ধরে থাকেন। সবগুলো পর্বই বেশ টানটান উত্তেজনা গল্পের মাঝে পেয়েছি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বাস্তব গল্প উপহার দেয়ার জন্য ।
জি আপু আসলেই মন্ত্র বলতে কিছু নেই। কার্বরিক এসিড আর অন্যান্য কৌশলের মাধ্যমেই তারা সাপ ধরে থাকেন।